Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ওমরাহ করতে মক্কায় শাহরুখ খান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ ডিসেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩৫৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক; সৌদি আরবে রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ‘ডাংকি’ সিনেমার শ্যুট শেষ করে পবিত্র মক্কা নগরীতে গেলেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। শুটিংয়ের জন্য সৌদিতে রয়েছেন এত দিন, অথচ মক্কা না ঘুরে চলে যাবেন, তা কি হয়!

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শাহরুখের ওমরাহ পালন করার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে উস্কোখুস্কো চুল নিয়েই ওমরাহতে অংশ নিতে দেখা যায় শাহরুখকে। ভিড়ের মধ্যেই অনেকগুলো ছবি ভাইরাল হয়েছে তার।

এদিকে শাহরুখকে ওমরাহ পালন করতে দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের মন্তব্যের বন্যা। একজন লিখেছেন, ‘আমিই এটা দেখে ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। আল্লাহ শাহরুখ ও তার পরিবারকে সবসময় রক্ষা করুক।

অন্যজন লিখেছেন, ‘এই পূণ্যস্থানে যাওয়ার যে ইচ্ছে শাহরুখের ছিল তা পূরণ হয়েছে দেখে আমরাও খুব খুশি।’ তৃতীয়জন লিখেছেন, ‘আল্লাহর দোয়া যেন শাহরুখের উপরে এভাবেই থাকে শেষ দিন পর্যন্ত, আমরা সবাই তাই চাই।’

আমির খান থেকে দিলীপ কুমার- এর আগে একাধিক বলি তারকাকে হজ আর ওমরাহ পালন করতে দেখা গেছে। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ নিজেও জানিয়েছিলেন, ছেলে আরিয়ান আর মেয়ে সুহানাকে নিয়ে হজ করার ইচ্ছে আছে তার। যদিও শাহরুখের সঙ্গে আরিয়ান বা সুহানা ছিলেন কি না তা স্পষ্ট নয়।

গত বুধবার শুটিং শেষে মরুভূমির মাঝখানে দাঁড়িয়ে ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন শাহরুখ। বলেছিলেন, ‘ডাংকির কাজ করে মন ভাল হয়ে গেল। সৌদিতে খুব আরামে শুটিং করা গেল। এর চেয়ে আর আনন্দের কী হতে পারে!’

এ সময় তার চোখে-মুখে ফুটে ওঠে তৃপ্তি। দর্শনীয় স্থানে শ্যুট করতে দেওয়ার জন্য সৌদির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কেও ধন্যবাদ দেন তিনি। জানা গেছে, মক্কা থেকে শাহরুকের জেদ্দার রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভালে যাওয়ার কথা রয়েছে।

পাঁচ বছর পর শাহরুখকে বড়পদার্য় দেখা যাবে সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘পাঠান’ সিনেমায়। সম্প্রতি এই অ্যাকশন থ্রিলারের পোস্টার প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি, যাতে দেখা গেছে দীপিকা পাড়ুকোন আর জন আব্রাহামকেও। সিনেমাটি আগামী ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা।

পাঠান ছাড়াও শাহরুখের হাতে আছে দক্ষিণী সিনেমার পরিচালক আটলির ‘জওয়ান’, যা মুক্তি পাওয়ার কথা ২০২৩ সালের ২ জুন। এতে শাহরুখের সঙ্গে রয়েছেন বিজয় সেতুপতি ও নয়নতারা।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের আওতায় আয়াত এডুকেশনের আয়োজনে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন অফিসের সভা কক্ষে এ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়াত এডুকেশনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর লায়লা করিম’র সভাপতিত্বে অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল ফজল মুহম্মদ মুশিউর রহমান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার শর্মা, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মু. বেলায়েত হোসেন। এছাড়াও সভায় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসারবৃন্দ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা পাবলিক হেলথ্ নার্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রকল্পের এডভোকেসি, কমিউনিটি মবিলাইজেশন, এ্যাওয়ারনেস কার্যক্রম বিষয়ে উপস্থাপনা করেন আয়াত এডুকেশন’র প্রকল্প সমন্বয়কারী সুমিত বণিক। সভায় অন্যান্যের মাঝে মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার মোঃ হাসান হাফিজুর রহমান, সংবাদকর্মী ইউসুফ আলী প্রধান, স্বেচ্ছাসেবক পান্না আক্তার, আয়াত এডুকেশনের এ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড অফিসার সারোয়ার আলম, কমিউনিটি মবিলাইজার অনন্যা রহমান ও ফাহিম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



নবীন সৈনিকদের মানবতার সেবায় নিজেদের আত্ম নিয়োগ করার আহ্বান: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০৬জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি নবীন পুলিশ কমান্ডো প্রশিক্ষণ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, সংঘাত নিরসনে দেশ, জাতির ও মানবতার সেবায় নিজেদের আত্ম নিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। আজ তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে খাগড়াছড়ি এপিবিএন ও বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশের কমান্ডো কোর্সের ১৩ তম ব্যাচের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে ৩৪ জন নবীন পুলিশ সদস্যকে সনদ প্রদান করা হয়।

এসময়, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,খাগড়াছড়ি প্রেস-ক্লাবের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান রানা সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন,দেশের আত্মসামাজিক উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হচ্ছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও স্থিতিশীলতা। রাষ্ট্রীয় অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা মহান দায়িত্ব পালনে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার সকল বাহিনী দেশের কল্যাণে অবদান রেখে যাচ্ছেন। শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সৈন্যরা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। পার্বত্য এলাকার সমস্যাবলী ও ঝঞ্ঝাট অত্যন্ত দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছেন। প্রতিমন্ত্রী  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সংশ্লিষ্ট সকলকে এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি  কমান্ডো প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেওয়া ৩৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে ব্যাজ পড়িয়ে দেন ও  নবীন পুলিশ সদস্যকে সনদ তুলেদেন।

আরও খবর

হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




দড়িচর ছাত্র ও সমাজকল্যাণ সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৫৭জন দেখেছেন

Image

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:কুমিল্লার হোমনায় দড়িচর ছাত্র ও সমাজ কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সংগঠনের সকল সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সংগঠনের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-মহা পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মাহবুব আলম (বিপিএম বার, পিপিএম)। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব এসএম নজরুল ইসলাম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অর্থ ও প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক উপ-সচিব মো. মোজাম্মেল হক, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ক্ষোমালিকা চাকমা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন, ভারটেক্স বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ মো. জুনাইদ আনোয়ার, বিসিআইসি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মীর মো. মাসুদুজ্জামান, সাংবাদিক মোর্শেদুল ইসলাম শাজু, মো. মোরশিদ আলম ও মো. শফিকুল ইসলাম পলাশ। আরও ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান মুকুল ও মো. আবু হানিফ। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজেস’র ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ সেন্টারের অধ্যক্ষ মুনসুর হাসান খন্দকার। প্রধান অতিথি ডিআইজি মাহবুব আলম দড়িচর ছাত্র ও সমাজ কল্যাণ সংগঠনের উন্নয়নের লক্ষ্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান দেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রধান অতিথিকে সংগঠনের সম্মানসূচক আজীবন সদস্য পদে মনোনীত করা হয়।

শেষে অতিথিরা হোমনা পৌরসভা কার্যালয়ে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলামের আমন্ত্রণে সংক্ষিপ্ত চা-চক্রে মিলিত হয়ে পৌর ভবনের সামনে এক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রেজিস্টার্ড এ সংগঠনটি ইতোমধ্যে দড়িচর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল পরিচালনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ এক বছর প্রতি মাসে ১৫ হাজার টকা করে দান, প্রতি বছর ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে এলাকার ৩ শ থেকে সাড়ে ৩ শ’ দুঃস্থ ও দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান, ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে গ্রন্থাগার পরিচালনা, ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে ২৫০ গরীব ও অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা, বিধবা ও দরিদ্র মেয়েদের বিয়ে আয়োজনে নগদ অর্থ প্রদান, অসহায় পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাফনের ব্যবস্থা করে এলাকায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। এছাড়াও এ সংগঠনটি এলাকার যুবকদের খেলাধূলায় মনোযোগী করে শরীর ও সুস্বাস্থ্য গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছে। একটি নিজস্ব ফুটবল টিম গঠন করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অনেক পুরস্কার লাভ করেছে।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা চত্তরে শহীদ মিনারে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। গতকাল মঙ্গলবার ৩১বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসটির সূচনা শুরু হয়। সকাল ৬টায় সূর্য উদয়য়ের আগে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ্ধসঢ়; তমাল ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সকাল ৮টায় ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ আনসার ও ভিডিপি ফায়ার সার্ভিস এবং বিএনসিসির সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন শুরু হয়। সকাল ৯টায় ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিফুটবল প্রতিযোগীতা (সবকারী বনাম বে সরকারী) ভাবে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ মাঠে বীরমুক্তিযোদ্ধাদেরকে উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়ও সুবিধাজন সময়ের মধ্যে জাতির শান্ত সমৃদ্ধি ও ঐক্যের জন্য বিশেষ মোনাজাত/ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশণ করা হয়। আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস এই দিনে পাকিস্তানী পরিধীনতার সৃঙ্খল থেকে মুক্তিপেতে ১৯৭১ সালে এই দিনে অনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের জনগন। যার অবদান বাংলাদেশের স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


আরও খবর