
ডিএম রাশেদ উপজেলা প্রতিনিধি পোরশা নওগাঁ : নওগাঁয় যৌনপীড়নের দায়ে এক ব্যক্তিকে তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থ দন্ড অনাদায়ে পনের দিন বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ডিএম রাশেদ উপজেলা প্রতিনিধি পোরশা নওগাঁ : নওগাঁয় যৌনপীড়নের দায়ে এক ব্যক্তিকে তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থ দন্ড অনাদায়ে পনের দিন বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইল:টাঙ্গাইলের মধুপুরে পৌরসভাধীন পৌর ভবন সংলগ্ন মাস ব্যাপি ক্ষুদ্র শিল্প ও পণ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বুটিকস্ এন্ড হ্যান্ডিক্রাফস্ সোসাইটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উক্ত মেলায় অত্যান্ত কম মূল্যে যেকোনো পণ্য বিক্রির নিশ্চয়তা প্রধান করেন মেলা কর্তৃপক্ষ। বানিজ্য মেলার মূল গেইট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে আর্কষনীয় পানির ফোয়ারা।যে ফোয়ারায় মিউজিকের তালে তালে পানির নৃত্য পরিবেশন একটি ব্যতিক্রমধর্মী মনমুগ্ধকর বিনোদনের সৃষ্টি করেছে।
এরপরেই রয়েছে মেলার দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বক্স।এ মেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রেইস যেমন, নাগরদোলা, রেইসবোর্ড, ড্রাগন ট্রেন, নৌকা দোলনা, ভূতের বাড়ি সহ নানা ধরনের বিনোদন সমূহ। এ ছাড়া দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাবপত্র সামগ্রী, গোল্ডপ্লেডের অলংকার, শাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডিজাইনের টুপিস, থ্রীপিস, টি-শার্ট, ছেলে মেয়েদের পাঞ্জাবি, লেহেঙ্গা পাজুসহ নানা রঙের কাপড়। রয়েছে সব বয়সী ছেলে মেয়েদের জন্য বাহারি ডিজাইনের জুতা। সপরিবারে খাওয়ার জন্য রয়েছে মনোরম পরিবেশে বিভিন্ন স্টল।
মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যেকোনো পণ্য বাহিরের চেয়ে অত্যান্ত কম মূল্যে আমরা বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। এরপরেও ক্রেতাদের কোন অভিযোগ থাকলে আমরা তা বিবেচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করে যাচ্ছি।কর্তৃপক্ষ আরও জানান, প্রচন্ড তাপমাত্রার কারণে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম তবে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে লোকজনের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এবারের বানিজ্য মেলায় পণ্যের মূল্য ক্রয় ক্ষমতার নাগালেই আছে বলে জানান বেশ কয়েকজন ক্রেতা।
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
আলমগীর হোসাইন, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ অবৈধভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের সন্নিকট থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সেফটি বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বাধাহীনভাবে ক্রমাগত বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে প্রকল্পটি। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বামনের হাট রেগুলেটর থেকে চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ বাসন্তীপাড়া পর্যন্ত যে কোন জায়গায় ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পটি দেবে গিয়ে দেখা দিতে পারে বিপর্যয়।
যুগের পর যুগ ধরে করালগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র নদ দেশের অন্যতম প্রাচীন নৌ বন্দর চিলমারীকে গ্রাস করে চলছিল। ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাস্তভিটা হারিয়েছে। কোন কোন পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথের ভিখারি হয়েছে। বর্তমানে চিলমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন পুরোপুরি ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে বিলীন। বাকি তিনটি ইউনিয়নের অর্ধেকেরও বেশি অংশ ব্রহ্মপুত্র নদ গ্রাস করে ক্রমাগত চিলমারীর শেষ অংশটুকু গিলে খাওয়ার পথে এগোচ্ছিল। গত ১৭ই জুলাই ১৯৯৩ইং চিলমারী বন্দর নদী ভাঙন প্রতিরোধ আন্দোলন নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে নদী ভাঙ্গণ প্রতিরোধ আন্দোলন হয়। আন্দোলনকারীরা চিলমারী থেকে পায়ে হেঁটে কুড়িগ্রাম গিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে সংগ্রাম করেছেন।
এই আন্দোলন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টিতে আনতে সক্ষম হয়। অবশেষে দীর্ঘ দেড় যুগ আন্দোলনের সফলতা আসে। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পঞ্চম বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা ফেজ-১ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ইং সালের জুলাই মাসে ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প ফেজ-১ এর কাজ শুরু করা হয়। ৯৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২.৫ কিলোমিটার অংশে জুন’২০০৯ইং উক্ত কাজ শেষ হয়। এরপর থেকে ফেজ-২, ফেজ-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে গিয়ে শেষ হয়। ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে চিলমারীবাসীর স্বপ্ন ও প্রাণের দাবি পূরণ হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবার পর চিলমারী উপজেলার যৎসামান্য অংশ রক্ষা পেয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রে চিলমারী নামের একটি উপজেলার অস্তিত ধরে
রেখেছে। কিছু বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ ডানতীর প্রকল্পের ডানতীর সংলগ্ন এলাকা থেকে বিরামহীন ভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালুর ব্যবসা করছে। শুধুমাত্র চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর এলাকায় ১৪টি পয়েন্টে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সেফটি বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে প্রতিরক্ষা প্রকল্পের নীচ অংশে বিশাল আকৃতির গর্ত দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোপূর্বে অনেক এলাকায় একাধিক জায়গায় হঠাৎ কিছুদূর করে অংশ দেবে যাওয়ায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বোল্ডার ফেলে দেবে যাওয়া অংশগুলিতে নদী ভাঙন কোনোমতে ঠেকিয়ে রেখেছে। এই প্রতিরক্ষা প্রকল্পটির কোন অংশ পুরোপুরি দেবে গেলে আর চিলমারীকে রক্ষা করা যাবে না। এ বছর ৭০ সদস্য বিশিষ্ট একটি গ্রুপ একসাথে শেয়ার করে রমনা নৌ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলন করে নদী তীরেই বালুর স্তুুপ করে সেখান থেকে শতাধিক ট্রলিতে বালু বিক্রি করছে।
এছাড়াও বাসন্তী গ্রাম জোড়গাছের ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর ধরে রমনা মিয়া বাড়ির সামন ও পিছনসহ রাজারভিটা, পুটিমারী ও ফকিরের হাট এলাকায় মোট ১৪টি পয়েন্টে একাধিক গ্রুপ বা ব্যক্তি বালুর ব্যবসা চলছে। ফলে এই বালু ব্যবসার উপর প্রায় ২ হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। বিভিন্ন বালু পয়েন্টের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, তারা অবৈধ নয় বরং বৈধভাবে বালুর ব্যবসা করতে চায়। তাদের দাবি চিলমারীকে বালু মহাল ঘোষণা দেয়া হউক। এটা হলে তারা যেমন বৈধভাবে ব্যবসা করতে পারবে পাশাপাশি সরকারও এই বালু মহাল থেকে মোটা অংকের রাজস্ব পাবে।১৭ মে ২০২৩ বিকেলে চিলমারী উপজেলার সকল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমানের সাথে চিলমারী উপজেলার বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ ও বালু উত্তোলন বন্ধ করার বিষয়ে এক মতবিনিময় করেন। এ সময় চিলমারী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু বলেন, প্রথমত বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে চিলমারীকে রক্ষা করা যাবে না।
সরকার যদি চিলমারীতে বালু মহাল ঘোষণা দেয় তখন যত্রতত্র জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হবে এবং একটি নিরাপদ এলাকাকে বেছে নিয়ে একটি সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বালু উত্তোলিত হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম চিলমারী শাখার সাধারণ সম্পাদক এস, এম নুরুল আমিন সরকার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, তার প্রথম এবং শেষ কথা আগে চিলমারীকে রক্ষা করতে হবে। তারপরে অন্য বিষয় নিয়ে ভাবা যাবে। প্রেসক্লাব চিলমারীর সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মণিরুল ইসলাম লিটু বলেন, চিলমারী থাকলে তো বালুর ব্যবসা থাকবে। চিলমারী না থাকলে বালুর ব্যবসা হবেটা কোথায়। তিনি বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।চিলমারী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হুদা পারভেজ তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, পুরো চিলমারীর মানুষের একটাই কথা, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে চিলমারীকে রক্ষা করতে হবে। চিলমারী উপজেলা রক্ষার বিকল্পে আর কোন শব্দ নাই। এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানকে বলেন, আমি বালু উত্তোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু নানা কারণে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারিনি। আপনারা সাংবাদিকগণ পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করেন। উপর থেকে আমাকে নির্দেশ দিলে আমি চিলমারীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেব।
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের কচুয়ায় সরকারি সড়কের নারকেল গাছ নিলাম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নুর মোহাম্মাদ ও তার ছেলেসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে কচুয়া উপজেলার চরকাঠি মোড়ের চান্দু ওস্তার দোকানের সামনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। আহতদের বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, চরকাঠি গ্রামের মৃত হাশেম আলী শেখের ছেলে নুর মোহাম্মাদ শেখ (৬৫), তার ছেলে আলতাপ শেখ (৪১) ও আলতাপ শেখের ছেলে সজিব শেখ (১৫)। জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলতাপ শেখ বলেন, রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা চরকাঠি থেকে পদ্মনগর পর্যন্ত নারকেল গাছ ইজারা নিয়েছি।
ইজারা নেওয়ার পর দুইবার নারকেল পেড়েছি। সম্প্রতি পূর্বে যাদের ইজারা নেওয়া ছিল তারা আমাদের নারকেল পাড়ায় বাঁধা সৃষ্টি করে। বৃহস্পতিবার সকালে চরকাঠি মোড়ের চান্দুর দোকানে এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইতরুপসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের নারকেল গাছের বিষয়ে শোনাশুনির কথা ছিল। এই জন্য সকালে আমরা চরকাঠি যাই। এসময় নজরুল ইসলাম রাঙ্গার নেতৃত্বে তার ছেলে বাবু শেখ, আইয়ুব আলীর ছেলে মোহসীন শেখ, সালাম শেখের চেলে আনিস শেখ, সাবু শেখসহ ৭-৮জন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার মাথা কেটে যায় এবং আমার বাবার হাত কেটে গেছে। আমার শিশু ছেলেকেও মেরেছে তারা। আহত নুর মোহাম্মাদ শেখ বলেন, রাঙ্গা, মোহসিন ও তার লোকজন শুধু আমাদের নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় এলাকার অনেককে মারধর করেছে।
এলাকায় নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত রাঙ্গা ও তার লোকজন। আমরা এই হামলার সঠিক বিচার চাই। এদিকে নুর মোহাম্মাদ শেখ ও আলতাফ শেখের অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম রাঙ্গার ছেলে বাবু শেখ বলেন, নুর মোহাম্মাদ শেখ ও তার লোকজন আমার বাবার উপর হামলা করেছে। বাবা এখন বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার বলেন, যারা নারকেল গাছ ইজারা নিয়েছেন তাদেরকে মারধরের একটি খবর শুনেছি। এ বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কোনপক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
শুক্রবার ০২ জুন 2০২3