আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরিক্ষায় অনিয়ম ও ডিউটি না থাকার পরও নিজ পরিক্ষার্থী সুবিধার কারনে তিন শিক্ষক কে শোকজ করেছেন ওই কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোহাম্মাদ হোসেন বলে নিশ্চিত করেন কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন। গত ১০ মে গত বুধবার অংক পরিক্ষায় অনিয়মের ঘটনা ঘটে। পরের দিন বৃহস্পতিবার তিন শিক্ষক কে শোকজের নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষক দের এমন অনিয়মের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আলতাবের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষক মহল।
জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গত বুধবার অংক পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরিক্ষা চলাকালীন তালন্দ স্কুলের বিএসসি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ডিউটি না থাকলেও নিজ স্কুলের ও তার প্রাইভেট পরিক্ষার্থীদের নানা ভাবে সুযোগ সুবিধা দিচ্ছিলেন। এমন সময় কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হোসেন হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ধরে শিক্ষক আনোয়ারকে বহিস্কার করতে চাইলে তিনি বলেন আমি ডিউটিরত না, কেন্দ্রের দায়িত্বে আছি।
এদিকে পরিক্ষা চলা অবস্থায় ডিউটি রত হাতিশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক আব্দুল লতিফ ও তালন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক মশিউর রহমান পরিক্ষার্থীদের নানা ভাবে সুযোগ সুবিধা ও একই সেট এবং অনিয়মের ঘটনা ধরে ফেলেন। হাতেনাতে প্রমান পেয়ে তিন শিক্ষক কে শোকজ করেছেন ট্যাগ অফিসার।তবে তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ডিউটি ছিল না। কেন্দ্রে থাকার কারনে শোকজ করেছে, জবাব দেওয়া হবে।হাতিশাইল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আইনাল হক বলেন, শোকজের বিষয়ে বলতে পারব না।ওই স্কুলের এক কর্মচারী জানান, শোকজের জবাব দিয়েছে, আর আব্দুল লতিফ বাগমারার এক কলেজে যোগদান করবেন।
কেন্দ্র সচিব তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন বলেন, শোকজের কাগজ ইমেলে দিয়েছে, এখনো দেখিনি। আগামী রবিবার জবাব দেওয়া হবে। ঘটনা সম্পর্কে আমি খুব একটা জানিনা। পরিক্ষা চলা অবস্থায় অফিস রুমে তিনজন বসে ছিল। আমি অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এরা নানা অনিয়ম করেছে সেটা হাতেনাতে প্রমান পাওয়ায় তাদেরকে ডিউটি দেওয়া যাবে না। পরের দিন বলেছে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের কাগজ আমার ইমেলে দিয়েছে। এর আগে নাকি কামারগাঁ স্কুলের বিএসসি শিক্ষক এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
একাধিক শিক্ষক রা জানান, তালন্দ কেন্দ্রে নিরব নকল চলে এবং কেন্দ্র সচিবের মদদেই সবকিছু হয়। যে দিন যে পরিক্ষা হবে ওই বিষয়ের শিক্ষক কে ডিউটি দেওয়া যাবে না। অংক পরিক্ষারর দিন বিএসসি শিক্ষক আনোয়ার কিভাবে কেন্দ্রে গেল। অবশ্যই সচিবের ইন্ধন রয়েছে। শুধু শিক্ষক না সাথে কেন্দ্র সচিবকেও শোকজ করা দরকার।
কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোহাম্মাদ হোসেন বলেন, পরিক্ষা চলা অবস্থায় দুইজন ডিউটিরত শিক্ষকের অনিয়ম এবং বিএসসি শিক্ষক অনৈতিক ভাবে ক্ষমতার দাপটে কেন্দ্রে প্রবেশ করে নানা অনিয়মের জন্য শোকজ করা হয়েছে। এবিষয়ে বোর্ডেও শোকজের কাগজ দেওয়া হয়েছে, তারা কি জবাব দিচ্ছে বা দিবে তারপর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এমনকি সন্তোষ জনক জবাব না হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন বা গ্রহনের জন্যে বোর্ডকে অবহিত করা হবে।