Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

নবীনগর সাহারপাড়ে, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৪০জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া  প্রতিনিধিঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন সারারপাড় দক্ষিণ পাড়া যুব সমাজের উদ‍্যোগে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার বিকালে সাহারপাড় চৌরাস্তা মোড় সংলগ্নে এই লাঠি খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। লাঠি খেলা টি দেখতে শিবপুর ইউনিয়নসহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজারো দর্শকদের উপচে পড়া ভীর দেখা যায়।ঢাক, ঢোল আর সানাইয়ের শব্দে চারপাশ আলোড়িত হয়।


বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে নানান অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ও গ্রামীণ জনজীবনের নানা দিক প্রদর্শন করে লাঠিয়ালরা।তারপরই শুরু হয় লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও তাকে আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ার অসাধারণ দৃশ্য দেখতে হাজারো দর্শক উপস্থিত হন। দর্শকদের করতালি আর হৈ-হুল্লোড়ে আরো জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠে লাঠি খেলার আসর। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই  সাহারপাড় গ্রামে লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল।


উক্ত লাঠি খেলায় শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক অলিউর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও রাসেল আহমেদ নুর নবীর সঞ্চালনায় উদ্ভোধনি বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ও সমাজ সেবক, মোঃ শাহীন সরকার।অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী , জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস।


প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাজী মোঃ লিটন মেম্বার।প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাতার প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন ও প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রুবেল ভূঁইয়া।ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলায় উপস্থিত ছিলেন,সমাজ সেবক কবির আহমেদ,আশ্রাফ হোসেন আকছির , রফিকুল ইসলাম রতন , মাইনুদ্দিন মেম্বার, রাসেল ভূঁইয়া সহ এলাকার মান্যবর ব্যাক্তিবর্গগণ ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কুষ্টিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আবারো দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সম্রাটের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে তার বিরুদ্ধে এখনো কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার ফলে চেয়ারম্যান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এবং সবকিছু তার নিজের মর্জিতে লুটপাট করে চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন- ওই ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার সহ আরও অনেকে। তিন মহিলা মেম্বার কোন উপায় না পেয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে গেলেও কোন সমাধান মিলছে না। আবার উল্টো চেয়ারম্যানের গুন্ডা বাহিনীর হুমকি ও লাঞ্চিত হচ্ছে। এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুদকে। 
 
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন- আমি মোছাঃ রূপসী আকতার, ১২নং হরিণারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৭,৮,৯, নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ও প্যানেল চেয়ারম্যান ২, ১২নং হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সম্রাট এর নামে আনিত অভিযোগ। দূর্নীতি ও অনিয়মগুলো তুলে ধরা হলো- বরাদ্দকৃত কাজের কোন মিটিং আলোচনা ছাড়াই সবকিছু নিজের লোকজন দিয়ে পরিচালনা করেন। আবার কৌশলে সচিবকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে পরে ইচ্ছামত গদ বসিয়ে দেন। ১৫টি প্রকল্পের টাকা লামছাম কাজ করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া- ১। হাট বাজারের টাকা পায় ৩,৫০,০০০/- তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ২। ট্রেড লাইসেন্স প্রায় ৪,৫০,০০০/- চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ৩। বাসা বাড়ীর ট্যাক্স প্রায় ১০,০০,০০০/- দশ লক্ষ টাকা ৪। কাজ করার কথা বলে প্রস্তাব দিয়ে ১% এর ২,০০,০০০/- দুই লক্ষ টাকা, আবার কাজ না করে নিজেই তুলে আত্মত্মসাৎ করেন। ৫। প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ১০,০,০০০/- দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সর্বনিম্ন আয় এতকিছুর পরেও ৩,০০,০০০/- তিন লক্ষ টাকা বাজেট ঘাটতি দেখিয়েছেন। এর হিসাব চাইলে সচিব কোন হিসাব দেয় না। এদিকে প্রতি মাসে মেম্বরদের বেতন ৪৪০০/- টাকা বহন করবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু ৮-৯ মাস পর চার মাসের বেতন দিলেও আবার তার থেকে ৪০০/- কেটে নেওয়া হয়। হাট বাজার বরাদ্দের টাকার নামে আবার বেতনের টাকা না দিয়েও বেতন বহিতে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন এই আলোচিত চেয়ারম্যান। এদিকে কৃষকের বরাদ্দের কোন মেম্বরদের সাথে আলোচনা না করেই দেওয়া হয় ও নির্যাতন চালানো হয়।

আমি এর প্রতিবাদ করলে আমার বাড়ীতে রাতের বেলা চেয়ারম্যানের নাম করে ০৪ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমি এবং আমার পরিবারের প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে যায়। তারপর আমি এ বিষয়ে ইবি থানাতে গিয়ে ওসি স্যারকে সকল বিষয়গুলো বলি। তারপর তিনি অজ্ঞাত নামে একটি অভিযোগ নেই। এতে আমার প্রাণ নাশের হুমকী আরও বেড়ে যায়। তখন আমি এর থেকে বাচার জন্য একটি পেপারিং করে সকলকে বিষয়টি জানাই। তারপর সে আমাকে মারতে না পেরে আমার উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা শুরু করে। আমাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকী দেয় এবং আমাকে পরিষদের সকল প্রকার বরাদ্দকৃত জিনিস থেকে বঞ্চিত করে আসছে। এ বিষয়ে আমি একটি মিটিং এ হাজির হয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বলি আমাকে কেন কোনকিছু দেওয়া হচ্ছে না? তাতে চেয়ারম্যান বলে, আমি তোমাকে কোন কিছু দিব না এবং আমি তোমাকে এখন পর্যন্ত সুস্থ্য রেখেছি সেটাই তোমার জন্য বড় কপাল। উপরোক্ত বাক্যটি সকল মেম্বরগণ উপস্থিত থাকাবস্থায় শ্রবণ করেন এবং মেম্বারকে উক্তি করে এমন কথা বলেছেন বলে স্বীকার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রতিনিধি’কে বলেন, ভাই আপনারা মহিলাদের কথা শুনেই নিউজ করতে ব্যস্ত হয়ে যান । আরও আমার অনেক সদস্য আছে তারা কখনও কি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে । আপনারা সাংবাদিক যা ভালো বুঝেন তাই লিখবেন , তবে অবশ্যই সত্যটা লিখবেন ।

আরও খবর



ইবিতে দেড়শো শিক্ষার্থীর মাঝে বই-বিহঙ্গের বই বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান,ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গ্রীণ আর্কিটেক্ট নিবেদিত বই-বিহঙ্গ বই দিবস-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নং রুমে বই-বিহঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। এসময় প্রায় দেড়শো শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সায়েম আহম্মেদের সঞ্চালনায় বই-বিহঙ্গ ইবি শাখার শাখা প্রতিনিধি মামুন শেখের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বই-বিহঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সজিব শিকদার,সহ-প্রতিষ্টাতা ফাহিম মুনতাছির আসাদুজ্জামান জিলানী সহ-প্রতিষ্ঠা উম্মে হাবিবা হ্যাপি, ঢাকা শাখার সক্রিয় সদস্য রিফা তাসনিম প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখার প্রতিনিধি মো:সাব্বির খান, মামুন  ও তমা খাতুন প্রমুখ। 

বই -বিহঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সজিব শিকদার বলেন,  বই দিবসকে ঘিরে এমন আয়োজন করার জন্য বই-বিহঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমরা আশা করি পরবর্তী বছর গুলোতে বই দিবসের এই আয়োজন আমাদের সকল শাখায় বিস্তৃত হবে।

সহ-প্রতিষ্ঠাতা উম্মে হাবিবা হ্যাপি বলেন, 'বই-বিহঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় শাখা। এভাবে সবাই বই-বিহঙ্গের পাশে থাকবেন ও সাহায্য করবেন এটাই প্রত্যাশা।  

সহ-প্রতিষ্ঠাতা আসাদুজ্জামান জিলান বলেন, 'এত গরমের মধ্যেও বইকে ভালোবেসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কারণে শুভেচ্ছা। আমাদের স্বপ্ন ছিল সারাদেশব্যপী বই-বিহঙ্গের শাখা ছড়িয়ে দিব, সেই লক্ষ্য নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আজ এই আয়োজনে দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। সকলের জন্য শুভেচ্ছা। আপনারা বই-বিহঙ্গের যুক্ত হবেন এবং সারা বাংলাদেশের সেরা শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এটাই প্রত্যাশা।

ইবি শাখা প্রতিনিধি সাব্বির খান বলেন, মাত্র ৩ দিনে আমরা এত পরিমাণ আপনাদের সাড়া পাবো কখনও ভাবতে পারি নাই। সকলকে একসাথে করতে আমরা বই বিহঙ্গ ইবি আশা আনন্দিত।  

ইবি শাখা প্রতিনিধি তমা বলেন, ইবিতে এত পরিমাণ বই প্রেমী মানুষ আছে কল্পনা করতে পারি নাই আমাদের ইচ্ছা থাকলেও আমরা ১৫০ এর বেশি আসন দিতে পারি নাই তবে ইবিয়ান বই প্রেমীদের নিয়ে সামনে আরও বড় আয়োজন করব। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কাউটের ইউনিট কাউন্সিল সভাপতি মুসা হাসেমী বলেন, 'ইবিতে এই প্রথম বই নিয়ে এত বড় কোনো প্রোগ্রাম হলো। বই- বিহঙ্গ ইবি শাখাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই ধারা যেন অব্যবহৃত থাকে সেই প্রত্যাশায় করি। '
 
ইবি মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিরব বলেন, 'বই -বিহঙ্গ  ইবি শাখা হওয়ার পর থেকে তাদের কার্যক্রম দেখে আসছি। শুরু থেকে সাথে ছিলাম থাকব।'

সভাপতির বক্তব্যে ইবি শাখা প্রতিনিধি মামুন বলেন, আজকের আয়োজনে সফল করতে যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন বিশেষ করে ইবি শাখা প্রতিনিধি মো:সাব্বির খান ও আখি খাতুন তমার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আশা করি আপনাদের সাথে নিয়েই এগিয়ে যাবে বই-বিহঙ্গ ইবি শাখা।

সার্বিক বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, 'বই মানুষের আলোকিত করে। আমি চাই, বই পড়ার মাধ্যমে দেশে আলোকিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাক। এভাবে সকল বইপ্রেমীদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।' 

আরও খবর



রৌমারীতে এলডিডিপি প্রকল্পে দুর্নীতি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২০জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব শেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। তাদের অভিযোগ, নিজেদের একাউন্টে টাকা আসলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৌশলে তাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে ছাগল ও মুরগির পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সিংহভাগ টাকা পকেট অস্ত্র করেন।

সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রের মতে, উপকারভোগীদের একাউন্টে প্রেরিত অর্থ দিয়ে তাদের নিজেদের পরিবেশ বান্ধব ঘর তৈরির কথা থাকলেও সংশিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের সে সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই এসব ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজের শুরুতেই এলডিডিপি প্রকল্পের প্রস্তাবিত পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার শুরু করলে দুর্নীতিপরায়ণ ওই কর্মকর্তা দ্বয় উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ বরাদ্দ দেয় । 

অভিযোগ উঠেছে , এসব পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণের জন্য ৯৭ জন উপকার ভোগীর জন্য ২৫ হাজার করে এবং ৩৪ জন উপকারভোগীর জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র সাত আট হাজার টাকায় প্রতিটি সেড নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এভাবেই অবশিষ্ট সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপকারভোগী জানান, "আমাদের কাছ থেকে প্রথমেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি  নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন। পরবর্তীতে ওই একাউন্টে সেড নির্মাণের বরাদ্দ আসলে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তারা ছাগল রাখার ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্পের অর্থে শেড নির্মাণের জন্য উপকারভোগীদের সাথে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া হয়। এছাড়াও সেড ঘরের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শ থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। এসব অর্থ খরচের বৈধ কোন ভাউচার পাওয়া যায়নি।  

উপকারভোগীদের বরাদ্দে টাকার পরিমানে কমবেশি থাকলেও সরজমিন ঘুরে ১৩১ টি ঘর একই রকম পাওয়া গেছে। যার প্রতিটি ঘর তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। সংশিষ্ট সূত্র জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৪ টি ঘর নিমার্ণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

একাধিক উপকারভোগীর দাবী, "বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে আমরা সেড নির্মাণ করলে শেডগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং টেক সই হতো। যা অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেত। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা শেড গুলো অল্পদিনের মধ্যেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন উপকারভোগীকে ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন ঠিকাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অত্যন্ত কৌশলে উপকারভোগীদের নামে আসা বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেছেন। 

এদিকে প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম ব্যবহার না করায় উপকারভোগীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার কথা থাকলেও  ওই কর্মকর্তারা তা না করে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার জন্য উপকারভোগীদের কাছে দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে আমাদের কাছ থেকে চেকে সই করে তারা টাকা উত্তোলন করেন। যে ঘর নিমার্ণ করে দেন তা একে বারেই নি¤œমানের।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমরা বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। নি¤œমানের শেড নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। শেড নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এগিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।



আরও খবর



আক্কেলপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া জরাজীর্ণ ঘরেই দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে রেজাউল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িতেই পরিবারের সদস্য নিয়ে কষ্টে বসবাস করছেন দিনমজুর রেজাউল করিম। গত শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার গুরকী গ্রামে তার বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তার ঘরের টিনের ছাউনি, কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া ঘর পুনরায় সংস্কার করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ কারনে তিনি আর্থিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।

রোববার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দিনমুজর রেজাউলের ঘরের মাটির তালা কয়লায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। টিনের ছাউনি আগুনে পুড়ে ফায়ার সার্ভিসের পানির চাপে ঘরের চারদিকে এলোমেলো পরে রয়েছে। বাড়ির ভিতর ও বাহিরে রাখা আছে আগুনে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র, টিন ও অন্যান্য তৈজসপত্র। বাড়ির দুটি কক্ষে গাদাগাদি করে রাখা আছে বেঁচে যাওয়া অন্যান্য আসবাবপত্র।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ্য ওই বাড়িতেই পরিবারের দুই মেয়ে, দুই নাতি ও রেজাউল দম্পতির বসবাস। ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি দিনমজুর রেজাউল হওয়াই তাদের পক্ষে ওই বাড়িটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। একারণে ঘরের উপরে ছাউনি না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রচন্ড তাপদাহে কষ্ট করে সেখানেই অবস্থান করছেন তারা। যে কোন সময় ঝড় বা বৃষ্টি হলে পরিবারটি পরতে পারে মহা বিপদে। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার গুরকী গ্রামে দিনমজুর রেজাউলের বাড়িতে গোয়াল ঘরে চুলার কয়লার আগুন থেকে আগুনের সূত্র পাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে সাড়া বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার বাড়ির টিনের চালা, ঘরের মাটির তালাতে রাখা খরকুটো সহ অন্যান্য কিছু আসবাব পুড়ে যায়। খবর পেয়ে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে পৌনে এক ঘন্টা ব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় ওই পরিবারের আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

দিনমজুর রেজাউল করিম বলেন, এনজিও থেকে কিস্তির টাকা নিয়ে আমার বাড়ির টিনের ছাউনী দিয়েছিলাম। কিস্তি পরিশোধের আগেই আগুনে পুড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। পোড়া বাড়িতেই প্রচন্ড গরমের মধ্যে পরিবার নিয়ে আছি। বর্তমানে এটা ছাড়া আমার থাকার মতো কোন পথ নাই। আমি অন্যের বাড়িতে কামলা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এখন আমার অন্যের সহযোগীতা প্রয়োজন।

আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্দুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌনে এক ঘন্টা প্রচেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়। গোয়াল ঘরের পাশের চুলার জ¦লন্ত কয়লার আগুন থেকে অগ্নিকান্ড ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।পৌর মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী বলেন, দিনমজুর রেজাউলকে পৌরসভার পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

আরও খবর



তানোরে ইউপি আ"লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার শেষ বিকেলের দিকে ইউপির ছাঐড় নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় বর্ধিত সভা। কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মুনসেফ আলী, শিক্ষক আ"লীগ নেতা জিল্লুর রহমান, উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি শিক্ষক রাম কমল সাহা, কামারগাঁ ইউপি উত্তর শাখার সভাপতি প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন প্রামানিক, সাবেক সম্পাদক সুফি কামাল মিন্টু, সাবেক ইউপি যুবলীগ সভাপতি মেম্বার তোফায়েল আহমেদ, উত্তর শাখার সম্পাদক নির্মল সরকার। কামারগাঁ ইউপির উত্তর শাখা যুবলীগের সম্পাদক হায়দার আলীর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে ছিলেন, উত্তর শাখা যুবলীগের সভাপতি সাফিউল ইসলাম, দক্ষিণ শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম, ওয়ার্ড আ"লীগ সভাপতি মেম্বার লুৎফর রহমান, আব্দুল মজিদ, মেম্বার বলু, মতিউর রহমান, মামুন, পিজুস প্রমুখ। এসময় ইউপির নয় ওয়ার্ডের আ"লীগের সভাপতি সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর