Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা পদে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা পদে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল ঈদ পর ফের বাড়লো হিলিতে আলু,পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম পানি নিষ্কাশনের মুখে নন্দন পার্কের বাঁধ, উৎসবেও জলবদ্ধতায় দুর্ভোগ বাড়তি ফি টেস্ট পরীক্ষার নামে নেওয়া যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল, আজ থেকেই কার্যকর ফরিদপুরে নিহতদের পরিবার পাচ্ছে ৫ লাখ টাকা, আহতরা ৩ জামিন পেলেন ড. ইউনূস ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস

পাকিস্তানের মসজিদে হামলা: নিহত ৯৬

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশাওয়ার পুলিশ লাইন্স এলাকার এক মসজিদে গতকাল সোমবার বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা দেড় শতাধিক। খবর জিও নিউজের।

স্থানীয় সময় গতকাল বেলা দেড়টায় বিস্ফোরণের সময় মসজিদটি মুসল্লিতে ঠাসা ছিল। মসজিদটির একাংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক মুসল্লি ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছে। এখনো উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আহতদের লেডি রিডিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিস্ফোরণে শব্দ ছিল অনেক বিকট। অনেক দূর থেকেও এই শব্দ শোনা গেছে।


পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আত্মঘাতী হামলাকারী নামাজের সম্মুখ সারিতে ছিলেন, সেই সময় তিনি নিজেকে উড়িয়ে দেন।

লেডি রিডিং হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম বলেন, অঞ্চলটি পুরোপুরি ঘিরে রাখা হয়েছে, কেবলমাত্র অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ মুসল্লিরা যখন জোহরের নামাজ আদায় করছিলেন তখন এই বিস্ফোরণ ঘটে।

ইতোমধ্যে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান। নিষিদ্ধ এই সন্ত্রাসী পাকিস্তানে সম্প্রতি হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে।


আরও খবর



চন্দ্রগ্রহণ চলছে, দেখা যাচ্ছে যেখান থেকে

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ চলতি বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়েছে । সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টা ২৩ মিনিট থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে গ্রহণ। তবে বাংলাদেশ বা ভারত থেকে দেখা যাবে না এটি।

জানা গেছে, মূলত পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধ থেকে আজকের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। চলতি বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবে এশিয়ার উত্তর ও পূর্ব অংশ। এছাড়াও চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকায়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় আর্কটিক ও আন্টার্টিকার বহু অংশ দেখতে পাবে গ্রহণ।

আজকের চন্দ্রগ্রহণের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। এটি চাঁদের পূর্ণ বা আংশিক গ্রহণ নয়। একে বলে ‘পেনম্ব্রাল’ চন্দ্রগ্রহণ। গ্রহণের সময়ে সাধারণত সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরলরেখায় অবস্থান করে। ফলে সূর্যের আলো পৃথিবীর উপরে পড়ে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে ঢেকে দেয়।

‘পেনম্ব্রাল’ গ্রহণের ক্ষেত্রে তা হবে না। এ পর্যায়ে পৃথিবী, সূর্যের আলো পুরোপুরিভাবে আড়াল করতে পারে না। বরং চাঁদের ঔজ্জ্বল্য খানিক হ্রাস পায়। একে আংশিক গ্রহণও বলা যায় না।


আরও খবর



নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদযাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...’


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা চত্তরে শহীদ মিনারে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। গতকাল মঙ্গলবার ৩১বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসটির সূচনা শুরু হয়। সকাল ৬টায় সূর্য উদয়য়ের আগে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ্ধসঢ়; তমাল ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সকাল ৮টায় ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ আনসার ও ভিডিপি ফায়ার সার্ভিস এবং বিএনসিসির সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন শুরু হয়। সকাল ৯টায় ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিফুটবল প্রতিযোগীতা (সবকারী বনাম বে সরকারী) ভাবে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ মাঠে বীরমুক্তিযোদ্ধাদেরকে উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়ও সুবিধাজন সময়ের মধ্যে জাতির শান্ত সমৃদ্ধি ও ঐক্যের জন্য বিশেষ মোনাজাত/ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশণ করা হয়। আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস এই দিনে পাকিস্তানী পরিধীনতার সৃঙ্খল থেকে মুক্তিপেতে ১৯৭১ সালে এই দিনে অনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের জনগন। যার অবদান বাংলাদেশের স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


আরও খবর



আইএসডিই এর উদ্যোগে মহেশখালীতে ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নতুন গৃহ হস্তান্তর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বেসরকারী সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশের উদ্যোগে ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইড এর সহযোগিতায় ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ গৃহহীন জনগোষ্ঠির মাঝে নতুন গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ২৬ মার্চ ২০২৪ইং স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এক অনানুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়। মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম আধারঘোনা এলাকায় কহিনুর আক্তারের কাছে নতুন ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক সাইক্লোন মোখা রেসপন্স টিমের ফোকাল পার্সন খালেদ মোরশেদ, কালারমারছড়া ইউনিয়নের প্যানেল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু আহমেদ, আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার আমেনা বেগম, ব্র্যাক এইচসিএমপি কক্সবাজারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, প্রকল্প কারিগরী কর্মকর্তা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মারুফুল ইসলাম, আইএসডিই বাংলাদেশের রোহিঙ্গা রেসপন্স এর কক্সবাজারের প্রধান মোঃ জসিম উদ্দীন সিদ্দীকী, আইএসডিই অর্থ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সানাউল্যাহ, আইএসডিই মহেশখালী উপজেলা ব্যবস্থাপক মনজুর আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাক সাইক্লোন মোখা রেসপন্স টিমের ফোকাল পার্সন খালেদ মোরশেদ বলেন, উপকূলীয়ীয় মহেশখালী উপজেলাটি যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য খুবই ঝুঁকিপুর্ণ হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার অনুকল পরিবেশ না থাকায় এখানে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন। সেখানে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই দীর্ঘদিন ধরেই এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেকারনেই আইএসডিই এর সাথে পার্টনাশীপের মাধ্যমে ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সহায়তা পৌঁছানো হয়। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে এ সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্ঠা করা হয়। কালারমারছড়া ইউনিয়নের প্যানেল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই ব্রাকের সহায়তায় এ ধরনের মানবতাবাদী কর্মকান্ড পরিচালনায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সীমিত বাজেটে একটি পরিপূর্ন ঘর উপহার দেয়া হয়েছে। একই সাথে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরাই সহায়তা পেয়েছে, সেকারনে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে এখানে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির সংখ্যা অনেক বেশী, তাই সহায়তার পরিমান বাড়ানোর জোর দাবি জানান। আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইডের সহায়তায় সাইক্লোন মোখা রেসপন্স প্রকল্পের আওতায় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে ঘূর্ণীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির জন্য পুর্নবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে আইএসডিইকে সম্পৃক্ত করায় ব্র্যাকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আর ও বলেন, উপকূলীয় মহেশখালী উপজেলা নানাভাবে অবহেলিত ও বঞ্চিত। একই সাথে বিদ্যুত খাতের সরকারী বেসরকারী নানা মেঘা প্রকল্প চলমান থাকায় এখানে জীবন জীবিকা নিয়ে ঠিকে থাকা কঠিন, পরিবেশ প্রতিবেশ হুমকির মূখে ও উদ্ববাস্তু জনগোষ্ঠির সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনগনের সহযোগিতা নিয়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের বাছাই করা অনেক কঠিন থাকলেও সীমিত সামর্থের কারনে তা সম্পন্ন করতে হয়েছে। নতুন ঘর গ্রহিতা কালারমারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম আধারঘোনা এলাকায় কহিনুর আক্তার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, স্বামী হারা হবার কারনে নিজের ঘর তৈরী করার সামর্থ ছিলো না। সেকারনে ঘরবাড়ী হারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয়েছিলেন। আইএসডিই সেখানে ত্রাণ কর্তা হয়ে আশ্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছে, সেকারনে তাদের প্রতি চির কতৃজ্ঞ থাকবো।

উল্লেখ্য বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইড এর সহযোগিতায় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে ০৮টি নতুন ঘর, ১১টি ঘর মেরামত, ১৪টি নলকুপের প্লাটফরম তৈরী, ১৮টি নতুন স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন করা হয়।


আরও খবর



ঈদের আগে স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়ল প্রায় ২ হাজার টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বর্ণের দাম ঈদের আগে বেড়ে ইতিহাস গড়েছে । ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকায়।

শনিবার (৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়ে যাওয়য় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ মার্চ সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা। যা ২২ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

এদিকে, বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। প্রতিবেদন লেখার সময় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছে ২ হাজার ৩২৯ দশমিক ২০ ডলারে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম একদিনে ৩৮ দশমিক ৫০ ডলার বা ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে বিশ্ববাজারে কেনাবেচা চলছে।


আরও খবর