Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত ২৯৬

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২২৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২৯৬ জনের মৃত্য হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যা ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।

সেই সঙ্গে দেশটির বহু বাসিন্দাকে রাস্তায় রাত কাটাতে হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর নিশ্চিত করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ ইউএসজিএস বলেছে, দেশটির স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছুক্ষণ পরে আটলাস পর্বতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এর কেন্দ্রস্থল মারাকাশের প্রায় ৭২  কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-আওলায় বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ২৯৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৫৩ জন। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, আফটারশকের জন্য বাসিন্দারা এখনও ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

দেশটির এ বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বাসিন্দাদের নিরাপদে অবস্থান নেওয়ার সতর্ক করেছেন। ইউএসজিএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবারের এ ভূমিকম্প অঞ্চলটির জন্য অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী ছিল।

এতে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সিএনএন বলেছে, এ দুর্ঘটনায় ৩০০ জন নিহত হয়েছে। সূত্র: সিএনএন


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বাংলাদেশ নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানাল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনীত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জা‌নি‌য়ে‌ছেন। ডেভিড মিল এর আগে ঢাকায় ডেপুটি মিশন প্রধান ছিলেন।

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবা‌দিক‌দের এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ মনোনয়নকে আমরা স্বাগত জানাই। মাস দে‌ড়েক আগে এ বিষয়টা আমাদের জানানো হ‌য়ে‌ছে। এখন তারা আনুষ্ঠা‌নিক ঘোষণা দিয়েছে। আশা করছি নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক মিলের মনোনয়ন এরই মধ্যে সিনেটে পাঠানো হয়েছে। সিনেটে শুনানির পর মিলকে যোগ্য মনে হলে তবেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে। মিল ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হলে বর্তমান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের স্থলা‌ভি‌ষিক্ত হবেন।

মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন মিল। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড মিল।


আরও খবর



স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়ল ৪৫০০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বর্ণের দাম আবারও দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস)। এতে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। যা বুধবার (৮ মে) থেকে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁর ওসমান এগ্রো ইন্ডা:(প্রা:) লিঃ কাছে ৩৫ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মহাদেবপুরে ওসমান এগ্রো ইন্ডা:(প্রা:) লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধ না করে বিভিন্ন হয়রানির প্রতিবাদে দাবীতে মানববন্ধন করেছে প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। রোববার দুপুরে উপজেলা সদরের মডেল স্কুল মোড়ের আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘন্টাকাল ব্যাপী এ টাকা আদায়ের দাবিতে মানববন্ধন করেন কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।উক্ত মানববন্ধনে পাওনাদার প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরাসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক ভুক্তভোগী অংশগ্রহণ করেন। 


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ওসমান এগ্রো ইন্ডাঃ (প্রাঃ) লিমিটেডের স্বত্তাধীকারী ওসমান গণি গং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় আড়াই’শ জন কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বাকীতে ৩৫ কোটি টাকার ধান ক্রয় করে এসব টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন তালবাহানা ও কালক্ষেপণ করতে থাকে। কখনো কখনো টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও মারপিটের হুমকী প্রদান করে।        তারা আরো বলেন, তিনি প্রতিষ্ঠান থেকে মূলধন অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে পরিবারের তথা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, জামাইসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের নামে রাজধানী ঢাকায় ১৫ থেকে ২০ টি বহুতল ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন জায়গায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে নিজেকে বাকী পরিশোধে অপারগ বলে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তাদের সাথে প্রতারণা করছে। এসব পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য জেলা প্রসাশকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তারা। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কালাই জয়পুরহাটের সমশিরা বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স ইসলাম এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্তাধীকারী আনোয়ার হোসেন, ধামইরহাট উপজেলার ফতেপুর বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স বেলাল ট্রেডার্সের স্বত্তাধীকারী  বেলাল হোসেন, খিরশিন গ্রামের কৃষক নূরুজামান, ব্যবসায়ী আল ইমরান, দিনাজপুরের ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ময়েন উদ্দিন প্রমূখ। 

মানববন্ধনে ওসমান এগ্রো ইন্ডাঃ (প্রাঃ) লিমিটেডের নিকট থেকে যাবতীয় পাওনা অচিরেই পরিশোধের দাবী জানান তারা।

আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে আনা হয়েছে।

এদিকে প্রাথমিকভাবে শেহেলার বিরুদ্ধে এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানায় ডিবি।

এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।

গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে।

এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান।

এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড ও অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে।


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর