Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

নাসিরনগর নুরপুর গ্রামের প্রতারনার শিকার প্রবাসী আবু জামালের মা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৯৮জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার  নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের প্রতারনার শিকার  প্রবাসী আবু জামালের  মা আম্বিয়া বেগম ও একই গ্রামের  রহমত আলীর বড় ভাই আনছার আলী মামা ভাগ্নে দুই দালালদের  বিচার চেয়ে গত ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী  বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। 


ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী,মামা ভাগ্নে দুই দালালদের কথা ও কাজের ঠিক নেই।তারা সৌদি আরবে  ভাল কাজ দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা  নিয়ে নুরপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আবু জামাল (২২) ও একই গ্রামের দেওয়ান আলীর ছেলে রহমত আলী (২০) কে একটি কোম্পানীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।বর্তমানে ওই কোম্পানী তাদের  বন্দী করে রেখে কাজ করিয়ে মাসের পর মাস কোন বেতন দেয়নি।


কোম্পানীর কাছে বেতন চাইতে গেলে তারা বলে  যে তোমাদের এখানে দিয়ে গেছে আমারা তাদের কথামত  বেতন প্রতি মাসে মাসে তাদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।তোমরা তাদের সাথে যোগাযোগ কর।প্রবাসীদের পরিবারের দাবী তারা একবেলা খাবার দিলে অারেক বেলা খেতে দেয়না। এভাবে অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে তাদের জীবন।মাসের পর মাস কোম্পানীতে কাজ করেও তাদের পরিবার পরিজনকে পারছে না আর্থিক সহযোগিতা করতে।যারফলে অনেক পরিবারের জীবণ প্রদীপ এখন অন্ধকারাছন্ন।


এরকম আরো অসংখ্য  শ্রমিকদের  দেশ থেকে লোভনীয় কাজের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সৌদি আরব পাচার করে তাদের  নিঃস্ব ও সর্বশ্রান্ত করেছে উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের বড়ধলিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র মোঃ গিয়াস উদ্দিন(৪০)ও  তার ভাগ্নে দালাল  হিসেবে কাজ করছে পূর্বভাগ ইউনিয়নের  নোয়া পাড়া গ্রামের কুখ্যাত চোর মোলায়েম মিয়ার ছেলে নয়ন  (৩০)।নয়ন ও গিয়াস তারা সম্পর্কে  আপন মামা ভাগ্নে। 


ভুক্তভোগী আবু জামালের মা আম্বিয়া বেগম বলেন,দালালের কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়র সৌদি পাঠিয়েছি, এখন সেখানে দালাল কাজ দিতে না পারায়  ছেলেকে ফেরৎ চাইলে  নয়ন মিয়া বলে, বেশী বাড়াবাড়ি করলে ছেলের অবস্থা আরো বেশী  ভয়াবহ হবে।ঘটনার স্বাক্ষী শুক্কুর আলীকে চুপচাপ না থাকলে ডিবি পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার  ভয় ও দেখায় নয়ন মিয়া। 



প্রবাসী রহমত আলীর বড় ভাই আনছার আলী জানায়,ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পেরেছি লোভনীয় কথা বলে সৌদি আরব নিয়ে এক ঘরে অসংখ্য প্রবাসী শ্রমিকদের বন্দী করে রাখে এরা ।কাজের কথা বলে নিয়ে এসে বিনাবেতনে  কাজ করিয়ে বন্দী করে রেখে ঠিকমতো খেতেও দেয়না। এরচেয়ে জেলখানা অনেক ভালো।



সরেজমিনে পূর্বভাগের বড়ধলিয়া গ্রামে গিয়ে  দালাল গিয়াসউদ্দিনের পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত  অট্র্রালিকার মত বাড়িতে গিয়ে গিয়াস উদ্দিনকে  পাওয়া যায়নি। গিয়াস উদ্দিন বাড়িতে থেকেও তার ভাগিনা নয়নকে দিয়ে বলায় যে তিনি আরো বেশ কিছুদিন আগেই সৌদি আরবে চলে গেছেন।তখন নয়ন জাতীয় পার্টি সহ বিভিন্ন দল থেকে  আগত বর্তমানে যারা আওয়ামীলীগের কর্ণধান তাদের কথা বলে


সেখানে উপস্থিত নয়ন মিয়া সাংবাদিক পরিচয় পাওয়া মাত্রই বাকবিতণ্ডা শুরু করে এবং প্রথমে তার নাম সুমন বলে পরিচয় দেন।পরে অবশ্যই সাংবাদিকের কাছে তার আসল নাম বলতে বাধ্য হয়েছে। নয়নের কাছে তার ও তার মামার বিরোদ্বে  অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নয়ন কেকন সদোত্তর না দিয়ে  সে জানায় প্রশাসন, পুলিশ,সাংবাদিক, মিডিয়া আমার কিছুই করতে পারবেনা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



জয়পুরহাটে স্কুলের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রধান শিক্ষক কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে স্কুলের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জয়পুরহাট আমলী-১ আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ জুন জয়পুরহাট শহরের কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় চত্তরের ৮টি বড় গাছ প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় কাঠ ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র হাওলাদারের কাছে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। পরে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পূবালী ব্যাংকে জয়পুরহাট শাখায় জমা দেন। আর বাঁকী ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে সে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে একই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোস্তাকিম হোসেন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সোমবার প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও খবর



বাংলাদেশ-ভুটান তিনটি সমঝোতা স্মারক সই ও একটি চুক্তির নবায়ন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিনটি সমঝোতা স্মারক সই এবং একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে । সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সমঝোতাগুলো হচ্ছে– থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। এছাড়া দুই দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা-সংক্রান্ত একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।

এর আগে, চারদিনের বাংলাদেশ সফরের প্রথমদিনই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক বসেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। দুপুর ১টার কিছু পরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ভুটানের রাজা। এ সময় টাইগারগেটে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে, দুই শীর্ষ নেতা একান্ত বৈঠকে বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুটানের রানি জেতসুন পেমা। পরে, সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক। সবশেষ, দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা সই এবং একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তাকে লাল গালিচার অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।


আরও খবর



কর্নেল অলির জন্মদিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বুধবার (১৩ মার্চ) এক ই-মেইল বার্তায় মোদী তাকে এ শুভেচ্ছা জানান।

এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন রাজ্জাক স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার প্যাডে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ‘প্রিয় ড. কর্নেল অলি আহমদ, শুভ জন্মদিন। এ বছরটিতেও আপনার জীবন সুখ ও সাফল্যে ভরে উঠুক’ নরেন্দ্র মোদী।

উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালের ১৩ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন কর্নেল অলি আহমদ। তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশে। তার বাবার নাম আমানত ছাফা এবং মায়ের নাম বদরুননেছা।

অলি আহমদ ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত অবস্থায় চট্টগ্রামের ষোলশহর থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেন। ২৫ মার্চ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে।


আরও খবর



যারা বলে "আমাদের গণতন্ত্রের চর্চা নাই, তাদের দেশে কতখানি আছে: কুড়িগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image
বাবুল, কুড়িগ্রাম ব্যুরো চিফ:যারা বলে "আমাদের গণতন্ত্রের চর্চা নাই, তাদের দেশে কতখানি আছে তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।" দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার জন্য আমাদের একটি গঠনতন্ত্র রয়েছে।সেই ধারাকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় চিন্তা করছেন।  জনগণকে সম্পৃক্ত করে দেশকে কিভাবে আরো  এগিয়ে নিয়ে যাবেন, তারই চিন্তা করছেন আমাদের প্রধান মন্ত্রী। কাজেই কোন দেশ কি বললো তা আমাদের মুখ্য বিষয় না। আমাদের মুখ্য বিষয় হলো আমাদের জনগণকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো, আমরা আমাদের গণতন্ত্রেন চর্চাটা আরও কিভাবে সুন্দর করবো এগুলো আমাদের বিষয়।এছাড়াও তিনি আরও বলেন, জেলা পর্যায়ে অর্থাৎ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, নৌকা প্রতিক থাকবে না। যার যার স্বাদ আছে তারা নির্বাচন করবে স্থানীয় সরকারে।  

জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এবং সেবনকারী তাদেরকে ডোপ টেস্টের আওতায় আনার ব্যাপার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান  বলেন, এই বিষয়ে বিধিমালা করা হচ্ছে। মাদক একটি  ভয়ংকর নেশা। আমাদের নতুন প্রজন্মকে যদি মাদক থেকে রক্ষা করতে না পারি, তাহলে আমাদের স্বপ্নটা অনেক দূরে চলে যাবে। আজ  বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রামে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদক বিরোধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  আসাদুজ্জামান খান এমপি সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন। 

পরে তিনি সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের আয়োজনে কুড়িগ্রাম সরকারি মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি ডা: হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন প্রমুখ। 

সমাবেশে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



নুর মোহাম্মদ এর আর্তনাত রাষ্ট্রীয় সহায়তা নয় মুক্তি যোদ্ধা স্বীকৃতি সনদ বুকে নিয়ে মরতে চাই

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:পার্বতীপুর উপজেলার ১০ হরিরামপুর ইউনিয়নের খনিজ শিল্পাঞ্চল মধ্যপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহন করে আজো যুদ্ধ কালীন অবদানের স্বীকৃতি মুক্তি যোদ্ধা সনদ লাভ করতে পারেন নাই। তাঁর সহযোদ্ধাদের অনেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন । অথচ একই সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সত্ত্বেও আমলাতান্ত্রিক নানান জটিলতায় ও নিজের শারিরীক মানষিক স্বাস্থ্য জনিত অসুস্থতার কারণে সঠিকভাবে দৌড় ঝাপ করতে না পারায় স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও নিজেকে মুক্তি যোদ্ধা হিসেবে কাগজে কলমে প্রতিষ্টিত করতে না পেরে হতাশায় অব্যক্ত মর্মবেদনা নিয়ে বয়সের শেষ প্রান্তে এসে মৃত্যুর অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। নিজ বাসায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপ চারিতায় আবেগতাড়িতভাবে কান্না জনিত কন্ঠে আক্ষেপ করে বলেন - আমার রাষ্ট্রীয় সহায়তার কোন প্রয়োজন নেই মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় আছে এতেই আমার আত্মতৃপ্তি। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে হলেও মুক্তি যুদ্ধ কালীন অবদান রাখার স্বীকৃতি সনদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আমার নাম দেখতে চাই আমার সন্তানরা আমার মৃত্যুর পর যেন গর্ব করে বলতে পারে আমার বাবা মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন এবং রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হয়েছে। তিনি বলেন মুক্তি যোদ্ধা স্বীকৃতি সনদ প্রাপ্তীর জন্য আমি অনেক আর্তনাত করেছি কিন্তু আমার আর্তচিৎকার মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় পর্যন্ত পৌঁছে না।

জানা গেছে - উপজেলার খনিজ শিল্পাঞ্চলের মধ্যপাড়ার মৃত্যু জহির উদ্দিনের পুত্র মোঃ নুর মোহাম্মদ ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বজ্র্ধসঢ়;কন্ঠের ঘোষণায় ভারতের (পশ্চিম বঙ্গ) কাটলা ইয়ুথ ক্যাম্পে (০৭ নম্বর সেক্টরে) এ ভর্তি হয়ে ০১ মাস ১৫ দিন স্বশস্ত্র প্রশিক্ষন গ্রহন শেষে দেশে ফিরে খোলাহাটি যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি জানান ১৯৭২ সালে তার বাড়িতে আগুন লাগলে বাড়ি ঘর সহ জরুরী কাগজ পত্র সমুহ পুড়ে যায় তবে তার সঙ্গে অবস্থান কারি সহ যোদ্ধারা মুক্তি যোদ্ধা তালিকায় তালিকা ভুক্ত হয়েছেন। তাঁর প্রকৃত সহযোদ্ধা হিসেবে ছিলেন মোঃ সাহাবউদ্দিন লাল মুক্তি বার্তা নং-০৩০৮০৮০১৯৯ এফ এফ নং৫৫৯ মোঃ এন্তাজুল ইসলাম লালমুক্তি বার্তা নং-০৩০৮০৮০১৪০ এফ এফ নং ৫০৪৮ মোঃ আবদুল কুদ্দুস লালবার্তা নং ০৩০৮০৮০১৮৪ এফ এফ নং ৫৫৮ স্বাধীনতা যুদ্ধ কালীন সময় তার কমান্ডার ছিলেন মোঃ কামরুজ্জামান। নুর মোহাম্মদ রাইফেল এস্টেনগান ও গ্রেনেট চালানোতে পারদর্শী এবং তার পরিচিত নং১২৩৩ তিনি মুক্তি যোদ্ধা গেজেট ভূক্তির জন্য মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছিলেন যার আবেদন রশিদ নং ০৯০৩১৯৫৭৪৪৮৬৯৪ তারিখ ০৭/০৩/২০১৭ তাঁর জাতীয় পরিচয় পত্র নং২৭১৭৭৪৩৬৪৪০৮২ ফস বই নম্বর : এফ এফ নং ১২৩৩ তিনি ১৯৫৭ সালের ৯ মে জন্ম গ্রহন করেন। মধ্যপাড়া গ্রানাইট খনিগেটের বটতলী নামক স্ধসঢ়;হানে ছেলে মাহমুদ কলি কে নিয়ে একটি ছোট্ট খাবার হোটেল দিয়ে অতিকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্ত্রী পুত্র কন্যাকে নিয়ে তার ছোট্ট সংসারে আর্থিক সংকট থাকলেও অভাব অনটন নিয়ে নেই তাঁর কোন অভিযোগ শুধু তাঁর একমাত্র চাওয়া দীর্ঘদিন হতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে তাই এখনই সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার স্বীকৃতি স্বরূপ মুক্তি যোদ্ধা সনদ পেলেই তিনি নিজেকে ধন্য মনে করবেন এবং মরেও শান্তি পাবেন। তাই মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভদৃষ্টি কামনা করছেন তিনি


আরও খবর