Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ম্যাক্স গ্রুপ ৩২তম জাতীয় সাঁতার, ডাইভিং ও ওয়াটারপোলো প্রতিযোগিতা-২০২৩

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৩৩৫জন দেখেছেন

Image

আজাদ হোসেনঃবাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ম্যাক্স  গ্রুপ এর পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ১৫-১৯ অক্টোবর “ম্যাক্স গ্রুপ ৩২তম জাতীয় সাঁতার, ডাইভিং ও ওয়াটারপোলো প্রতিযোগিতা-২০২৩” সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স, মিরপুর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এ উপলক্ষে অদ্য দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ডাচ বাংলা ব্যাংক অডিটরিয়ামে  সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনর সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সহ সভাপতি  মোঃ আবদুল হামিদ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল হোসেন বাদশা, যুগ্ম সম্পাদক  সেলিম মিয়া।  এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্স গ্রুপের প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল পলাশ  এবং নৌবাহিনীর প্রতিনিধি কমান্ডার বদরুদ্দোজা, (এপি), পিসিজিএমএস, পিএসসি, বিএন।

এ প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সুইমিং ক্লাব, বিকেএসপি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ প্রায় ৫২টি টীমের প্রায় ৫৫০ জন খেলোয়াড়, প্রায় ৮৫ জন টীম অফিসিয়াল ও ১০০ জন মিট অফিসিয়ালসহ সর্বমোট ৭৩৫ জন অংশগ্রহণ করবে । এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপ সম্পূর্ণ আর্থিক ব্যয়ভার বহন করবে। বিকেএসপি ও সকল সার্ভিসেস টীম ব্যতিত সকল দলের সাঁতারু ও অফিসিয়ালের যাতায়াত, থাকা ও খাওয়ার খরচ বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন বহন করবে। সুইমিং কমপ্লেক্সের ডরমেটরী, ক্রীড়া পল্লী-১ ও ক্রীড়া পল্লী-২ তে সাঁতারু ও অফিসিয়ালদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সাঁতারে (পুরুষ-১৯টি ও মহিলা-১৯টি) মোট ৩৮টি, পুরুষ বিভাগে ডাইভিংয়ে ৩টি এবং ওয়াটারপোলো ১টি ইভেন্ট রয়েছে। বিজয়ী সাঁতারুদের স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হবে। দলগত চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলকে ট্রফি দেয়া হবে। এছাড়াও সেরা সাঁতারু পুরুষ ও মহিলাকে ট্রফি প্রদান করা হবে।

ম্যাক্স গ্রুপ ২০১৩ সাল থেকে জাতীয় সাঁতার, ডাইভিং ও ওয়াটারপোলো প্রতিযোগিতায় নিয়মিত পৃষ্টপোষকতা করে আসছে।

আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার বিকাল ৩:৪৫ ঘটিকায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী  জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি, প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করবেন । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের  সভাপতি ও নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, ওএসপি, এনপিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন এম বি সাইফ, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন।

 আগামী ১৯ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩:৩০ ঘটিকায় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের মাননীয় সভাপতি ও নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, ওএসপি, এনপিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন এম বি সাইফ, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন। 



আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা এবং ৮ম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী ও সুধিজনদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে  খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম(বার) খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সরাফত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, সারা দুনিয়া এখন প্রযুক্তি নির্ভর। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মই আমাদের হাতিয়ার, আমাদের সম্পদ। বিজ্ঞানমনস্ক এ প্রজন্মই আগামিতে দেশ পরিচালনা করবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে আগামি প্রজন্মকে নিবেদিত হতে হবে। দেশে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, নিজেকে একজন যোগ্য, দক্ষ ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, যার যার জায়গা থেকে প্রত্যেকের কর্মদক্ষতা ও দেশপ্রেমই গড়ে তুলতে পারে স্মার্ট বাংলাদেশ। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ইংরেজি ভাষা শিখার পাশাপাশি চীনা, জাপানি, কোরিয়ান, ফ্রান্স, জার্মানি ভাষা শেখার তাগিদা দেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়ে অন্যদের চেয়ে কোনো অংশে পেছনে নেই।

আলোচনা শেষে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বিজ্ঞান মেলায় ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ পরিদর্শন করেন। 

আরও খবর



ঈদযাত্রায় সড়কে মারা গেলেন ৪০৭ জন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবার ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি । এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯৮ জন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্র্টস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান।

সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

ঈদযাত্রায় রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিলেন। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।


আরও খবর



ডেমরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ এর শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃ

মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ডেমরায় ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব) এর উদ্যোগে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার ১লা মে সকালে ডেমরা থানার কোনাপাড়া ফার্মের মোড় এলাকা থেকে দিবসটি পালন উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের নিয়ে শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব) ডেমরা থানা কমিটির কার্য্যকরি সভাপতি মোহাম্মদ শরীফ হোসেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন তারেক।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (ইনসাব) এর ৬৪নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি রাসেল,নবী হোসেন স্বপন সহ ডেমরা থানার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটির নেতৃবৃন্দ। মহান মে দিবসের এই শোভাযাত্রা ও মিছিলটি   ফার্মের মোড় থেকে কোনাপাড়া প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর কোনাপাড়া বাস স্ট্যান্ডে এক সংক্ষিপ্ত শ্রমিক সমাবেশে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ। 


এদিকে মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন।তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতার পর মে দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় এবং জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং তিনি শ্রমিকদের জন্যও নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন।


তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করেও ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের (ইনসাব)এর কর্মসূচিতে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শ্রমিকদের  অংশগ্রহণ করায় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। 



আরও খবর



রাজধানীর চার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি,বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান । ঢাকার ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে৷ এছাড়া যারা কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা তাদেরও তালিকা করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে। কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়টি নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি’র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়। কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জি এম তসলিম, জিয়া খান, অনিমেষ কর ও কাওসার সোহেলী।


আরও খবর



পুলিশের সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের সকল থানাসহ পুলিশের সব স্থাপনা এবং অস্ত্র-গোলাবারুদের নিরাপত্তা জোরদার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পুলিশ সদরদপ্তরের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত আইজিপি মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, সারা দেশের সকল থানায় কমপক্ষে তিনটি সেইন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া থানা কিংবা পুলিশের যেকোনো স্থাপনা হামলার শিকার হলে কীভাবে প্রতিহত করতে হবে তার নির্দেশনা পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সকল ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, সম্প্রতি কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা বান্দরবানে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট করেছে। এ ধরনের ঘটনা যেন এড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বান্দরবানে অস্ত্র লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সকল ইউনিটে অ্যালার্ম প্যারেডের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে পুলিশ সদরদপ্তরের মতো ঢাকা মহানগর পুলিশ থানা ও স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে গত ২৩ এপ্রিল একটি সার্কুলার জারি করেছে।

এতে বলা হয়, প্রত্যেক থানায় কমপক্ষে ৩টি স্থায়ী সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। তবে বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। রাতে ডাবল সেন্ট্রি ডিউটি মোতায়েন করতে হবে।

অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশের ছুটি বা অন্যত্র দায়িত্বে না রাখার বিষয়ে খেয়াল রাখা। বাইরের কারও দেওয়া খাবার না খাওয়া। অস্ত্রাগার সুরক্ষিত রাখা। রাতে নির্দিষ্ট সময় পর থানায় বাইরের কেউ প্রবেশ করলে নিরাপত্তার স্বার্থে চেকিং এবং সতর্কতার সঙ্গে প্রবেশ করতে দেওয়া।


আরও খবর