Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নাসিরনগরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দুর্গে হানার চেষ্টা বিএনপির

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৪৬জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃস্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন  ঘুড়ে ফিরে জাতীয় পার্টি আর আওয়ামীলীগের দখলে থাকা নাসিরনগরের আওয়ামীলীগের দূর্গে এবার হানা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বি,এন,পি।বর্তমানে নাসিরনগরের বিএনপি আগের চেয়েও এখন বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন।আওয়ামীলীগের অন্তঃকোন্দল,দলীয় ফাঁটলের  সুষ্ট সমাধান না হলে এবার এ আসনটি প্রায় নিশ্চিত চলে যেতে পারে বিএনপির দখলে।আর একবার এ আসটি বিএনপির দখলে নিতে পারলে তা আর পুনঃরোদ্ধার করা অসম্ভব এমন ধারনাই করছে সাধারণ মানুষ। আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সিইসির ঘোষনা অনুযায়ী ২০২৪ সালের জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হতে পারে এ   নির্বাচন।জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে আওয়ামীলীগ,বিএনপি জাতীয় পার্টি সহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। দেশের বড় দুই দল আওয়ামীলীগ ও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে এবারের নির্বাচনে একাদিক প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।তবে বিএনপি থেকে দুইজনের নাম শোনা গেলেও আওয়ামীলীগে একাদিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।তাছাড়াও ইসলামীফ্রন্ট,নেজামে ইসলাম,বাসদ আর জাতীয় পার্টি থেকে একক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। 

একদিকে আওয়ামীলীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বি,এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপির পাশাপাশি আওয়ামীলীগের বা নৌকার প্রার্থী হিসেব কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া ও তার সহধর্মীনী নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রোমা আক্তার দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে সভা, সভা সমাবেশ,পথসভা,উঠান বৈঠক করে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

 অপর দিকে এক সময়ের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা  সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার উপজেলা সদরে তার ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে অফিস খোলে ও বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষের সাথে দলীয় কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন ।তাছাড়াও  আওয়ামীরীগের প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এ কে এম আলমগীর, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা এম এ করিম,নুরপুর গ্রামের প্রভাষক ইমরান হাই জাবেদ,ইঞ্জিনিয়ার এম আই কামাল নৌকার প্রার্থী হিসেবর প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দুর্দিনের কান্ডারী। যিনি দীর্ঘদিন যাবৎ মেজর জিয়া,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া,তারণ্যের অহংকার তারেক জিয়া সহ জাতীয়তাবাদী আদর্শকে বুকে লালন করে দল ও নাসিরনগর বাসীকে ভালবেশে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি হিসেবে খ্যাত ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ একরামুজ্জামান সুখন বিএনপির প্রার্থী ছাড়াও সম্প্রতি নাসিরনগর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে  মত বিনিময় করে বিএনপি থেকে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন এডঃ কামরুজ্জামান মামুন।

বাংলাদেশ ইসলামীফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন,কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব কাজী ও এডঃ মোঃ ইসলাম উদ্দিন দুলাল। নেজামে ইসলাম পার্টি থেকে  প্রার্থীতা ঘোষনা করেছেন দলের নির্বাহী সভাপতি বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ও প্রধান সমন্বয়কারী জাতীয় সংহতি মঞ্চ মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক ও বাসদ থেকে মোঃ বকুল খান।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন, মুহাম্মদ শাহনুল করিম গরীবুল্লাহ সেলিম।তিনি আহবায়ক জাতীয় পার্টি ও নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি। এক সময়ে জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত নাসিরনগরে এখন জাতীয় পার্টি পড়েছে অস্থিত্ব সংকটে।সাবেক সাংসদ মোজাম্মেল হক কাপ্তান মিয়া,সৈয়দ মোর্শেদ কামাল,রেজোয়ান আহম্মদ, কামাল চৌধুরী,মোঃ শাহ আলম চেয়ারম্যান,উবায়দুল হক রেনুর মত জাতীয় পার্টির নেতাদের শুন্যতার কারনে নাসিরনগরে জাতীয় পার্টি আজ পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে।এখন জাতীয় পার্টির শেষ ভরসা শাহানুল করিম গরীবুল্লাহ সেলিম।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

হরতাল-অবরোধের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন গয়েশ্বর

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম অবকাশকালীন চেম্বার জজ মনোনীত

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। তিনি আজ, রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমকে অবকাশকালীন জজ হিসেবে মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ সংক্রান্ত প্রধান বিচারপতির সই করা আদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ কোর্টের অবকাশে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এসময় আপিল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয় নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমকে মনোনীত করা হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আগামী ৩, ৫, ১১, ১৩, ১৮, ২০, ২৫, ২৭ সেপ্টেম্বর এবং ২ ও ৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অবকাশকালীন বিচারক হিসেবে শারীরিক উপস্থিতিতে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ কোর্টের শুনানি গ্রহণ করবেন।


আরও খবর



নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের শপথ ২৬ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শপথ গ্রহণ করবেন। ওই দিন সকাল ১১ টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। 

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের  ১১ জানুয়ারি তারিখে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসাবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং সংবিধান রচনার পর তাতে স্বাক্ষর প্রদান করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতি বিষয়ে এম.এস.এস. ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি এলএল.বি. ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯১ সালে বিচারপতি হাসান নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে হংকং-এ অনুষ্ঠিত 'ইন্টারন্যাশনাল ল'ইয়ারস কনফারেন্স'-এ অংশগ্রহণ করেন। গণচীনের প্রকিউরেটর জেনারেলের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেলের সফরসঙ্গী হিসেবে যান।

১৯৯৭ সালে চীনের বেইজিংসহ বেশ কিছু নগরী ভ্রমণ করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ৫ (পাঁচ) বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে অনেক সাংবিধানিক মোকদ্দমা পরিচালনা করেন।

বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আগে তিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমণ্ডি ল' কলেজের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তিনি ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি হাসান অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম-পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বেলিজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড সৌদি আরব। 

তার একমাত্র ছেলে আহমেদ শাফকাত হাসান আইন বিষয়ক একজন গবেষক। তিনি যুক্তরাজ্যের ইনার টেম্পল থেকে বার-এট-ল করার পর ইউনির্ভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে এলএল.এম.ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। তার স্ত্রী নাফিসা বানু বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য (অর্থ) হিসেবে কর্মরত আছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে: ম্যাক্রোঁ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে তিনি এ মন্তব্য করেন। নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৈশভোজ শুরুর আগে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের নজর ছিল বন্ধুরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে। সেটি অক্ষুণ্ন রেখে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশটির ভূমিকা প্রশংসনীয়। আমরা দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চাই।

ফরাসি প্রেসিডেন্টে বলেন, ‘সারাবিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে নিজেদের অবস্থান তেরি করে নিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, সংস্কৃতিতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন বড় চ্যালেঞ্জ, সেটি মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন লেক, নদী-নালার সৌন্দর্য বিশেষ করে সুন্দরবনের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশ এতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ফ্রান্সের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। আমি যদি পেছনে ফিরে তাকাই, আমরা দুঃসময়ে একে অপরের পাশে ছিলাম। এখন আমাদের দুই দেশের মানুষের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। ৫২ বছর আগে আমরা অনুভব করেছি আমরা একই পরিবারের।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা দুই দেশ দীর্ঘপথ একসঙ্গে পাড়ি দিতে চাই। দুই দেশের বন্ধুত্বের বন্ধন জোরালো করতে এবং সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আপনার (শেখ হাসিনা) সহায়তা চাই।’

রোববার রাত ৮টায় ভারতে জি-২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এসময় ম্যাক্রোঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিমানবন্দর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এটিই প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপতির যাত্রা।

গত ৩৩ বছরের মধ্যে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের এটি প্রথম ঢাকা সফর। জানা গেছে, ম্যাক্রোঁর এ সফরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে।


আরও খবর



মাগুরার নবগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:নবগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম নুরুজ্জামান চৌধুরী মিথুন (৪৩)। সে শহরের পারনান্দুয়ালী গ্রামের বৃত্তিপাড়ার আকতারুজ্জামানের ছেলে। 

এর আগে শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে মাগুরা শহরের সাতদোহা স্মশানের ন্যাংটা বাবার আশ্রমের পূর্ব দিকে নবগঙ্গা নদীতে কচুরিপানার সাথে একটি লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত নুরুজ্জামান চৌধুরী মিথুনদের অতিতে শহরের সাহাপাড়ায় বাড়ি ছিল । পরে তার বাবা বাড়িটি বিক্রি করে পারনান্দুয়ালী গিয়ে বসবাস শুরু করেন।

মাগুরা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, নিহত যুবক মিথুন ভবঘুরে জীবন যাপন করতো। পরিবারের সাথে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। লাশ উদ্ধারের পর খবর জানানো হলেও তার পরিবার লাশটি নিতে না চাওয়ায় তার চাচা সম্পর্কীয় একজনকে সাথে নিয়ে সন্ধ্যায় পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার নামে ৩ টি মাদক মামলাসহ সদর থানায় ৪টি মামলা রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।


আরও খবর



দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

রিয়াজুল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তোলনে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য  বুধবার থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়েছে। কয়লা খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেজের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আগামী দুই মাস বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে। এর কারণে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোন প্রভাব পড়বে না। কয়লা খনি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেজ থেকে ৩ লাখ ৭৫হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত কয়লা কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। ফেজটির মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য বুধবার খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে। স্থানান্তর কাজ শেষে নতুন ফেজের উৎপাদন আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে পারে। ধারণা করছে, নতুন ফেজ থেকে প্রায় দুই লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পাওয়া যাবে। নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করার জন্য বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোন প্রভাব পড়বে না। তাপ বিদ্যুতের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা মজুত রয়েছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, খনি কয়লা উত্তোলনের সাথে সমন্বয় রেখে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ ইউনিটটি চালু রাখা যাবে।


আরও খবর