Logo
আজঃ বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নাসিরনগরে বয়স্ক ভাতা ভোগীদের মাঝে বই বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬১জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-

৪ঠা জানুয়ারী ২০২৩ রোজ বুধবার বেলা ১২ ঘটিকার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিনগর উপজেলার আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার বয়স্ক ভাতা ভোগী নারী পুরুষের মাঝে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বয়স্কভাতার বই বিতরণ অনুষ্টিত হয়।


বই বিতরণ অনুষ্টানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ সংসদীয় ২৪৩ নাসিরনগর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি।


বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক  আবু আব্দুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ।নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ,অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাসিরনগর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রাখেশ পাল।অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল,সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেন।


অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন নাসিরনগর উপজেলা স্বেচ্চাসেবকলীগের সভাপতি প্রভাষক নির্মল চন্দ্র চৌধুরী।


অনুষ্টান শেষে উপজেলার তিন হাজার বয়স্কভাতা ভোগীর হাতে বহি তুলে দেন সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত খুনী আক্তারুজ্জামান ডলার’'কে ৩১ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ১৯৯৩ সালে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দ্বে  যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন কোটা গ্রামের চাঞ্চল্যকর মতিয়ার রহমান তরফদার (৩০) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সুদীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক চরমপন্থী মাস্টারমাইন্ড খুনী  আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‍্যাব-৩ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‍্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং রাত ২ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯৯৩ সালের যশোর জেলার অভয়নগর থানায় চরমপন্থী  পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক প্রধান আসামি চরমপন্থী আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে রাজধানীর  ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও মামলার সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম মতিয়ার রহমান তরফদার ও গ্রেফতারকৃত আসামী আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার একই গ্রামের দুই পাড়ার বাসিন্দা ছিল। ডলার ছিল তৎকালীন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (সর্বহারা পার্টির) সক্রিয় সদস্য। ভিকটিম অভয়নগর এলাকার রাজঘাটে অবস্থিত কার্পেটিং জুট মিলস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানা এলাকার জনৈক তোযাম চেয়ারম্যানকে সর্বহারা পার্টির ডলার ও তার দোসররা হত্যা করে একটি বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। 

এই ছিনিয়ে নেওয়া বন্দুকটি আসামি আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার বস্তায় ভরে জনৈক ভ্যান চালক আসলামের ভ্যানে তেজপাতা আছে মর্মে এটি যশোরের নোয়াপাড়ায় নিয়ে যেতে বলে। ভ্যান চলার সময় মাঝে মাঝে ইটের ধাক্কায় খটখট আওয়াজ হওয়ায় ভ্যানচালক আসলাম পথিমধ্যে পায়রা বাজারে ভিকটিম মতিয়ার রহমানকে ঘটনাটি বলে। তখন সে বস্তা খুলে একটি বন্দুক পায় যার গায়ে কয়েকদিন আগে মৃত তোযাম চেয়ারম্যানের নাম সম্বলিত ছিল। 

তখন তৎকালীন চেয়ারম্যান আমিন সাহেবের মধ্যস্থতায় বন্দুকটি পায়রা বাজারে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে  হস্তান্তর করে। এলাকায় এই মর্মে খবর প্রকাশ পায় মৃত তোযাম চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় ডলারসহ চরমপন্থী  অন্য সদস্যরা জড়িত। এই ঘটনায় ডলার সহ তার চরমপন্থী দলের  অন্য সদস্যরা ভিকটিমকে শায়েস্তা করার পায়তারা করতে থাকে। ১৯৯৩ সালের দশম রমজানের ৩ মার্চ ১৯৯৩  খ্রিস্টাব্দে ডলার সহ ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র চরমপন্থী  পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির দল ভিকটিমের ছোট ভাইকে রাইস মিলে বেঁধে রেখে ভিকটিমের পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। 

ভিকটিমকে ঘরের বেড়া কেটে টেনে হেঁচড়ে বাইরে নিয়ে এসে বাড়ির সামনেই রাত ১০ টা নাগাদ মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ২২ টি কোপ মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিকটিমের বাবার একটি বন্দুক ও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মূলত: চরমপন্থী  দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় উক্ত ভিকটিম নিহত হয়। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় হত্যা মামলাটি রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পরপরই গ্রেফতারকৃত আসামি নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফেরারি জীবনযাপন করতে শুরু করে। 

এক পর্যায়ে নিজের নাম ঠিকানা ও পরিচয় গোপন রেখে মাহমুদুল হাসান নামে নতুন নাম ধারণ করে ও নতুন পাসপোর্ট তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপনে ছিলেন। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই অদ্যাবধি সে পলাতক ছিল। যেহেতু আসামি দীর্ঘদিন যাবত ছদ্মবেশ ধারণ করে পালিয়ে ছিল, আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য পরিচালনা শেষে আদালত উক্ত মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০০  খ্রিষ্টাব্দ তারিখে বিজ্ঞ আদালত ধৃত ডলারের বিরুদ্ধে উক্ত হত্যা মামলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের যাবতীয়  প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত মর্মে রায় প্রদান করে। দুধর্ষ এই খুনী গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং ঢাকা মহানগরীর মানিকদী এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন র‍্যাব-৩ এর হাতে আটক হয়।ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও খবর



ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যা সমাধানে কুষ্টিয়ায় ইউসিবি স্বাধীন ফ্রিল্যান্সার সামিট অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন সমস্যা এবং সেগুলোর সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে কুষ্টিয়ায় একটি ফ্রিল্যান্সার সামিটের আয়োজন করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। 

কুষ্টিয়ার শিল্পকলা একাডেমিতে এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (বিএফডিএস) চেয়ারম্যান ড. তানজিবা রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি ও উপায়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।   

কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় ২২০জনেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার এই মিটআপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে নিয়ে আসতে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হন সেগুলো তুলে ধরেন। বক্তারা সেসব সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানের ওপর আলোকপাত করেন।

রেমিট্যান্স আয় প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে আরও নির্বিঘ্ন ও ঝামেলামুক্ত করতে ইউসিবি এর স্বাধীন অ্যাকাউন্ট চালু করেছে। এই অ্যাকাউন্টটি বিশেষত ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফ্রিল্যান্সাররা সহজেই ইউসিবি স্বাধীন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় (ফরেন কারেন্সি) তাদের উপার্জন গ্রহণ করতে এবং পরবর্তীতে ঝামেলাবিহীনভাবে টাকায় মুদ্রা বিনিময় (কনভার্ট) করতে পারবেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সম্প্রীতির বন্ধনে আগলে রেখেছেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট হলেও এখানে বহু মানুষের বসবাস। বহু গোত্র ও বহু সম্প্রদায়ের দেশ বাংলাদেশ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে র্নির্দ্বিধায় ধর্মের বাণী, ধর্মের কথা, জীবের কল্যাণে তথা মানুষের কল্যাণে সকল প্রকার ধর্মীয় আচার-আচরণ, পুজা পার্বন পালন করার হুকুম দিয়ে গিয়েছেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সৌহার্দ্র ও সম্প্রীতির বন্ধনে আগলে রেখেছেন। 

রাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কৃষ্ণনগর এলাকায় শ্রী শ্রী শংকর মঠ পার্থ সারথী আশ্রমে আয়োজিত বিশ্বশান্তি মঙ্গলাত্বে শ্রী শ্রী গীতাযজ্ঞ ও মহতি ধর্ম সভা-২০২৪ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়িদের মধ্যে দু’যুগেরও বেশি সময়ের ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির নীড় রচনা করেছিলেন। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, পাহাড়িদের মধ্যে সৌহার্দ্র ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে ওঠায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহা উন্নয়নের ছোঁয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দযের্য্যর লীলাভূমির ক্ষেত্র হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছে। আর এর সব কিছুরই দাবীদার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য আমরা পার্বত্যবাসী গর্বিত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ।

শ্রী শ্রী শংকর মঠ পার্থ সারথী আশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিব শংকর দেব-এর সভাপতিত্বে আশীর্বাদক হিসেবে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ, খাগড়াছড়ি সদর পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, আশীষ ভট্টাচার্য্য, চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ভাগবতীয় বক্তা অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আলোচনা সভার আগে মৈত্রীয় বন্ধনে সৃজিত এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এসময় হাজারো ভক্ত গুরুভাইয়েরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ইউপি সদস্য’কে চোর পেটানোর মতো পিটালো ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বনের জমি জবর-দখল করে ইউপি চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাইয়ের নির্মাণার্ধীন মার্কেট ভেঙ্গে দিলো বনবিভাগ। আর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ইউপি সদস্যকে চোর পেটানোর মতোই পিটালেন ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্বজনরা। এঘটনায় ওই আহত ইউপি সদস্য বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ করলে বুধবার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

আহত হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার নলোয়া এলাকার হেলাল উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মজনু মন্ডল। তিনি বর্তমানে বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার)।

এলাকাবাসী, আহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার নলোয়া বাজার এলাকায় বনের জমি জবর-দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বোয়ালী বন বিট কর্মকর্তা আবু ইউনুছ ও তার কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজস করে ওই মাকেট নির্মাণ করেছেন স্থানীয় বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাই শাহিন।

বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসলে গত মঙ্গলবার সকালে ওই মার্কেটটি ভেঙ্গে দেয় বনবিভাগের লোকজন। ওই মার্কেটটি ভাঙ্গার পিছনে স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজনু মন্ডলের হাত রয়েছে, এমন সন্দেহে ইউপি চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন খান, তার ছেলে নিসাদুল রহমান, ভাতিজা পলাশ, শ্যালক হাসান, দুই পুতুরাসহ কয়েকজন ওই বাজারের একটি দোকানের ভেতর থেকে ইউপি সদস্য মজনুকে ফিল্মি স্টাইলে তুলে বাইরে বের করে। এসময় তারা সবাই মিলে চোর পেটানোর মতোই ওই ইউপি সদস্যকে এলোপাথারী পেটায়। পরে আশপাশের লোকজন আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওইদিন ইউপি সদস্য মজনু মন্ডল বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বুধবার দুপুরে ওই ঘটনার তদন্তে যান কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।

খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ কবীর, ওই ইউনিয়নের অন্যান্য ইউপি সদস্যরা হাসপাতালে তাকে দেখতে যান। কিন্তু তাকে দেখতে যাননি অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারমান আবজাল হোসেন খান। আহত ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের আরো অভিযোগ, গত ছয় মাস আগে একদিন সকালে কে বা কাহারা ৯ লক্ষ টাকার মালামালসহ তাদের মৎস্য খামারের গোডাউন আগুন পুড়িয়ে দিয়েছিল। বছরখানেক আগে তাদের রাতের আধারে বসত-বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। গত ১৫ দিন আগে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তাদের মৎস্য খামারের রাস্তা বন্ধ করে দেয় তার লোকজন। ইউপি সদস্যকে পেটানোর ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে পূর্বের ঘটনায়ও ওই চেয়ারম্যান ও তার লোকজন জড়িত বলেও তাদের অভিযোগ।

আহত ইউপি সদস্য মজনু মন্ডল বলেন, চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাই শাহিনের নির্মাণাধীন মার্কেট ভেঙ্গে দিয়েছে বনবিভাগের লোকজন। কিন্তু চেয়ারম্যান ও তার স্বজনরা আমাকে সন্দেহ করে দোকানের ভেতর থেকে তুলে নিয়ে চোর পেটানোর মতো পিটিয়েছেন। এর সুষ্ঠ বিচার চান ওই ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের লোকজন।

অভিযুক্ত স্থানীয় চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন খান জানান,ইউপি সদস্য মজনু মন্ডল বনের জমিতে স্থাপনা ভাঙ্গা-গড়ার সঙ্গে জড়িত। ওই স্থাপনাটি ভাঙ্গলে স্থানীয় লোকজন তার সঙ্গে ধাক্কা- ধাক্কি করে। আমি তাদের সবাইকে সরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আমি তাকে মারধর করি নাই।

এব্যাপারে জানতে স্থানীয় বোয়ালী বিট কর্মকর্তা আবু ইউনুছ এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, ওই ইউপি সদস্যকে পেটানোর ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



দুঃস্থদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ ও একসঙ্গে ইফতার করলেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে  জেলা পুলিশের আয়োজনে অসহায়  ও দুঃস্থদের  মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ  ও একসঙ্গে ইফতার করলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

শুত্রুবার (৫এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার  সুপার  মুক্তাধর পিপিএম (বার) এর  সামাজিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমূলক কাজে নিয়মিত অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় পানছড়ি থানায় অসহায় ও দুঃস্থদের  মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং তাদের সাথে একই সঙ্গে ইফতার করেন। 

অসহায়  এবং দুঃস্থ ব্যক্তিরা পুলিশ সুপারের সাথে একসাথে ইফতার করতে পেরে এবং তার থেকে ঈদ উপলক্ষে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন।  এ সময় প্রায় ৩০ জনের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং একসাথে ইফতার করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তাধর পিপিএম (বার)  বলেন,  আমরা চাই সব সময় আমাদের আনন্দ  গুলোকে ভাগাভাগি করে নিতে। এখন সিয়াম সাধনার মাস চলতেছে এবং কিছুদিন পরেই ঈদুল ফিতর, মুসলমানদের অন্যতম  আনন্দের দিন। সমাজের অসহায় ও দুঃস্থ মানুষজন এই সিয়াম সাধনার সময় একটু ভালো করে সেহরি করবে, ইফতারি করবে, এ সুযোগগুলো খুব কমই হয়। আবার সামনে ঈদুল ফিতরে প্রত্যেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ঈদ আনন্দের জন্য কেনাকাটা করবে। আনন্দগুলোকে উদযাপন করবে। এক্ষেত্র সমাজের অসহায় এবং দুস্থ মানুষ গুলো অনেক পিছিয়ে। সমাজের এ শ্রেণীর মানুষ গুলোর দিকে যদি আমরা একটু তাকাই, তাদেরকে একটু সুযোগ করে দেই আনন্দ করার জন্য, একটু ভালো করে ইফতার করার জন্য, তাহলে তাদের আর আনন্দের কোন সীমা থাকেনা। এভাবেই আমরা আমাদের আনন্দগুলি তাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারি। 

একজন দুঃস্থ পুরুষ  ঈদ উপহার  সামগ্রী পেয়ে  ও একই সাথে  ইফতার করার পর তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে যেয়ে বলেন,  আজ আমি খুবই খুশি খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মত একজন বড় অফিসারের সাথে ইফতার করতে পেরেছি তিনি আমাদেরকে ঈদ উপহার দিয়েছেন। আমাদেরকে একটু আনন্দ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা এ রমজান মাসে একটু ভালো খাবার মাধ্যমে  ইফতার করতে পারি না। ঈদের সময় পুরাতন জামা কাপড় পড়তে হয়। কিন্তু স্যারের কল্যাণে এতটুকু দুঃখ মুছে গেল। স্যারের আল্লাহ ভালো করুন। 

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব মোঃ জসীম উদ্দিন পিপিএম, পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর