Logo
আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

অ্যাতলেটিকোকে উড়িয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠল বার্সেলোনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১৮৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক;অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ঘরের মাঠেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারল না। মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে বার্সার কাছে উড়ে গেল সিমিওনের দল।

রোববার (১৭ মার্চ) লা লিগার ম্যাচে বার্সেলোনার কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে অ্যাতলেটিকো। বার্সার হয়ে গোল করেছেন জোয়াও ফেলিক্স, রবার্ট লেভানডোভস্কি ও ফার্মিন লোপেজ।

এই জয়ে জিরোনাকে হটিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এলো জাভির দল। ম্যাচটি বার্সা সহজভাবে জিতলেও ম্যাচের প্রথম সুযোগ তৈরি করে অ্যাতলেটিকো। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে পাবল ব্যারিওসের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। শুরুতে আক্রমণে এগিয়ে ছিল অ্যাতলেটিকো। তবে ম্যাচের প্রথম গোলটা আদায় করে নেয় বার্সা।

৩৮ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ডি-বক্সের ভেতরে লেভানডোভস্কির বাড়ানো পাস থেকে গোল করেন ফেলিক্স। প্রথমার্ধে এই এক গোলে লিড নিয়েই বিরতিতে যায় সফরকারি বার্সেলোনা।

দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে চমৎকার ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লেভানডোভস্কি। তবে প্রতিপক্ষের ভুল পাসে বল পেয়ে রাফিনিয়া তা বাড়িয়ে দেন বক্সে। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোলটি করেন পোলিশ স্ট্রাইকার।

৬৫ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলে বার্সেলোনা। বক্সের ডান দিক থেকে লেভানডোভস্কির ক্রস হেড করে জাল খুঁজে নেন ফার্মিন লোপেস। এরপর বেশকিছু সুযোগ পেয়েছিল অ্যাতলেটিকো। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি।

চলতি মৌসুমে অ্যাতলেটিকোর মাঠে প্রথম দল হিসেবে কোনো দল জয়ের মুখ দেখল। এর আগে ১৩ ম্যাচ খেলে অপরাজিত ছিল সিমিওনের দল।

২৯ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এলো বার্সেলোনা। আর সমান ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে অ্যাতলেটিকো।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




বিরামপুর পৌরসভার পানি ছড়াচ্ছে শীতলতার পরশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে জনজীবন হাঁসফাঁস  এবং অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ জীবজন্তুসহ কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ জন। বৈশাখের তৃতীয় সপ্তাহেও দেখা মিলেনি বৃষ্টির দিনাজপুর জেলার  বিরামপুর এলাকায়। এ অবস্থায় বিরামপুর পৌরসভার নিজস্ব উদ্যোগে শহরের রাস্তায় রাস্তায় সকাল-বিকাল ছিটানো হচ্ছে পানি। গরমে অতিষ্ট শহরবাসী এতে ধুলি-বালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা ও শীতলতার পরশ অনুভব করছেন।

জানা গেছে, প্রচন্ড খরা ও তাপদাহে প্রাণিকূলের ওষ্ঠাগত অবস্থা বিরাজ করছে। শুষ্ক মৌসুমে ধূলি-বালি থেকে নাগরিকদের রক্ষার জন্য প্রথম শ্রেণির বিরামপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের রাস্তায়-রাস্তায় পানিবাহী গাড়ী দিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল পানি ছিটানো হয়।এতে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজন, রাস্তার দু’পাশের দোকানী ও ক্রেতারা স্বস্তিতে চলাফেরা করতেন। কিন্তু, বৈশাখের তৃতীয় সপ্তাহেরও এই এলাকায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শহরবাসী ও প্রাণিকূলের নাভিস্বাশ উঠেছে। এ অবস্থায় শহরবাসীকে শীতলতার পরশ দিতে অধিক পরিমাণে পানি ছিটানো হচ্ছে।

বিরামপুর কলেজ পাড়া মহল্লার বাসিন্দা অটো চালক মিলন হোসেন বলেন, এই প্রচন্ড গরমে রাস্তায় চলাচল করা কঠিন ছিল। পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানোর ফলে আমরা ধূলি বালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা পাচ্ছি। একই সাথে রাস্তার উত্তাপ থেকে রেহায় পাচ্ছি এবং অনুভব করছি শীতলতার পরশ।

বিরামপুর চাঁদপুর ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক মেফতাহুন নাহার কবিতা বলেন, তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে জনজীবন  বিপর্যস্ত এবং অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ, কষ্ট পাচ্ছে  সাধারণ মানুষ ও প্রাণিকুল। এ অবস্থায় পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানো একটি মহতী উদ্যোগ। এতে আমরা ধূলিবালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা পাচ্ছি। সেই সঙ্গে রাস্তার উত্তাপ থেকে রেহায় পাচ্ছি।

বিরামপুর পৌরসভার মেয়র  অধ্যক্ষ মো: আক্কাস আলী জানান, প্রথম শ্রেণির বিরামপুর পৌরসভার নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নানামূখি কার্যক্রম চলমান আছে। এই প্রচন্ড গরম থেকে শহরবাসীকে রক্ষার জন্য পানি ছিটিয়ে শীতলতার পরশ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর ফলে নাগরিকরা ধূলি- বালু ও রোগ জীবানু থেকেও রক্ষা পাবে। নাগরিকদের স্বস্তি দিতে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই পানি ছিটানোর কার্য্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে সিমেন্ট ও কয়লা পাচাঁরের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ কয়লা পাচাঁরসহ দেশীয় সিমেন্ট ভারতে পাচাঁর করা হয়েছে বলে খরব পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নাম ভাংগিয় প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ১শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে মজুত করে। এছাড়াও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে আরো ২শ মেঃটন অবৈধ কয়লা মজুত করা হয়েছে। এদিকে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত দেড়টার সময় চারাগাঁও এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন পাহাড়ী ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে চোরাকারবারী সুহেল মিয়া ৬০বস্তা, আনোয়ার হোসেন বাবলু ৫০বস্তা ও নবু মিয়া ৪০বস্তা সিমেন্ট ভারতে পাচাঁর করে এবং রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ২শ মেঃটন কয়লা  তারা পাচাঁর করে। পরে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা সীমান্তের লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া ও সোহেল মিয়াসহ আারো একাধিক বাড়িতে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, সুপারী, চিনি, পেয়াজ, গরু, ইয়াবা, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়না।

একারণে সোর্স ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩ বছরে হয়েগেছে কোটিপতি। তারা পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। শুধু তাই নয়, সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়েও লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে সোর্স ও তাদের গডফাদার।

এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের ভিআইপির দায়িত্বে থাকা শামীম বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলুন, এব্যাপারে আমি কিছু করতে পারবনা। এই ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, তিনি ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা,কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ শনিবার দিবাগত রাত ২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়ে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ এবার অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ-সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।

মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



রেলপথে ৩ মাস ৫ দিনে ১৫৮ দুর্ঘটনায় ঝরেছে ৮৫ প্রাণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image
খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক:রেলক্রসিংয়ে গেট কিপার না থাকায় ফেনীর ফাজিলপুর রেলক্রসিংয়ে বালুভর্তি ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কার ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গত ৩ মাস ৫ দিনে ছোট-বড় ১৫৮ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৪৪ জন এবং নিহত ৮৫ জন। এরমধ্যে অধিকাংশ দুর্ঘটনাই ঘটেছে গেট কিপারদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বলে জানিয়েছেন সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা। সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায় ও জিয়াউর রহমান জিয়ার তত্ত্বাবধায়নে ২৪ টি জাতীয় দৈনিক, ১৮ টি ইলেকট্রনিক্স গণমাধ্যম, ২২ টি নিউজ পোর্টাল এবং সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর বিভিন্ন শাখার স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যর ভিত্তিতে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়- চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রেলক্রসিংয়ে গেট কিপার না থাকা, দায়িত্বে অবহেলা এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশিল না হওয়ায় ১২২ টি রেলক্রসিং দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১৭ জন, নিহত হয়েছেন ৬১ জন; ছাদ থেকে/ট্রেনে কাটা পরে বা ধাক্কার ৩৬ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৭ জন এবং নিহত হয়েছেন ২৪ জন। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়- সারা দেশে তিন হাজার কিলোমিটার রেলপথে থাকা তিন হাজার ৩৯৮টি ক্রসিংয়ের মধ্যে দুর্নীতি-দায়িত্বে অবহেলার দুযোগে অবৈধ ১ হাজার ৩৬১টিতেই প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, নির্মিত হচ্ছে মৃত্যু ফাঁদ। রেলক্রসিংয়ের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ অবৈধ আর তাঁর সাথে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে-৩৩টি ক্রসিং কে বা কারা ব্যবহার করছে, তা কেউ জানে না। এছাড়া বৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোর মধ্যে ৬৩২টিতে গেটকিপার নেই। অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোয় যেমন গেটকিপার নেই, নেই কোনো সুরক্ষা সরঞ্জামও। আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত করার লক্ষে ২০০৭ সাল থেকে সচেতনতা- গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবা করে আসা সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর রেলক্রসিং বিষয়ক এই প্রতিবেদনে ১ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই দুর্ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রতিকারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেল মন্ত্রী, রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়।  

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে কমপক্ষে ১০ লক্ষ এবং আহতদের সরকারি অর্থায়নে চিকিৎসার দাবি জানানোর পাশাপাশি সেভ দ্য রোড ৭ টি প্রস্তাব দিয়েছে ১. অবৈধ ক্রসিংগুলোর সমস্যা অনতিবিলম্বে সমাধান করা ২. দুর্নীতিবাজ রেল কর্মকর্তা কর্মচারিদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় ৩. সরকারি লেজুড়ভিত্তিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নামে নেতাকর্মীদের দৌরাত্ম বন্ধ করে রেলকে গণমূখি বাহন হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আত্ম নিয়োগ করা ৪. যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ রেলওয়েকে বেসরকারি খাত থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্রিয় তত্বাবধায়নে পরিচালনার সুপরিকল্পিত উদ্যেগ গ্রহণ করা ৫. সচিব-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সকল রকম আরাম-আয়েশী সুযোগ-সুবিধা বাতিল করে সারাদেশে রেলওয়ের উন্নয়নে নিবেদিত রাখা ৬. সেবার মান উন্নয়নে রেলওয়ে পুলিশ-সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপর নজরদারি বাড়ানো এবং সারাদেশের সকল স্থানে কার্যকর সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা ৭. প্রতি ৩ কিলোমিটারে পর্যবেক্ষণ করার জন্য রেলওয়ে পুলিশ-এর বিশেষ বুথ স্থাপন করা।

আরও খবর



ফ্লোরিডায় নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বর্তমানে সেহেলী সাবরীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার মিশনে যোগদানের তারিখ থেকে বদলির আদেশ কার্যকর হবে।

২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪তম বিসিএসের (পররাষ্ট্র) সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন সেহেলী সাবরীন।

২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব এবং ২০১৪-২০১৭ সালে জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সেহেলী সাবরীন।


আরও খবর