Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নওগাঁয় বন্যায় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন: ভোগান্তিতে হাজার হাজার পরিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা,নওগাঁ:নওগাঁয় আত্রাই নদের বেশ কয়েক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে বন্যার পানিতে চালিয়ে গেছে বাড়িঘর, ফসলেরখেতসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার পানিবন্দি পরিবার। বর্তমানে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। তাই বন্যা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশংকা করা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় এখন হাহাকার বিরাজ করছে। বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত।সরকারি কোন সহায়তা পৌঁছেনি।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার মান্দা উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও অতিবৃষ্টির ফলে ভয়াবহ বন্যায় আত্রাই নদীর উভয়তীরের চার স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত দুই হাজার পরিবার। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এসব স্থানে ভেঙে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে। ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে দেড় হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের খেত। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। বর্তমানে রাত জেগে কাটছে নদের দু'পাড়ের  মানুষের জীবন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ নদীর পানি বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশকিছু এলাকা চরম ঝঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষরা। এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মেরামতের একটানা কাজ করছে শ্রমিকেরা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় এসব কাজ বাস্তবায়ন করছেন উপজেলা প্রশাসন।

বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম। এ ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৬শ পরিবার এবং রানী নদীর (ফকিন্নি) তীরবর্তী এলাকায় আরও অন্তত ৭শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭শ পরিবার। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের প্রধান নালা (মাস্টার ড্রেন) দিয়ে বন্যার পানি (প্রসাদপুর বাজারে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পূর্ব দিক) প্রসাদপুর বাজারে ঢুকে পড়েছে। এতে বাজারে বসবাসকারী লোকজন পানিবন্দি হয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া বাজারে আসা  ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। 

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সকাল থেকে আত্রাই নদে পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ নদীর পানি বেড়ে এখন বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত এ নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে।  

নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী প্রামানিক বলেন, আত্রাই নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের প্রায় ১ হাজার ৩শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেক কাচাঘর ভেঙে গেছে।  পুকুরের লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।  বর্তমানে এসব গ্রামের পানিবন্দি মানুষ সীমাহীন  দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। জরুরি ভিত্তিতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। তাছাড়া চিকিৎসার জন্য টিম গঠন করে এখন থেকেই ডায়রিয়া প্রতিরোধে কাজ শুরু করতে হবে।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু  বন্যার বিষয়ে বলেন, ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে বলেও তিনি আরো জানান।অপর দিকে মহাদেবপুরে বন্যায় অত্রাই নদের বেরিবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেরিবাঁধ এলাকার কয়েকশ’ একর জমির ফসল, কলাবাগান, মন্দির পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ভেঁসে গেছে কয়েকটি পুকুরের লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রঞ্জনীতলা প্রহ্বল্লাদের বাড়ির কাছে এই ভাঙ্গন দেখা দেয়। দ্রুত এটি ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ১৫ থেকে ২০ ফুট বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এই ভাঙ্গনের ফলে নদীর মেইন বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এই ভাঙ্গা স্থান দ্রুত মেরামত করা না হলে মেইন বাঁধও ভেঙ্গে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলা কমপ্লেক্সের পিছনে পশ্চিম দিকে রেইনট্রি তলা থেকে দোহালী পর্যন্ত এক কিলোমিটার দীর্ঘ আত্রাই নদীর পূর্বপাড়ের এই বেরিবাঁধ স্থানে স্থানে ভেঙ্গে যানচলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছিল। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব আধা ভাঙ্গা স্থান দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ  (চোঁয়াতে) করতে থাকে। ফলে আজ বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এ এলাকার ইটভাটা মালিক হুমায়ুন কবির জানান, বাঁধ ভেঙ্গে নদীর পানি দ্রুত এলাকায় ঢুকলে তার তিনটি পুকুর উপচে যায়। এতে তার চাষ করা লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। এ ছাড়া বিশাল এলাকাজুড়ে কলার বাগান পানিতে ডুবে গেছে। সেখানকার মন্দিরের পুরোহিত সঞ্জিত কুমার জানান, বাঁধ ভাঙ্গা পানিতে মন্দির পুরো পানির নিচে তলিয়ে গেছে।জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান জানান, মহাদেবপুর পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। তবে তারা শুধুমাত্র মেইন বাঁধের  রক্ষণাবেক্ষণ (মেইনটেনেন্স) করে থাকেন। বেরিবাঁধগুলো দেখার দায়িত্ব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানের। মহাদেবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুলতান হোসেন বাঁধ ভাঙ্গার কথা স্বীকার করে জানান, বাঁধটা এমনিতেই বড় আকারে ভেঙ্গেছে। কিন্তু এ মুহুর্তে তাদের আর কিছু করার নেই।সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল জানান, বাঁধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে সাথে সাথেই তিনি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত এখানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গা স্থান মেরামতের ব্যবস্থা করবেন।খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  কামরুল হাসান সোহাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি দ্রুত এই ভাঙ্গা স্থান দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।এনায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিঞা জানান, তার এলাকায় আত্রাই নদীর পূর্বপাড়ের কয়েক কিলোমিটার এলাকা মারাত্মক ঝুকির মধ্যে রয়েছে। গ্রাম পুলিশ ও মেম্বাররা সার্বক্ষণিক বাঁধ পাহাড়া দিচ্ছেন। ছোট খাট ভাঙ্গা স্থানে মাটি ফেলে মেরামত করছেন। 


আরও খবর



জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ পরামর্শ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :জলবায়ু বাস্তুচ্যুতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভবিষ্যত মানব সঙ্কটের মুখোমুখী হওয়া থেকে তাদের রক্ষায় মানব গতিশীলতার পাঁচটি বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া দরকার। বেশিরভাগ জলবায়ু স্থানচ্যুতি জাতীয় সীমানার মধ্যে এবং কিছু ভয়ানক পরিস্থিতিতে সীমান্তের ওপারে ঘটে। এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে মানবিক সংকটে পরিণত না হয় সে জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সংহতি প্রয়োজন। এসময় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের চলাফেরায় যে প্রভাব পড়ছে তা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি পরামর্শও দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর সদর দফতরে তিন দিনব্যাপী ১১৪তম অধিবেশনে ‘মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব: সমাধানের জন্য বৈশ্বিক আহ্বান’ শীর্ষক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা বাস্তুচ্যুত বা আটকে পড়েছেন তাদের মৌলিক পরিষেবা, সামাজিক সুরক্ষা এবং জীবিকার বিকল্পগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকা দরকার। তাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের ওপর বিরূপ প্রভাবগুলোও একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক পদ্ধতিতে মোকাবিলা করা দরকার।

তিনি বলেন, এটি অনুমান করা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তন ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২১৬ মিলিয়ন লোককে বাস্তুচ্যুত করতে পারে, এর মধ্যে ৪০ মিলিয়ন একক ভাবে দক্ষিণ এশিয়ার। বাংলাদেশে আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, ঘন ঘন বন্যা এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড় তাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এই ধরনের স্থানচ্যুতি আমরা যা ভাবি তার চেয়ে দ্রুত গতিতে ঘটছে বলে সতর্ক করেন তিনি ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এখন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আগত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করছে। এই লোকেদের মধ্যে কিছু লোক পাচার নেটওয়ার্কের শিকার হয়, যার সাথে সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। এই ধরনের মিশ্র অভিবাসন প্রবাহ জলবায়ু গতিশীলতার সমস্যাটিকে আরও বেশি সমস্যাযুক্ত করে তোলে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আন্তর্জাতিক আলোচ্যসূচিতে উচ্চ স্থান দেওয়া উচিত। বাংলাদেশ বিষয়টির কার্যকর সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে আইওএম এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে একত্রে কাজ করছে।

তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত বোধ করছি যে অনেক ছোট দ্বীপের উন্নয়নশীল দেশগুলোও এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা সন্তুষ্ট যে কপ-২৮, জিএফএমডি, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম এটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকার সম্পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করেছে। আমার অগ্রাধিকার ভিত্তিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুত ৪,৪০০ পরিবারকে নিরাপদ আবাসন প্রদানের জন্য আমরা কক্সবাজারে ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করছি।

তিনি আরও বলেন, এই বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্পটি স্থানীয় মাছ ধরা, পর্যটন এবং বায়ু শক্তি কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের চলাফেরায় যে প্রভাব পড়ছে তা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে-

প্রথমত, আমাদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্টের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অধিকার-ভিত্তিক পদ্ধতিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, জলবায়ু অভিবাসীদের অভিঘাত এবং ক্ষতির প্রসঙ্গে-নির্দিষ্ট সমাধান খুঁজে বের করার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার আলোকে আমাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে।

তৃতীয়ত, অভিবাসনকে জলবায়ু অভিযোজন কৌশল হিসাবে দেখার জন্য আমাদের স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রস্তুত হতে হবে যেখানে এটি সর্বোত্তম সম্ভাব্য সমাধান হিসাবে প্রমাণিত হবে।

চতুর্থত, জলবায়ু অভিবাসী, বিশেষ করে নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মান পর্যালোচনা করতে হবে।

এবং পঞ্চমত, সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনার উর্ধ্বে এটির জন্য একটি গঠনমূলক অবস্থান তৈরিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিষয়ে আমাদের উন্নত গবেষণা ডেটা এবং প্রমাণের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা উচিত।


আরও খবর



গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :আজ ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের এ দিনে পতন ঘটে তৎকালীন স্বৈরশাসকের।

এ দিন তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

এ আন্দোলনে প্রাণ হারান নূর হোসেন, সেলিম, দেলোয়ার, তাজুল, ডা. মিলন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ অনেকে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বলেন, ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরাচার বিরোধী অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। জনগণ ফিরে পায় ভোটাধিকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সবসময় গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ’৯০ পরবর্তী সময় থেকে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে।

স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্র এখনও বিভিন্নভাবে গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দিব না- গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে এই হোক আমাদের সুদৃঢ় প্রত্যয়।

সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, সকলে মিলে গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করি। এবং দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।


আরও খবর



ইসরায়েল কারাবন্দি ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :হামাস সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির শর্ত ছিল, প্রথমদিন হামাস ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে। 

মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল ৩৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে ২৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এরমধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি নারী ও শিশু , ১০ জন থাই ও একজন ফিলিপিনো নাগরিক।

ইসরায়েল জানিয়েছে, যেসব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজন সৈন্যদের হত্যাচেষ্টার দায়ে আটক হয়েছিলেন। আর যেসব শিশুকে ছাড়া হয়েছে তাদের সৈন্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার মতো ছোট অপরাধের কারণে আটকে রাখা হয়েছিল।

চুক্তি অনুযায়ী, চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে মোট ৫০ জন জিম্মি এবং ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে ইসরায়েল বলছে, হামাসের প্রতি ১০ জন করে জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ১ দিন করে যুদ্ধবিরতি বাড়াবে ইসরায়েল।

খবর-আল জাজিরার।


আরও খবর

ভারতের বিভিন্ন অংশে ভূমিকম্প

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




১০ জেলায় রাতে আঘাত হানবে ঝড়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উপকূলে আঘাত হেনে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে উত্তাল রয়েছে সাগর। এ অবস্থায় দেশের ১০ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস। এ অবস্থায় এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা রোববার (১৯ নভেম্বর) পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



বিএনপি-জামায়াতের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে বিএনপি-জামায়াত এবং সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা পঞ্চম দফার। বুধবার (১৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকেই শুরু হয় অবরোধ। তবে ভোর থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোতে যানচলাচল করতে দেখা গেছে।

এছাড়া রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে। বুধবার ভোর ৬টায় শুরু হওয়া অবরোধ চলবে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত।

এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য করতে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি-সমমনা দলগুলো।

রিজভী বলেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। এটি হবে আমাদের অবরোধ কর্মসূচির পঞ্চম ধাপ। গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রের গাড়ি, জরুরি সেবায় নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী গাড়ি অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে মহাসমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে অভিযোগ এনে বিএনপি ও সমমনাদের পক্ষ থেকে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকা হয়। এরপর চার দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।


আরও খবর