Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪১.৮ শতাংশ: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

সিইসি বলে, সব হিসেব শেষে এটি দাঁড়িয়েছে। চুড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এর আগে, রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইসি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিইসি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।


আরও খবর



আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ, স্যালাইন সংঙ্কট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলী উপজেলায় ডায়েরীয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রোগীদের সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। স্থান সংকুলণ না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। ধারন ক্ষমতার চেয়ে পাঁচগুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা চলছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত বেড বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন রোগী ও তার স্বজনরা। অপর দিকে আইভি স্যালাইন সংঙ্কট দেখা দিয়েছে। রোগীদের ফার্মেসি থেকে আইভি স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। এই সুযোগে ঔষুধ ব্যবসায়ীরা বেশী দামে স্যালাইন বিক্রি করছেন।

জানাগেছে, গত এক সপ্তারে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে দুই শতাধির রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সেবিকাদের রোগীদের সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। ৬ শয্যা ডায়েরীয়া রোগীর বেডের স্থলে ৩১ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় রোগীদের বেড দেয়া হয়েছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করা হলেও বাহির থেকে ঔষুধ কিনতে হচ্ছে এবং হাসপাতালের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তারা। এছাড়াও শত শত রোগী কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে। সোমবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখাগেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বারান্দার বেডে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালে বেডে ৬ জন এবং বারান্দায় ২৫ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে।

ডায়েরীয়ায় আক্রান্ত রোগী সামসুল হক কাজী বলেন, হাসপাতাল থেকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে তারপরও বাহির থেকে ঔষুধ কিনতে হয়। তিনি আরো বলেন, বেড না থাকায় বারান্দায় বেড পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। দ্রুত হাসপাতালে বেড বাড়ানো প্রয়োজন। উপজেলার ঘোপখালী গ্রামের বুশরা বলেন বলেন, তিন দিন আগে নাতনিতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন কিছুটা সুস্থ্য। তবে হাসপাতাল থেকে কিছুই দেয়নি। সকল ঔষুধ বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।

এমপিও হাট এলাকার বাসিন্দা নাজমা বলেন, ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত ছেলে নাঈমকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শুধু আইভি স্যালাইন ছাড়া হাসপাতাল থেকে কিছুই পাচ্ছি না।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, প্রচন্ড গরমের কারনে ডায়েরীয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে চাহিদার চেয়ে স্যালাইন কম রয়েছে। দ্রুত স্যালাইন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডায়েরিয়া রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




দেহ ব্যবসা সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:দেহ ব্যবসা সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ চারজন মহিলা রয়েছে। সোমবার রাতে কাফরুল থানা এলাকার বর্ণমালা সড়কের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। কাফরুল থানার এস আই মাহমুদুল হাসান এ তথ্য জানান। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন,মো: সাজন(২০),মো: বাচ্চু মিয়া (৪৯),মো: ইমরান হোসেন(২৪),রুমা(৪০),শিলা(২২),সুমি(৩০),বিপাশা (২০)।

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি একটি বাড়িতে অবৈধভাবে দেহ ব্যবসার কাজ চলে। শোনা মাত্রই আমি পুলিশ  পাঠিয়ে তাদের গ্রেফতার করি।  

কাফরুল থানার এস আই মাহমুদুল হাসান জানান, ওসি স্যার বলা মাত্রই আমরা একটি বাড়িতে অভিযান চালাই। আমরা জানতে পারি বাড়িতে নিচ তলায় দুই ফ্লাটে দেহ ব্যবসার কাজ করতো। পরবর্তীতে আমরা তাদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ  আদালতে প্রেরণ করি। আমরা সাতজনকে গ্রেপ্তার করি। তার মধ্যে তিনজন ছেলে চারজন মেয়ে।

আরও খবর



কুড়িগ্রামে প্রার্থির পক্ষ নেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃরৌমারীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  বীর মুত্কিযোদ্ধা সোহরাব হোসেনকে  গাছে বেধে পিটিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে প্রতিপক্ষ মজিবর রহমান বঙ্গবাসি। আসন্ন রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রৌমারী উপজেলায় ৮ জন প্রার্থি প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। নিয়মিত সকলের আচরণ বিধি মেনে প্রচার প্রচারনা চলছে। বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন নির্বাচনের শুরু থেকে শহিদুল ইসলাম শালুর নির্বাচনী মঞ্চে প্রতিনিয়ত শালুর পক্ষে ভোট চেয়ে আসছেন। এদিকে শহিদুল ইসলাম শালুর প্রতিপক্ষ মজিবর রহমান বঙ্গবাসি গত বৃহস্পতিবার ২ মে কর্ত্তিমারী বাজার গরু হাটিতে নির্বচনী মঞ্চে বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও সোহরাব হোসেনকে গাছের সাথে বেধে মারার হুমকি দেন বলে সোহরাব হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন , আমাকে হুমকি ও হত্যার ভিডিওটি মামুন আকন্দ নামের আইডির মাধ্যমে  ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বিষয়টি আমার দৃষ্টি গোছর হলে আমি সংবাদ সম্মেলন ও মুক্তি যোদ্ধাদের সমন্বয়ে  প্রতিবাদ ও মানববন্ধনের উদ্দ্যোগ গ্রহন করি। এবিষয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি ও  রৌমারী উপজেলা নির্বাচন অফিস বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন এবং মানববন্ধন করেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে  রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান রৌমারী উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড আলহাজ্জ আব্দুল কাদের কে বলেন মানববন্ধনের দরকার নেই , সঠিক বিচার দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন বলে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড আলহাজ্জ আব্দুল কাদের জানান।   জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করেন উপজেলার বীর মুক্তিাযোদ্ধাগন। রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৮জনে মাঝে মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী নামের চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন এর কাছে ভোট চেয়েছিলেন । নিতি শহিদুল ইসলাম শালু চেয়ারম্যান সাবেক তিনিও উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান র্প্রাথী তার ভোট করছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন। ভোট দেবেন না মজিবুর রহমান এর টেলিফোন প্রতিকে যারফলে তিনি ভোট দিবেন শহিদুল ইসলাম শালু এর কাপ পিরিচ প্রতিকে। এই অপরাধে নির্বাচনী জনসভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেনকে দিবালকে বট গাছের সঙ্গে বেধে পিটানোর হুমকি দেয় টেলিফোন প্রতিকের র্প্রাথী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী। এঘটনাকে কেন্দ্র করেন রৌমারী নির্বাচনী মাঠে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছেন ভোটারদের মাঝে। এছাড়াও ভোট দেবেন না যারা তাদের আরও অনেকেই মজিবুর রহমান হুমকি প্রদান করারও তথ্য পাওয়া গেছে।


আরও খবর



বরিশালে বীমাদাবীর ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

এস এম শফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাট:পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের বরিশালে অঞ্চলের মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্রাহকদের বীমাদাবীর ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১ মে) সকালে বরিশালে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের নিজস্ব ভবনের হল রুমে এ  বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের আল আমিন বীমা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদ রানা মাসুমের সভাপতিত্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলনে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য  বি এম ইউসুফ আলী। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উর্দ্ধতন  উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ব্রাঞ্চ কন্ট্রোল) সৈয়দ মোতাহার হোসেন, জনপ্রিয় বীমা প্রকল্পের উপ- ব্যবস্থাপনা  পরিচালক কামাল হোসেন মহসিন, ইসলামী ডিপিএস প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক খলিলুর রহমান দুলাল, পপুলার ডিপিএস  প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক আবু মঈদ শাহীন।

এ সময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  উর্দ্ধতন  মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প ইনচার্জ তানভীর আল নাঈম সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ। 

সম্মেলন শেষে ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার বীমা দাবীর চেক গ্রাহকদের হাতে হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী সদস্য  বি এম ইউসুফ আলী। 


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে আনা হয়েছে।

এদিকে প্রাথমিকভাবে শেহেলার বিরুদ্ধে এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানায় ডিবি।

এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।

গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে।

এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান।

এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড ও অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে।


আরও খবর