Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
মেসির ফেরার ম্যাচে মায়ামির নাটকীয় জয় ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প

মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে আসবে: সংসদে অর্থ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রতা সাধনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে চলতি অর্থবছরের শেষে মূল্যস্ফীতি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে নেমে আসবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।

রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদের বৈঠকে ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন’ উপস্থাপন করতে গিয়ে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের নির্ধারিত অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম। মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার গত বছর থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সারা বিশ্বে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ দেখা যায়, যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতির চাপ প্রকট হয়েছে।

মূল্যস্ফীতির মতো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত শক্ত অবস্থানে ফিরে আসা, রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যও অর্জন সম্ভব হবে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন ওয়াসিকা আয়শা খান।

তিনি আরও বলেন, সরকার এরইমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুব দ্রুত শক্ত অবস্থানে ফিরে আসবে।

সংসদে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব আয়, রপ্তানির প্রবৃদ্ধি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয়, ব্যাপক মুদ্রার সরবরাহের মতো মৌলিক অর্থনৈতিক চলকগুলো সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধনের ফলে আমদানি ব্যয় নেতিবাচক। সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হবে বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগামী জুলাই থেকে কাস্টমস আইন-২০২৩ বাস্তবায়ন শুরু হবে। এছাড়া দশ লাখ বা তার বেশি টাকার মূল্য সংযোজন কর(মূসক) পরিশোধে ই-পেমেন্ট বা এ চালান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে।

এছাড়া উৎসে কর কাটার জন্য ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমের ব্যবস্থা করা করা হবে। এছাড়া ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) এবং সেলস ডেটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) মেশিন বসানোর কার্যক্রম চলছে। থার্ড পার্টির মাধ্যমে এ কাজ দ্রুত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

নতুন করদাতা সনাক্তকরণ, মিডিয়াম অ্যান্ড লং টার্ম রেভিনিউ স্ট্রাটেজি প্রনয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানানো হয়েছে। এতে অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়বে বলে অর্থ প্রতিমন্ত্রী মনে করেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে কর রাজস্ব ১৩.৯ শতাংশ বেড়েছে। সরকারি ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ , যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। ডিসেম্বর শেষে রপ্তানি আয় দাড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শুন্য ৮৪ শতাংশ বেশি।

অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি ব্যয় ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ কমেছে। বিলাসদ্রব্যের আমদানি পরিশোধ করা এবং মিতব্যয়িতার কারণে আমদানি কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে প্রবাস আয় এসেছে ১০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে কোভিড এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য ভূরাজনৈতিক কারনে বৈশ্বিক অর্তনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর

আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




দেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, বলেছেন সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শিগগিরই এর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলে সংসদের অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গিয়েছে। উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ সকল পদে জনবল নিয়োগের বিষয়িটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

তিনি জানান, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। পূর্বে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও পুলিশ সদস্যদেরকে ৭ পয়েন্ট ৬২ / ৯ এমএম পিস্তল, ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১ আসনের এমপি মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ইতিমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দ্বারা সুসজ্জিত করা হয়েছে।

অত্যাধুনিক অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে অ্যালকোটেন ৪০টি, এটিজিডব্লিউ ১২টি, স্নাইপার রাইফেল ১৩২টি, এএএমজি ৩টি, এপিসি আর্মস ২৮টি। যানবাহনের মধ্যে রয়েছে এটিভি ২৫৯টি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল (আরসিভি) ১০টি, আর্মড পার্সোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ৪০টি, মোটরসাইকেল ১ হাজার ৯৬৫টি, পিকআপ ৫৪৭, অ্যাম্বুলেন্স ৬৯, ট্রাক ২১৮, জীপ ৩২৮, বাস ২৫, মাইক্রোবাস ১২, ওয়াটার ট্রেইলার ৭৩।

আকাশযানের মধ্যে হেলিকপ্টার ৩টি। জলযানের মধ্যে স্পিড বোট ৮৭টি, হাই স্পিড ইঞ্জিন বোট ১২টি, এয়ার বোট ৪টি, লজিস্টিক শিপ ১, পল্টুন ৫টি, মটর লঞ্চ ২৫টি, পেট্রল বোট ৪, রেসকিউ বোট ১৫টি, ওয়াটার ক্যারিয়ার ভ্যাসেল ২টি। এছাড়াও জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) এবং সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর জন্য প্রাইভেট তহবিলের ব্যবস্থাপনায় ২টি স্পিড বোটের বডি ক্রয় করা হয়েছে।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রথমবারের মত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর সাতগ্রাম ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়েরপূর্বক ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ সময় ৩১ হাজার ৬২২ বোতল ফেনসিডিল, ৭২ দশমিক ৮২৮ কেজি হেরোইন, ১৮৬ দশমিক ৬৩২ কেজি আইস এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭১ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবেলট জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর

আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




রৌমারীতে এলডিডিপি প্রকল্পে দুর্নীতি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব শেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। তাদের অভিযোগ, নিজেদের একাউন্টে টাকা আসলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৌশলে তাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে ছাগল ও মুরগির পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সিংহভাগ টাকা পকেট অস্ত্র করেন।

সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রের মতে, উপকারভোগীদের একাউন্টে প্রেরিত অর্থ দিয়ে তাদের নিজেদের পরিবেশ বান্ধব ঘর তৈরির কথা থাকলেও সংশিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের সে সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই এসব ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজের শুরুতেই এলডিডিপি প্রকল্পের প্রস্তাবিত পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার শুরু করলে দুর্নীতিপরায়ণ ওই কর্মকর্তা দ্বয় উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ বরাদ্দ দেয় । 

অভিযোগ উঠেছে , এসব পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণের জন্য ৯৭ জন উপকার ভোগীর জন্য ২৫ হাজার করে এবং ৩৪ জন উপকারভোগীর জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র সাত আট হাজার টাকায় প্রতিটি সেড নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এভাবেই অবশিষ্ট সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপকারভোগী জানান, "আমাদের কাছ থেকে প্রথমেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি  নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন। পরবর্তীতে ওই একাউন্টে সেড নির্মাণের বরাদ্দ আসলে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তারা ছাগল রাখার ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্পের অর্থে শেড নির্মাণের জন্য উপকারভোগীদের সাথে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া হয়। এছাড়াও সেড ঘরের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শ থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। এসব অর্থ খরচের বৈধ কোন ভাউচার পাওয়া যায়নি।  

উপকারভোগীদের বরাদ্দে টাকার পরিমানে কমবেশি থাকলেও সরজমিন ঘুরে ১৩১ টি ঘর একই রকম পাওয়া গেছে। যার প্রতিটি ঘর তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। সংশিষ্ট সূত্র জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৪ টি ঘর নিমার্ণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

একাধিক উপকারভোগীর দাবী, "বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে আমরা সেড নির্মাণ করলে শেডগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং টেক সই হতো। যা অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেত। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা শেড গুলো অল্পদিনের মধ্যেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন উপকারভোগীকে ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন ঠিকাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অত্যন্ত কৌশলে উপকারভোগীদের নামে আসা বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেছেন। 

এদিকে প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম ব্যবহার না করায় উপকারভোগীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার কথা থাকলেও  ওই কর্মকর্তারা তা না করে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার জন্য উপকারভোগীদের কাছে দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে আমাদের কাছ থেকে চেকে সই করে তারা টাকা উত্তোলন করেন। যে ঘর নিমার্ণ করে দেন তা একে বারেই নি¤œমানের।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমরা বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। নি¤œমানের শেড নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। শেড নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এগিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।



আরও খবর



আত্রাইয়ে তীব্র গরম,দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:বৈশাখের শুরুর দিন থেকেই নওগাঁয় আত্রাইয়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। সকাল থেকে সূর্য যেন আগুন ছড়াচ্ছে চারদিকে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তাপমাত্রা বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের।বিশেষ করে গাড়ি চালক ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের কষ্ট বেড়েছে অনেক বেশি।

তীব্র গরমে ছন্দপতন ঘটেছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। জীবিকার তাগিদে প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করেও তারা ঘর থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘসময় কাজ করতে না পারায় এবং রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় ভাটা পড়েছে তাদের আয়ে।

শনিবার উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সূর্যের প্রচন্ড তাপে নাজেহাল অবস্থায় রিকশাচালক, পথচারী, হকার, ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা বাইরে আছেন। রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় গামছা ও কেউবা আবার মাথায় মাথাল ব্যবহার করছেন। আবার গরমে হাঁপিয়ে ওঠা অনেকে ক্লান্তি দূর করতে সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে শরবত পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের সিএনজি চালক রায়হান আলী বলেন, সকাল ১১টার পর থেকে রোদের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয় আমাদের। অন্যদিকে, আগের মতো ভাড়া পাওয়া যায় না।

আবার বেশি সময় ধরে রিকশা চালানোও যায় না। অল্পতেই পানি পিপাসা পায়। এত কষ্টের মধ্যেও আমাদের জীবন বাঁচানোর তাগিদে রাস্তায় বের হতে হয়। কষ্ট পাচ্ছে প্রাণিকুল। এদিকে কৃষকদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মাঠের কার্যক্রম।উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, কাঠ ফাটা রোদ মাথায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কৃষকদের। খুব বেশি সময় মাঠে থাকা যায় না। অন্যদিকে শুকিয়ে যাচ্ছে নওগাঁর নদ-নদীর পানি। ফলে চাষাবাদে ব্যবহারের জন্য পানি পেতে কষ্ট পেতে হবে চাষিদের। সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জনজীবন।

শাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী মতিউর রহমান তিনি বলেন, আগে এরকম গরম দেখিনি। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হয়েছি। একটু হাঁটার পরপরই বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। গরমে দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় কমে গেছে।

শনিবার নওগাঁয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




মাগুরা সদর উপজেলায় রানা আমীর ওসমান শ্রীপুরে শরিয়ত উল্লাহ রাজন বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মাগুরা সদরে রানা আমীর ওসমান ও শ্রীপুর উপজেলায় শরিয়ত উল্লাহ রাজন বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছে।   রানা আমীর ওসমান পেয়েছে ৮৩০৭১   ভোট আর তার প্রতিদন্দি শেখ রেজাউল ইসলাম পেয়েছে ৫০৮৬৩   ভোট।শরিয়ত উল্লাহ রাজন পেয়েছে ৪৪৯৪৭  ভোট। তার নিকটতম প্রতিদন্দি মোস্তাসিম বিল্লাহ পেয়েছে ২৯২৮১  ভোট।দুটি উপজেলায়  ১৭৭ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার ৮ মে সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে মাগুরা সদর উপজেলার ১২০ টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা  ৩ লাখ ২৩ হাজার ৫০৬ জন,  অন্যদিকে শ্রীপুর উপজেলার ৫৭ টি ভোট কেন্দ্রে ভোটারর ছিল  ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫২ জন। সকাল থেকেই কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ করা যায়। মাগুরা সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাহারুল ইসলাম ৩৩৬৮৮ ভোট,  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সোনিয়া ৩৫৫৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাবুল রেজা ২৬৫৫৬ ভোট, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নার্গিস সুলতানা ৫১৪৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে।

মাগুরার দুটি উপজেলায়  ৫১ টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ  ঘোষনা করে জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে।ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন সে জন্য মাগুরায় ৬ স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  আনসার সদস্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করে বলে জানান,মাগুরার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা। নির্বাচনে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

আরও খবর



রূপসীতে ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা,ভাংচুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:রূপগঞ্জের রূপসীতে শের ই আলম ভুইয়া নামক এক সিমেন্ট ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে সন্ত্রাসী জজ মিয়ার বাহিনী। গত ১২ মে সকালে রূপসী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত "মেসার্স হেরা ট্রেডার্স" নামক দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে গত ১৩ মে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শের ই আলম ভুইয়া। 

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে রূপসী এলাকার জজ মিয়া (৫৮) ও তার ছেলে রিপনসহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন হাতে দা, চাকু, ছুরি, লোহার রড, চাপাতি, লাঠিসোটা ইত্যাদি দেশীয় তৈরি অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হইয়া রূপগঞ্জ থানাধীন রূপসী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন স্কয়ার টয়লেট্রিক্স লিঃ এর পূর্ব পার্শ্বে তার প্রতিষ্ঠানে অনধিকার প্রবেশ করিয়া দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করিয়া হুমকি ধামকি প্রদান করে। 

শের ই আলম ভুইয়া জানান, ২নং আসামী রিপন আমার প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বাক্সের ড্রয়ার ভাঙ্গিয়া ক্যাশ বাক্সে রক্ষিত নগদ-২,০০,০০০/-টাকা চুরি করিয়া নেয়। আমার ডাক-চিৎকার শুনিয়া আশপাশ হইতে লোকজনসহ পথচারিরা আগাইয়া আসিতে থাকিলে উপরোক্ত আসামীরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ প্রাননাশের হুমকি প্রদান করিয়া দ্রুত পালাইয়া যায়। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় আহত অবস্থায় উদ্ধার হইয়া স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি।

  -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর