Logo
আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার পক্ষে প্রস্তাব পাস বাংলাদেশ নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানাল প্রয়োজন হলে ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী চাঁদপুরে অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা : বেনাপোল থেকে স্বামী গ্রেপ্তার তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ স্মার্ট বিতরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছেন বোলিং নৈপুণ্যে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে টাইগাররা গ্যাসের রেগুলেটর ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সতর্কবার্তা দিয়েছে তিতাস জামিন পেলেন কেজরিওয়াল বিরামপুর সীমান্তে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার সমবায়ের ধারণা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি: সিইসি

প্রকাশিত:বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৩২৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচনকে কেন্দ্র বাংলাদেশে অনেক সময় করে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সহিংসতা হয়েছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (১১ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা করে সিইসিকে দেওয়া স্মারকলিপি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এ স্মারকলিপি দেন।

সিইসি বলেন, এখনো ওনারা আশঙ্কা করেন আগামীতেও এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা হতে পারে। আমাদের কাছে আবেদন রেখেছেন আমরা যেন বিষয়টি বিবেচনায় নিই এবং আমাদের দিক থেকে যা করণীয় আছে তা যেন করি। আমরা বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি।

তিনি বলেন, বিষয়টি আসলে দেখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে যখন নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট হবে, সেটুকু পর্যন্ত আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। আমরা চিঠি দিয়ে, পত্র দিয়ে সরকারকে, সরকারের ডিসি, এসপিদের, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যারা যারা এর সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের আমরা অবহিত করব, দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা না হয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, আমরা কঠোরভাবে তাদের সতর্ক করে দেবো, এটা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয় নয়। এটা কখনো সভ্য আচরণ হতে পারে না। এটা অমানবিক একটা বিষয়। আমরা এই ধরনের অমানবিকতাকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না। আমরা এই ব্যাপারে আমাদের..., আমরা তাদেরও অনুরোধ করেছি যে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপনারা আপনাদের শঙ্কার কথা ব্যক্ত করে রাখেন। নির্বাচনের ১৫ দিন পর পর্যন্ত আমাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর থাকে। আমরা সেদিকে নজর রাখব।

তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্বাচনোত্তর হোক, নির্বাচনোত্তর না হোক দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংঘাত যাতে না হয়- এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের। যদি এটা না হয় এর দায়-দায়িত্ব তারাই বহন করবে।


আরও খবর



হিলিতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:“প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ’ গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলিতে দিনব্যাপি প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শণীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দিনব্যাপি এই প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করা হয়।হাকিমপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অমিত রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন।

এতে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) লায়লা ইয়াসমিন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার,হাকিমপুর থানার (তদন্ত ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: কাজী মাহবুবুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নাসরিন খাতুন।

মেলায় ৩২ টি স্টলে খামারীদের বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ছাড়াও রয়েছে অধিক দুগ্ধ উৎপাদনশীল গাভি,মহিষ,বকনা, ছাগি,পাঁঠা, ভেড়া,কবুতর, তিতির, শৌখিন পাখি, কাকাতুয়া, ময়না, টিয়া, বাজুরিকা, খরগোশ।


আরও খবর



হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধ,চোরাচালান,মাদক পাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ান পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১ টায় ভারতের পতিরাম বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক কমল ভাগত সিং এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হিলি জিরো পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করেন। এসময় জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল তানজিলুর রহমান তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

পরে হিলি সীমান্তের শুন্য রেখার গোল ঘরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল তানজিলুর রহমান ভুঁইয়াসহ দুই বাহিনীর কর্তকতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর প্রতিনিধি দলটি ফেরত যান।


আরও খবর



২৩ নাবিক জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত, বিস্তারিত জানাল মালিকপক্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর নানা আলোচনা চলছিল বিভিন্ন মহলে। এতে জাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে নানা দেনদরবার শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা হয় জাহাজের মালিকপক্ষের। এরপর মুক্ত হয় জাহাজ ও ২৩ বাংলাদেশি নাবিক।

বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

এ নিয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের করপোরেট কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাহাজে অস্ত্রধারী গার্ড না থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান।

তিনি বলেন, একটা কথা বার বার আসছে, কেন আমরা আর্মড গার্ড নেইনি। এটার কারণ হচ্ছে আমরা হাই রিস্ক অ্যারিয়ার বাইরে ছিলাম। সাধারণত ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতর হাইরিস্ক অ্যারিয়া হিসেব করা হয়। কিন্তু আমরা যাচ্ছিলাম মোটামুটি ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে দিয়ে। গত ৮-৯ বছরে ওই এলাকায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি, যেখানে আর্মড গার্ড নিতে হয়। একারণে আমরা আর্মড গার্ড নেইনি।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



মেহেরপুরের বাজারে অপরিপক্ক লিচু বিক্রি হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল লিচু। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝরে পড়ায় পরিপক্ক হবার আগেই বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করছেন চাষিরা। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোক্তারা। অপরিপক্ক লিচু না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকগন। অপরদিকে লিচুর গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। শুরুতে ৬০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। এ সব বাগানে, আটি লিচু, মোজাফ্ফর বোম্বাই, চিলি বোম্বাই, আতা বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে।

লাভজনক হওয়ায় এ জেলায় লিচুর আবাদ বাড়ছে। এখানকার লিচু রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

চলতি মৌসুমে একটু দেরী করেই গাছে মুকুল এসেছিল তাও অনেক কম। উপরন্ত প্রচন্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে ঝরে গেছে অনেক লিচু। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। কৃষকরা বলছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণেই পরিপক্ক হবার আগেই গাছ থেকে লিচু পেড়ে ফেলতে হচ্ছে। কারণ গাছ থেকে লিচু ঝরে পড়ছে। গাছে লিচু ফেটে যাচ্ছে। কাক্সিক্ষত দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। 

তবে লিচুর আবাদে চাষিরা লোকসান গুনলেও লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পরিপক্ক হবার আগেই লিচু বাজারে আসায় লিচুর স্বাদও কমছে বলে জানান ভোক্তারা। বাজারে লিচু কিনতে আসা আজমাইন হোসেন জানান, বাজারে নতুন ফল এসেছে। তাই বাড়ির ছেলে মেয়েদের জন্য কিনেছেন। যদিও একটু স্বাদ কম। আরো কিছুদিন গাছে থাকলে লিচু পুষ্ট হতো স্বাদও পাওয়া যেতো। 

লিচু চাষি শওকত আলী জানান, তার বাগানে শতাধিক লিচু গাছ থাকলেও ফল এসেছে অর্ধেক গাছে। আবার গত বছরের তুলনায় সেই গাছ গুলোতে লিচু দাঁড়িয়েছে কম। আর রোদ্রের তাপে গাছ থেকে লিচু একাই ঝরে পড়ছে। গাছে গোড়াই পানি দিয়েও তেমন একটা ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যেগুলো গাছে আছে, তা আবার আকারে ছোট। যার কারণে এবারে বাগানে যা লিচু পাওয়া যাবে তা তিন ভাগের এক ভাগ।

ক্রেতা সেলিম রেজা জানান, বাজারে প্রকারভেদে লিচুর দাম এবার একটু চড়া। প্রতি ১০০ লিচুর দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত, প্রতি পিস হিসেবে যার দাম আসছে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা থেকে তিন টাকা পর্যন্ত। এ বছর লিচুর দাম একটু বেশি হলেও মৌসুমি ফল হিসেবে ক্রেতারা এ লিচু কিনছেন বেশি দামে। এক পন (৮০) টি লিচু কিনলাম ১৯০ টাকায়। আরও বেশি নেয়ার ইচ্ছে ছিল তবে টক ও তুলনামূলক আঠির আকার বড়, রয়েছে পোকার আক্রমণও তাই বেশি কেনা হয়নি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এম কে রেজা জানান,হাইপোগ্লাইসিন এ সাধারণত কাঁচা বা আধা পাকা অর্থাৎ পাকা নয়, এমন লিচুতে পাওয়া যায়। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা মারাত্মক বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে। অন্যদিকে মিথাইলিন-সাইক্লো-প্রোপাইল-গ্লাইসিন উপাদানটি গ্রহণের ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত কমে যায়। এর কারণে বমি, অচেতন এবং দুর্বল হয়ে পড়ে রোগী। কাঁচা বা আধা পাকা লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, লিচুর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু বাজারজাত করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। শিলাবৃষ্টি এবং ঝড় ছাড়া বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তা লিচুর জন্য উপযোগী। অপরিপক্ক লিচু খেলে ভোক্তরা লিচুর পুষ্টিমান পাবে না। লিচুর স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবে। এমনকি লিচুর যে ওজন হওয়ার কথা তাও হবে না।


আরও খবর



রসুল নগর যুব সংসদের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ১৫৪জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া হাজী নগর এলাকার নব মল্লিকাএকাডেমী'তে রসুল নগর যুব সংসদের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এডভোকেট মলি আক্তার রিতা । সভাপতিত্ব করেন রসূল নগর যুব সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পেয়ার আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তুষার। এতে অন্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন রসূল নগর যুব সংসদের অর্থ সম্পাদক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নেয়ামত উল্লাহ, ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ ইমরান হোসেন, হাজী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মজিবুর রহমান মন্টু, সুলাইমান মৃধা, নবমল্লিকা মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষিকা রীমা হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৬৬নং ওয়ার্ড ডগাইড় উত্তর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুর রহমান ফয়সাল সহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী দের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করা হয়।ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ৬৭,৬৮,৬৯ নম্বর ওয়ার্ডকে ডিজিটাল হিসাবে গড়তে চান এডভোকেট মলি আক্তার রিতা।নাগরিকের অধিকার সর্বোচ্চ বজায় রাখতে চান তিনি।নারীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরির জন্য নিরলস ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বহু নারীকে কর্মসংস্থান ব্যবস্হা করেছেন মলি আক্তার রিতা।তিনি অসহায় গরীব মেয়েদের নিজের অর্থ সহোযোগিতায় বিয়ে দিয়েছেন। নির্যাতিত নারীদের পক্ষ নিয়ে আইনজীবী হিসেবে বিনা অর্থে আইনি সেবা দিয়েছেন।এলাকাবাসীর অত্যন্ত পছন্দের একজন মানুষ হিসেবে করো বোন,কারো ভাবি,কারো মেয়ে হয়ে সামাজিক বহু সংগঠনের মাধ্যমে গরীব অসহায় মেহনতী মানুষের মাঝে এান খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন।

নারী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে চান মলি আক্তার রিতা। নারী ও বৃদ্ধদের জন্য ব্যায়ামাগার নির্মাণ করতে চান সংরক্ষিত নারী আসনের এ প্রার্থী। এলাকার যানজট সমস্যা নিরসন করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

মলি আক্তার রিতা বলেন, ওয়ার্ডের মাঠগুলোকে শুধু খেলাধুলা করার জন্য উপযোগী করে দেব। মেয়েদের খেলার সুযোগ তৈরি করব। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মেয়েদের মাঠে খেলার ব্যবস্থা করে দেব। এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নিরাপত্তা বাড়াব। মাদক নির্মূল করার চেষ্টা করব,আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সুখে দুঃখে সার্বক্ষণিক মানুষের পাশে থাকব। এলাকার অবহেলিত নারীদের উন্নয়নে সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি।আমি যেন আরও বেশি করে জনগণের সেবা করতে পারি এজন্যই জনগণের অনুরোধে এবার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


আরও খবর