Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নিউইয়র্কে জেমসের কারণে দেখা দিল যানজট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৮৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকার আমাজুরা হলে গত রোববার অনুষ্ঠিত হয় নগর বাউল’খ্যাত জেমসের কনসার্ট। আর সেই কনসার্টের জন্য নিউইয়র্কের রাস্তায় দেখা দেয় যানজট! এমনকি চাপ সামলাতে পুলিশ, সিরিউরিটিকেও হিমশিম খেতে হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিষয়টি জানিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি।

তার কথায়, ‘আমার দেশের কোনো শিল্পীর আগমনে যখন বিদেশের মাটিতে ট্র্যাফিক জ্যাম তৈরি হয়। পুলিশ সিরিউরিটিকে হিমশিম খেতে হয়, ভিড় সামলাতে তাদের নাজেহাল হতে হয়, তখন তা ছিল আমার কাছে অবিশ্বাস্য। রোববার নিউইয়র্কে হয়ে গেল নগরবাউল জেমসের শো। জ্যামাইকার অ্যামাজুরা হলের পুরো এলাকা যেন হয়ে উঠেছিল একটা জেমসময় বাংলাদেশ। মানুষের দীর্ঘ লাইন আর গাড়ির ভিড় সামলাতে ব্যস্ত ছিল নিউইয়র্ক সিকিউরিটি।

কনসার্টে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগেও আমি স্বপ্ন দেখতাম অন্য দেশের শিল্পীদের মতো আমাদের দেশের কোনো শিল্পী যদি এভাবে সবাইকে অবাক করে দিতে পারত! রোববার ছিল সেই দিন। আমি গর্বিত আমাদের একজন জেমস আছে, আমি গর্বিত আমাদের জেমসকে ভালোবেসে মানুষের স্রোতে নিউইয়র্কের একটি এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছিল। কাল এই আনন্দে চোখে পানিও চলে এসেছে। একেই বলে আমার দেশ, আমার গান, আমাদের গর্ব আর জেমস। জেমস ভাই আপনি আমাদের অহংকার।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান শো টাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম জানান, প্রায় পাঁচ বছর পর নিউইয়র্ক মাতাতে আসেন জেমস। তাই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে এই কনসার্টে দর্শক এসেছে। বিপুল দর্শকের কারণে তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




যামিনীপাড়া বিজিবি জোনের উদ্যােগে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:সীমান্ত সূরক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) এর উদ্যােগে জোনের আওতায় হতদরিদ্র,  দুস্থ, অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ)  মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) জোনের এর আওতায় হতদরিদ্র,  দুস্থ, অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী তুলেদেন যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) এর জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আলমগীর কবির, পিএসসি।

যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) এর জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আলমগীর কবির, পিএসসি বলেন,পার্বত্য এলাকায় স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে।যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরণের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে। এ বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি আয়োজন না করার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, যাদের ইফতার পার্টি করার আগ্রহ ও সাধ্য আছে তারা যেন সেই ইফতার পার্টির টাকা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি'র সকল রিজিয়িন, সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় যামিনী পাড়া বিজিবি জোনের আওতায় ১১৫ জনকে ইফতার ও শুকনা রসদ (চাল, ডাল, চিনি, সেমাই) বিতরণ করা হয়।

আরও খবর



দড়িচর ছাত্র ও সমাজকল্যাণ সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:কুমিল্লার হোমনায় দড়িচর ছাত্র ও সমাজ কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সংগঠনের সকল সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সংগঠনের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-মহা পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মাহবুব আলম (বিপিএম বার, পিপিএম)। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব এসএম নজরুল ইসলাম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অর্থ ও প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক উপ-সচিব মো. মোজাম্মেল হক, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ক্ষোমালিকা চাকমা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন, ভারটেক্স বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ মো. জুনাইদ আনোয়ার, বিসিআইসি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মীর মো. মাসুদুজ্জামান, সাংবাদিক মোর্শেদুল ইসলাম শাজু, মো. মোরশিদ আলম ও মো. শফিকুল ইসলাম পলাশ। আরও ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান মুকুল ও মো. আবু হানিফ। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজেস’র ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ সেন্টারের অধ্যক্ষ মুনসুর হাসান খন্দকার। প্রধান অতিথি ডিআইজি মাহবুব আলম দড়িচর ছাত্র ও সমাজ কল্যাণ সংগঠনের উন্নয়নের লক্ষ্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান দেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রধান অতিথিকে সংগঠনের সম্মানসূচক আজীবন সদস্য পদে মনোনীত করা হয়।

শেষে অতিথিরা হোমনা পৌরসভা কার্যালয়ে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলামের আমন্ত্রণে সংক্ষিপ্ত চা-চক্রে মিলিত হয়ে পৌর ভবনের সামনে এক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রেজিস্টার্ড এ সংগঠনটি ইতোমধ্যে দড়িচর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল পরিচালনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ এক বছর প্রতি মাসে ১৫ হাজার টকা করে দান, প্রতি বছর ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে এলাকার ৩ শ থেকে সাড়ে ৩ শ’ দুঃস্থ ও দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান, ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে গ্রন্থাগার পরিচালনা, ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে ২৫০ গরীব ও অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা, বিধবা ও দরিদ্র মেয়েদের বিয়ে আয়োজনে নগদ অর্থ প্রদান, অসহায় পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাফনের ব্যবস্থা করে এলাকায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। এছাড়াও এ সংগঠনটি এলাকার যুবকদের খেলাধূলায় মনোযোগী করে শরীর ও সুস্বাস্থ্য গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছে। একটি নিজস্ব ফুটবল টিম গঠন করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অনেক পুরস্কার লাভ করেছে।


আরও খবর



বিএম ইউসুফ-মোস্তফা হেলাল কবিরের ভয়াবহ প্রতারণা ধ্বংসের পথে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সে

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার :ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম ইউসুফ আলী ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কোম্পানি সচিব মোস্তফা হেলাল কবির সিন্ডিকেটের নজিরবিহীন অনিয়ম, দুর্নীতি আর প্রতারণায় ডুবতে বসেছে বেসরকারিখাতের জীবন বিমা কোম্পানি পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এমডির অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কবলে পড়ে এক সময়ের জনপ্রিয় এবং ব্যবসা সফল এই বিমা কোম্পানিটি এখন ধুকছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম ইউসুফ আলী ও কোম্পানি সচিব মাস্তফা হেলাল কবিরের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। ২০২১ সালের শুরুর দিকে তৎকালীন চেয়ারম্যান ও পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স এর উদ্যোক্তা পরিচালক হাসান আহমেদকে অবৈধভাবে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বিএম ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে।

পরিচালনা পর্ষদ সভায় ষড়যন্ত্র করে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে একটানা ১৩ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা হাসান আহমেদকে সরিয়ে দেয় বিএম ইউসুফ আলী সিন্ডিকেট। এমডির অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অভিযোগও দিয়েছিলেন হাসান আহমেদ। বিএসইসিতে অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি আদালতেরও দ্বারস্থ হয়ে কোনও কাজ হয়নি। উল্টো বিএম ইউসুফ আলী ও মোস্তফা হেলাল কবির নানা ধরনের মামলা-হামলা, হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন হাসান আহমেদ ও তার পরিবারকে । বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে হাসান আহমেদের অর্থ সম্পদ লুটপাট করে। অসুস্থতা ও কোম্পানি কর্মকর্তাদের বিশ্বাস ঘাতকতার মানষিক নির্যাতনের ধকল সইতে না পেরে হাসান আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিজের, পরিবারের ও কষ্টের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন হাসান আহমেদ। দুর্ভাগ্য তাদের  বিচার দেখে যেতে পারেননি। 
 
হাসান আহমেদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী-সন্তানকে বঞ্চিত করার নতুন খেলায় মেতে উঠেছেন বিএম ইউসুফ আলী ও মোস্তফা হেলাল কবির সিনডিকেট হাসান আহমেদের বাক প্রতিবন্ধী ভাই কবির আহমেদকে ফুঁসলিয়ে বিএম ইউসুফের ভাই বিএম শওকতসহ অন্যান্যরা মিলে হাসান পরিবারের সমস্ত সম্পত্তি আত্মাসাতের চক্রান্ত করছে। তার অংশ হিসেবে হাসান আহমেদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আবার হাসান আহমেদের স্বাক্ষর জাল করে প্রায় ২৬ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেছেন বিএম ইউসুফ আলী ও মোস্তফা হেলাল কবির সিন্ডিকেট। এ বিষয়ে পপুলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আহমেদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস চিফ মেট্রো পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে একটি মামলাও করেছেন। যার নং ৩১৮/২০২১। মামলাটি এখন বিচারাধীন। এছাড়াও হাসান আহমেদের মৃত্যুর পর পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার ধেকে জান্নাতুল ফেরদৌসকে বঞ্চিত করার পাশপাশি নানাভাবে হয়রানি করছেন বিএম ইউসুফ। ফলে স্বামীর মৃত্যুর পর তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। পপুলার লাইফে নিজের অধিকার ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি বিএম ইউসুফ গংদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন জাজান্নাতুল ফেরদৌস।
এদিকে বিএম ইউসুফ আলীর সংশ্লিষ্টতার পর থেকেই বিতর্ক তালিকায় বারবার নাম ওঠে এসেছে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের। বিমাখাতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ বিধিমালায় কোনো ইন্সুরেন্স কোম্পানির সিইও বা অন্য নির্বাহী কর্মকর্তারা একইসঙ্গে অন্য কোন কোম্পানির পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনায় থাকতে পারবেন না। এমন বিধান থাকলেও তা মানেনি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) প্রেসিডেন্ট বিএম ইউসুফ আলী এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোস্তফা হেলাল কবির। তারা উভয়েই এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্সের পর্ষদে রয়েছেন। বিষয়টি জানার পরও এ নিয়ে দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে ২০১৬ সালে দুদকের তদন্তে ওঠে আসে পপুলার লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বি এম ইউসুফ আলী ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্যবস্থাপনা খরচ দেখিয়ে ২৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা নিজেরা ভাগ করে নিয়েছেন। তবে রহস্যজনক কারনে সেই অনুসন্ধান বিষয়ে পরবর্তীতে আর কিছু জানা যায়নি।

দীর্ঘদিন ধরে পপুলার লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদ আগলে রাখা বিএম ইউসুফ আলী এক সময় ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর সক্রিয় কর্মী। ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট পরিস্থিতি বুঝে সুযোগসন্ধানী বিএম ইউসুফ ঢাকঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল তার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পত্তিকে বৈধতা প্রদান ও পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি দখলের নীল নকশা বাস্তবায়ন করা। পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স বিএম ইউসুফ আলীকে যে হাসান আহমেদ চাকরী দিয়েছিলেন, সেই হাসান আহমেদকেই প্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ইউসুফ আলী। গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। হাসান আহমেদ মৃত্যুর আগে তার ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করে গিয়েছিলেন ইউসুফ আলী পপুলার লাইফের গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। দেশে বিদেশে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন অজস্র সম্পদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পপুলার লাইফের একটি সূত্র জানায় দরিদ্র পরিবারের সন্তান ইউসুফ আলী গত দুই দশকে অভিজাত বনে গেছেন। চাকরীর টাকায় এমন উত্থান একেবারেই অসম্ভব। সবই এসেছে পপুলার লাইফে করা দুর্নীতি থেকে। সূত্র মতে বিএম ইউসুফ আলীর সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে বাড়ি নং ৬, রোড নং -৪, সেকশন ১১, মিরপুর, পল্লবী ঢাকার বাড়ি, রোড নং -১০/এ , বাড়ি নং ৫১/এ ধানমন্ডির বাড়ি, নারায়ণগঞ্জ গাউছিয়ায় নূর ম্যানশনে নিজের নামে বাড়ি, আমেরিকার বাফেলোতে দুটি বাড়ি ও দুটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় প্রায় ৩০ টির বেশি ফ্ল্যাট। একইভাবে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সচিব মোস্তফা হেলাল কবির। পরিজাত ভিলা, কে এম দাস লেন রোড, ১৩/ক/১/৬, টিকাটুলী ওয়ারী ঢাকার ১০ তলা বাড়ি, বেনামে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার, বাফেলোতো বিএম ইউসুফের সঙ্গে অংশীদারিত্বে বাড়ি ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। ইতিমধ্যে বিএম ইউসুফ আলী ও মোস্তফা হেলাল কবিরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে বাংলাদেশ ফিনানশিয়াল ইনটিলিজেন্স ইউনিট বিএফআইইউ। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গতকাল বিএম ইউসুফ আলী ও মোস্তফা হেলাল কবিরকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও কোন রেসপন্স পাওয়া জায়নী।

আরও খবর



জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে,শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায়।

এর আগে আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন তারা। সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূস আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন চান তিনি। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সকালের দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ ৪ জন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। ওইদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চেয়ে আপিল করেন তিনি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় দেয়া বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।


আরও খবর



২৩ নাবিককে যেভাবে দেশে আনা হবে, জানাল কেএসআরএম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এমভি আব্দুল্লাহ সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছাতে পারে ২২ এপ্রিল।

গন্তব্যে পৌঁছাতে জাহাজটিকে নিরাপত্তা দিচ্ছে ইউরোপিয়ান নেভি। সেখানে পৌঁছে ২১ নাবিক জাহাজে করে নৌপথেই দেশে ফিরতে চান। বাকি ২ জন আসতে চান উড়োজাহাজে। তবে কেএসআরএম গ্রুপ বলছে, বাংলাদেশগামী ভাড়া জাহাজ পাওয়া না গেলে সব নাবিককে বিমানে করেই ফেরত আনা হবে।

বর্তমানে আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরের পথে রয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটিকে এখন পাহারা দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান নেভির দুটি জাহাজ। প্রথমে ১৯ এপ্রিল জাহাজটি হামরিয়ায় পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে, ইইউ নেভির সঙ্গে সমন্বয় করতে কিছু বাড়তি সময়ের কারণে সেটি পৌঁছাতে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

কেএসআরএম গ্রুপ জানিয়েছে, ২৩ নাবিকের মধ্যে ২ জন আসতে চান উড়োজাহাজে। বাকি ২১ জনই আব্দুল্লাহতে করেই দেশে ফিরতে আগ্রহী। সেক্ষেত্রে দুবাই থেকে যদি বাংলাদেশগামী পণ্য পাওয়া না যায় তাহলে সব নাবিককেই উড়োজাহাজে করে দেশে আনা হবে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নাবিকদের দেশে আনতে ভালো ভূমিকা রাখছে জাহাজটির মালিকপক্ষ। গতকাল তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছে, নাবিকরা যদি চান তাহলে বিমানযোগে তাদের দেশে আনা হবে। এছাড়া জাহাজে সেসব নাবিকের স্থলাভিষিক্ত হবেন কারা, তা নিয়েও কাজ করছে মালিকপক্ষ।

কবির গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম বলেন, জাহাজ যদি চিটাগাং বন্দরে আসে, তাহলে ২১ নাবিকই তাতে আসতে চান। আর বাকি ২ জন বিমানে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে। তবে, যেভাবেই আনা হোক না কেন, তাদের আর লম্বা সময়ের জন্য জাহাজে পাঠানো হবে না।

আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর নড়েচড়ে বসেছে কবির গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির সব জাহাজকে আনা হচ্ছে নতুন নিরাপত্তা বলয়ে। ইতোমধ্যে আব্দুল্লাহকে নেওয়া হয়েছে গার্ডিয়ান নামে ১টি সার্ভিলেন্স ব্যবস্থার আওতায়।

কবির গ্রুপের ডিএমডি মো. করিম উদ্দীন বলেন, যেদিকে সুবিধা পাওয়া যাবে সেদিকেই যেতে হবে। আমরা নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছি। সেটা আরও কঠোর করা হবে।

উল্লেখ্য, কবির গ্রুপের সমুদ্রগামী জাহাজ রয়েছে ২৩টি। আর বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা প্রায় ১০০।


আরও খবর