মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর নারুই ব্রাক্ষণহাতা বার আউলিয়ার বিলে সহ-ভিবিন্ন অঞ্চলের বিলে, এবছরের চলতি এরি বোরো মৌসুমের আবাদে রোপণ করা বোরো ব্রি-২৮ জাতের ধানে ,নেক ব্লাস্ট (শীষ মরা) রোগের আক্রমণে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অধিক খরচে কৃষকরা ব্রি-২৮ ধান আবাদ করলেও এই রোগের কারণে দিশেহারা হয়ে পরেছেন এখানকার চাষিরা। তারা বর্তমানে ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু জমির ধানে চিটা পড়ায় তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম ।
জমির ধান কেটে বাড়িতে আনতে চান না বলে জানিয়েছেন অত্র অঞ্চলের কৃষকগণ ।ব্রি-২৮ জাতের ধানে চিটার পরিমাণ বেশি হওয়ায় খড় ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না বলে ধান কাটতে অনীহা কৃষকদের। তারা বলেন শীষ মরা রোগে আক্রান্ত ধানের খড় কুটা ও গবাদিপশু খেতে চায় না।আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টিভির নবীনগরের নিজস্ব প্রতিনিধি মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ,সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বিলে ঘুরে জানিয়েছেন।অত্র অঞ্চলের বিলের পর বিল ব্রি-২৮ জাতের ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে চিটায় পরিণত হয়েছে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে ধান আবাদ করতে সবমিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ৮-৯ হাজার টাকা। বিগত দিনে ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি জমিতে ধান উৎপাদন হতো ১৮-২০ মণ। সেখানে এবছরের চলতি এরি বোরো মৌসুমের ধানে চিটায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে বেশির ভাগ কৃষক তাদের জমি থেকে এবার ধান আনার আশা ছেড়ে দিয়ে এই অঞ্চলের কৃষকরা আজ দিশেহারা হয়ে পরেছেন । ব্রাহ্মণহাতা নারুই গ্রামের চাঁন বাদশা নামের এক কৃষক বলেন সারা বছরের শ্রম-ঘাম বিফলে গেল।
এখন ঋণের টাকাই ক্যামনে দিমু আর খোরাকই বা ক্যামনে চলবে , আমি বার আউলিয়ার বিলে ৭ বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ ধান লাগাইছি ধান হয় নাই, শুধু চিটা আর চিটা, তাই ধান কাটা আর না কাটা একই সমান।নুয়াগাঁও গ্রামের মুন্সি বাড়ির মনির হোসেন জানান, আমাদের বেশির ভাগ জমিই নিচু ,এ জন্য আগাম বন্যার ভয়ে ব্রি-২৮ ধানের জাত চাষ করেছিলাম ,এ ধান আগে ঘরে ওঠে বলে এটি বেশি জনপ্রিয় ধান , তাই আমি ৯ বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ ধান লাগাইছি, এখন জমির ধান কেটে বাড়িতে আনতে চান না ধানে চিটার পরিমাণ বেশি হওয়ায় খড় কুটা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না বলে জানান তিনি।
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব