Logo
আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার পক্ষে প্রস্তাব পাস বাংলাদেশ নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানাল প্রয়োজন হলে ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী চাঁদপুরে অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা : বেনাপোল থেকে স্বামী গ্রেপ্তার তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ স্মার্ট বিতরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছেন বোলিং নৈপুণ্যে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে টাইগাররা গ্যাসের রেগুলেটর ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সতর্কবার্তা দিয়েছে তিতাস জামিন পেলেন কেজরিওয়াল বিরামপুর সীমান্তে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার সমবায়ের ধারণা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনকালীন সরকার কখন হবে, জানালেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ২১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনকালীন সরকার কখন গঠন করা হবে, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ রোববার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করবেন, তখন তিনি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবেন। নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয় না। তবে তিনি প্রয়োজনমতো ক্যাবিনেট গঠন করতে পারেন।

এ ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতার সুযোগ নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আনিসুল হক বলেন, বিদেশি সংস্থা মতামত দেওয়ার আগেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে সরকার করবে। এ সময় অপব্যবহার ঠেকাতে সেপ্টেম্বর নাগাদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলরুমে দুর্নীতির মামলা বিচারকার্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিচারকদের জন্য আয়োজিত ‘১৫০তম রিফ্রেশার কোর্স’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের বিভিন্ন গ্রামঞ্চলে গ্রামীণফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় বিপাকে গ্রাহকরা সচলের দাবী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃদেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা ভিন্ন স্থানে গ্রামীণফোনের নেটওর্য়াক না পাওয়ায় অকেজো হয়ে পড়েছে গ্রাহকদের গ্রামীণফোন। গ্রামীণ নেটওয়ার্ক সমস্যায় যেসব এলাকা উল্লেখ করা হচ্ছে রৌমারী উপজেলার মহসড়কে পূর্ব অঞ্চটিতে ভোগান্তিতে রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক। পাশাপাশি চর রাজিবপুর উপজেলায়একইভাবে মহাসড়কের পূর্ব অঞ্চলটি বরাবরই গ্রামীণ নেটওর্য়াক বঞ্চিত রয়েছে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক। প্রতিকারের জন্য বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি প্রতিকারকদের কাউকেই। ফলে রৌমারী এবং চর রজিবপুর মিলে প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহক গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বঞ্চিত রয়েছে। দীর্ঘ ৮ থেকে ৯ মাস যাবৎ নেটওয়ার্ক না থাকায় বিভিন্ন কোম্পানির সিমকার্ড ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে বলেও গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে। এদিকে মহাসড়কের পূর্বঅঞ্চলটিতে বিভিন্ন কোম্পানির কয়েকটি টাওয়ার স্থাপন করায় গ্রামীণ নেটওয়ার্ক পির্যয় দেখা দিয়েছেন।

এঅঞ্চলে থাকা গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা গ্রামীণফোন ব্যবহার করছেন, তাদের কেউই এখন আর নেটওয়ার্ক পাচ্ছেন না। নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের বিষয়, ফেসবুক পেইজে গ্রামীণফোন অফিসকে অবগত করা হলেও কোন কাজে আসছেনা।

গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বঞ্চিত এলাকা গুলো পরির্দশন করে জুররী ভিত্ততে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমন প্রত্যাশা করছেন গ্রামীণফেনের গ্রাহকরা। অপরদিকে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের দায়িত্বে থাকা কোনপ্রকার কর্মকর্তা কর্মচারিদের কাউকেই খোজে পাওয়া যাচ্ছেনা ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।


আরও খবর



তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী মেহেরপুরবাসীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃতাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী হতে চলেছে মেহেরপুরবাসীর। টানা কয়েক দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার আজ রোব্বার বিকেল তিনটায় মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

রোব্বার বেলা চারটা পর্যন্ত শহর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জনগণের চরম অস্বস্তি ভাব চোখে পড়েছে। ষোলটাকা ইউনিয়নের বানিয়াপুকুর গ্রামে বেলা দুইটার দিকে তপ্ত দুপুরে মাথায় মাথাল দিয়েভুট্টা মাড়াই করছিলেন নজরুল ইসলাম কালাম আবুছদ্দীন ও মনিরুল। পাশের জমিতে ভুট্টা কাটছেন ইমদাদ আর কাউছার। তাদের ভাষায়, রোদির মদ্দি কাজ করতি সমেস্যা তো এট্টু হচ্চেই। কাজ না কল্লি তো আর হচ্চে না। কাজের ফাঁকে পর এট্টু জিড়িটিড়ি নিতে হচ্ছে। আমাগের হাত না নড়লিতো প্যাট চলবি না।

করিমপুর মোড়ে টং দোকানের সামনে কথা হয় কৃষক আবু বক্করের সাথে। তার ভাষায়, ‘জীবনকালে এমন গরম কখনো দেখেননি। এ গরম তো না মনে হচ্ছে গজপ। আমরা আগে দেকিচি এইরাম রোইদ পড়েচে, কিন্তু এইরাম তাপ ছিলুনা। সেই সুমায় খালে-বিলি পানি থাকতু। অ্যাকন কুথাও পানি নেই, রোদির ঝলক পড়চে। আমাদের বয়সে বহু কিচুই দেকিচি, অ্যারাম গরম দেকিনি।’

গোপালনগর চারচারা মোড়ে বটগাছের নীচে দেখা হয় কৃষক আকরাম আলীর সাথে। তিনি জমিতে সেচ দিচ্ছেন। একটু জিড়িয়ে নিতে গাছ তলায় বসেছেন। তার ভাষায় “ এমন গরম বাপের জন্মেও দেকিনি।আগে একঘন্টায় যে জমিতি পানি দেয়া হতো এখন লাগছে চারঘন্টা। সময় আর তেল দুটোই অপচয়।

কয়েকদিন আগে একটার মটরও পুড়ি গিছে। ইবার ধানে লুকসান হতি পারে।গাংনী রেজাউল চত্ত্বরে জুতা মেরামতকারী (মুচি) ভগত দাস রোদের মধ্যে ফাঁকা জায়গাতে ছাতির নীচে কাজ করছেন। সারা দিনে মাত্র ১২০ টাকার কাজ করেছেন। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে সংসার চালাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তিনি জানান, দিন পনের আগেও এত তাপ ছিল না। সেসময় ৫/৬শত টাকা হতো।

এখন লোক সমাগম নেই তাই কাজও নেই। খদ্দেরের আশায় রোদের মাওেঝও বসে থাকতে হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। তার ভাষায়, ‘আগের তাপ-গরমের সাতে অ্যাকনকার আকাশপাতাল তপাত। ঋতুর রদবদল হয়ে গিয়েচে। এই রোদি আর গরমে পারা যাচ্চে না। বয়স হয়ে গিয়েচে, অল্প পরিশ্রমেই কাহিল হয়ে যাচ্চি।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, আজ রোব্বার ৩২ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৮ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ৩০ জন। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই।

রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, তাপদাহ বা বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকেই রাস্তার পাশে বা যেখানে সেখানে বিক্রি হওয়া আখের রস, শরবত, লেবুপানি খাচ্ছেন। এগুলো অস্বাস্থকর। খাওয়া যাবে না। কারণ, একই গ্লাসে একাধিক ব্যক্তি শরবত পান করছেন। এতে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসসহ সংক্রামক রোগব্যাধি ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। হালকা পাতলঅ পোশাক পরতে হবে।


আরও খবর



মাগুরাসহ দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন দূর্বিসহ হাসপাতালে প্রচন্ড রোগীর ভীড়

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান:মাগুরাসহ অতিরিক্ত তাপ দাহে জ্বলছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের কয়েকটি জেলার মানুষ।  মাগুরা জেলায় অসহনীয় অবস্থায় পড়েছে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলা। যেখানে সরকার কর্তৃক নির্দেশনা এসেছে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এই খরতাপে ঘর থেকে বের হওয়া যাবেনা।সেখানে এই নিন্মআয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলা গরমের জ্বালার থেকেও পেটের জ্বালা অনেক বড় হয়ে উঠায় এই তাপদাহের মধ্যেও নিজেদের রোজগারের আশাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রচন্ড গরমকে উপেক্ষা করে।

মাগুরা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো যেখানে অতিরিক্ত যানজট নাস্তানাবুদ অবস্থা লেগেই থাকতো। সেখানে শহরগুলো একেবারে জনশুন্য হয়ে পড়েছে। আর একারনে শহরের দোকানপাট খুলে বেচাকেনার আশায় বসে থাকা ব্যবসায়ীরাদের বেচাকেনা  আশাঅনুরূপ হচ্ছেনা। আর যারা  রিক্সা চালিয়ে,ভ্যান চালিয়ে দিনমজুরের মাধ্যমে নিজেদের দৈনন্দিন ও পারিবারিক চাহিদা মেটাত তারা পড়েছে মহা সংকটে।তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। শহরে লোক না থাকলে তাদের রিকসায় উঠবে কারা। তারপরও

তাদের পরিবার পরিজনের আহার জোটাতে  এ তাপদাহের মাঝেও বেরহতে হচ্ছে রাস্তায়। অনেক কষ্ট করে চালাতে হচ্ছে তাদের সংসার। জনৈক রিক্সা শ্রমিক জানান, বাড়িতে তিন সন্তান স্ত্রী ছাড়া ও পিতা মাতা রয় সংসারে প্রতিদিন ৮ /৯ শ' টাকার বাজার করা লাগে । তাই ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। আর গরমে শরীর জ্বলে গেলেও রিক্সা চালাতেই হবে, ইনকাম করতেই হবে।কারণ পেটের জ্বালা সব থেকে বড় জ্বালা।

তাই সরকারীভাবে  ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করলেও  ঘরে থাকার কোন উপায় নেই। একটা দুইটা টিপ মেরে চলছি। চায়ের দোকানে গিয়ে পানি খাই বুক ফেটে যায়। তবে মাগুরায় সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন গত কয়েকদিন ধরে শহরে পথচারি, রিক্সা অটো শ্রমিকদের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা পানি পান করাচ্ছে। অপরদিকে পৌর সভা প্রতিদিন শহরের রাস্তাগুলোতে পানি ছিটিয়ে ঠান্ডা করছে। গ্রাম এলাকার মানুষ ঠান্ডার আশায় ঘরবাড়ি ছেড়ে গাছতলায় আশ্রয় নিয়েছে।  এ অবস্থার মধ্যেও বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষকে নিদারুন সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। মাগুরা শহরের কয়েকটি হোটেল মটরের মাধ্যমে পানির ঝরনা সৃষ্টি করে ঘরে চালা ঠান্ডা করেছে। এদিকে গরমে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া হীট স্টোকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এসব রুগী নিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ হীমসিম খাচ্ছে।  গত ২০ এপ্রিল মাগুরায় ৪o.০৬ ডিগ্রী ফারেনাইট তাপমাত্রা ছিল। রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় টায় মাগুরায় ৩৪ ডিগ্রী ফারেনাইট তাপমাত্রা বিরাজ করে।


আরও খবর



ড. ইউনূস জামিন পেলেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত,গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ আদেশ দেন। আগামী ২ জুন অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিশেষ জজ আদালত-৪ এ হাজির হন তিনি। হাজির হন মামলার অন্য আসামিরাও।

গত ২ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। ওইদিন মামলাটি বিচারের জন্য বদলি করা হয় বিশেষ জজ আদালত-৪ এ।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় দুদক। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন। তখন আসামি করা হয়েছিল ১৩ জনকে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ড. মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।


আরও খবর



তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী, কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের পর বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজরা। আ  এই চোরাচালান করতে গিয়ে গত ৩ মাসে প্রায় ২৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

খোঁজ জানা গেছে- আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ২শ টন কয়লা, ৫শ বস্তা চিনি ও পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া ও নজির মিয়াগং গত ২দিনে প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এজন্য ১ বস্তা (৫০কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা ও অন্যান্য মালামাল থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করেছে সোর্স পরিচয়ধারী আইনাল মিয়া, সোহেল মিয়া ও বাবুল মিয়া। অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বিজিবির নামে ৫০টাকা, থানা ও সাংবাদিকদের নামে ১টন অবৈধ কয়লা থেকে ২হাজার টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি চুনাপাথর (৫০ ফুট) থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন কয়লা ও ৩শ মেঃ টন চুনাপাথর পাচাঁর করে বড়ছড়া-জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন কাঠের ব্রিজ ও আশেপাশের একাধিক ডিপুতে মজুত করেছে। একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারো ছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া, নজরুল, জামাল মিয়া, হারুন, জম্মত আলীগং ৩শ মেঃ টন কয়লা, ২০টি গরু, ২শ বস্তা চিনি, ৩৫০বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করেছে। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম ও লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পর করে চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। একারণে সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ধান কাটার সময় কিন্তু চোরাচালানের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই চোরাচালানের কারণ আমরা প্রায় ৩হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না।

এব্যাপারে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানাতে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬), চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) সহ বালিয়াঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৭) ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে বারবার কল করার পর ফোন রিসিভ না করে তারা আমার মোবাইল নাম্বার (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) ব্লক করে দেয়।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর