Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় মহেশখালীর পানচাষীদের মাঝে আনন্দের বন্যা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৩৩জন দেখেছেন

Image

মোঃআমান উল্লাহ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের মিষ্টি পানে এখন সোনা ফলছে। মহেশখালীর মিষ্টি পান স্থানীয় ও দেশের সর্বত্র  মানুষের মাঝে স্থান  করে নিচ্ছে। ফলে মিষ্টি পান এক প্রকার এখন সোনার হরিণ। এছাড়া পান চাষিরা এক ঝুঁড়ি পান বিক্রি করে পাচ্ছেন লাখ টাকা। তাই পান চাষে জড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন পেশার লোকজন।চট্টগ্রাম ও ঢাকায় এক বিরা বড় পান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। এতে মহেশখালীতে উৎপাদিত পানের চাহিদা দেশিয় বাজারে বেশি বলে জানালেন রপ্তানি কারকেরা। এই দিকে হঠাৎ মিষ্টি পানের দাম রেকর্ড পরিমান হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। এ সপ্তাহ ধরে পান বাজারে উৎপাদিত পানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চাষীরা খুশি।

মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দুই সপ্তাহ আগে প্রতি বিরা পান বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা। তবে সপ্তাহ ধরে বেড়ে পানের দাম রেকর্ড হয়েছে। বর্তমানে মাঝারি ও বড় পান প্রতি বিরা পান বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। আর ছোট পান বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।জানা গেছে, কয়েক যুগ ধরে মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী, হোয়ানক, কালারমারছড়া, ছোট মহেশখালী ও শাপলাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ী ঢালু ও আবাদি কৃষি জমিতে পান চাষ করে আসছে স্থানীয় পান চাষীরা।পাহাড়ী এলাকায় পান চাষ দুই-তিন বছর স্থায়ী হলে ও কৃষি জমিতে পান চাষ টিকে মাত্র ৫ থেকে ৬ মাস। তবে কৃষি জমিতে পান চাষ সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে তা মে মাসে শেষ হয়। আর পাহাড়ি এলাকায় পান চাষ যে কোনো সময়ে করা যায় বলে জানিয়েছেন শাপলাপুরের পান চাষিরা।পানের বরজ থেকে পান তুলে নিয়ে চাষীরা স্থানীয় হাট বাজারে নিয়ে তা বিক্রি করছে। উপজেলার গোরকঘাটা, বড় মহেশখালী নতুন বাজার, হোয়ানক ইউনিয়নের টাইম বাজার, পানিরছড়া বাজার, কালারমারছড়া ইউনিয়নের কালারমারছড়া বাজার, জনতাবাজার ও শাপলাপুর বাজারে পানের বাজার বসে। সপ্তাহে দুই দিন এসব পান বাজারের পান বিক্রি হচ্ছে।পানের হাট কালারমারছড়া চালিয়াতলী বাজারে পান বেচা-কেনা করতে দুই শতাধিক চাষী পান বাজারে বেচাকেনা করতে নিয়ে আসে ।

আর ওই বাজারে  দেশের বিভিন্ন জায়গা  থেকে আসা পান ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে পান ক্রয় করে থাকে ।পরে এসব পান ট্রাক ভর্তি করে ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম’সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, মহেশখালীর পাঁচ ইউনিয়নের পাহাড়ে ও বিলে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। এ পেশায় ৩৯ হাজার চাষির পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষ জড়িত।মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বিগত সময়ের চেয়ে এখন পানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন পান চাষীরা। এতে ছোট-বড় মিলে হাটে এক বিরা পান ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০শ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে পান চাষীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।


আরও খবর



বৃদ্ধি পেয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:আলুর বাজার স্বাভাবিক রাখতেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা।শনিবার (৩০ মার্চ) ভারতীয় ১৩ টি ট্রাকে ৩৩২ মেট্রিক আলু আমদানি করা হয়। এমআর এন্টারপ্রাইজসহ কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব আলু আমদানি করেছেন।রোববার (৩১ মার্চ) হিলি বন্দরে আমদানিকৃত আলু প্রতিকেজি ৩১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর হিলি বাজারে প্রতিকেজি দেশি আলু প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।

আমদানিকারক মেসার্স মনোয়ার চৌধুরী এর প্রতিনিধি রুবেল হোসেন জানান, গেলো ১ ফেফ্রয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর আমদানিকারকেরা ৭ ফেব্রুয়রি পর্যন্ত বন্দর দিয়ে আলু আমদানি করেন। কিন্তু আলু আমদানিতে লোকসান দেখা দেওয়ায় একমাস আমদানি বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা।

তিনি আরও বলেন,একমাস পর আলুর চাহিদা ও দাম বাড়ায় ৯ মার্চ থেকে আমদানিকারকেরা ফের আলু আমদানি শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি হচ্ছে। তবে গতকাল শনিবার সবচেয়ে বেশি আলু আমদানি হয়েছে।

হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা ময়নুল ইসলাম,হিলি বাজারে প্রতিকেজি দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। তবে ভারতীয় আলু সব হিলির বাইরে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় বাজারে দুই একজন অল্প করে নিয়ে আসলেও বিক্রি কম হয়। ভারতীয় আলুর স্বাদ কম তাই নিতে চায় না ক্রেতারা।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: ইউসুফ আলী জানান, দেশে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলো ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। হিলি বন্দরের ৫২ জন আমদানিকারক ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি পান। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়। মাত্র ৪ দিন ৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আলু আমদানি করা হয়। এরপর একমাস আলু আমদানি বন্ধ থাকে। ৯ মার্চ থেকে আবারও আমদানি শুরু হয়।

পানামা হিলি পোর্ট-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন,গতকাল শনিবার (৩০ মার্চ) স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ১৩টি ট্রাকে ৩৩২ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে আলুগুলো দেশের বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন আমদানিকারকেরা।


আরও খবর



ঘাটাইলে চোরাই গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৫জন দেখেছেন

Image
সবুজ সরকার সৌরভ,ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পাচটি গরুসহ গাড়ি রেখে পালিয়েছে চোরচক্রের সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা গরু নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। জ্বলছে গরু চুরিতে ব্যবহৃত ট্রাকটি।২৪শে এপ্রিল (বুধবার) সকালে উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের গালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচটি গরু বোঝাই একটি মাঝারি ট্রাক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে গাড়িটিকে ধাওয়া করে গাড়ির ড্রাইভারের রাস্তা পরিচিত না হওয়ায় গাড়িটি জামুরিয়া ইউনিয়নের আঞ্চলিক সড়কের গালা গ্রামে প্রবেশ করে। এ সময় স্থানীয় লোকের বেশি জমায়েত দেখে গাড়ি রেখে ড্রাইভার এবং চোরের দল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় উৎসুক জনতা গাড়ি থেকে গরু নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এখনো গরুর মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে গরুগুলো এলাকাবাসীর হেফাজতে রয়েছে।

ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজল খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো চোরাই গরু। চোর চক্র হয়তো কোথাও থেকে চুরি করে নেওয়ার সময় ধরা পড়ার ভয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর



বিএনপির বিরুদ্ধে করা মামলা রাজনৈতিক নয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক মামলা নয়; এগুলো অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা,বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধ করলে সাজা হবেই। আওয়ামী লীগ কোনো দলের ওপর প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি। বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তারের মিথ্যা কান্না করে বেড়াচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপির মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত। তাদের দাবি অনুযায়ী, ৬০ লাখ নেতাকর্মী নাকি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের সব জেলখানার ধারণক্ষমতা তো এত নেই। তাহলে কি দেশের জেলে বন্দি সব কয়েদীই বিএনপির ক্রিমিনাল?

তিনি বলেন, আমরা প্রতিশোধপরায়ণ না দেখে তারা কথা বলার সুযোগ পায়। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যাস্ত থাকিনি, আমরা মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে।

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি কখনোই চায়নি এ দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক। তারা চেয়েছে অন্য দেশ থেকে ভিক্ষা করে দেশ চালাতে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করেন।


আরও খবর



যশোরে বিএনপি'র ৫২ নেতাকর্মী কারাগারে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু সহ বিএনপি'র ৫২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় তারা সকলেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা সকলেই উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন। জামিনের সময় সিমা শেষ হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিম্ন আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অমিত ও সাবু ছাড়াও বিএনপি'র উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন, মুনীর আহম্মেদ সিদ্দিকি বাচ্চু, আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি এম.তমাল আহমেদ,  জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।

এছাড়া বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে আদালত জামিন প্রদান করেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, শরফুদ্দৌলা ছোটলু, যুবদলের যুগ্মসম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল প্রমুখ।

আইনজীবী দেবাশীষ দাস বলেন, অধিকাংশ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি থেকে চারটি মামলা রয়েছে। কোতোয়ালি থানা, শার্শা থানা ও কেশবপুর থানার মামলায় তারা আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত অসুস্থ্য নেতাকর্মীদের জামিন প্রদান করেছেন ও অন্যদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে ৫দিনব্যাপী বৈসাবী উৎসবের উদ্বোধন করলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করতেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সাথে আমাদের পার্বত্য মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই, সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করা।

 শুত্রুবার (৫এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আয়োজিত ৫দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈসাবী উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড  খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলার ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. নাজমুল হক,  খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো.শানে আলম, খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

 প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায় আছেন যারা সংস্কৃতিমনস্ক সৃজনশীল কাজের প্রতি অনুরাগী। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের ফলেই পার্বত্য অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

জানিয়ে তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও এর ধারা অব্যাহত রাখতেই রাজধানী ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। বিগত সময়গুলোতে আমাদের যে বৈষম্য বিরাজমান ছিল তা দুর করতে চাই। আগামিতে সাহস নিয়ে, শক্তি নিয়ে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে মিলে পাহাড়ে শান্তিপূণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের উন্নয়ন কাজে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

 পাহাড়ীরা বর্ষবরণ উৎসব পালন করে বিভিন্ন নামে। কেউ বৈসু, কেউ সাংগ্রাই আবার কেউ বিজু। বর্ষবরণ উৎসবকে ত্রিপুরারা বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই ও চাকমারা বিজু বলে অভিহিত করে এবং এগুলি বৈসাবি নামে পরিচিত। নতুন বছরের প্রথম দিন বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি পালিত হয় খাগড়াছড়ি, রাংগামাটি ও বান্দরবান জেলায়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্ণিল সাজে সজ্জিত বৈসাবী আনন্দ র‌্যালিতে যোগ দেন। বৈসাবি  বাংলাদেশের  তিন পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব। বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু এই তিন নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করে বাংলা নববর্ষ।

আরও খবর

হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪