Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নিউইয়র্কে গোলাপের ৯ বাড়ির অনুসন্ধান চেয়ে ব্যারিস্টার সুমনের রিট

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুস সোবহান গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে ৯টি বাড়ি কিনেছেন কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আজ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, এনবিআরের চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।

রিটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. আবদুস সোবহান মিয়ার (গোলাপ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার বাড়ি কেনার বিষয়ে প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বা ওসিসিআরপি’র ওয়েবসাইটে করা একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মো. আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৪ সালে প্রথম নিউইয়র্কে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন। ওই বছর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় একটি সুউচ্চ ভবনে অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন তিনি।

পরের পাঁচ বছরে নিউইয়র্কে একে একে মোট ৯টি প্রপার্টি বা সম্পত্তির (ফ্ল্যাট বা বাড়ি) মালিক হন মো. আবদুস সোবহান মিয়া। এসব সম্পত্তির মূল্য ৪০ লাখ ডলারের বেশি (ডলারের বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী প্রায় ৪২ কোটি টাকা)। বিষয়টি নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেননি বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, মো. আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সস্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ পান। তিনি দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন।


আরও খবর



৭ প্রতিমন্ত্রী: কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন প্রতিমন্ত্রীদের শপথ পড়ান। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে তারা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, পরে গোপনীয়তার শপথ নেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান মন্ত্রিসভায় নতুন যুক্ত হওয়া ৭ জন প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নতুন মন্ত্রিসভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন মো. আব্দুল ওয়াদুদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বেগম রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বেগম শামসুন নাহার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বেগম নাহিদ ইজাহার খান।

এর আগে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়- এ ছয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজের কাছে রেখেছিলেন।

তবে নতুন ৭ প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়- এ চার মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজের কাছে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।এর আগে, শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে নতুন ৭ জনকে প্রতিমন্ত্রী করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী বাদে পূর্ণ মন্ত্রী রয়েছেন ২৫ জন। নতুন সাতজনসহ প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ জনে। তবে এই মন্ত্রিসভায় কোনো উপমন্ত্রী নেই।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে স্বর্ণ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ এক ছিনতাইকারি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে স্বর্ন ব্যবসায়ীকে মারপিট করে ১৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ আড়াই লাখ টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় শেখ তাজুল ইসলাম শাহিন (৪৫) নামের এক ছিনতাইকারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যাবহৃত নম্বরবিহীন বাজাজ-প্লাটিনা নামের একটি  মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। রবিবার (০৩ মার্চ) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এর আগে শনিবার (০২ মার্চ) রাতে উপজেলার খাউলিয়া এলাকা থেকে শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ছিনতাই হওয়া স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেপ্তার শেখ তাজুল ইসলাম শাহিন উপজেলার খাউলিয়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদের ছেলে। সে স্থানীয় চৌধুরী এন্ড খান সিকে ইটভাটার মার্কেটিং ম্যানেজার পদে চাকুরি করেন। ২০১৬ সালে ৫ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. আবু হানিফকে (৩৮) হত্যা করে পুড়িয়ে আলামত নষ্ট করার চেষ্টা মামলারও চার্জশিটভূক্ত আসামি তিনি।

মোরেলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মিঠুন খান বলেন, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হলে, তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে আদালত। গ্রেপ্তার আসামীর  ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে, সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য করেছে আদালত। এছাড়া স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯ টার দিকে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার সেরেস্তাদারবাড়ি এলাকা থেকে নিলয় জুয়েলার্সের মালিক মিলন কর্মকারকে ছিনতাইকারীরা মারপিট করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ ব্যাগ ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। ঘটনার পর থেকে ১৬০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ দুই লক্ষ টাকা খোয়া যাওয়ার কথা উল্লেখ করলেও, ঘটনার  ৪ দিন পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি ৮০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই হয়েছে দাবি করে মামলা দায়ের করেন নিলয় জুয়েলার্সের মালিক মিলন কর্মকার।


আরও খবর



হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন,মোকামগুলোতে সকালে বাড়ছে তা আবার বিকেলে কমছে পেঁয়াজের দাম।

আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে বাংলহিলি পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগেও যে দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা থেকে ১০৫ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা জুয়েল বলেন,দুই দিন আগে আমি পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি দরে। আজকে আধা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৪৫ টাকা দিয়ে। হিলি বাজরের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন জানান,দুই দিন আগে পাইকারী বাজার থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৯৪-৯৫ টাকা দরে কিনে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ মঙ্গলবার সকালে পাইকারী বাজার থেকে ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা দরে কিনে খুচরা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।

তিনি আরও বলেন,আমরা চার দিন আগে মোকামে সকালে এক দামে কিনলে বিকেলে মোকামে আরেক দাম ওঠে। এভাবে দাম ওঠা নামা করলে আমরা পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা পড়ে যাই বিপাকে। মোকামেই এভাবে পেঁয়াজের দাম ওঠা নামা করায় কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা আমাদের লোকসান গুনতে হয়। আমরা স্থানীয় পাইকারী বাজারে চার দিন আগে যে পেঁয়াজ কিনেছি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ আমরা খুচরা পর্যায়ে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। চার দিন আগে কিনা পেঁয়াজেই এখনো বিক্রি করে শেষ করতে পারিনি। গত রোববার থেকে মোকামে দাম কমায় আমাদের আগের কিনা পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে।

হিলি বাজারের পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন,বর্তমানে মোকামে প্রকারভেদে ২৮ থেকে ৩৬ শত টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। মোকামেই ২৮ থেকে ৩৬ শত টাকা মন কিনে আবার পরিবহন ভাড়া আছে। সব খরচ মিলে মোকামেই কিনতে পড়ছে কেজিপ্রতি ৯৩ টাকা ৫০ পয়সা।


আরও খবর



এস আলম চিনি মিলে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভয়াবহ আগুন লেগেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম চিনি মিলে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

সেমাবার (৪ মার্চ) বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর এলাকার চিনি মিলটির গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কর্ণফুলী, আনোয়ারা ফায়ার স্টেশন আগুন নির্বাপণে কাজ করেছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের ৫ম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি স্টেশনের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

বাতাস থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছে,কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে আছে, বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



চাঁদপুর প্রেসক্লাবের জমকালো অভিষেক অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার:জমকালো আয়োজনে অভিষিক্ত হলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যকরী কমিটির নবনির্বাচিত কর্মকর্তাবৃন্দ। সেই সাথে অভিষিক্ত করা হয় সংবর্ধিত অতিথিদের।

আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের অগ্নিঝরা মার্চ মাস শুরুর প্রথম দিন গতকাল শুক্রবার বিকালে (১ মার্চ) এ উপলক্ষে এক বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে। সুপরিসর প্যান্ডেলে বিকাল ৩টার দিকে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, জাতীয় সংগীত ও প্রেসক্লাবের থিম সং পরিবেশনের মধ্যদিয়ে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা ছাড়াও সংবর্ধনা পর্ব, বিশেষ সম্মাননা প্রদান আয়োজন ছিলো দারুণ উপভোগ্য।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যকরী কমিটির অভিষেক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দ এবং সংবর্ধিত অতিথিদের উত্তরীয় পড়িয়ে, ক্রেস্ট প্রদান ও বই উপহার তুলেন দেন প্রধান অতিথি।অনুষ্ঠানের শুরুতে চাঁদপুরের তিন কৃতী সন্তান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার এবং ৬বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার ও সাংবাদিক কবির বকুলকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল, জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বশির আহমেদ, পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল ও দৈনিক যুগান্তরের যুগ্ম-সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার।

সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার ও ৬ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার ও সাংবাদিক কবির বকুল।প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রোটা. মাহবুবুর রহমান সুমন ও সাবেক সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ‘র যৌথ পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা।

এসময় স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. মানোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকতসহ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সুধীজন, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, পেশাজীবী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ চাঁদপুর প্রেসক্লাব, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম ও ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সকল পর্যায়ের সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাংবাদিক, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিক্ষা ও চিকিৎসা পেশায় জড়িতরা অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, প্রেসক্লাব আমার খুব আপন জায়গা। ইত্তেফাক পত্রিকার প্রেসের মধ্যে দৌঁড়াদৌড়ি করে আমি বড় হয়েছি। ইত্তেফাক প্রতিষ্ঠার সঙ্গে আমার বাবা জড়িত ছিলেন দীর্ঘদিন কর্মদক্ষ হিসাবে কাজ করেছেন। আমার বাবা ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদকে দেশের মানুষ ইত্তেফাক এবং ছাত্রলীগ হিসেবেই চিনেন। এজন্য সাংবাদিকতার জায়গাটা আমার প্রাণের জায়গা। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাথে আমার সম্পর্কটা আরো বেশি নিবিড়। আমার রাজনীতি এবং জনপ্রতিনিধি হওয়ার সেই শুরু থেকে এখানকার সাংবাদিকদের সাথে আমার সম্পর্ক অটুট রয়েছে। আশা করি আগামী দিনও থাকবে ইন্ধসঢ়;শাআল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আমরা চাই বস্তুনিষ্ঠতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং ইতিবাচকতা। আমরা অনেক সময় নিরপেক্ষতার কথা বলে আমাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাই এবং কখনো কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে ফেলি। হত্যাকারী এবং যিনি হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে নিরপেক্ষতার কোন প্রশ্ন নেই। সেখানে প্রশ্নটা হল মুক্তিযুদ্ধ আর যুদ্ধাপরাধী, গণতন্ত্র আর স্বৈরাচারের মধ্যে। গণতন্ত্রহীনতা জনবিচ্ছিন্নতা অধিকার কেড়ে নেওয়া তারমধ্যে সেখানে কিন্তু নিরপেক্ষতার জায়গা নেই। সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতেই হবে।সেই কাজটি যেন আমরা নির্ভীকভাবে করতে পারি সাংবাদিকদের কাছে এটাই প্রত্যাশা।

মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতার পেশা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কোন পেশাই কোন কাজেই সততার সাথে করে যাওয়া সহজ নয়।সত্যের পথ সব সময়ই কঠিন। রবি ঠাকুরের কথা -সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম সে কখনো করে না বঞ্চনা। সেই বিশ্বাস নিয়ে এগুতে হয়। এই বোধ নিয়ে আমরা সত্যের পথে থাকবো। তিনি বলেন, অবশ্যই যোগ বদলাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

উদ্বোধকের বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি বলেন, গণমাধ্যম ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া এবং গণমাধ্যমের বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পায় না। এরকম বাস্তবতায় আমরা গণমাধ্যমকে সহায়তা দিতে সব সময় প্রস্তুত আছি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জায়গায় কোথাও কোনো সমস্যা তৈরি হোক এটা সরকার চায় না এবং হতে দেবে না। আমরা গণমাধ্যমকে সত্যের ভিত্তিতে দাঁড় করাতে চাই। এজন্য পারস্পরিক সহযোগিতা কামনা করছি।আরাফাত বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে যদি কোনো গোষ্ঠী অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে, সেটি গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের অপতৎপরতাকে জবাবদিহির আওতায় আনা নিশ্চিত করা হবে।

সরকার এটাও বিশ্বাস করে, যারা যুদ্ধাপরাধী, মুক্তযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গি, উগ্রবাদী তাদের একটা জায়গায় রেখে গণতন্ত্র কখনোই সফল হয় না। এজন্য সরকারের অবস্থান উগ্রবাদের বিপক্ষে, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের বিপক্ষে, মৌলবাদের বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে যারা তাদের বিপক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে, নির্বাচনের পক্ষে। সে জায়গায় গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, সরকার-সবার মধ্যে ঐকমত্য আছে। সরকার পরিচালনায় ভুল-ভ্রান্তি, বিচ্যুতি থাকলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা শুধরিয়ে নিব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুর আহসান বুলবুল বলেন, বেইলী রোডে অগ্নিকা-ের নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। স্যোসাল মিডিয়ার কারণে আমাদের সাংবাদিকতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। লড়াইয়ে একটি অস্ত্র হচ্ছে সঠিক তথ্য বের করে আনা। যত বেশি সঠিক তথ্য বের করে আনা যাবে, ততবেশি প্রশ্নবিদ্ধ থেকে বের হয়ে আসা যাবে। চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভালো কাজের স্বীকৃতি দেয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গণি পাটওয়ারী বলেন, আমাদের স্যোসাল মিডিয়াগুলোকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। চাঁদপুরের টিআইবিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত।

বিশেষ অতিথি বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানে এগিয়ে আছে চাঁদপুর। চাঁদপুরের ঘরে ঘরে ড. সেঁজুতি সাহা, কবির বকুল ও ইঞ্জি. দেলোয়ার হোসেনের জন্ম হবে বলে আমি মনে করি।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বশির আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে একটি প্রথা আছে আমরা নাকি গুণীজনদের সম্মান করতে জানি না। আজ চাঁদপুর প্রেসক্লাব সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন। আজ যাদের সংবর্ধনা দিয়েছেন তারা সারা দেশের আলোকিত মানুষ।

বিশেষ অতিথি বক্তব্যে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন,চাঁদপুরের সাংবাদিকরা দলমত নির্বিশেষে কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের আয়োজনে কৃতজ্ঞতা জানাই। সাংবাদিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আপনারা কাজ করবেন। নিরপেক্ষতার নামে আমরা যেন কোন কিছু আড়াল না করে ফেলি। আমারা যেন স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রশ্নে কোন আপোষ না হই।

সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অনুজীব বিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা বলেন, অসংখ্য ধন্যবাদ চাঁদপুর প্রেসক্লাবকে। যখন ঘরে সম্মান পাইতার চেয়ে খুশির আর কিছু নেই। চাঁদপুর আমার বাড়ি ও আমার দেশ। আমি ঘরের মানুষ।আমি ১১ বছর দেশের বাইরে ছিলাম। এখন আমি দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই, তাই দেশে ফিরে এসেছি। আমি মূলত কাজ করি, একটি শিশু যে রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। সে রোগ কি কি কারণে হয়েছে, খুঁজে বের করি। দেশের মানুষকে সুষ্ঠু থাকতে হবে ভালো থাকতে হবে।

সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার ও সাংবাদিক কবির বকুল বলেন, আমার জন্য সবচেয়ে স্বাদ পছন্দের জায়গা হচ্ছে লেখালেখি। আমার শুরুটা হচ্ছে মফস্বল শহর চাঁদপুর থেকে। এই শহরে আমি পুরোপুরি তৈরি হয়ে ঢাকাতে গিয়েছি। আজ চাঁদপুর প্রেসক্লাব আমাকে যে সংবর্ধনা দিয়েছে সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনির হাত থেকে সংবর্ধনা গ্রহণ করতে পেরে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি যার হাত থেকে যে সংবর্ধনা গ্রহণ করি তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি।

সংবর্ধিত অতিথি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, এটি আমার জন্যে বিরল সম্মান। সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনির প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ তিনি যখন শিক্ষামন্ত্রী তখন আমি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হই। আমি চাঁদপুরের সন্তান হিসেবে চাঁদপুরের জন্য যা যা করণীয় তাই করবো।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে। সেই থেকে নানা চড়াই- উৎরাই পেরিয়ে চাঁদপুর জেলার সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন চাঁদপুর প্রেসক্লাব পার করেছে ৫৪ বছর। অনেক আনন্দ-বেদনার মধ্য দিয়ে এ প্রেসক্লাব পরিণত হয়েছে একটি পরিবারে।

অভিষেক অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মাও. আব্দুর রহমান গাজী, গীতাপাঠ করেন সাবেক সেক্রেটারী লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর। এরপর সম্প্রতি মৃত্যুবরণকারী চাঁদপুর প্রেসক্লাবের দু‘জন সদস্য ড. মো. সামছুল হক ভূইয়া, মাহমুদ হোসেনের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের শিল্পীবৃন্দ জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।


আরও খবর