Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

নবীনগরে দুই সন্তান ও আলিশান বাড়ি-ঘর রেখে কন্ট্রাক্টারের হাত ধরে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী।

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৮১জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি ;


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার থোল্লাকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের দুই সন্তান ও আলিশান বাড়ি-ঘর রেখে তার স্ত্রী সাবিনা হোসেন, প্রায় ২কোটি ৭০ লাখ টাকা নিয়ে নজরুল ইসলাম নামের এক পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। গত (২২ জানুয়ারি) রোববার উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 


এ ঘটনা সাবিনার পিতা বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত সাত দিনেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সাবিনা উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের সোনাবালুয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে। প্রেমিক নজরুল ইসলাম একই ইউনিয়নের পুরান থোল্লাকান্দি গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে। এইদিকে সৌদি প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের দুই সন্তান জান্নাতুল বুশরা জুই ও জাহিরুল ইসলাম, দিনরাত কেঁদেই চলছে মায়ের জন্য।


পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবিনা সঙ্গে ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের কুলাসিন গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ে কিছুদিন পর জয়নাল আবেদীন থোল্লাকান্দি গ্রামে তার স্ত্রী সাবিনা নামে জমি কিনে সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন।


সম্প্রতি সেখানে একটি তিন তলা বিল্ডিং নির্মাণের কাজ ধরেন তার স্বামী সৌদি প্রবাসী জয়নাল আবেদীন। সেগুলো দেখাশোনা করছেন তার স্ত্রী সাবিনা, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী বিদেশ থাকায়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে বিল্ডিং কন্ট্রাক্টার নুজরুল ইসলামের সঙ্গে সাবিনার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। যদিও তারা দুজনেই বিবাহিত ছিলেন। সাবিনা দুই সন্তানের জননী এবং নজরুল কন্ট্রাক্টার দুই সন্তানের জনক। 



ঘটনার দিন সকালে সাবিনা স্বামীর আলিশান বাড়ি-ঘর ও দুই সন্তান রেখে ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার, সংসারে থাকা নগদ ৭০লাখ টাকা টাকা এবং সাবিনা একাউন্টে থাকা স্বামী পাঠানো দুই কোটি টাকা তুলে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক নজরুল ইসলামের হাত ধরে পালিয়ে যান।


-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



প্রতিশোধ নিতে সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। ড্রোন হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলা চালিয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

এক বিবৃতিতে পেন্টাগন বলছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ৩৮ মিনিটে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার হাসাকেহের কাছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের একটি ঘাঁটিতে হামলার জবাবে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই হামলা চালানো হয়েছে।

মার্কিন গোয়েন্দা ধারণা করছে, সিরিয়ায় তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের ঘাঁটিতে ইরানের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, পূর্ব সিরিয়ায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিজি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে তিনি প্রতিশোধমূলক হামলার অনুমোদন দিয়েছেন। অস্টিন বলেন, বাইডেন যেহেতু স্পষ্ট করেছেন তাই আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেব।


আরও খবর



ঢাকার অবস্থান আজ অষ্টম দূষিত শহরের তালিকায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান অষ্টম। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৩৪ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল।

থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, তাইওয়ানের কাওশিউং ও ঘানার আক্রা যথাক্রমে ১৮৭, ১৬৯ ও ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।


আরও খবর



পবিত্র শবেবরাত আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আরবি ‘শাবান’ মাস একটি মোবারক মাস। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসেবে তিনি এ মাসকে পালন করতেন। এ মাসের একটি রাতকে মুসলমানরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, মধ্য শাবানের এই রাত আমাদের এই জনপদে ‘শবেবরাত’ হিসেবে পরিচিত। আজ সেই মহিমান্বিত রাত।

পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পবিত্র শবেবরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে ওয়াজ করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমীন। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বরাতের শিক্ষা ও করণীয় নিয়ে ওয়াজ করবেন মহাখালী গাউসুল আজম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আযহারী। রাত সাড়ে ১২টায় নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে ওয়াজ করবেন রাজধানীর বাদামতলী শাহজাদা লেন জামে মসজিদের খতিব শায়খুল হাদিস মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী। রাত সোয়া ৩টায় তাহাজ্জদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে ওয়াজ করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মিজানুর রহমান। ভোর সাড়ে ৫টায় আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ অর্থ সৌভাগ্য। এ দুটি শব্দ নিয়ে ‘শবেবরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী। আরবিতে একে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’। আজ ১৪ শাবান মঙ্গলবার দিবাগত রাতটিই পবিত্র শবেবরাত। আল্লাহতায়ালা এ রাতে বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুলভ্রান্তি ও পাপতাপের জন্য গভীর অনুশোচনায় আল্লাহর দরবারে সকাতরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভারতীয় উপমহাদেশ বিশেষ করে বাংলাদেশে শবেবরাতকে ‘ভাগ্যরজনী’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়।

মুসলমানরা শবেবরাতে নফল নামাজ, জিকির-আসকার, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিনিদ্র রাত কাটায় ও আল্লাহতায়ালার কাছে বিনম্র প্রার্থনা করেন ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য। একই সঙ্গে মৃত আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে সন্ধ্যার পর থেকেই ওয়াজ-নসিহত, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনেকে গভীর রাত অবধি ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থেকে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন।

বাঙালি মুসলিম সমাজে শবেবরাতের একটি আনন্দঘন সামাজিক দিকও রয়েছে। এদিন মুসলমানদের বাড়িতে সাধ্যানুযায়ী হালুয়া, পায়েস, রুটিসহ নানা উপাদেয় খাবার রান্না করা হয়। এসব খাবার আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে পাঠানো এবং গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। অনেকে মুক্ত হস্তে দান-খয়রাতও করে থাকেন। বরাবরের মতোই শবেবরাতের পরদিন অর্থাৎ কাল বুধবার সরকারি ছুটি থাকবে।

শবেবরাতের বরকত, ফজিলত ও মর্যাদা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহতায়ালা মধ্য শাবানের রাতে তার সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন এবং মুশরেক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। 

আটজন সাহাবির সূত্রে বিভিন্ন সনদে এই হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে। এ হাদিস থেকে প্রমাণ হয় যে, শবেবরাত ফজিলতময় এবং এ রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের ক্ষমা করে থাকেন। তবে ক্ষমা পাওয়ার শর্ত হলো- শিরক ও বিদ্বেষ থেকে মুক্ত থাকা। এ দুটি বিষয় থেকে যারা মুক্ত থাকবেন তারা কোনো অতিরিক্ত আমল ছাড়াই এ রাতের বরকত ও ক্ষমা লাভ করবেন। কিন্তু শিরক ও বিদ্বেষ থেকে মুক্ত হতে না পারলে অন্য আমল দিয়ে ওই রাতের বরকত ও ক্ষমা লাভ করা যাবে না। দুঃখের বিষয় হলো, শবেবরাতে আমরা অনেক নফল আমল করলেও ওই দুটি শর্ত পূরণের চেষ্টা খুব কম মানুষই করে থাকি।

আল্লাহতায়ালা যে কোনো সময় তার বান্দার দোয়া-প্রার্থনা কবুল করতে পারেন। তার পরও বছরের এমন কিছু বিশেষ সময়-ক্ষণ রয়েছে, যে সময়গুলোর মর্যাদা ও ফজিলত অন্য সময়ের তুলনায় বেশি। সেসব দিন-ক্ষণে কৃত ইবাদত, দোয়া-মোনাজাতের মর্যাদা বেশি ও সওয়াবের মাত্রা অপরিসীম। এ বিষয়গুলো মুসলমানদের মনে শবেবরাতে ইবাদত-বন্দেগি ও বেশি বেশি নেক কাজ করার স্পৃহাকে জাগিয়ে তোলে। ফলে দেশব্যাপী শবেবরাত উপলক্ষে সৃষ্টি হয় এক ধর্মীয় আবহ। এ রাত কাতর ফরিয়াদ মিশ্রিত দোয়া-মোনাজাতসহ বিভিন্ন নফল ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর রাত।


আরও খবর



নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক মিলাদ ও শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান।

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক মিলাদ ও এস এস সি ২০২৩ পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান হয়েছে।আজ বুধবার দুপুরে স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক আবু মোছার সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল সিদ্দিক।


বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী ওয়াজেদ উল্লাহ জসিম, একাডেমিক সুপার ভাইজার হাসনাত জাহান, অবসর প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আবু কামাল খন্দকার, ফজলুল হক, সহকারী শিক্ষক নূরুল ইসলাম ভূইয়া, নূরুল হোসেন, তাহমিনা আক্তার, খলিলুর রহমান প্রমূখ।মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন প্রধান মাওলানা আমির হোসেন।


অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও মনোরমা দেবী।প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার  একরামুল সিদ্দিক শিক্ষার্থীদের কে পরীক্ষার জন্য ভালো করে প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ বিনির্মানে শৃঙ্খলাবোধ প্রয়োজনীয়তা সহ বিভিন্ন অনুপ্রেরণা মূলক বক্তব্য রাখেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ। লিঙ্গ সমতার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয়। বিশ্বব্যাপী নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা; তাদের কাজের প্রশংসা এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্যে থাকে নানা আয়োজন।

এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল : ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’। যার বাংলা দাঁড়ায়- ‘লিঙ্গ সমতার জন্য উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি’।

বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অধিকার রক্ষা, ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। গত ৫০ বছরে বাঙালি নারীরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন। তবে এ অর্জন কারও একক চেষ্টায় বা একদিনে হয়নি। এটা সামগ্রিক অর্জন এবং অনেক ভঙ্গুর পথ অতিক্রম করে, নানা বাধা পেরিয়ে নারীরা আজ এই অবস্থানে।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বিশ্বের সব নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষ্যে বেলা আড়াইটায় এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হবে। 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নারী  আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলোর জাতীয় মোর্চা সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্ক শহরের একটি পোশাক কারখানায় ন্যায্য মজুরি ও শ্রমের দাবিতে আন্দোলন করেন নারী শ্রমিকরা। কিন্তু ওই আন্দোলনে পুলিশ নির্যাতন চালায় এবং অনেককে গ্রেপ্তারও করে। ১৯০৮ সালের একই দিনে নিউইয়র্কে পোশাক শ্রমিক ইউনিয়নের নারীরা আরেকটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। চলে ১৪ দিন ধরে। এতে প্রায় ২০ হাজার নারী শ্রমিক অংশ নেন। তারা কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম এবং শিশুশ্রম বন্ধের দাবি জানান।

১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকায় সে সময়কার সোশ্যালিস্ট পার্টি প্রথম জাতীয় পর্যায়ে নারী দিবস পালন করে। ১৯১০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মান সমাজতাত্ত্বিক ক্লারা জেটকিন নারীর ভোটাধিকার এবং নারী দিবস পালনের দাবি জানান। পরে তার উদ্যোগেই ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়। তাতে অংশ নেয় জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও ডেনমার্কের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। ১৯১৩ সালে রাশিয়ার নারীরা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার নারী দিবস পালন করেন। এর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সেই ঐতিহাসিক ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশেও ১৯৭৫ সাল থেকে ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উদযাপন হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে চীন, কিউবা, ভিয়েতনাম, উগান্ডা, রাশিয়া, ইউক্রেনসহ ১৫টি দেশে প্রতি বছর ৮ মার্চ সরকারি ছুটি থাকে। এই দিনে নারী অধিকার, লিঙ্গ সমতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হয়। পাশাপাশি নারীদের সমান অধিকারের লড়াইকে শক্তিশালী করাও দিবসটি উদযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য। নারী দিবসের রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে- বেগুনি ও সাদা। রঙ দুটি সুবিচার ও মর্যাদার প্রতীক, যা দৃঢ়ভাবে নারীর ক্ষমতায়নকেই নির্দেশ করে।


আরও খবর