Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস

অধরা সাধ্যের ব্রয়লার মুরগিও

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;খাবারসহ অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। আর প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে খরচ পড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। অথচ বাজারে এর দাম ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই। রোজার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন দাম দেখে অনেকেরই ‘চক্ষু চড়ক গাছ’ হয়ে গেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, গরুর পর এবার মুরগির মাংসকেও বিদায় জানাতে বাধ্য হবেন অনেক ক্রেতা।

রাজধানীর রায়েরবাজারে মুরগি কিনতে এসে বেসরকারি চাকরিজীবী মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ব্রয়লারের কেজি ২৭০-২৮০ টাকা হবে কখনো কল্পনাও করিনি। সুযোগ বুঝে রোজা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে এক লাফে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজারে যা খুশি চলছে। দেখার যেন কেউ নেই। দ্রব্যমূল্যের এ পাগলা দৌড় কে থামাবে। এত দামে মুরগি কেনা সম্ভব নয়। এখন গরুর মতো মুরগি খাওয়াও ছাড়তে হবে।’

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকা পর্যন্ত। মহাখালী, সেগুনবাগিচাসহ কদমতলী এলাকার কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৭৫ টাকায়। কোথাও কোথাও ২৮০ টাকাও নেওয়া হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কাপ্তানবাজারসহ রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোয় দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। পাইকাররা বলছেন, সরবরাহ কমেছে। তাই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। খামার পর্যায়েও দাম বাড়ছে বলে জানান খামারিরা।

অথচ গত রবিবার ভোক্তা অধিদপ্তর জানিয়েছে, মুরগির খাবারসহ অন্যান্য সব ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন ব্যয় করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এ মুরগির বিক্রয়মূল্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে। বাজারে মুরগির দাম কত হওয়া উচিত, তা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রিশিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মুরগির দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।

এদিকে প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, পোল্ট্রি খাতে প্রতিটি পর্যায়ে অনিয়মের কারণে বাজারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অব্যবস্থাপনা ও নজরদারির ঘাটতির সুযোগ নিয়ে কয়েকটি চক্র অল্প সময়ে বিপুল মুনাফার চেষ্টা করছে। এর আগেও একবার মুরগি ও ডিমের বাজারে এমনটা হয়েছে। এবার রমজান মাস শুরুকে কেন্দ্র করে আবারও তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, একদিনের বাচ্চার দাম বাড়তে বাড়তে ৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। বাড়তি এ দামেও বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে না।

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার প্রান্তিক খামারি মো. শহীদুল আলম ও জয়পুরহাটের খামারি মিজবাহ-উল-হক জানান, বাচ্চা ও মুরগির দাম মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে হুটহাট বাড়ে-কমে। গতকালও এসএমএসে একদিনের বাচ্চার দর ৬২ থেকে ৬৭ টাকা জানানো হয়েছে। এ দামেও বাচ্চা মিলছে না। সিন্ডিকেটের বাইরের কারও বাচ্চা পেতে প্রতি পিসে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। যারা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ে যুক্ত রয়েছেন, তারা কম দামে বাচ্চা পাচ্ছেন। অপরদিকে ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকের পরই অজানা কারণে ফিডের (মুরগির খাবার) দাম হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বর্তমানে ব্রয়লারের একদিনের বাচ্চার দাম ৬২ থেকে ৬৭ টাকা। যদিও খামারিরা বলছেন, বাচ্চা সংকট দেখিয়ে ডিলাররা দাম আরও বেশি রাখছেন। অথচ জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেও বাচ্চার দাম ছিল মাত্র ৯ টাকা। ১৫ তারিখে দাম বেড়ে ১৫ থেকে ১৮ টাকা হয়। এরপর ২৫ তারিখে ৩০ টাকা, ২৬ তারিখে ৩৬ টাকা, ৩০ তারিখে হয় ৪০ টাকা। ২ ফেব্রুয়ারি ৩৯ থেকে ৪২ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায় ওঠে। মার্চে আরও বাড়ে। অর্থাৎ প্রায় আড়াই মাসে দাম ৭ গুণেরও বেশি বেড়েছে। খামারিরা বলছেন, একটি বাচ্চার দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত হলে সেটা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, একদিনের বাচ্চার সম্পূর্ণ বাজার বড় করপোরেট কোম্পানিগুলোর হাতে। পাশাপাশি কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ের নামে তারা সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন। গায়েবি এসএমএসে (মুঠোফোন বার্তা) হুটহাট বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিন্ডিকেটের বাইরের খামারিরা বাচ্চা পাচ্ছেন না। পেলেও অতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে। সব দিক থেকেই করপোরেট কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত মুনাফা করছে।

পোল্ট্রি খাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কারসাজিকারী চক্র ১৮০ কোটি টাকা লোপাট করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এবারের হিসাব আরও বড় হবে। রোজা ঘিরে আবারও একটি চক্র কারসাজি করছে। এর আগেও ডিম নিয়ে বড় কোম্পানির কারসাজির তথ্য উঠে এলে সরকারি সংস্থা মামলাও করেছে। কিন্তু তার সুরাহা হয়নি। আমরা বহুবার এ তথ্য তুলে ধরছি। অথচ কারও যেন টনক নড়ছে না। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও যেন চোখ বুজে আছে। ২০১০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১ মাসের সময় নিয়েছিল পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের কৌশলপত্র তৈরির জন্য। কিন্তু তা এখনো হয়নি।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কারসাজি করে বড় লোকসানে ফেলে ছোট খামারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যেগুলো অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বাজার দখল করে নিয়েছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন তারা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। সিন্ডিকেটের হাতে বাজার চলে গেলে এমনটাই হয়।

তিনি আরও বলেন, ডিম নিয়ে কারসাজির সময় আমরা দেখেছিলাম আমদানির ঘোষণায় দাম রাতারাতি কমে গিয়েছিল। এবার ডলার সংকটের কারণে মুরগি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়া যাবে না। এ কারণেই হয়তো মুরগির বাজারে কারসাজি চলছে।

কারসাজিকারীরা বাজারে নানা অনিয়ম ও মনিটরিংয়ে ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রয়-বিক্রয়ে রসিদ ব্যবহার হচ্ছে না। বাজারে হাত বদলের সংখ্যা কমাতে হবে। বারবার ব্যবসায়ী সমিতির নাম উঠে আসছে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনটা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



মেহেরপুরে পাটের আবাদ কমেছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃপাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, অনাবৃষ্টি আর পাট পচানোর পানি সংকটের কারণে পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে। চলতি বছরে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চাষিদের দাবী, প্রতি বছরে পাট চাষে একরকম লোকসান গুণতে হয়। বাধ্য হয়ে অন্য ফসল আবাদ করছেন তারা। তবে কৃষি অফিস বলছে, পাট চাষে চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা ও বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শও দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্যনুযায়ি, কৃষি নির্ভরশীল এ জেলায় চাষিদের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে বিবেচিত সোনালী আঁশ পাট। চলতি বছরে এ জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২২ হাজার হেক্টর। আর পাট চাষ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৩৭০ হেক্টর কম। চাষিরা জেআরও ৫২৪, বি জে আর আই তোষাপাট-৮, ভারতীয় কৃষি কল্যাণ, মহারাস্ট্র ও চাকা জাতের পাট আবাদ করে থাকেন।

চাষিরা জানান, গেল বছর অনাবৃষ্টি থাকলেও তেমন তাপদাহ ছিল না তাই সেচ দিয়ে পাট চাষ করেছেন চাষিরা। কিন্তু পাট জাগ দেয়ার মতো পানির ব্যবস্থা ছিল না। অনেকেই কাদা মাটি দিয়ে পাটজাগ দেয়ার পাটের মান নষ্ট হওয়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। চলতি মৌসূমে অনাবৃষ্টির সাথে যোগ হয় তীব্র তাপদাহ। ফলে অনেকেই পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। উপরন্ত পাট পচানোর জন্য কোন উম্মুক্ত জলাশয় না থাকায় চাষিরা পাট চাষ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। অনেকেই খাল বিল সংস্কার ও দখল হয়ে যাওয়া জলাশয় উম্মুক্ত ঘোষণা করার আহবান জানান।

গাংনীর পলাশীপাড়ার পাটচাষি জুলফিকার আলী জানান, প্রতিবছর চাষিরা এ পাট আবাদ করে মোটা অংকের টাকা আয় করেন। কিন্তু পানি সংকটের কারণে চাষিদের পাট পচাতে সইতে হয় নানা বিড়ম্বনা। অনেকেই খালে বিলে পানি না পেয়ে বাড়ির পাশে গর্তে সামান্য পানি দিয়ে পাট পচাতে দেন। এতে এক দিকে যেমন চাষিদের খরচ বেড়ে যায় তেমনি পাটের রং নষ্ট হয়। ফলে পাটের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

পাটচাষি তেতুঁলবাড়িয়ার মিজান জানান, গেল বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। চলতি মৌসূমে তিনি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহের কারণে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাট বীজ বপন করতে পারেনি। উপরন্ত পাটক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় পানির অভাবে পাট গাছ বাড়ছে না। অন্যদিকে পাট পচানোর ব্যবস্থা না করতে পারলে সামনে বছর আর পাট চাষ করবেন না বলেও জানান এই চাষি।

পাটচাষি করমদি গ্রামের জিবন হোসেন জানান, চলতি মৌসূমে অনাবৃষ্টিতে পাট বপন করার সময় সেচ দিয়ে পাট বপন করতে হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রচ- তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে পাট ক্ষেত বিনষ্ট হয়। পাট বপনের দেড় মাস অতিবাহিত হলেও পাট উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়নি। আর যারা সেচ দিয়ে পাট আবাদ করছেন তারা পাট পচানো নিয়ে বেশ চিন্তিত। চাষিদের দাবী, হাজা মজা খাল বিল সংস্কার করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে পাট পচানো সম্ভব। চাষিরা উম্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দিতে পারলে পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসূমে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। অনাবৃষ্টির কারণে অনেকেই পাট বীজ বপন করতে পারেনি। আর যারা আবাদ করেছেন পানির অভাবে পাটগাছ বাড়েনি। অন্যদিকে পাট পচানো নিয়েও চাষিরা নানা বিড়ম্বনায় পড়েন। তবুও চাষিদেরকে প্রণেঅদনাসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে পাট চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য। বিকল্প পদ্ধদিতে পাট পচানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



আইএমএফ সন্তুষ্ট: বাংলাদেশ জুনে ১১৫ কোটি ডলার পাচ্ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ, আর্থিকখাতে বাংলাদেশ কাঠামোগত উন্নয়ন করায় সন্তুষ্ট। তাই আগামী জুন মাসে প্রতিশ্রুত ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার পেতে বাংলাদেশের কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটি।

বুধবার (৮ মে) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন আইএমএফের গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান এবং বাংলাদেশ সফরে আসা ১০ সদস্যের নেতা ক্রিস পাপাজর্জিও।

অন্যদিকে সচিবালয় ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান গণমাধ্যমকে বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তৃতীয় কিস্তির ব্যাপারে কোনো উদ্বেগ নেই। আইএমএফ নতুন করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আয় বাড়ানো, সুদহারের বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে।

এর আগে, তৃতীয় কিস্তির ছাড়ের আগে ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে গত ২৪ এপ্রিল থেকে টানা ১৫ দিন আইএমএফ প্রতিনিধি দল সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে। তার সারমর্ম নিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী সঙ্গে বুধবার বৈঠক করে ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলটি।

আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেন, তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিস্তির ছাড় দেওয়া হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রো ইকোনমিক্স ডিভিশনের এই প্রধান বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন।

মূল্যস্ফীতিসহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।

এদিকে করের হার বা আওতা বাড়ানোর যে আলোচনা আছে, তাতে মানুষের কষ্ট বাড়বে কি? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শর্ত পূরণ করতে গিয়ে মানুষের জন্য ভোগান্তি হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না বাংলাদেশ।

আইএমএফের রিভিউ দলের সফর প্রসঙ্গে অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার জানান, ১০টির মধ্যে বাংলাদেশ কেন একটি পূরণ করতে পারেনি তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ পক্ষ। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে জুনে রিজার্ভে যোগ হতে পারে তৃতীয় কিস্তির টাকা।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। এবারের সফরে ঋণ পেতে বেধে দেওয়া শর্ত ও সংস্কার কতটা পূরণ হয়েছে সেই বিষয়গুলোই খতিয়ে দেখেছেন আইএমএফের বিশেষজ্ঞ দলটি। মোটা দাগে বাজেটের আকার, রাজস্ব আয়, যৌক্তিক ভর্তুকি নির্ধারণ ও নিট রিজার্ভ নিয়ে নতুন করে লক্ষ্যমাত্রা ও সুপারিশ দিয়েছে এই পূর্বমূল্যায়ন দল।

বাংলাদেশ পক্ষ বলছে, রিজার্ভ ছাড়া যেহেতু শর্তের অন্যান্য দিক পূরণ করা হয়েছে সেহেতু ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। যদি এই রিভিউ মিশনের মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে তৃতীয় কিস্তি ছাড় করে আইএমএফ, তাহলে সেটির পরিমাণ সব মিলিয়ে ৬৮ কোটি ডলার হতে পারে।

চলতি মে মাসের শেষ দিকে কিংবা আগামী জুনের শুরুতে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করতে পারে আইএমএফ। বাংলাদেশের জন্য অনুমোদন করা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধি দল ঢাকায় তাদের মিশন পরিচালনা করছে। প্রতিনিধি দলটি সরকারের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক শেষ করেছে।

ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে আইএমএফের ঋণের অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি ছাড় করা হয়। আর ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি।


আরও খবর



পোরশায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গণসচেতনতামূলক নাটক প্রদর্শন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১০১জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ,পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর পোরশায় বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খ্রীস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ(সিসিডিবি) পিসিআরসিবি-২ প্রকল্প কর্তৃক "জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গণসচেতনতামূলক" নাটক প্রদর্শন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংস্থার উপজেলা সমন্বয়কারী স্টিভ রায় রুপন এর সভাপতিত্বে উপজেলার ছাওড় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উক্ত নাটক প্রদর্শন করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন ও প্রশমনসহ বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নাটকে উপস্থাপন করা হয়। নাটক শেষে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ৪শতাধীক মানুষ ও সিসিআরসির সদস্য সহ প্রকল্পের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রূপগঞ্জের জাঙ্গীর-ভিংরাবো সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১০২জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)সংবাদদাতা:বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি,সাবেক মন্ত্রী, বর্তমান সংসদ সদস্য ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের নির্দেশে রূপগঞ্জের জাঙ্গীর-ভিংরাবো সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল ৪ মে শনিবার রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছালাউদ্দিন ভুঁইয়া এ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ মোমেন, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাছুম চৌধুরী অপু, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন দোলন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মজিবুর রহমান লিটন, আওয়ামীলগি নেতা শাহনাজ আহমেদ, বদরুদ্দিন, রূপগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদিন ডিপটি, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন, মোবারক হোসেন, মাহবুবুর রহমান, মফিজুর রহমান, আব্দুস ছাত্তার ভুঁইয়া, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান, পনির হোসেন, সমাজসেবক মোবারক হোসেন প্রমুখ। 

পরে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। 

 -খবর প্রতিদিন/ সি.ব         


আরও খবর



আমতলীতে সওজের ১৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১০০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীর একেস্কুল চৌরাস্তা মোরে বুধবার দুপুরে সওজের জমি দখল করে গড়ে তোলা ১৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, আমতলী একেস্কুল চৌরাস্তা মোরে সওজের জমি দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী মনির পঞ্চায়েত আলম পঞ্চায়েত,জাকির হাওলাদার, গফফার হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার, মাসুম পঞ্চায়েত, ইউনুছ ফকির ও খলিল ফকিরসহ বিভিন্ন ব্যাক্তিরা সওজের জমি দখল করে ১৫টি ঘর তুলে বিভিন্ন ব্যাক্তির নিকট ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এ অবৈধ স্থাপনা সড়িয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও তারা না সরোনোয় বুধবার দুপুরে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান।

আমতলী উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪