Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন আন্দোলন খেলা করবে- কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৭৩জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা, মধুপুর( টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য  ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে, সে পর্যন্ত বিএনপির হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ, গণঅবস্থান, মানববন্ধনসহ আন্দোলন আন্দোলন খেলা চলতে থাকবে। তবে আমি মনে করি, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আর তারা যদি মনে করে সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সেটি অবাস্তব ও সংবিধানবিরোধী। দেশে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।  

শনিবার (১৪জানুয়ারী) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুরের আকাশী বঙ্গবন্ধু ক্লাবের  উদ্যোগে ১৪তম ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 


মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবে, এটি বিএনপির অবাস্তব ও অলীক স্বপ্ন। ২০০৮ সালের নির্বাচনকে তারা মেনে নেয় নি, ২০১৪ সালের নির্বাচনকে তারা বর্জন করে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালে  একটানা ৯০ দিন হরতাল অবরোধ করেছে, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেন না বলে খালেদা জিয়া বিএনপির অফিসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৯০ দিন আন্দোলনের পর মুখে কালিমা মেখে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন। তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারে নি৷ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সুবোধ বালকের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। 


আবহমান বাঙালির ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঘোড়দৌড় আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। সুস্থ বিনোদনের পাশাপাশি ঘোড়দৌড়কে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। পুরো মধুপুর উপজেলায় উৎসব আনন্দের আবহ তৈরি হয়। সেজন্য, ঘোড়দৌড়, নৌকাবাইচ, হাডুডুসহ সকল লোকজ সংস্কৃতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।


অনুষ্ঠানে ছোটমনির এমপি, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান,  উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আগামী দিনের বাংলাদেশ, স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। শিশুরা যাতে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে সেটাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় আয়োজিত শিশু সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, শিশুদের কথা বিবেচনায় নিয়েই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছি। ১ কোটি ২০ লাখ শিশুকে উপবৃত্তি দিচ্ছি। সব মিলিয়ে উপবৃত্তি পাচ্ছে ২ কোটি শিক্ষার্থী। কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী, যারা আগামীতে এগিয়ে নেবে দেশকে। শিশুদের খেলাধুলা, শরীরচর্চার দিতে নজর দিতে হবে।’

কোনো মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আছে। তার আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যাব আমরা। কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সবাই পাবে মৌলিক অধিকার।

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতরে যে মানসিকতা ছিল, মানুষের প্রতি দরদ ছিল এটা কিন্তু ছোটবেলা থেকেই প্রকাশ পেয়েছিল। স্কুলে যখন পড়তেন তখন যার বই নেই তাকে নিজের বই দিয়ে দিতেন। গায়ের জামা কাপড় দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধানও মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে এই বিষয়গুলো  লক্ষ্য করেছিলেন আমার দাদা-দাদি। বড় হয়ে যারা শোষিত ও বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, যাদের কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগের চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না, ঘরবাড়ি ছিল না সেই সব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে তিনি সংগ্রাম করেছেন। আজ আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। সেই ৪৮ সাল থেকেই এই আন্দোলন তিনি শুরু করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়। কাজেই জাতির পিতার এই জন্মদিনটিকে আমরা শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি।

এর আগে, বেলা পৌনে ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী তাদের গার্ড অব অনার দেয়। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মোনাজাতে অংশ নেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান। পরে কেন্দ্রীয় ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সকাল ১০টার দিকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৮টার দিকে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়ায় যান। রাষ্ট্রপতি ঢাকায় ফিরলেও প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন শিশু সমাবেশে।


আরও খবর



‘বিএনপির আন্দোলনের মুখেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে।’

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

রাজশাহী ব্যুরো ;বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ এফ এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের মুখেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। এরপরই নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সরকারই আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও খুন-গুমের বিচার করবে।’

১০ দফা দাবিতে আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহাসিক ভূবন মোহন পার্কে  বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে ডা. জাহিদ বলেন, ‘বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রাজশাহী থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। এই আন্দোলনের মুখে সরকার গদি ছাড়তে বাধ্য হবে। সংসদ বিলুপ্ত হবে, নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হবে, নির্বাচন কমিশন হবে এবং  জনভোটে জাতীয় সরকার গঠিত হবে।’

এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘রোজায় আন্দোলন হবে, ঈদে আন্দোলন হবে, বর্ষাতেও আন্দোলন হবে। এ বছর শেখা হাসিনার শেষ বছর। পাশেই রাজশাহীর সীমান্ত। এই সীমান্ত দিয়ে যাতে আওয়ামী লীগের ক্রিমিনালরা ভারতে পালাতে না পারে সে বিষয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে’।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেনন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশা ও সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ। লিঙ্গ সমতার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয়। বিশ্বব্যাপী নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা; তাদের কাজের প্রশংসা এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্যে থাকে নানা আয়োজন।

এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল : ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’। যার বাংলা দাঁড়ায়- ‘লিঙ্গ সমতার জন্য উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি’।

বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অধিকার রক্ষা, ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। গত ৫০ বছরে বাঙালি নারীরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন। তবে এ অর্জন কারও একক চেষ্টায় বা একদিনে হয়নি। এটা সামগ্রিক অর্জন এবং অনেক ভঙ্গুর পথ অতিক্রম করে, নানা বাধা পেরিয়ে নারীরা আজ এই অবস্থানে।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বিশ্বের সব নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষ্যে বেলা আড়াইটায় এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হবে। 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নারী  আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলোর জাতীয় মোর্চা সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্ক শহরের একটি পোশাক কারখানায় ন্যায্য মজুরি ও শ্রমের দাবিতে আন্দোলন করেন নারী শ্রমিকরা। কিন্তু ওই আন্দোলনে পুলিশ নির্যাতন চালায় এবং অনেককে গ্রেপ্তারও করে। ১৯০৮ সালের একই দিনে নিউইয়র্কে পোশাক শ্রমিক ইউনিয়নের নারীরা আরেকটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। চলে ১৪ দিন ধরে। এতে প্রায় ২০ হাজার নারী শ্রমিক অংশ নেন। তারা কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম এবং শিশুশ্রম বন্ধের দাবি জানান।

১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকায় সে সময়কার সোশ্যালিস্ট পার্টি প্রথম জাতীয় পর্যায়ে নারী দিবস পালন করে। ১৯১০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মান সমাজতাত্ত্বিক ক্লারা জেটকিন নারীর ভোটাধিকার এবং নারী দিবস পালনের দাবি জানান। পরে তার উদ্যোগেই ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়। তাতে অংশ নেয় জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও ডেনমার্কের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। ১৯১৩ সালে রাশিয়ার নারীরা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার নারী দিবস পালন করেন। এর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সেই ঐতিহাসিক ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশেও ১৯৭৫ সাল থেকে ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উদযাপন হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে চীন, কিউবা, ভিয়েতনাম, উগান্ডা, রাশিয়া, ইউক্রেনসহ ১৫টি দেশে প্রতি বছর ৮ মার্চ সরকারি ছুটি থাকে। এই দিনে নারী অধিকার, লিঙ্গ সমতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হয়। পাশাপাশি নারীদের সমান অধিকারের লড়াইকে শক্তিশালী করাও দিবসটি উদযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য। নারী দিবসের রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে- বেগুনি ও সাদা। রঙ দুটি সুবিচার ও মর্যাদার প্রতীক, যা দৃঢ়ভাবে নারীর ক্ষমতায়নকেই নির্দেশ করে।


আরও খবর



বায়ুদূষণে আজ ঢাকার অবস্থান পাঁচ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান খুব একটা নড়চড় হচ্ছে না। ঘুরেফিরে শীর্ষ দূষিত শহরগুলোর তালিকাতেই থাকছে। আজ শুক্রবারও শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করছে জনবহুল এ শহরটি।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১৬০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। এদিন ২০৩ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৮২ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। ১৭৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। ১৬৬ স্কোর নিয়ে তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর।

একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৫৪ নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায়। ১৫২ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। ১৪৪ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে স্লোভাকিয়ার ব্রাতিস্লাভা। ১৪৪ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে চীনের উহান। ১৩৬ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটার।

এর আগে, পুরো ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বায়ু ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’ বা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।


আরও খবর



১০১ রানে শেষ আয়ারল্যান্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। তবে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা আইরিশদের ২৮.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানে থামিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৫ উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ। তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেনও দারুণ বোলিং করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দুদল। যেখানে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমেছে স্বাগতিকরা।

ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ড শুরু থেকেই বাংলাদেশ পেসারদের তোপে চাপে পড়ে। সফরকারীদের দুই ওপেনার স্টেফেন ডোহেনি (৮) ও পল স্টার্লিংকে (৭) ফেরান হাসান মাহমুদ। পরে চারে নামা হ্যারি টেক্টরকে শূন্য রানে বিদায় করেন হাসান।

এরপর অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নিকে ব্যক্তিগত ৬ রানে ফেরান তাসকিন আহমেদ। এবাদত হোসেন নিজের এক ওভারে জোড়া আঘাত করেন। আইরিশদের হয়ে ২৮ রান করা লরকান টাকারকে আউট করা পর শূন্য রানে জর্জ ডকরেলকে বোল্ড করেন।

তাসকিন নিজের পরের স্পেলে এসে এক ওভারে জোড়া উইকেট দখল করেন। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনিকে নাসুমের ক্যাচে ফেরানোর পর মার্ক অ্যাডায়ারকে বোল্ড করেন তাসকিন।

সফরকারীদের শেষ দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটের দেখা পান হাসান। তিনি আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফারকে তাসকিনের ক্যাচে ফেরানোর পর গ্রাহাম হিউমকে এলবি করেন।

এ ম্যাচে বাংলাদেশের পেসাররাই সব উইকেটে পেলেন। হাসান ৮.১ ওভারে ৩২ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন। ৩টি উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। আর দুটি উইকেট দখল করেন এবাদত হোসেন।

সিলেটে দুই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে রেকর্ড রান করে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় সিরিজ ঘরে তুলতে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জিততে হবে টাইগারদের।

বাংলাদেশ সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডে ম্যাচে স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে একাদশে নিয়েছে। বাদ পড়েছেন প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া ইয়াসির রাব্বি। এছাড়া দ্বিতীয় ওয়ানডের মতো তৃতীয় ম্যাচেও মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্রামে আছেন।

বাংলাদেশের একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন।

আয়ারল্যান্ড একাদশ: স্টিফেন ডোহেনি, পল র্স্টালিং, আন্দ্রে বালবির্নি, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনি, মার্ক অ্যাডায়ার, গ্রাহাম হিউম, ম্যাথু হামফ্রাইস।


আরও খবর