Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

নাসিরনগরে স্বতন্ত্রপ্রার্থী একরামুজ্জামানের সর্বশেষ জনসভা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জানুয়ারী 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৭৮জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:৭জানুয়ারী ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২ জানুয়ারী  রোজ মঙ্গলবার দুপুর দুই ঘটিকার সময় আশুতোষ খেলার মাঠে ছিল স্বতন্ত্রপ্রার্থী আলহাজ্ব এস এ কে একরামুজ্জামানের সর্বশেষ নির্বাচনী জনসভা।বিশিষ্ট শিল্পপতি এস এম গ্রুপের চেয়ারম্যান এস এ কে আনোয়ারুজ্জামানের সভাপতিত্ব অনুষ্টিত নির্বাচনী সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন কলার ছড়ির প্রতিকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এ কে একরামুজ্জামান সুখন।অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,কেন্দীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া‌

উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রোমা আক্তার,যুক্তরাজ্য আওয়ামীরীগের সহ সভাপতি সৈয়দ মোঃ এহসানুল হক। তাছাড়াও জনসভায় আওয়ামীলীগ,বিএনপি,জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন দলের নেত্রীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।বেলা বারো ঘটিকা থেকেই শুরু হয় মিছিল আর মিছিল। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে উচ্ছসিত জনতা।মিছিলে মিছিলে কানায়,কানায় পরিপূর্ন হয়ে যায় খেলার মাঠ।মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয় বাঁধভাঙ্গা উল্লাস।এ সময় প্রধান অথিতি  উচ্ছসিত জনতাকে শান্তনা দিয়ে আগামী ৭ তারিখে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মা বোনদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে  শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট প্রদান তাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ-

কারচুপি, অনিয়ম, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী (দোয়াতকলম) ছরোয়ার আলম খান আবু।শনিবার (১১ মে) সকাল ১১টার দিকে তার নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মধুপুর-ধনবাড়ি থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য সাবেক কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সর্বোচ্চ প্রভাব খাটিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নগ্নভাবে প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করেছেন।


বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারগন ব্যাপক জাল ভোট দিতে সহায়তা করেছেন।তিনি আরও জানান, ২০/৩০টি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বান্ডিলে ২০/৩০ করে দোয়াত কলম এবং হোন্ডার ভোট আনারস প্রতিকের বান্ডিলের ভিতর ঢুকিয়ে ভোট গণনা করা হয় এবং ভোট গণনার আগেই ফলাফল শিট তৈরি করে মনগড়া ভাবে লিখে তা ফেইসবুকে প্রকাশ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। 


তিনি বলেন, ফলাফল শিটে গণনাকারী অফিসারদের সাথে আমার এজেন্টদের কোনো সাক্ষর নেই। ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে ৪টায় কিন্তু ৪টা ১৫ মিনিটের সময় থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হলেও ভাইস চেয়ারম্যানদের ফলাফল রাত সাড়ে ১২টায় প্রকাশ করা হয়েছে।


এতেই প্রমানিত হয় ভোটে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, বিভিন্ন এলাকায় আমার কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন দোকানপাটের মালামাল লুট করে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন অনিয়মের কারণে অবৈধ ফলাফল প্রত্যাখান ও নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে পুনঃ নির্বাচনের দাবি জানান।এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



অর্থের অভাবে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:টাকার অভাবে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারেননি মোসলেমা আক্তার। এবার বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা শাখার এক দায়িত্বশীলকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিষয়টি জানান মোসলেমা। তখন নগদ অর্থ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। 

আজ রবিবার (৫ মে) বেলা ১১ টায় দিনাজপুরের হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ওই শিক্ষার্থীর হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর শাখার সদস্যরা।এসময় সেখানে হিলিবার্তার প্রতিবেদক মোস্তাকিন হোসেন,বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর উপজেলা শাখার সহসভাপতি মুনিরা আক্তার,কোষাধ্যক্ষ সুমি আক্তার ও কর্ম ও পরিকল্পনার মৌ আক্তার।

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোসলেমা আক্তার বলেন,আমার বাবা পানামা পোর্টে কাজ করেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে পোর্টে তেমন কাজ নেই। সারা দিনে কাজ করে যে টাকা পান,তাতে আমাদের সংসার ঠিকমতো চালাতে কষ্ট হয়।

তাই আমার এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকাও বাবা দিতে পারছিলেন না। আমি অনেকের কাছে ধার হিসাবে টাকা চাইলেও কোথাও পাইনি।এমনকি একজন জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। তখন আমি কোনো উপায় না পেয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিনকে বিষয়টি জানাই।

তখন তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং পরদিন কলেজে যেতে বলেন। আজ রোববার কলেজে গেলে তারা আমার হাতে ফরম পূরণের টাকা তুলে দেন। তখন আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না,এত অল্প সময়ে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার পাশে না থাকলে এবারও টাকার অভাবে পরীক্ষা দিতে পারতাম না। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক এই কামনা করি। 

ওই পরীক্ষার্থীর বাবা বলেন,আমি একজন দিনমজুর মানুষ। সারাদিন পোর্টে কাজ করি। এতে যে টাকা পাই তা দিয়ে চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়।আমার দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। মোসলেমা আমার ছোট মেয়ে। তার  পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছা। কিন্তু আমার তো তেমন সামর্থ্য নেই। আজ আপনারা আমার মেয়ের পাশে এভাবে দাঁড়াবেন তা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।আপনাদের সবার জন্য দোয়া করি,মহান আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক। আপনারা যেন অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিন বলেন,একটি কল রিসিভ করতেই কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। কল করা মোসলেমাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলল,আপনারা তো শুভসংঘ করেন। আমাকে একটু সহযোগিতা করেন। আমাদের সংসার ঠিকমতো চলে না। দিন এনে দিনে খাই। তাই গেল বছর টাকার জন্য ফরম পূরণ করতে পারিনি।এবারও টাকার জন্য করতে পারছি না। শুভসংঘ থেকে সহযোগিতা পেলে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারব। তখন আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম। এরপর বিষয়টি আমি বসুন্ধরা শুভসংঘের দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রাসেল ও সাংবাদিক মোস্তাকিন ভাইকে বলি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেন। আর রাসেল ভাই রাতেই টাকাগুলো পাঠিয়ে দেন। আজ আমরা সেই টাকা মোসলেমার হাতে তুলে দিই।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে যা বললেন ডিবি প্রধান

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন,‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অবৈধভাবে মরদেহ দাফন, টর্চার সেল, আয়ের উৎস- সবকিছুই মামলায় রাখা হবে বলে  ।

বুধবার (১ মে) রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তারের পর রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকা ছাড়া করে।

ডিবি প্রধান বলেন, মিঠু হালদার নামে এক নার্সকে বিয়ে করেন। এরপরে তার স্বপ্নে আসল চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার স্থাপন করবেন। স্ত্রীকে দিয়ে এমন একটি প্রতিষ্ঠান খুলে সেবা দিতে শুরু করেন তিনি। গণমাধ্যমে এসেছে তার একটি অপারেশন থিয়েটারের তথ্য। যেটার কোনো লাইসেন্স নেই।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে রাতে মরদেহ দাফনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে ৯০০ মরদেহ দাফন করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। এর মধ্যে ৮৩৫টি মরদেহের কোনো ডকুমেন্ট তিনি দেখাতে পারেননি।

এর আগে বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।


আরও খবর



তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ২লাখ টাকা মূল্যের ফুছকা, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে ১৫টি অটোরিক্সা বোঝাই করে নিয়েগেছে চোরাকারবারী বুটকুন মিয়া, জাহেদ আলী ও জাহাঙ্গীর মিয়াগং।

অন্যদিকে এই সীমান্তের কড়ইগড়া ও রাজাই এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া পৃথক ভাবে ৫টি গরু, ২টি ঘোড়া, ১৫০বস্তা চিনি, ২৭৫ বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করে।

এছাড়াও নয়াছড়া, গারো ছড়া ও রজনী লাইন এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল মিয়া, জামাল মিয়া, হারুন, রুসমত আলী, মিলন মিয়া, জম্মত আলীগং প্রায় ২শ মেঃ টন কয়লা পাচাঁর করে অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলে পরিবহন করে পাশে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজ ও তার আশে পাশে নিয়ে মজুত করে। একই ভাবে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী, মহিবুর মিয়া ও রুবেল মিয়াগং ঠেলাগাড়ি দিয়ে প্রায় ৫০ মেঃটন চুনাপাথর ও ১শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে একই স্থানে মজুত করেছে। অন্যদিকে পাশের লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, শাহিদাবাদ, পুরান লাউড় ও দশঘর এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী

বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং অবাধে কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পাচাঁর করলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একই ভাবে চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ১শ টন কয়লা, ৮০ বস্তা চিনি ও ১২০ বস্তা পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়া ও নজির মিয়াগং প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বিভিন্ন বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এছাড়া বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়াগং প্রায় ৪হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে দুধের আউটা, বানিয়াগাঁও, তেলিগাঁও, লাকমা ও জামালপুর গ্রামের বিভিন্ন বাড়িঘরে মজুত করে রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে চাঁনপুর সীমান্তের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- চোরাকারবারীরা সীমান্তের বারেকটিলার আনন্দপুর এলাকা দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ২০লাখ টাকার ফুছকা পাচাঁর করে অটোরিক্সা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকা লোক নিয়ে আটক করে, চাঁনপুর ক্যাম্পের কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিতকে বারবার ফোন করার পরও রিসিভ করেনি। পরে চোরাকারবারীরা জোর করে মালামাল নিয়ে চলে যায়। এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারছি ৫০হাজার টাকা দিয়ে বিজিবিকে ম্যানেজ করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। সুনামগঞ্জ জেলার সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন-রাতে চোরাচালানের খবর পেয়ে লাউড়গড় ও চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বারবার জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত বলেন- রাতে আমি ক্যাম্পে ছিলাম, বাহিরে টহল ছিল। চোরাই পথে অবৈধ ভাবে কোন মালামাল পাচাঁরের খবর পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।


আরও খবর



ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক বিকন লাইট এবং হুটার এর বিরুদ্ধে অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩০০জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক যানবাহনে ব্যবহৃত অবৈধ বিকন (beacon/flicker) লাইট, হুটার(hooter), হাইড্রোলিক হর্ন এবং স্টিকার এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বুধবার ৮ মে সন্ধ্যা ০৭ ঘটিকা হতে রাত ৯:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত  ডিসি (ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ) মোহাম্মদ আশরাফ ইমামের নেতৃত্বে, এডিসি (ট্রাফিক-ওয়ারী) সুলতানা ইশরাত জাহানের তত্ত্বাবধানে এসি (ট্রাফিক-ডেমরা) জোন মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌসের টিম  চট্টগ্রাম রোডের মাতুয়াইল ইউলুপে এই অভিযানটি পরিচালনা করেন। অভিযানে ছয়টি গাড়ির বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনের ব্যবস্থা নেয়া হয়। দুটি গাড়ির বিরুদ্ধে অবৈধ স্টিকার, তিনটি গাড়ির বিরুদ্ধে অবৈধ বিকন বা ফ্লিকার লাইট এবং একটি গাড়ির বিরুদ্ধে অবৈধ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের কারণে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

অভিযানের রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, সাবেক এক উপজেলা চেয়ারম্যানের নামের উপর এক ব্যক্তি গাড়িতে বিকন লাইট ব্যবহার করছেন, একটি কাভার্ড ভ্যান বিকন লাইট ব্যবহার করছে এবং কোম্পানির গাড়িতে জেলা পরিষদের একজন সদস্য বিকন লাইট ব্যবহার করছেন। তাছাড়া কোম্পানির নামে একটি গাড়ি সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে একজন  হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করছেন। অভিযানে পুলিশের একটি স্টিকারের বিরুদ্ধে এবং একটি গার্মেন্টসের বিজিএমইএর স্টিকার ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এর পক্ষ থেকে এই অভিযান অব্যাহত থাকবেন মর্মে ডিসি ট্রাফিক ওয়ারী জানান।


আরও খবর