
রমজান আলীঃ
পদ্মা সর্বনাশা হলেও সেই পদ্মার ডুবন্ত নোঙরের পাদদেশে দাঁড়িয়ে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর, শেরে বাংলা এ.কে.এম ফজলুল হক, পল্লী কবি জসিমউদ্দীন, সদ্য প্রয়াত গাফফার চৌধুরী রা গেয়েছেন ভাষার গান, ভালোবাসার গান। অমর কাব্যের কবি লিখেছেন- আবার আসিবো ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-চিল শালিকের বেশে নয়, জীবন্ত মানুষরূপী রেল ও অজস্র রকমের যানের জনকানিতে। জীবনানন্দের জীবদ্দশায় হয়তো কল্পনা করবে না। কিন্তু এ শতাব্দীর মানুষ, নৌকায় চড়া মানুষজন ভুলে যাবে প্রাচুর্যের পাহাড় দেখে ছাদবিহীন নৌকায় চড়ে বঙ্গবন্ধু হয়তো কল্পনা করে না স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে প্রাপ্ত এক চিলতে দেশের মানুষজন সুখের মহাসাগরে ভাসবে। তাঁরই তনয়ার মহাসাগর সম সাহস, জিদ চেতনাদীপ্ত উদ্যোগের মাধ্যমে। আজি এ সাগর জয়ের দিনে ফিরে পাবে না তাঁরই সতীর্থ ও সহদোরদের কে, ফিরে পাবে না তারঁই প্রয়াত স্বামী ড. ওয়াজেদ কে। শুভ উদ্ভোধনের দিনে সে শুধুই পাবে সহস্র কোটি মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা। পাবে সন্তানহারা, স্বামী হারা, পিতৃহারা, মাতৃহারা ও মমতাময়ী স্ত্রীর আশির্বাদ। ছন্দের রাজা নকুল কুমার বিশ্বাস ও কোটি মানুষের প্রিয় ম্যাগাজিন ইত্যাদির প্রবর্তক হানিফ সংকেতের জাদুর ছোঁয়া।
বলতে হয়–
এদেশের বিরোধিতারা পশ্চিমা ঘেষা
দেখেনা পদ্মাব্রীজ, দেখেনা উন্নয়ন
নিন্দা করাই তাদের পেশা।
কারন জননেত্রী পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী প্রধান মন্ত্রী। একটি দলের প্রায় ৪০বছর সভানেত্রী কিন্তু পশ্চিমারা হিসাব কষে এই নেত্রী নাকি ২২তম ক্ষমতাধর, ধিক! তাদের বিচার! কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেও জেল খাটতে হয়েছে। বাসাবো-খিলগাঁও ফ্লাইওভার কে বলেছিল "মূলা ঝুলিয়েছে "
কিন্তু সহস্র জনতার হৃদয়ের গভীর ক্রন্দরে চিরকাল ও জন্ম জন্মান্তরে গেঁথে থাকবে বঙ্গবন্ধু ও তার তনয়া জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।