Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

নাগরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে যুবদের ক্ষমতায়ন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৪৩৭জন দেখেছেন

Image

(ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) : ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ইউএসএআইডির সহযোগিতায় জাগো ফাউন্ডেশন সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক সচেতনতা  সেমিনার আয়োজন করেছে, একটি ট্রেনিং প্রোগ্রাম যার লক্ষ্য নাগরিক শিক্ষার প্রচার এবং তরুণদের তাদের সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত হওয়ার জন্য ক্ষমতায়ন করা। নাগরিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য কীভাবে এটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে তা অন্বেষণ করতে সেমিনারটি বিভিন্ন পেশাজীবী, তরুণ নেতা এবং নাগরিক শিক্ষা ও নীতির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের একত্রিত করেছে।

সেমিনারে ''এলিভেটিং ইয়ুথ ভয়েস: অ্যা প্যানেল অন ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট থ্রু সিভিক এনগেজমেন্ট'' নামে একটি প্যানেল আলোচনা দেখানো হয়েছে, যা সঞ্চালনা করেছেন জাগো ফাউন্ডেশনের ফান্ডরেইজিং অ্যান্ডগ্র্যান্টস ডিপার্টমেন্ট এর সহকারী পরিচালক এশা ফারুক। প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন ক্রেগ হালস্টেড, আইআরআই-এর বাংলাদেশ প্রোগ্রামের আবাসিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর; সাদিয়া মাশারুফ, ইয়ুথ পলিসি ফোরাম,বাংলাদেশ ফেলোশিপ টিমের প্রধান; এবং আনান হাসনাত, বাংলাদেশের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র।

প্যানেলিস্টরা তাদের দক্ষতা এবং অন্তর্দৃষ্টি ভাগ করে নিয়েছিলেন যে কীভাবে নাগরিক শিক্ষাকে দেশের ভবিষ্যত গঠনে যুবকদের ভূমিকা তুলে ধরে তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তারা সফলযুব-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগের বাস্তব উদাহরণও ভাগ করে নিয়েছে, দর্শকদের কীভাবে তারা আরও সক্রিয় হতে পারে এবং তাদের সম্প্রদায়ে নিযুক্ত হতে পারে তা বিবেচনা করতে অনুপ্রাণিত করে।

প্যানেল আলোচনার পাশাপাশি, সেমিনারে রাজশাহী বিভাগের একদল তরুণ-তরুণীর একটি নাটক পরিবেশনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার লক্ষ্য ছিল নাগরিক শিক্ষা এবং যুবকদের সম্পৃক্ততা প্রচার করা। নাটকটি অংশগ্রহণকারীদের তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে আরো সক্রিয় এবং নিযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করে।

সেমিনারে একটি জাতীয় বিতর্কও ছিল, যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তরুণদের দুটি দল অংশগ্রহণ করেছিল। বিতর্কটি নাগরিক শিক্ষায় যুবকদের সম্পৃক্ততার প্রচারের গুরুত্ব এবং এটি কীভাবে আরও সচেতন এবং সক্রিয় নাগরিক তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জনাব করভী রাকসান্দ বলেন, “আমাদের যুবকদের নাগরিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত করার জন্য ক্ষমতায়ন করা শুধুমাত্র একটি কর্তব্য নয়, সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত গড়ার জন্য একটি মৌলিক পদক্ষেপ। আসুন আমরা একত্রিত হই এবং আমাদের তরুণদের কণ্ঠস্বরকে উন্নীত করি, তাদেরকে তাদের সম্প্রদায়ে এবং এর বাইরেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তাদের প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম এবং নির্দেশনা প্রদান করি।”

বাংলাদেশে আইআরআই রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, ক্রেগ হালস্টেড, বলেন, “সম্প্রদায় ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য, শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে একটি হল সেমিনার, গোল টেবিল, আলোচনা এবং অন্যান্য ফোরামের আয়োজন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়ন। বাস্তব অর্থে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে আপনার উপস্থিতি থেকে আপনারা প্রত্যেকে যা করেন, শিখুন, গ্রহণ করুন এবং প্রয়োগ করুন তা আপনার দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে এবং সুরক্ষিত করতে'' জাতীয় নাগরিক সচেতনতা সেমিনারটি ছিল একটি ব্যাপক এবং সুসংহত প্রোগ্রাম যা অংশগ্রহণকারীদের নাগরিক   শিক্ষা এবং যুব ক্ষমতায়ন বিষয়ের সাথে জড়িত হওয়ার বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করে। প্যানেল আলোচনা, নাটকের পারফরম্যান্স এবং জাতীয় বিতর্কের মাধ্যমে, অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন কোণ থেকে বিষয়টি অন্বেষণ করতে এবং তরুণদের ক্ষমতায়নে নাগরিক শিক্ষা যে ভূমিকা পালন করে সে সম্পর্কে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিল। সেমিনারটি একটি দুর্দান্ত সাফল্য ছিল এবং অংশগ্রহণকারীদের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে যা এখন আরও সক্রিয় এবং জড়িত নাগরিক হতে অনুপ্রাণিত করেছে।


আরও খবর



ফের আজিজ খান ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান,মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসের করা বিলিয়নিয়ারের তালিকায় ফের জায়গা করে নিয়েছেন। বুধবার (৩ এপ্রিল) প্রকাশিত এই তালিকায় বিশ্বে মোট বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৭৮১ জন, যা গত বছরের চেয়ে ১৪১ জন বেশি।

এর মধ্যে আজিজ খানের অবস্থান ২ হাজার ৫৪৫তম। যার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার এবং আয়ের খাত হিসেবে রয়েছে জ্বালানি।

ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, আজিজ খান বর্তমানে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। এর আগে, গত বছর সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আজিজ খানের অবস্থান ছিল ৪১তম। তবে এ বছর তা ৫০-এ নেমেছে।

সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান, যারা বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক্স, রিয়েল এস্টেট, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতির ব্যবসা করে।

ফোবর্সের তালিকায় ২০২৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকার এক নম্বরে রয়েছেন ফ্রান্সের ফ্যাশন ও রিটেইল ব্যবসায়ী বার্নাড অ্যান্ড আরন্ডল পরিবার। যাদের মোট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ২১১ বিলিয়ন ডলার।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন টেসলা ও স্পেস এক্সের মালিক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক। শীর্ষ ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের মালিক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী জেফ বেজোস ১৯৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ মূল্য নিয়ে আছেন তৃতীয় অবস্থানে। ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ১৭৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ মূল্য নিয়ে রয়েছেন চতুর্থ অবস্থানে।

বিনিয়োগ গুরু হিসেবে পরিচিত ওয়ারেন বাফেটের অবস্থান ১৩৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে ষষ্ঠ, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের অবস্থান ১২৮ বিলিয়ন ডলার নিয়ে সপ্তম অবস্থানে।

ভারতের আলোচিত ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নিয়ারের তালিকায় ৯-এ অবস্থান করছেন। এ বছর তার সম্পদ মূল্য বেড়ে ১১৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

এ ছাড়া, দশম নামটি ল্যারি পেজের, যিনি গুগলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং এর মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তালিকায় সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটির মোট ৮১৩ জন বিলিয়নিয়ারের নাম রয়েছে এতে।


আরও খবর



মির্জাপুরে মাদকাসক্ত তরুণের করুন মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৪৫জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:"নেশা খাবি খা, মারা যাবি যা।" মাদকবিরোধী এই সত্য এবং কঠিন স্লোগানের একটি বাস্তব ঘটনা ঘটলো টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার আনাই তারা ইউনিয়নের চামারি ফতেপুর গ্রামের মৃত যুধিষ্ঠির বসাকের বড় ছেলে সুব্রত বসাক (৩৮) এর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক তিন টার সময় সুব্রত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুব্রত বসাক মাদকাসক্ত ছিল। প্রতিদিন সে মাদক সেবন করে গভীর রাতে ঘরে ফিরত। এ নিয়ে তার স্ত্রী পূজা'র (৩০) সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং স্ত্রীকে মারধর করত। পূজা বলে, ঘটনার রাতে সে বারোটার দিকে নেশা করে ঘরে ফিরে। কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে পুনরায় রান্নাঘরে ঢুকে হিরোইন সেবন করে। এরপর ঘরে ঢুকে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকে।কিছুক্ষণ পর নিরব হয়ে যায়। শ্রী পূজা ভাবে সুব্রত ঘুমিয়ে পড়েছে। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে । সকালে সুব্রতর দেহে হাত দিয়ে দেখে নিস্তেজ হয়ে গেছে। তার চিৎকার চেঁচামেচিতে আত্মীয়-স্বজন নিকটস্থ জামুর্কি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, ছয় বছর পূর্বে সুব্রত বিয়ে করে। তার আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। পেশায় সে একজন সিএনজি চালক ছিল। দুই মাস পূর্বে তার সিএনজি বিক্রি করে দেয়। স্ত্রী পূজা আরো জানায়, গত বছর সে মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে মানিকগঞ্জে জেল খেটেছে। নিজের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তাকে জেল থেকে বের করে আনে। সুব্রত হিরোইন, ইয়াবা এবং গাঁজায় আসক্ত ছিল। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে এক কন্যা সন্তান নিয়ে পূজা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।


আরও খবর



জলঢাকায় সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর বাংলা নববর্ষ উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৪৯জন দেখেছেন

Image
শাহাজাহান কবির লেলিন,জলঢাকা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকায় আনন্দ শোভাযাত্রাসহ নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে সামাজিক সংগঠন "বন্ধন"।রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে "বন্ধন" সামাজিক সংগঠন এর  উদ্যোগে পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বর্ণিল সাজেঁ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে  প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে জলঢাকা পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ড দুন্দিবাড়ী সাইটের পাড়ে আলোচনা সভা ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা ভাত, নৌকা ভ্রমণসহ নানান আয়োজন করেন সংগঠনটি।সভায় সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর সভাপতি সাংবাদিক শাহাজাহান কবির লেলিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন , উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,  শিক্ষাবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর গাফফার, জাসদ জেলা সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সাদের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, সামাজিক সংগঠন বন্ধন এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবেদ আলী,সাবেক বালাগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিপন,পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আনিছুর রহমান যাদু,১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার মিন্টু। আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্ধন এর সদস্য সাংবাদিক এরশাদ আলম,মাহাদী হাসান মানিক,জাহিনুর ইসলাম জীবন, আজম বাদশা সাবু,গোলাম রব্বানী, মশিয়ার রহমান,তহমিদার রহমান মিলন,সাহিন ইসলাম, রাজু ইসলাম, সহ সকল সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বন্ধন এর সদস্য ও সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান।পরে তিস্তার সেচ ক্যানেলে নৌকা  ভ্রমণে সকল বয়সী মানুষ আনন্দ উল্লাস উপভোগ করেন। 

আরও খবর



১৯ রমজানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণার দাবী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়েছে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’। আজ ৩০ মার্চ, ২০২৪ রোজ- শনিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর সংলগ্ন ঐতিহাসিক শাহবাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে অনুসন্ধিৎসু একদল তরুণের সংগঠন ‘শেকড় সন্ধানী’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।   সভায় আলোচকগণ হিজরী সনের ১৯ রমজানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণা ও পালনের দাবী জানান। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ শফিউর রহমান চৌধুরী এবং অতিথি সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ নিজামুদ্দিন।

শেকড় সন্ধানী’র আহবায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ আসাদুজ্জামান দিবসটির ঐতিহাসিক পটভূমি নিয়ে আলোচনায় বলেন, মধ্যযুগে বাংলা ছিলো এ অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা। কিন্তু ব্রাহ্মণ্যবাদী সেন শাসকরা ক্ষমতা দখলের পর সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়, নিষিদ্ধ করে বাংলা ভাষাকে।   সেন শাসকরা প্রচার করে, “যে বাংলা ভাষায় কথা বলবে সে নরকে যাবে।  সাধারণ মানুষকে দেবতার ভাষা সংস্কৃতিতে কথা বলতে হবে। ” এর মাধ্যমে সেন রাজারা বাংলা ভাষাকে পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ করে।  কিন্তু ৬০১ হিজরী সনের ১৯ রমজান তারিখে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সেন শাসক লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে বাংলাকে মুক্ত করেন।  এর ফলে শুধু ‘বঙ্গ বিজয়’ হয় না, বরং সেন শাসকরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে যে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিলো, তাও উঠে যায়।  অর্থাৎ বাংলা ভাষা আযাদ বা মুক্তি লাভ করে, সাধারণ মানুষ আবারো বাংলা ভাষা ব্যবহার করার স্বাধীনতা পায়।  তাই এ দিনটি বাংলা ভাষার আজাদী’ দিবস, যা সকল বাংলাভাষী মানুষের জন্য স্মরণীয় একটি দিন। 

মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত একটি মধ্যযুগীয় স্বর্ণমুদ্রা থেকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি (রহমতুল্লাহি আলাইহি) কর্তৃক বাংলা বিজয়ের দিন ৬০১ হিজরীর ১৯ রমজান বলে জানা যায়। ঐ সময় এ অঞ্চলে মাস গণনায় হিজরী সন প্রচলিত ছিলো, বাংলা বা গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার ছিলো না। তাই হিজরী সন অনুসারে দিবসটি পালন অধিক যৌক্তিক।

আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট বাংলা ভাষা গবেষক ও গ্রন্থ প্রণেতা মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ যদি না আসতো, তবে হয়ত আমরা এখন বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না, নিজেদের বাঙালী বলে পরিচয় দিতে পারতাম না।  অনেক প্রাকৃত ভাষার মত বাংলা ভাষাও হয়ত হারিয়ে যেতো।  তাই এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।  দিনটির গুরুত্ব অনুধাবন করে তাই আমরা এ দিনটি পালন করছি ।  আমরা চাই, আমাদের মত রাষ্ট্রীয়ভাবেও এ দিনটি পালন করা হোক।  ১৯ রমজান তারিখকে জাতীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণা করা হোক।

আলোচনায় শেকড় সন্ধানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য, ঢাবির অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, বর্তমান নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা নেই বললেই চলে।  আমরা আমাদের সংগঠন শেকড় সন্ধানীর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বাঙালী জাতির শেকড়ে নিয়ে যেতে চাই।  খুঁজে বের করতে চাই, আমাদের প্রকৃত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে।   মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, ঐতিহাসিক ১৯ রমজান দিনটি উদযাপন তাই আমরা কোন হল বা অডিটোরিয়ামে না করে বেছে নিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থিত মুঘল স্থাপত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহাসিক নির্দশন হযরত হাজী খাজা  শাহবাজ রাহ: জামে মসজিদ প্রাঙ্গণকে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে দোয়েল চত্বর সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৪শ’ বছরের পুরাতন এমন একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা আছে, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জানেন না।  আমরা চাই, নতুন প্রজন্ম এসব ঐতিহাসিক নির্দশনগুলো সম্পর্কে জেনে তাদের শেকড়ের সন্ধান লাভ করুক।

আলোচনা সভা শেষে প্রায় ৪শ’ অতিথিকে নিয়ে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় দেশ, জাতি ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

আরও খবর



গরমে তৃষ্ণা মেটাতে চাহিদা বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৫০জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জ সহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। ফলে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন প্রখর সূর্যতাপে ও ভ্যাপসা গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন তারা। গরমে তৃষ্ণা মেটাতে অসংখ্য মানুষকে ফলের জুস ও বরফ মেশানো শরবতের দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায়।

তীব্র গরমের ফলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাও বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের দোকান, ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস মেশানো শরবতে তৃষ্ণা মেটান অনেক শ্রেণী পেশার মানুষ। স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি তাদের কাছে অনেকটাই অবহেলিত, তাই এই তীব্র গরমে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ ধরনের ফলের জুস ও শরবতের দোকান। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম ১০ টাকা ট্যাং মেশানো গ্লাস ১৫ টাকা, ও ফলের জুস ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকার উপরে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে হাট, বাজারে, শপিং মলের সামনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে খোলা ভ্যানের ওপর ফিল্টারের মধ্যে বরফ মেশানো পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় শরবত। মাত্র তিনটি উপকরণের মিশ্রণে এ ধরনের শরবত বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্লাস ১০ টাকা, ট্যাং মেশানো ১৫ টাকা। তীব্র গরমে সামান্য তৃপ্তি মেটাতে বাধ্য হয়ে সেগুলো খাচ্ছেন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় গুলোতে এদের উপস্থিতি থাকলেও হাট, বাজারে ও শপিং সেন্টারগুলোর সামনে এদের বেশি সংখ্যায় দেখা যায়। প্রচণ্ড গরমে জর্জরিত পথচারীদের নোংরা পরিবেশ কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা কারও কারও মনে এলেও বরফশীতল লেবুর শরবতের প্রচণ্ড লোভনীয় প্রশান্তির কথা মনে করে সেসব পান করছেন অনেকে। এভাবেই পথের এসব শরবতের দোকানে ভিড়ও লেগে থাকে সারাক্ষণ।

সিরাজগঞ্জ সদরে কয়েক জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, এসব লেবুর শরবত তৈরির পদ্ধতি সবারই এক। কাঠ কিংবা লোহার একটি যন্ত্রের মাঝে অর্ধেকটা লেবু রেখে চাপ দেওয়া হয়। এতে রস গিয়ে পড়বে নিচে রাখা গ্লাস কিংবা মগে। এবার তাতে যোগ করা হবে বরফ শীতল পানি আর বিট লবণ।

এই বিষয়ে শরবত বিক্রেতা আব্দুল গনি বলেন, গত বছরের ব্যবধানে এই শরবতের দাম একটু বেশি হয়েছে। লেবু বিট লবণ বরফ এগুলোর দাম  বৃদ্ধি হওয়ার। কারণে। কেউ আবার শরবতের রং সুন্দর করার জন্য মেশায় কৃত্রিম রং, অরেঞ্জ পাউডার। স্বাদ মিষ্টি করার জন্য স্যাকারিন, টেস্টিং সল্টও মেশানো হয়। কেউ এর মধ্যে আপেল ও মাল্টার কুচি দিয়ে ৩০ টাকায় স্পেশাল শরবত বিক্রি করছেন। কেউ তোকমা দানা, ইসবগুল, মেথির মতো উপাদানও মেশাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, এতো গরমে তৃষ্ণার্ত ও শরীর সতেজ রাখতে লেবুর শরবত ভালো লাগে। আমি মানুষকে প্রতিদিন দেখি শরবত খাই। আজকে আমি নিজে খেলাম অনেক ভালো লাগলো।

আরও খবর