
মোঃ আব্দুল হান্নানঃ
স্কুল কমিটির সভাপতি প্রার্থীকে স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধিরা ভোট না দেয়া তিন শিক্ষকের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ওই প্রার্থীর লোকেরা।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোয়াল নগর ইউনিয়নের গোয়ালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে গত ২ রা জানুয়ারী ২০২২ রোজ রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার অন্তর্গত গোয়ালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নাসিরনগর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় স্কুল কমিটির সভাপতি নির্বাচন।
নির্বাচনে সভাপতি পদে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হক চৌধুরী ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ কিরণ মিয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।
নির্বাচনে গোয়ালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ জন নির্বাচিত অভিভাবক প্রতিনিধি,১ জন নির্বাচিত সংরক্ষিত নারী প্রতিনিধি,১ জন দাতা সদস্য, ১ জন বিদ্যোৎসাহী ও ৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
মোট ১০টি ভোটের মাঝে ৭ ভোট পেয়ে গোয়ালনগর ইউনিয়ন অাওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ কিরণ মিয়া সভাপতি নির্বাচিত হন। অপরদিকে প্রতিদ্ধন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ অাজহারুল হক চৌধুরী ৩ ভোট পেয়ে পরাজয় বরণ করেন।
কিন্তু আজহারুল হক পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে তাকে ভোট ও সর্মতন না করার কারনে এলাকায় গিয়ে ২জন শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ মলাই মিয়া,মোঃ আমান উল্লাহ ও ১ জন অফিস সহকারী অরবিন্দ থাকার রুমে তালাবদ্ধ করে দেন।এখনো ওই রুমে তাদের দেয়া তালা ঝুলছে বলে জানা কিরণ মিয়া ও শিক্ষকরা। ফলে এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা।
গোয়াল নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ মলাই মিয়া মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান,নির্বাচনের আগে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হক চৌধুরী আমাদের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে তাকে ভোট দেয়ার জন্য আমাদের অনেক চাপ প্রয়োগ করে ও প্রশাসেনর ভয় দেখিয়ে হুমকি দেয়।তিনি বলেন আমরা তার কথামত তাকে ভােট না দেয়া এমন করেছে।আমরা তার হুমকিকে উপেক্ষা করে একজন সৎ ও ভাল মানুষকে নির্বাচিত করে আমাদের আর্দশেকে অটুট রেখেছি।
এ বিষয়ে মুঠুফোনে আজহারুল হকের সাথে কথা বলে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি পাজলামি এবং অযথা বলে দাবী করে উড়িয়ে দেন,তিনি বলেন আমিতো সভাপতি তারাতো এখনো পর্যন্ত আমাকে কিছু জানায়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠুফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রুমে তালা ঝুলিয়ে রাখার কারনে তারা লেপতোষক, টাকা পয়সা ও প্রযোজনীয় কাপড় চোপড় বের করতে না পারায় এই তীব্রশীতের মাঝে তিনদিন যাবৎ আমার শিক্ষকরা খুষ্ট কষ্ট ভোগ করছে।প্রধান শিক্ষক বলেন আমি নিজে তিন দিন আগে বিষয়টি চেয়ারম্যানকর অবগত করলেও তিনি কোন কর্নপাত করেননি ও ব্যবস্থা নেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেননি বলে জানান।