Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

নবম শ্রেণিতে থাকছে না বিজ্ঞান-মানবিক-বাণিজ্য বিভাগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৯৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৪ সালে নবম শ্রেণিতে কোনো বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন থাকছে না। সোমবার (২৩ অক্টোবর) এ ব্যাপারে প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ সংক্রান্ত প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ার পর এদিন সন্ধ্যায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর পত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের অবহিত করে।

এতে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন থাকছে না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হলো।

এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে শুরু হয় নতুন শিক্ষাক্রমের পুরো বাস্তবায়ন। ২০২৪ সালে প্রাথমিকের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণি, ২০২৫ সালে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম এবং মাধ্যমিকের দশম শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে।

এছাড়া ২০২৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে।


আরও খবর



গাংনীতে বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃবিদুৎচালিত সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্টে আব্দুল হান্নান(৭৫)নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর দক্ষিন পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। আব্দুল হান্নান ওই গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে।

আব্দুল হান্নানের মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য হিরোক আহমেদ জানান,আব্দুল হান্নান নিজ বাড়ির পাশে নিজের বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সুইস দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্ট হয়ে সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।

স্থানীয় বামন্দী ক্যাম্প পুলিশের এসআই শরীফুল ইসলাম জানান, বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ওই কৃষকের পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।


আরও খবর

মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




মধুপুরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা (বিশেষ প্রতিনিধি) মধুপুর টাঙ্গাইলঃসারাদেশ ব্যাপী প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।পাশাপাশি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাতেও তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। 

হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে বাড়ছে জ্বর, সর্দিকাশি জনিত রোগীর সংখ্যা। 

রোদে পুড়ছে প্রকৃতি, বইছে তাপদাহ, স্বস্তি নেই কোথাও। দুপুরের রোদে খোলা আকাশের নিচে হাঁটলে গরম বাতাসে মুখমন্ডল পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। একটু প্রশান্তি ও শরীরকে সতেজ রাখার জন্য মানুষ ছুটছেন গাছের ছায়ায়। এছাড়াও গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর কিংবা নদীর পানিতে সাতার কাটছে দিনভর। শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না কারন প্রচুর লোডশেডিং আর বৈদ্যুতিক পাখাও হার মানছে এই তীব্র গরমের কাছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মধুপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভ্যাপসা গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কর্মজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আর এই তীব্র রোদে লোকজন ঘর থেকে কম বের হওয়ার কারণে মধুপুর পৌর শহরে রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজির সংখ্যাও ছিলো অনেক কম। মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা ছিলো প্রায় ফাঁকা। 

এই অতিরিক্ত গরমে মধুপুরের জনজীবন যেন গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছে ফলে দেখা দিচ্ছে জ্বর,সর্দি-কাশির প্রাদুর্ভাব।

মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শিশু সহ বয়স্ক রোগীদের উপচে পড়া ভীড়।এদের অধিকাংশই অতিরিক্ত গরমের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।  

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার  ডা. মো. ইমরান হোসেন  জানান, বিগত কয়েকদিনে তীব্র  গরমের কারণে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে ।

তিনি আরও জানান, আগে দেড়শো'র মতো রোগী প্রতিদিন ইমারজেন্সিতে চিকিৎসা নিতে আসতো কিন্তু এখন তীব্র তাপদাহের কারণে প্রতিদিন দু’শোর বেশি রোগী চিকিৎসার জন্য ইমারজেন্সিতে আসছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই হচ্ছে শিশু। 

আমাদের হাসপাতালে জনবল কম থাকার পরেও আমরা দিনরাত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তীব্র গরমে ঘরের বাহিরে গেলে সাদা ছাতা বা ক্যাপ, ঢিলেঢালা পাতলা সূতি কাপড়ের পোশাক পরিধান এবং শরীরে পানিশূন্যতায় খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি সহ প্রচুর তরল খাবার গ্রহনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। 

এদিকে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে চাহিদা বেড়েছে ঠান্ডা পানীয় খাবারের। ফুটপাতে প্রচুর পরিমানে বিক্রি হচ্ছে আখেঁর রস, ডাব এবং প্রচন্ড গরমে ক্লান্তি মেটাতে পথচারীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায় বিভিন্ন শরবতের দোকানে। 

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাংগাইল সহ দেশের বিভিন্ন জেলা, বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে যা আগামী কয়েকদিন এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আবারও ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩দিনের  সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

এতে বলা হয়- দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে।

অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শাহিন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:৬ ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহীন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়ায় ইতিমধ্যে সামাজিক যোগযোগ ফেসবুকে অনেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

দিনাজপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন,সাবেক পৌর মেয়র কামাল হোসেন রাজ ও আমিনুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার ও নুরুন্নাহার বেগম মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাচাইয়ে ৩ টি পদে ৭ জনেরই মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করে সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার।

এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসারের কাছে। তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শাহীনুর রেজা শাহিন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়ায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন বলেন,বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের দিকনির্দেশনায় আগামী ৫ বছরে হাকিমপুর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে পরিণত করে জনগণের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করবো। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে,আগামী ৫ বছরও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করতে পারবো।অতীতের মত ভবিষ্যতেও আমি এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে : ৪২. ৬ ডিগ্রি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে ৪২. ৬ ডিগ্রি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, কয়েকদিন দিন ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এক ডিগ্রি করে বাড়ছে প্রতিদিনই তাপমাত্রা। গত তিন দিন আগেও বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ দিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার যশোরে তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রচণ্ড এ তাপদাহে নাকাল হয়ে পড়েছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন।শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। গরমে গলে গেছে বেশ কয়েকটি পিচঢালা সড়ক। এরই মধ্যে প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই যাত্রী বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন রিকশা চালকরা। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, খোলা আকাশের নিচে হাঁটলেও গরম বাতাস লাগছে চোখে-মুখে। যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাচাঁর চেষ্টা করছেন অনেকেই। স্বস্তি পেতে শ্রমজীবী মানুষ রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ হাতে মুখে পানি দিয়ে ঠান্ডা হওয়ার চেষ্টা করছেন। আর শিশু কিশোররা গরম থেকে রেহাই পেতে মাতছে জলকেলিতে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অস্বস্তি বাড়বে।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪