Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

অধ্যাপক তাহের হত্যা: ২ আসামির ফাঁসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এর ফলে এই দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে আইনগত কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। তিনি জানান, এখন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাবেন।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় অপর দুই আসামি মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও তার স্ত্রীর বড় ভাই আব্দুস সালামের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। 

এর আগে রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আসামিদের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য আজকের দিন ঠিক করে আদেশ দেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আদেশ দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

আদালতে রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এন গোস্বামী ও অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

আদালতে ড. তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ, মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা আহমেদ, তাদের পরিবারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি ও শাকিলা রওশন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ৫ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ফাঁসি বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুই আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রাখেন আদালত।

যাবজ্জীবন সাজা বহাল থাকা দুজন হলেন- নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেন আসামিরা।

অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চার জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুই জনকে বেকসুর খালাস দেন। আসামিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আসামিরা আপিল করেন। আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক ড. তাহেরের মরদেহ। এর দুদিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


আরও খবর



মাগুরার শালিখায় এক দারোগা পত্নীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শালিখায় রুনা খাতুন (৩৬) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন বাজার রোড এলাকার কাজী গোলাম মোস্তফা টুকুর মেয়ে। তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাগুরা সদর থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।

শনিবার সকালে শালিখা থানা পুলিশ ভাড়াবাড়ির শয়ন কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত রুনার লাশ উদ্ধার করে। লাশের  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে রুনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত প্যাথেডিন নেওয়ার অসংখ্য চিহ্ন দেখতে পেলেও মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

নিহত রুনা খাতুনের স্বামী এসআই সাইফুল এবং তার সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যা বলে জানালেও সন্তানদের কেউ মাকে হত্যা করতে পারে বলে দাবি করেছেন নিহত রুনার ভাই-বোন সহ বাবার বাড়ির লোকেরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর থানায় কর্মরত এসআই সাইফুল ইসলাম শালিখা উপজেলার গোপালগ্রামে প্রবাসী তাহের উদ্দিনের দ্বিতল বাসায় স্ত্রী রুনা এবং দুই সন্তান রাতুল (২০), মহম্মদ আলি (১৫) ও রাতুলের স্ত্রী হৃদরি (১৮) কে নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তিনি মাগুরা সদর থানা এলাকায় ডিউটিরত ছিলেন। এ অবস্থায় শনিবার ভোর ৫টার দিকে বড় ছেলে রাতুল থানায় খবর দেয় তার মা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে শালিখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় ঘরের মধ্যে লাশের অবস্থা এবং পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় নিহতের ছেলে রাতুল, মহম্মদ আলি এবং রাতুলের স্ত্রী হৃদরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে স্বামী এসআই সাইফুলের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে রুনার বড় বোন সারমিন সুলাতানা সীমা জানান, সপ্তাহ খানেক আগে বোন বাবার বাড়ি থেকে কোটি টাকার জমি বিক্রি করেছে। এর আগেও ৫-৭ কোটি টাকার জমি বিক্রি করে ছেলেদের দিয়েছে। তারপরও বোনকে তারা মেরে ফেলেছে।নিহতের ভাই কাজী মেহেদি হাসান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়েই গোপালগঞ্জ থেকে এসেছি। এর আগে অনেকদিনই এদের কারো সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। বোনের ছেলেরা মাদকাসক্ত। টাকা পয়সা ছাড়াও নানা কারণে ছেলেরা মায়ের উপর অত্যাচার করতো। এসব বিষয়ে বোন জামাই সাইফুলকে জানানো হলেও তিনি আমলে নেননি। শেষ পর্যন্ত তারা পরিকল্পিতভাবে বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে রাতের বেলা মিজানুর রহমান নামে এক প্রতিবেশি ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে নারী কণ্ঠের চিৎকার শুনতে পেলেও সেখানে গিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ দেখেন এবং কারো কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ফিরে আসেন বলে জানান তিনি।

পুলিশ পরিবারের সদস্য গৃহবধূ রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, নিহতের স্বামী এবং সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানালেও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তে জানা যাবে। 


আরও খবর



রাজউকের ১২১ জনকে বদলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজউক ভবনের সভাকক্ষে লটারির মাধ্যমে ১১টি পদের ১২১ কর্মচারীকে বদলি করেছে রাজউক।

পদগুলো হলো– কানুনগো (গ্রেড-১০), ইমারত পরিদর্শক (গ্রেড-১০), হিসাবরক্ষক (গ্রেড-১১), নথিরক্ষণ কর্মকর্তা (গ্রেড-১২), নক্সাকার (গ্রেড-১২), উচ্চমান সহকারী (গ্রেড-১৪), সুপারভাইজার (গ্রেড-১৬), ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (গ্রেড-১৬), কনিষ্ঠ হিসাব সহকারী (গ্রেড-১৬), অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর (গ্রেড-১৬) ও নথিরক্ষক (গ্রেড-১৭)।

লটারি অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান (সচিব) আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, পদায়ন, বদলি ও অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে রাজউক। এর অংশ হিসেবে লটারির মাধ্যমে বদলির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত ৭ আগস্ট রাজউক বিভিন্ন পদে যোগ দেওয়া ১৩০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৭ ফেব্রুয়ারি সার্ভেয়ার পদে ৩২ কর্মচারীকে একই প্রক্রিয়ায় লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরে পদায়ন করে।


আরও খবর



ইসরাইলে ইরানের হামলা, প্রতিক্রিয়ায় যা বলল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রোববার (১৪ এপ্রিল) ইসরায়েলে ইরানের রকেট হামলা এবং সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধে দায়িত্বশীল রাষ্ট্রগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিট গ্রিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার। আমরা যেকোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা চাই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, সব যুদ্ধ বন্ধ হোক।

গাজায় অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বিচারে নারী ও শিশু, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হচ্ছে, সেটি অবিলম্বে বন্ধ হোক।

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রসঙ্গ টেনে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে আক্রমণ করার প্রেক্ষিতেই ইরান এই আক্রমণ করার সুযোগ পেয়েছে। আমরা আশা করি, দায়িত্বশীল রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধে ভূমিকা রাখবে।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকেও হামলা চালানো হয়।

ইসরায়েল বলছে, তিনশর বেশি ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

রোববার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, ইরানের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে। ইসরাইলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে সেগুলো ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। তবে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে। এতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।


আরও খবর



ঈদ উৎসবে ডিএমএস চমক

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:ঈদকে ঘিরে শ্রোতা-দর্শকদের জন্য বিভিন্ন ঘরনার গান ভিডিও নিয়ে হাজির হচ্ছে দেশের অন্যতম অডিও ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)।

২৯ মার্চ থেকে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) এর ঈদ উৎসবকে ঘিরে তাদের আয়োজনের গানগুলো।প্রতিষ্ঠানটির বর্ণিল ঈদ আয়োজনে এবার থাকছে বাংলা সঙ্গীতের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র শওকত আলী ইমন ও আঁখি আলমগীরের কন্ঠে ‘কফির পেয়ালা’। আশিক মাহমুদের কথায় গানটির সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ। সঙ্গীতায়োজন করেছেন শওকত আলী ইমন নিজেই। গানের ভিডিও নির্মাণ করেছেন শিথিল রহমান।

এই প্রজন্মের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী জিসান খান শুভ’র কন্ঠে শ্রোতারা শুনতে পাবেন ‘মেঘ ২’ শিরোনামের নতুন গান। শুভ’র কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। সুনামগঞ্জের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়ন করে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।

নাহিদ হাসানের কন্ঠে আসছে ‘তোমার ভেজাচুল’ শিরোনামের নতুন গান। মাহমুদ শাওনের অনবদ্য কাব্যমালায় সুর দিয়েছেন নাহিদ নিজেই। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত। সামজ ভাই গেয়েছন ‘আঘাত’ শিরোনামের নতুন গান। জিসান খান শুভ’র কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। সুনামগঞ্জের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়ন করে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।কন্ঠশিল্পী খালেদ মুন্না গেয়েছেন ‘তোমার নিষ্ঠুর আচরণে বুকে ধাক্কা লাগে’। প্রিন্স রুবেলের কথা ‍ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন রোজেন রহমান। ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।

আলোচিত কন্ঠশিল্পী সাথী খানের কন্ঠে প্রকাশ পাবে ‘বেশি কথা না বলিয়া’ শিরোনামের গান। সচল পাগল সুজনের কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আদিব কবীর। ভিডিও নির্মাণ করেছেন রাজ বিশ্বাস শংকর।জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ঐশী দ্বৈত কন্ঠ দিয়েছেন এই প্রজন্মের কন্ঠশিল্পী জনি খানের সাথে। তাদের দু’জনের নতুন গান ‘বেসামাল’। মাহতাব হোসেনের গীতিকবিতায় সুর দিয়েছেন জনি খান। সঙ্গীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন রাহাত বাপ্পী।

প্রতিবারে মত এবারও ধ্রুব মিউজিক স্টেশন সুযোগ করে দিয়েছে নতুন প্রতিভাবানদের। নতুন একটি ব্যান্ডকে তারা তুলে এনেছে। নতুন এই ব্যান্ডের নাম ফড়িং ব্যান্ড। তাদের নতুন গান ‘সোনার ফড়িং’ প্রকাশ পাচ্ছে এবারের ঈদে। শেখ মোঃ পলাশের কথা ‍ও সুরে গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন ব্যান্ডের ভোকাল রাছেল সিকদার।সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন তরিক। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।

এই প্রজন্মের কন্ঠশিল্পী এ আর টুটুলের কন্ঠে ‘নীলচে খামে’ প্রকাশ পাবে এবারের ঈদে। সালেহ আকরাম মেরিনের কাব্য মালায় সুর দিয়েছেন এ আর টুটুল নিজেই। সঙ্গীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু ।

নিজের কথা, সুর ও কন্ঠে শ্রোতাদের জন্য নতুন গান নিয়ে আসছেন কন্ঠশিল্পী এহসান কবির। গানের শিরোনাম ‘মনটা আমার ভাড়া দেবো’। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন তমাল হাসান। ভিডিও নির্মাণ করেছেন মামুন রনি। ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) জানায়, ২৯ মার্চ থেকে প্রকাশ শুরু হওয়া এই ঈদ উৎসব চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। গানগুলো তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের পাশাপাশি গানগুলো শুনতে পাওয়া যাবে দেশি ও আর্ন্তজাতিক একাধিক অ্যাপ এ।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ২ জনের মৃত্যু ॥বিধস্ত অন্তত ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি ॥ আহত- ৩৫

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপরে পড়েছে কয়েক শত গাছপালাসহ বিদু্যুতের খুটি। এ সময় ঘর চাঁপায় ও বজ্রপাতের আঘাতে মোঃ হারিছ (৭০) ও বাচ্চু (৩৫) নামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে নারী-শিশু সহ অন্তত ৩৫ জন। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে জেলার মনপুরা, লালমোহন, বোরহানউদ্দিনসহ বিভিন্ন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। আকস্মিক এ ঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার মুখভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও লালমোহন। দুই উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় দুই শত ছোট বড় গাছপালা সহ উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তাছাড়া বিদ্যুতের তার ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ উপরে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকেই হয়ে ওঠে চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন। দেখা দেয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস এর সাথে বজ্রপাত। হঠাৎ করে বেড়ে যায় বৃষ্টি ও বাতাসের পরিমান। এরপর ১১টার দিকে বাতাসের পরিমান বেড়ে গিয়ে রূপ নেয় কালবৈশাখী ঝড়ে। মূহুর্তের মধ্যে জেলার মনপুরা, লালমোহন সহ কয়েকটি উপজেলায় ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়।উপড়ে পড়েছে দুই শাতাধিক গাছপালা ও বিদ্যুতের খুটি। বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে কয়েক ঘন্টা যাবত বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ঘর চাঁপা পড়ে হারিছ আহমেদ (৭০) নামে এক ভিক্ষুক নিহত হয়েছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে বজ্রপাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চরলেঙুটিয়া গ্রামে মো. বাচ্চু নামে (৩৫) বছরের আরো এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার কয়ছর আহমেদের ছেলে। এছাড়া ঝড়ে আড়াইশত ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত পঞ্চাশটি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। কৃষি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে প্রাণহানিসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে বরাদ্দের জন্য জেলায় পাঠাবো। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তা প্রদান করা হবে।

এদিকে পবিত্র ওমরাহ হজ্জ পালনের লক্ষ্যে সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় খবর পেয়ে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার কথা জানিয়ে বলেন, ৭ এপ্রিল সকালে আমার নির্বাচনী এলাকা লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় ব্যাপক ঝড় হয়। উক্ত ঝড়ে দুই উপজেলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্তসহ লালমোহন উপজেলায় ১ জন ঘর চাঁপায় ও ১ জন বজ্রপাতে মারা যান। নিহতদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহত সকল পরিবারের মাঝে নগদ ১০ হাজার করে আমার পক্ষ থেকে অনুদান দেই। সেই সাথে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা প্রশাসন সহ আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করার নির্দেশ প্রদান করেছি। আমি ওমরা পালনের লক্ষে স্ব-পরিবারে বর্তমানে পবিত্র মদিনায় অবস্থান করছি। ওমরা শেষ করে নির্বাচনী এলাকায় ফিরে ঝড়ে আহত, নিহত ও ক্ষতিগ্রসন্ত পরিবারের মাঝে পৌঁছাবো ইনশাআল্লাহ্। আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

অপরদিকে ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে পুরো দ্বীপাঞ্চল। এতে উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ৩ শাতাধিকের ওপরে ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়।

এর মধ্যে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে ঝড়ের কবলে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খোলা আকাশের নিচে রয়েছে প্রতিটি পরিবার। এছাড়াও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলার মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের টিন সেড ক্লাসরুমটি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে গাছপালা পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। অপরদিকে ঝড়ের কবলে অনেকের মাছের ট্রলার ও নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন চরে থাকা কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে শিশু সহ ১১ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৫ জনকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টায় থেকে ১ টা পর্যন্ত আধা ঘন্টাব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির তান্ডবে এই সমস্ত ক্ষয়-ক্ষতি হয়।

এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার। ঝড়ের তান্ডবে ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে আহত ১১ জন হলেন, আল আমিন, ফাতেমা, তানভির, লিটন, হেলাল, হানিফ, আরতি বালা, মনির, সানজিদা আক্তার, জরিনা, শাকিল, ফরিদ ও ইব্রাহীম। এদের সবার বাড়ি হাজিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

কালবৈশাখী ঝড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরের মালিকরা হলেন-উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট গ্রামের সোলেমান, কাশেম বেপারি, রিয়াজ, কৃষ্ণমোহন, তীপাংকর, মাইনুদ্দিন, রবি আলম, হাফেজ সোহরাব, রিয়াজ, সোনারচর গ্রামের কাসেম,ফরিদ, কবির, পূর্ব সোনারচর গ্রামের আবদুল্লাহ, ছলেমান, গোপালচন্দ্র দাস, জসিম, গিয়াস উদ্দিন বেপারি, নিরব, কাসেম মিয়া, হাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ী কবিরের মুদি দোকান ঘর, চরফৈজুদ্দিন গ্রামের মনির, আবুতাহের, সাহাবুদ্দিন , মাফুল্লা মাঝি। অপরদিকে ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলম বাজার সংলগ্ন আবদুল হাশেম,দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজারের হারুন চৌকিদার, বাবুল পিটার, আঃ রহমান হাজারী ও সহিদ হাওলাদারের নাম পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আধা ঘন্টা ব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বৃষ্টির তান্ডবে সবচেয়ে বেশি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয় উপজেলা হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাট, সোনারচর ও চরফৈজুদ্দিন গ্রামে। এই সমস্ত এলাকায় আনুমানিক ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ঝড়ে তান্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ের তান্ডবে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। অনেকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। এছাড়াও চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

উপজেলার ২ নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে হাজিরহাট ইউনিয়নে দুই থেকে আড়াইশত ঘরের ওপরে সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে হারিয়ে যায়। এমপি মহোদয় তাৎক্ষনিক একলক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আড়াইশত থেতে তিনশত ঘর সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মাঠে ক্ষয়-ক্ষতির নিরুপন করা হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কোন সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।

মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী বলেন, হাঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে আমাদের উপজেলার শতাধিক বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৭০টিরও বেশি ঘর পুরোপুরি ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরো বেশি।

যদিও আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিরূপন করার কাজ করছি। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে ও উপড়ে গিয়ে বন্ধ রয়েছে মনপুরা, লালমোহনসহ কয়েকটি উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। যদিও পল্লি বিদ্যুৎ এবং ওজোপাডিকোর মাঠ কর্মীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করার জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য সহযোগীতা করার জন্য জেলা প্রশানের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিজিএফ এর চালসহ বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার দিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যপারে ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিমান প্রাথমিক ভাবে বলা না গেলে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। যদিও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মাঝে চালসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার ও ঔষধপত্র দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ে ঘরের নিচে চাঁপা করে মারা যাওয়া ব্যক্তি ও বজ্রপাতে মারা যাওয়া ২ ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর