Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

পি কে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৮৪জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে) ২২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি ১৩ জনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।রোববার (৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ৫২ মামলার মধ্যে এটি প্রথম মামলার রায়। বাকি ৫১ মামলা এখনো তদন্তাধীন। এর আগে গত ৪ অক্টোবর একই আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

ওইদিন যুক্তিউপস্থাপনের সময় কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়।

পি কে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- লিলাবতী হালদার (পি কে হালদারের মা), পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।মামলায় ১০৬ সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি।


আরও খবর

ড. ইউনূস জামিন পেলেন

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জন জীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জনজীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পার্বত্যবাসীদের মধ্যে শান্তি ও উন্নয়নের যে সোপান রচনা করেছেন তা দেশবাসীর কাছে আজীবন এক মাইলফলক স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।

বুধবার (১০এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের টাউন হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বিটিকেএস) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সহযোগিতায় ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব ২০২৪ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, দেশের কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক উচ্চে আসীন করতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ূ কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে পারেন সেজন্য আমরা সকলে আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সকল সংস্কৃতির মাঝে আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বৈসু এ উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মাঝে হৃদ্ধতার মেল বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। বৈসু মানুষের মধ্যে বৈষম্য দুর করবে, শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আদর্শ নাগরিক হিসেবে কোনো বিভেদ নয়, কোনো হানাহানি নয়, শান্তি, শৃঙ্খলা, সৌহার্দ্র সম্প্রীতি বজায় রেখে আমাদের সকলেরই দেশের উন্নয়নে কাজ করা বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পরে রঙীন বেলুন উড়িয়ে বৈসু উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তিনি বর্ণাঢ্য এক র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিপুরা সংসদের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ত্রিপুরা শিশু, কিশোর, তরুণরা গান, নৃত্যসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি তা উপস্থিত সকলের সাথে উপভোগ করেন।

এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর,পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  মোঃ শানে আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  মোঃ দিদারুল আলম, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ঈদের আগে স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়ল প্রায় ২ হাজার টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বর্ণের দাম ঈদের আগে বেড়ে ইতিহাস গড়েছে । ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকায়।

শনিবার (৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়ে যাওয়য় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ মার্চ সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা। যা ২২ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

এদিকে, বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। প্রতিবেদন লেখার সময় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছে ২ হাজার ৩২৯ দশমিক ২০ ডলারে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম একদিনে ৩৮ দশমিক ৫০ ডলার বা ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে বিশ্ববাজারে কেনাবেচা চলছে।


আরও খবর



দোয়ারাবাজারের এক কিশোরী ধর্ষন ক‌রে গুম করার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

র‌নি ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:সুনামগ‌ঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক কিশোরী ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগের ঘটনায় জেলাজু‌ড়েই ব‌্যাপক তোলপাড় সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।  এ ঘটনায় জনম‌নে নানা প্রশ্ন দেখা দি‌য়ে‌ছে।

কি‌শোরী নিযাত‌নের ঘটনার ছয় দিন অতিবাহিত হলেও এখ‌নো কি‌শোরী সন্ধান মিলছে না ব‌লে এলাকাবাসীর অ‌ভি‌যোগ ক‌রে‌ছেন।  গত ১১ এপ্রিল রাতে দোয়ারবাজার উপ‌জেলার বাংলাবাজার ইউপির মৌলার পাড় আপনের টিলা নি‌য়ে পালাত্রু‌মে  কি‌শোরী্র উপর অমানবিক নিয়া‌ত‌নের ঘটনা ঘ‌টে।

এলাবাসীর সুত্রে জানা যায় ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার  বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়ে বাঘমাড়া বাজারে
চ‌লে যায়। প‌রে কি‌শোরী‌কে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কালামের বাড়িতে নিয়ে যান।  সেখানে কালাম মেম্বার কিশোরীর ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে এ সময়  কিশোরী জানায় তার বাড়ি বাঁশতলা শহীদ মিনার কলোনীর মৃত- সাইফুল ইসলামের কন‌্যা ।

তখন কালাম মেম্বারের পাশে বাড়ির ছেলে আব্দুল কুদ্দুছ ওরফে মটোকে মোবাইল ফোনে মেয়ের বিষয়টি অবগত ক‌রেন।

আব্দুল কুদ্দুছ ঐ কিশোরীর পরিচয় নিশ্চিত করে   ১১ এপ্রিল কিশোরীকে আব্দুল কুদ্দুছের মাধ্যমে তার বাড়িতে পৌছি‌য়ে দেয়ার দায়িত্ব দেন ইউপি সদস্য।

আব্দুল কুদ্দুছ এ কিশোরীকে বাড়ি না দি‌য়ে এলাকার কুখ‌্যাত চোরাকারবা‌রি বখাটে জনৈক জুটনের কাছে তো‌লে দেন।

এরপর জুটন মেয়েটাকে তার বা‌ড়ি না দি‌য়ে  মৌলারপাড়স্ত আপনের টিলার উপরে নি‌য়ে জোরপু্বক ঐ কিশোরীকে সন্ধ্যা থেকে রাত ভর পালাত্রু‌মে ধর্ষন ক‌রেন জুটন সহ তার দুই সহযোগিরা।

সেখান থেকে রাত ৩টার দিকে  মেয়েটা পালিয়ে পুনরায় সা‌বেক কালাম মেম্বার বাড়িতে এসে অবস্থান নেন।  এরপর কালাম মেম্বারেকে তার স‌ঙ্গে সব কিছু খুলে বলেন কি‌শোরী। তাৎক্ষনিক সা‌বেক কালাম মেম্বার স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের খবর দিলে সে কয়েকজন সংবাদ কর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে এ কিশোরীর জবানবন্দী রেকর্ড করেছি‌লেন।

পরে তাদের মাধ‌্যমে দোয়ারবাজার থানায় নিয়ে যান। থানায় যাওয়ার পর আসামির পক্ষ নেন পু‌লিশ।  থানার ও‌সির স‌ঙ্গে আসামী‌দের বড় অংকের টাকার বি‌নিময় রফা দফার মাধ‌্যমেই অ‌লি‌খিত চু‌ক্তি হয়। পু‌লিশ ঘটনা‌টি চাপা দি‌য়ে নিযা‌তিত কি‌শোরীকে ভয়‌ দে‌খি‌য়ে তার চাচার জিন্মায় দেয়া হয়। এরপর থেকে ঐ ধর্ষিতা কি‌শোরীকে আড়াল করে রাখা হচ্ছে। এলাকাাসীর ধারনা করা হচ্ছে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি থানায় পু‌লিশ ধামাচাপা দেয়ার অ‌ভি‌যোগ ক‌রেন। ধর্ষনের মত এ ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে ডাক্তারী পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া মা বাবা বিহিন অসহায় কিশোরীকে গুম করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ক‌রেন এলাকাবাসী লোকজন।

এব‌্যাপা‌রে ছাতক দোয়ারবাজার সা‌কেল সহকা‌রি পু‌লিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক, জানান,এঘটনার খোজ খবর নি‌য়ে ভিকটিম উদ্ধার ক‌রে আইনানুগত ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে।


আরও খবর



মিরসরাইয়ে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে পানিতে ডুবে জাকারিয়া (৭) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শরিয়তপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী ওই এলাকার রহিম উল্ল্যাহ হাজী বাড়ির কৃষক শিপনের ছেলে। সে স্থানীয় শরিয়তপাড়া ফজলুল উলুম তালিমুল কোরআন মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী।

নিহতের চাচা কামরুল ইসলাম জানান, জাকারিয়া মাদ্রাসার বিরতির সময় বাড়িতে এসে পুকুরে গোসল করতে নামার একপর্যায়ে সে ডুব দিলে পুকুরে তলিয়ে যায়। পরে ৮-১০ জন মিলে পুকুরে খুঁজে তার সন্ধান পেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

শরিয়তপাড়া ফজলুল উলুল তালিমুল কোরআন মাদরাসার সুপার মাওলানা আতাউর রহমান বলেন, জাকারিয়া মাদ্রাসার টিফিনের বিরতির সময় হওয়ায় বাড়িতে যায়। দুপুরে খাবার খেয়ে আবার মাদ্রাসায় ফেরার কথা। এর মাঝে পরিবারের অগোচরে গোসল করতে পুকুরে নামে। পরে খবর পাই সে আর নেই!


আরও খবর



মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যােগে ঈদ ও বৈসাবি উপলক্ষ্যে মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,বিশেষ প্রতিনিধি:বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যােগে পবিএ ঈদ উল-ফিতর ও বৈসাবি উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে পাহাড়ী- বাঙ্গালী দুঃস্থ নারী ও পুরুষের মাঝে শাড়ি, পাঞ্জাবী এবং পাহাড়ী ড্রেস বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল)  মাটিরাঙ্গা জোন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক মানবিক সহায়তা  কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় সকালের দিকে , মাটিরাঙ্গা  সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- ও বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষ্যে মাটিরাঙ্গা জোনের আওতায় ২০০জন  দু:স্থ,অসহায় হতদরিদ্র  পরিবারের মাঝে ঈদ ও বৈসাবি উপহার সামগ্রী বিতরণ ও পাঁচশতাধিক মানুষের মাঝে  স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ, দন্ত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা সহ বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল উপকার ভোগীদের মাঝে ঈদ ও বৈসাবি উপহার সামগ্রী তুলেদেন।

এ সময় মাটিরাঙ্গা জোনের জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো.কামরুল হাসান পিএসসি
মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর আলম
সহ সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মানবিক সহায়তার মধ্যে রয়েছে দুই শতাধিক হত-দরিদ্র পাহাড়ি-বাঙ্গালি পরিবারের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, পাহাড়ী ড্রেস বিতরণ, বিদ্যুৎ বিহীন ১০টি পরিবারকে সোলার প্যানেল, সুবিধা বঞ্চিত ৫টি পরিবারকে সেলাই মেশিন, ১০টি পরিবারের মাঝে ১০বান ডেউটিন, ৮ জন অসহায় ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নগদ আর্থিক অনুদান ও ২টি এতিমখানায় ১০টি ফ্যান রয়েছে। এছাড়াও অন্তত পাঁচশতাধিক জনসাধারণের মাঝে  বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল  বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের পাহাড়ি এবং বাঙ্গালীদের মাঝে অত্যন্ত সোহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও সু-সসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।পাহাড়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যেও মাটিরাঙ্গা জোন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। আপনারা এই সু-সম্পর্ক বজায় রাখবেন এটাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। সর্বোপরি আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুরু থেকে বিভিন্ন মানবেতর চাহিদা পরিপূরণের মাধ্যমে মানুষের পাশে আছে। তেমনিভাবে মানুষের একমাত্র সঠিক আস্থাভাজন এবং গৌরবের প্রতীক হিসাবে সুদূর ভবিষতেও এই ধারা অব্যহত রাখবে।পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ঈদ-উল-ফিতর ও বৈসাবি,র শুভেচ্ছা জানান।

আরও খবর