Logo
আজঃ বুধবার ০৭ জুন ২০২৩
শিরোনাম
১১ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস আল ইত্তিহাদে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করলেন বেনজেমা সিলেটে ট্রাক-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১৩ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এমন সংকট বাংলাদেশে হয়নি: ওবায়দুল কাদের তীব্র তাপপ্রবাহে এবার ইবতেদায়ি স্তরের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ রূপগঞ্জের ইছাপুরা ব্রীজ-দুর্গামন্দির সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ইউপি সদস্য সহ চারজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় সাবেক মেম্বার সেলিম গ্রেফতার বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের সূচি জানাল বিসিবি

নওগাঁয় স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জেল-জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ১৬৯জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ) : নওগাঁয় স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করায় এক দম্পতিকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় ঘোষণা করেন।


দণ্ডিতরা হলেন আফসার আলী ও তার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন। দণ্ডিত আফসার আলী নওগাঁর সাপাহার থানার নুরপুর গ্রামের আবদুল হক মন্ডলের ছেলে। আদালতে উপস্থিত আফসার আলীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় এবং তার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পি.পি অ্যাডভোকেট মোঃ মকবুল হোসেন ও আসামীপক্ষের অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল লতিফ মামলাটি পরিচালানা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বেগুন গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে জেলার সাপাহার উপজেলার সাপাহার গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ওসমান গনির সাথে আফসার আলীর বিরোধ হয়। বিরোধের সূত্র ধরে মনোয়ারা খাতুনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আফসার আলী তাকে দিয়ে ওসমান গনির বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের ৬ এপ্রিল সাপাহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে বলা হয়, ২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭.৪৫ ঘটিকার সময় সাপাহার বাজার হতে উকিলপাড়া যাওয়ার পথে তিলনা রোডের জনৈক আফিল উদ্দিনের বাড়ির নিকট পৌছলে ওসমান আলী পিছন দিক থেকে মনোয়ারা খাতুনকে জাপটে ধরে রাস্তার পূর্ব পাশে চাতালের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।

পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা আছে মর্মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। উভয় পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালত বেগুন গাছ কাটা বিবাদ ধরে এই মামলাটি মিথ্যাভাবে দায়ের করা হয় পর্যবেক্ষণ দিয়ে ওসমান গনিকে আদালত খালাস প্রদান করেন।পরবর্তীতে ওসমান গনি ২০১৩ সালে ১১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করায় আফসার আলী ও মনোয়ারার বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

দুই পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আফসার ও মনোয়ারা খাতুন উভয়কেই পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করার রায় ঘোষণা করেন নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার। 

আরও খবর



তানোর পরিক্ষা কেন্দ্র অনিয়ম কর্মকান্ডে তিন শিক্ষককে শোকজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরিক্ষায় অনিয়ম ও ডিউটি না থাকার পরও নিজ পরিক্ষার্থী সুবিধার কারনে তিন শিক্ষক কে শোকজ করেছেন ওই কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোহাম্মাদ হোসেন বলে নিশ্চিত করেন কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন। গত ১০ মে গত  বুধবার অংক পরিক্ষায় অনিয়মের ঘটনা ঘটে। পরের দিন বৃহস্পতিবার তিন শিক্ষক কে শোকজের নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষক দের এমন অনিয়মের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক  ও কেন্দ্র সচিব আলতাবের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষক মহল।

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গত বুধবার অংক পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরিক্ষা চলাকালীন তালন্দ স্কুলের বিএসসি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ডিউটি না থাকলেও নিজ স্কুলের ও তার প্রাইভেট পরিক্ষার্থীদের নানা ভাবে সুযোগ সুবিধা দিচ্ছিলেন। এমন সময় কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হোসেন হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ধরে শিক্ষক আনোয়ারকে বহিস্কার করতে চাইলে তিনি বলেন আমি ডিউটিরত না, কেন্দ্রের দায়িত্বে আছি। 

এদিকে পরিক্ষা চলা অবস্থায় ডিউটি রত হাতিশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক  আব্দুল লতিফ ও তালন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের  শিক্ষক  মশিউর রহমান পরিক্ষার্থীদের নানা ভাবে সুযোগ সুবিধা ও একই সেট এবং  অনিয়মের ঘটনা ধরে ফেলেন। হাতেনাতে প্রমান পেয়ে তিন শিক্ষক কে শোকজ করেছেন ট্যাগ অফিসার।তবে তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ডিউটি ছিল না। কেন্দ্রে থাকার কারনে শোকজ করেছে, জবাব দেওয়া হবে।হাতিশাইল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আইনাল হক বলেন, শোকজের বিষয়ে বলতে পারব না।ওই স্কুলের এক কর্মচারী জানান, শোকজের জবাব দিয়েছে, আর আব্দুল লতিফ বাগমারার এক কলেজে যোগদান করবেন।

কেন্দ্র সচিব তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন বলেন, শোকজের কাগজ ইমেলে দিয়েছে, এখনো দেখিনি। আগামী রবিবার জবাব দেওয়া হবে। ঘটনা সম্পর্কে আমি খুব একটা জানিনা। পরিক্ষা চলা অবস্থায় অফিস রুমে তিনজন বসে ছিল। আমি অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এরা নানা অনিয়ম করেছে সেটা হাতেনাতে প্রমান পাওয়ায় তাদেরকে ডিউটি দেওয়া যাবে না। পরের দিন বলেছে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের কাগজ আমার ইমেলে দিয়েছে। এর আগে নাকি কামারগাঁ স্কুলের বিএসসি শিক্ষক এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।

একাধিক শিক্ষক রা জানান, তালন্দ কেন্দ্রে নিরব নকল চলে এবং কেন্দ্র সচিবের মদদেই সবকিছু  হয়। যে দিন যে পরিক্ষা হবে ওই বিষয়ের শিক্ষক কে ডিউটি দেওয়া যাবে না। অংক পরিক্ষারর দিন বিএসসি শিক্ষক আনোয়ার কিভাবে কেন্দ্রে গেল। অবশ্যই সচিবের ইন্ধন রয়েছে। শুধু শিক্ষক না সাথে কেন্দ্র সচিবকেও শোকজ করা দরকার।

কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোহাম্মাদ হোসেন বলেন, পরিক্ষা চলা অবস্থায় দুইজন ডিউটিরত শিক্ষকের অনিয়ম এবং বিএসসি শিক্ষক অনৈতিক ভাবে ক্ষমতার দাপটে কেন্দ্রে প্রবেশ করে নানা অনিয়মের জন্য শোকজ করা হয়েছে। এবিষয়ে বোর্ডেও শোকজের কাগজ দেওয়া হয়েছে, তারা কি জবাব দিচ্ছে বা দিবে তারপর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এমনকি সন্তোষ জনক জবাব না হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন বা  গ্রহনের জন্যে বোর্ডকে অবহিত করা হবে।

আরও খবর



কাজ শেষ না হতেই দেবে যাওয়া সংযোগ সড়ক মেরামত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে বিল কুমারী বিলের দেবে যাওয়া সংযোগ সড়কের অবশেষে মেরামত শুরু হয়েছে। কাজ শেষ না হতেই দেবে যায় সংযোগ সড়ক শিরোনামে আমাদের রাজশাহী পত্রিকায় খবর প্রকাশের পড় টনক নড়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের। গত রবিবার উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান তদন্ত করে ঠিকাদার আব্দুর রশিদকে দেবে যাওয়ার জায়গা মেরামতের নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরের দিকে সংযোগ সড়ক মেরামত করতে দেখা যায়। তবে নিম্মমানের মেরামত কাজ নিয়েও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন, বিরাজ করছে সমালোচনা। ফলে প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে মেরামত কাজের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর ও মোহনপুর উপজেলা বাসীর সেতু বন্ধন বিলকুমারী বিলের ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক। ব্রীজ নির্মানের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ বিগত প্রায় ১৫ বছরেও হয়নি শেষ। ব্রীজের পূর্বদিকের সংযোগ সড়ক বন্যায় ভেঙ্গে যায়। পূর্বদিকে ব্রীজের মুখ থেকে ২৯৫ ফিট সংযোগ সড়ক মেরামতের জন্য ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু যত সামান্য বালু ভরাট দিয়ে এইচবিবি সংযোগ সড়ক করা হয়। কাজ চলমান, এরই মধ্যে সংযোগ সড়কের উত্তর দিকে ৮-১০ হাত দেবে যায়। দেবে যাওয়ার জায়গায় সামান্য পরিমান নিম্মমানের খোয়া দিয়ে দায় সারছেন ঠিকাদার।

কাজ করছিলেন শ্রমিক দাড়িয়ে ছিলেন মিস্ত্রি, সে জানায় সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলার কারনে দেবে গেছে। গত রবিবার প্রকৌশলী দেখে মেরামত করতে বলেছেন। বালু ভরাটের সময় পানি না দেওয়ার জন্য দেবে গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, ভরাটকৃত বালুতে পানি দেওয়ার সাথে সাথে বের হয়ে যেত, এজন্য পানি দেওয়া হয়নি।পথচারী মনি, দেলোয়ার, টুটুল, সাইদসহ অনেকে জানান, বালু ভরাটের সময় প্রয়োজনীয় পানি ব্যবহার করা হয়নি। পানি ব্যবহার করলে এত দ্রুত দেবে যেত না। পূর্বদিকের সংযোগ সড়কের কাজ চলছে আর পশ্চিম দিকের সড়কে ভয়াবহ গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। কাজের সময় এলজিইডি অফিসের কোন কর্মকর্তা কে  দেখা যায় না। ঠিকাদার ইচ্ছেমত কাজ করছেন।গোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিনা সাবেক কাউন্সিলর রাসেল সরকার উত্তম জানান, দেশে মেগা মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হচ্ছে না। দফায় দফায় শুধু বরাদ্দ আর বরাদ্দ। একদিকে করছে আরেক দিকে ভাঙ্গছে। য দেখারও কেউ নেই বলারও কেউ নেই। কাজ চলমান তারপরও দেবে যাচ্ছে তাহলে কি পরিমান অনিয়ম বা নিম্মমানের কাজ বুঝতে হবে। যাকে বলে আজব সংযোগ সড়কের আলৌকিক কাজ। আবার ব্লক দেওয়ার জন্য সড়কের নিচ থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, যা সামনে বর্ষা মৌসুমেই ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যাবে। শুধু তাই না সড়কের দু ধারে নামে খোয়া দেওয়া হচ্ছে। বালুর বিপরীতে মাটি দিয়ে দায় সারা কাজ করা হচ্ছে। এদিকে প্রায় দেড় যুগ চলছে, আরো কয়েকযুগ লাগবে মনে করেন তিনি। 

ঠিকাদার আব্দুর রশিদ জানান, পূর্ব দিকের ব্রীজের মুখ থেকে টিবাঁধ পর্যন্ত ব্লক ও এইচবিবি কাজের জন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ২৯৫ ফিট সড়কে বালু ভরাট ও এইচবিবির জন্য ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ।  দুপাশে ভিজে মাটি ও নিম্মমানের খোয়া দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দুপাশে কাজের কোন বরাদ্দ নেই, ইচ্ছে করে করা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার আমি কাজ করতে চায়নি। কারন বরাদ্দ আগের আর এখন সবকিছুর দাম বাড়তি, কর্তৃপক্ষের অনুরোধে কাজ করা হচ্ছে। শেষ করতে পারলে জানে বাঁচা যায়।উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, সংযোগ সড়ক যত বসবে বা দেবে যাবে ততই ভালো, তাহলে টিকসই হবে। তারপরও কাজের স্থানে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্লক দেওয়ার জন্য সড়কের নিচ থেকে মাটি কাটা ও পুরাতন ব্লক দেওয়া হচ্ছে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন পুরাতন ব্লক ব্যবহার করা যাবে না। কাজ শেষে অনিয়ম হলে বিল দেওয়া হবেনা।প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের রাজশাহী  পত্রিকায় ব্রীজ সংযোগ সড়কের কাজ চলমান অবস্থায় দেবে গেছে শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপরেই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। 

আরও খবর



ঘূর্ণিঝড়ের রাতে জন্ম, নবজাতকের নাম রাখা হলো ‘মোখা’

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে কক্সবাজারের পেকুয়া আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর কোলে জন্ম নেওয়া নবজাতকের নাম রাখা হলো ‘মোখা’। শিশুটির পুরো নাম মোকাম্মেল হোসেন মোখা।

মোখার বাবা-মা হলেন, পেকুয়া উপজেলার রাজখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বামুলা পাড়ার মো. আরকান ও জয়নব বেগম।

গতকাল শনিবার রাতে পেকুয়া আশ্রয়কেন্দ্রে ওই নারী (অন্তঃসত্ত্বা) প্রসব বেদনায় কাতরাতে শুরু করেন। পরে আশ্রয়কেন্দ্রের নিচে গাড়ি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তার স্বামী আরকান। কিন্তু মধ্যরাতে তিনি কোনো গাড়ি পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন। এরপর আশ্রয়কেন্দ্রটির পর্যবেক্ষণে থাকা পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর হায়দার নিজের সরকারি গাড়িতে করে জয়নব বেগমকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই দুর্যোগের মধ্যেই পৃথিবীর আলো দেখে ছোট্ট শিশু মোখা।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের খোঁজ-খবর নিচ্ছিলাম। এসময় একটি খবর আসে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন। পরে আমাদের গাড়িতে করে তকে সুস্থভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তারপর সেখানেই শিশুটির জন্ম হয়। আমাদের উপস্থিতিতে শিশুটির পরিবার মোকাম্মেল হোসেন মোখা নামকরণ করে।’


আরও খবর



চতুর্থ অবস্থানে ঢাকা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু নিয়ে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকার বায়ুর মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান চতুর্থ।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় ১৯৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৭৪ নিয়ে দ্বিতীয় চীনের শেনিয়াং। তৃতীয় স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার স্কোর ১৬০ এবং পঞ্চম স্থানে থাকানেপালের কাঠমান্ডুর স্কোর ১৫৩।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।


আরও খবর



নবীনগরে ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের আত্মীয়ের ড্রেজার ও ভেকু মেশিন জব্দ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের টানচারা আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রামের পাশে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ও ভেকু দিয়ে ফসলি জমি ও সরকারি খাল থেকে মাটি উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগে রাতের আধাঁরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করা সহ মাটি খেকুদের জেল জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী  অফিসার একরামুল ছিদ্দিক।  

১৬ মে মঙ্গলবার  বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুসারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে ০৪ (চার) জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এঅভিযান পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন  নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার সহ থানা প্রশাসনের সঙ্গীয় ফোর্স  ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারিগণ।এসময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের নির্দেশে কাজ করার কথা স্বীকার করা তার চাচাতো ভাই ঐ ইউনিয়ন বাশারুক গ্রামের আব্দুর রহমানের  ০৪ টি ড্রেজার, বিপুল সংখ্যক পাইপ ও সরঞ্জামাদি  এবং লাউরফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ভাগিনা পরিচয় দেয়া মুরাদনগর উপজেলার গাঙ্গেরকোট গ্রামের মোমেনের ০২ টি এক্সকাভেটর মেশিন জব্দ করা হয়।

উল্লেখ্য ১৫ মে সোমবার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সরকারি খালের মাটি অর্ধকোটি টাকা অন্যত্রে বিক্রির অভিযোগে এলাকাবাসী ও মাটি খেকুদের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়া সহ স্থানীয় ওয়াড মেম্বার ও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

এবিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক জানান, ফসলি জমি ও সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার ও ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করা সহ ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। কৃষিজমি ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষার্থে এধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর