Logo
আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী হাটের একশোত বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদিন ব্যাপি নানা আয়োজন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image
মাজহারুল ইসলাম রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃবছর পূর্তি প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সহকর্মী ও সমর্থকগনরা পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন অনেক আগেই। কিন্ত চলে গেলেও রেখে গেছে তাদের সৃতি তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছেন নতুন প্রজন্মের জনসাধারণরা।বালয়ামারী হাটের

উদ্যোক্তাঃ প্রয়াতঃ ব্যাক্তিরা হলেন আলহাজ্ব ছমির উদ্দিন, বিদাশী মন্ডল, বানিজ উদ্দিন দেওয়ানি, জহর মামুদ, জুগলু বেপারী, হাসেন ব্যাপারী, আলহাজ্ব কামুল্লাহ বেপারী বেপারী, আলেক বেপারী, আবেদ বেপারী, গোলাম হোসেন বেপারী, ইউসুফ উদ্দিন বেপারী, মনির উদ্দিন বেপারী, সৈয়দ আলী দেওয়ানি, তথ্য সুত্র বালিয়ামারী বাজার পাড়া গ্রামের প্রয়াত আঃ জুব্বার দেওয়ানী। প্রয়াত আলহাজ্ব নতিবুল্লাহ ময়েজ উদ্দিন মন্ডল, আলহাজ্ব মোজাফফর হোসেন আলহাজ্ব জয়েন উদ্দিন, গাদু বেপারী,আলহাজ্ব সেতাব আলী, শরিয়ত উল্লাহ, রহিম উদ্দিন খান, সোনা উল্লাহ মাল,এলাকাবাসীর পক্ষে তথ্য সংরক্ষনে সহযোগিতায় মতিউর রহমান সাংবাদিক সাবেক বালিয়ামারী ।১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন আইটেমের সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো। বিশেষ অতিথিরা হলেন রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হাই, রাজিবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস মোহাম্মাদ মিরন, রাজিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান সোহাগ, আয়োজনে বালিয়ামারী হাট ইজারাদার সাইদুর রহমান সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মিন্টু, বনিক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সকল শ্রেণী পেশাজীবীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বালিয়াতারী হাটবাজারের একশোত বছর প্রর্তি এর মিলনমেলা।এসময় প্রবীণ নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে উঠেছে আসে ততকালীন ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী হাটের জীবনকাহিনীর ইতিহাস। বিটিস শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকার উত্তরে কোন হাটবাজার ছিলনা। পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সবচাইতে পরিচিত ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী সোনাম ধন্য বড় হাট। এই হাটে আসতেন ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, রাজশাহী, রংপুর,কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, লালমনির হাটের লোকজন। হাটের বার ছিলো শুক্রবার,সোমবারসহ সপ্তাহে দুইদিন। হাটের দুদিন আগে হাটুরেরা নৌকা যোগে
নোঙ্গর তুলে এসে রাত্রিযাপন করে মালামাল ক্রয় বিক্রয় করে চলে যেতেন তারা তাদের গন্তব্যস্থলে । অপরদিকে পাশাপাশি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কালাইয়ের চর হাট ছিলো।

প্রবীণের বরাত দিয়ে আরও জানা গেছে বিটিস শাসনামলে ভারত বাংলার কোন
ভেদাভেদ ছিলনা। ততকালীন পাশাপাশি ভারত বাংলা এই দুটি হাট করতেন পূর্ব
পাকিস্তান, ভারতের সকল রাজ্য থেকে ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী হাট করে চলে যেতেন হাটুরেরা। তারপর বিটিস শাসকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্নভাবে কৌশল অবলম্বনে বিটিস শাসনের হাত থেকে রক্ষা হয় সকল কার্যক্রম। এরপর বিভাজনে পরিনত হয় বিটিস শাসকরা অবশেষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। বিটিস চলে যাওয়ার পর ভারত পাকিস্তান নামে নামকরণ হরা হয় দুদেশের। সেই থেকে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান ছিলো আজকের বাংলাদেশ। এরপর শুরু হয় পাকিস্তানি সরকারের অমানবিক নিপীরিত

নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয় পূর্ব পাকিস্তানের সাদামাটা মানুষ জীবন। শুধু তাই নয়
মাতৃভাষার উপরও চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। মায়ের ভাষা বলতে দেবেনা ততকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীরা। এমনকি পাকিস্তানী ভাষায় কথা বলতে বাধ্য করতে চালিয়ে ছিলো অমানবিক নির্যাতন। এসময় নির্যাতিত নিপীড়িত পূর্ব পাকিস্থানের প্রয়াত শহীদ বুদ্ধিজীবিরা পাকিস্থানের নির্যাতনে গর্জে উঠেছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আনন্দলনে। সেই ভাষা আনন্দের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছিল দেশকে পাকিস্থানের হাত থেকে কিভাবে মুক্তি করা যায় সেদিকে পা বাড়িয়ে ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহসি নেতৃত্বে এই আজকের বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ করেছেন। দুঃসাহসী নেতৃত্বে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান,
তার আরও অনেক সাহসী সহযোগীদের সহযোগিতায় আজকে স্বাধীনতা পেয়েছি
আমরা। স্বাধীনতার কয়েকবছরের মধ্যে পাকিস্থানি দালালরা পরো পরিবারকে
নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর পরিবাকে। আজকে সেই দুঃসাহসী নায়কের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করেন। এরপর আবারও ডিজিটাল বাংলাদেশের কাতারে দাড়িয়ে আজকের বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে বাস্থবায়নের লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী হাটটি ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত।

আরও খবর



মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ১৬১জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা সদর উপজেলা কমপ্লেক্স চত্ত্বরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-০১/২০২৪-২৫ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সদর উপজেলায় বিনামূল্যে উফশী রোপা আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক,  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। মাগুরা সদর  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মো: মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেণ।  অনুষ্ঠানে কারিগরি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ড. মো: ইয়াছিন আলী, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মাগুরা। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মাগুরা এর আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে ২৫০ জন কৃষকের মাঝে এ কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। উপজেলায় ১৯০০ সহ  মাগুরা জেলায় মোট ৬০০০  জন কৃষকের মাঝে ধাপে ধাপে প্রণোদনার এ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বলেন যে, উন্নত জাতের ফসল ফলাতে প্রয়োজন উন্নত জাতের সার ও বীজ যা মাগুরা জেলায় নিয়মিত বিরতিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। উক্ত সার ও বীজের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান তিনি। প্রচলিত ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি উন্নত জাতের সুপারক্রপ চিয়া সিড, কালিজিরা প্রভৃতি উৎপাদনে কর্ষকদের এগিয়ে আসার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আগামীতে মাগুরা জেলার কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধি আনয়নে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে মর্মে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক।

আরও খবর



নিটারিয়ানদের কেমন কেটেছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১৭৫জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার। তাই-তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই আপামর বাঙালির। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ভোরের নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই নানা এলাকায় নানান ধরনের আয়োজন হয়ে থাকে।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ,  ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্য দিয়েই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। এ দিনটিকে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা কিভাবে দেখছেন, কিভাবে উপভোগ করেছেন বৈশাখি উৎসব তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                             ‘‘পহেলা বৈশাখ: বাঙালির এক সার্বজনীন উৎসব”
বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ, যা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো অনুষঙ্গ নেই। সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে পরিচিত পহেলা বৈশাখের এই দিনটি এই শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, বর্ষবরণ করে পালন করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকে শুরু হয় এই উৎসবের চল যখন সম্রাট আকবর ফসল কাটার মরশুমের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা ছিল ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আর্থিক বছর মিলিয়ে দেওয়ায় আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইদিন পরবর্তীকালে উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমান পহেলা বৈশাখের এই দিনে আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়” গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এইদিনে বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন হিসাবের খাতা খোলেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব এইদিন পালিত হয়। গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য, আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে সেসব মেলায়। যদিও তার প্রসার এখন কমে গিয়েছে। মেলার সময় নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর, এমনকি মেলায় ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, বলী খেলা ইত্যাদি বিনোদন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান বসতো। তবে করোনার পরবর্তী বছর গুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান গুলোয় ভাটা পড়লেও বাঙালির আনন্দ থেমে থাকেনি। সর্বজনীন এই উৎসবের এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ গাঁথা কষ্টকে বিদায় জানিয়ে নতুনত্ব কে সাদরে গ্রহণ করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা সকল বাঙালি।
অপরাজিতা অর্পা, ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                               ‘‘রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে”
ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আভা যেতে না যেতেই গ্রীষ্মের শুরু। গ্রীষ্মের শুরু বলতেই মাথায় আসে পহেলা বৈশাখ। বছর ঘুরে নতুন সূর্যোদয়ে পুরোনো বছরের, পুরোনো দিনের সকল গ্লানি, সকল জড়া ধুয়ে মুছে নতুন্যত্বর বরণ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে ‘‘পহেলা বৈশাখ” উদযাপনের সূচনা। কালপরিক্রমায় যা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়। নববর্ষের অন্যতম প্রধান রীতি ‘‘হালখাতা”। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়াও পুরনো একটি সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি খেলা যার সবচেয়ে বড় আসরটি হয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা ‘‘জব্বারের বলি খেলা” নামে পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে ‘‘বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।

রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের পর পর এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ‘‘ডিসি হিল পার্ক”। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজন শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি’র তিনদিন ব্যাপী ‘‘ছোটদের বৈশাখী উৎসব” যার প্রারম্ভ হয় পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এবং শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিন সন্ধ্যায়।
অংকিতা পোদ্দার তিথি, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                            ‘‘পহেলা বৈশাখ আসে আমাদের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে নিয়ে”
সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে।  প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘‘ফসলি সন”। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল “তারিখ-এ-এলাহী”। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়। এইদিন আব্বু বাসায় অনেক বড় বড় মাছ আনে। আব্বুর মতে, বছরের শুরুটা ভালো খাবার দিয়ে শুরু করলে সারা বছর ভালো খাবার খাওয়া যায়। চারদিকে ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের দে রে মাঝি ভাই’ সহ বিভিন্ন গান শোনা যায়। নববর্ষের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। আমি ও আমার আম্মু লাল পাড় এর সাদা সাড়ি এবং আব্বু ও আমার ছোট ভাই পাঞ্জাবি পরে। এইদিন আমরা সকালে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, হরেক রকম ভর্তা দিয়ে খাই। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। যেটা আমারা সবাই সবাইকে বলি। আগে নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক এবং গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের শুরুর দিনে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এই উপলক্ষ্যে তারা তাদের নতুন-পুরনো খদ্দেরদেরকে আমন্ত্রণ জানান মিষ্টি মুখ করাতে। এই আমন্ত্রণ গ্রহন করতে এসে অনেক খদ্দের তাদের পুরনো দেনার পুরোটা বা কিছু অংশ শোধ করে নতুন খাতায় হিসাব হালনাগাদ করে। আমরা পুরো পরিবার বিকেলে মেলাতে যাই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে, তার মধ্যে হাতের নাকশা করার দোকান আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি সেখানে সবসময় হাতে নকশা করাই। তাছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায় যেমন মুড়ি-মুরকি, খাজা-গজা, চিনির তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি আকৃতির নানা রকম মিষ্টি, হরেক রকমের পিঠা। মেলায় মুল আকর্ষন থাকে নাগরদোলা। যেটায় প্রতিবার আমি উঠি। মেলায় রং বেরঙের খেলনা পাওয়া যায়। খেলনা গুলো এতো সুন্দর যে যেটা দেখি সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে। মেলায় আঞ্চলিক ও লোকগানের আসর, যাএাপাল, পুতুল নাচ। বাঁশিবিক্রেতা বাঁশি বাজিয়ে মুখর করে তোলে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক সহ সংস্কৃতিক আনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিকালে বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। খেলা গুলোর মধ্যে নৌকাবাইচ, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি, মোরগ লড়াই থাকে। এভাবেই আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। প্রায় সময় আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি, আর আমাদের সংস্কৃতির কথা। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এসে আমাদের ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয় ।
আফরোজা আলম তানি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                      ‘‘এসো হে বৈশাখ : ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সর্বজনীন একটি উৎসব। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি অংশ নিয়ে থাকে। এই উৎসবের সময় দেশ নতুন করে সাজে, দোকানপাট থেকে শুরু করে বাসা বাড়ি রঙিন করে সাজানো হয় নতুন বছর বরণ করার জন্য। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা কে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে ‘‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়াও, প্রতি বছর রমনা বটমূলে ঘটা করে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে । সেখানে মাটির পুতুল, শাড়ি ও বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করা হয়। সবার কামনা থাকে, নতুন বছরটি যেন সুখময় ও শান্তির হয়। পহেলা বৈশাখের আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘‘হালখাতা”। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকি টাকা মিটিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়, গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় কবিগান, কীর্তন, গম্ভীরা গান, পুতুল-নাচের।
মো: লতিফুর রহমান লিহাদ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর



হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:মহান আর্ন্তজাতিক পহেলা মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক দিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে বন্দর অভ্যন্তরের সকল ধরনের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

বুধবার সকাল ১০ টায় বিষয়টি বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম সুইট।

তিনি জানান মহান আর্ন্তজাতিক পহেলা মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে সরকারী ছুটি থাকায় হিলি কাস্টমসের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরফলে দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় বন্দর দিয়ে দুদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের সব কার্যক্রম চালু হবে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফুল ইসলাম বলেন, হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউপির পাতরাপাড়া গ্রামে অবস্থিত মানব কল্যাণ ভোগ্য পণ্য সমবায় সমিতির উদ্যোগে দিনাজপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি’র সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পাতরা পাড়া গ্রামে সমবায় সমিতির কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানব কল্যাণ ভোগ্য পণ্য সমবায় সমিতির সভাপতি হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফয়েজ উদ্দিন মন্ডল এর পুত্র নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে শতাধিক গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করেন। দোয়া মাহফিলে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি’র সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বর্তমানে তিনি ভারতের ভেলোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন, তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন গ্রামবাসী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাতরাপাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাধারণ গ্রামবাসী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ বিষয়ে নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় এ্যাড: মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি আমাদের বাড়িতে অবস্থান গ্রহণ করেন। তখন থেকেই আমাদের পরিবারের সঙ্গে অত্যন্ত সু-সম্পর্ক রয়েছে। তিনি এই এলাকার ৮ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক সফল মন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য আ্যডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আমরা তার সুস্থতা কামনা করে আজকে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি, তার জন্য দোয়া করছি আল্লাহ্ধসঢ়;;আলা যেন তাকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা রইস উদ্দিন। এ সময় প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার পথে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ বাড়ি ও নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন। আজ শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৭টার পর গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং তা জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন।

পরে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচির আওতায় দাঁড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া আওয়ামী নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর বিকেলে ঢাকায় ফিরে আসবেন শেখ হাসিনা।

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।


আরও খবর