Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মরক্কোকে কাঁদিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৮৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক; কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। এ জয়ে আসরটির ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফরাসিরা। অন্যদিকে রূপকথার জন্ম দেওয়া মরক্কোর ইতি হলো। পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা দলটি ফ্রান্সের কাছে আর পেরে উঠল না।

টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা ফ্রান্স আগামী রোববার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামবে।

বুধবার আল বায়াত স্টেডিয়ামে রাত ১টায় ম্যাচটি শুরু। ফ্রান্সের জয়ে একটি করে গোল করেন থিও হার্নান্দেজ ও রানদাল কোলো মুনাই।

খেলার পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। রাফায়েল ভারানের থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন অঁতোয়ান গ্রিজমান। তার পাস ধরে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেখানে তৈরি হয় জটলা। এমবাপ্পের দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে বল চলে যায় বাঁ দিকে থিও হার্নান্দেজের কাছে ফাঁকা জায়গায়। কাঁধ সমান উঁচু বলে লাফিয়ে দারুণ অ্যাক্রোবেটিক শটে গোলটি করেন এসি মিলান ডিফেন্ডার।

শুরুতেই পিছিয়ে পড়া মরক্কো অবশ্য দমে যায়নি। পাঁচ মিনিট পরেই সমতা টানতে পারত তারা। কিন্তু আজ্জেদিন উনাহির দূরপাল্লার জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ফ্রান্স গোলরক্ষক হুগো লরিস।

ম্যাচের ১৭তম মিনিটে আবারও প্রতিপক্ষ শিবিরে হানা দেয় ফরাসিরা। এবার প্রতি-আক্রমণে ইব্রাহিমা কোনাতের পাস ধরে জোরাল শট নেন অলিভিয়ে জিরুদ, বল গোলরক্ষককে এড়ালেও পোস্ট এড়াতে পারেনি।

চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রোমাঁ সাইস। বদলি নামেন সেলিম আমাল্লাহ। এতে বড় ধাক্কা খায় মরক্কো।

খেলার ৩৬তম মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ফ্রান্স। অহেলিয়া চুয়ামেনির পাস বক্সে পেয়ে এমবাপ্পের নেওয়া শট রুখে দেন আশরাফ হাকিমি। কিন্তু বল ফের চলে যায় চুয়ামেনির পায়ে। তিনি এবার খুঁজে নেন বক্সে অরক্ষিত অলিভিয়ে জিরুদকে। তার শট হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।

মরক্কো বিরতির আগের কয়েক মিনিটে প্রবল চাপ তৈরি করে। ৪৫তম মিনিটে দুর্ভাগ্য বাধা না হয়ে দাঁড়ালে গোলও পেতে পারত তারা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ডিফেন্ডাররা পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বক্সেই পেয়ে যান জাওয়াদ এল ইয়ামিক। তার বাইসাইকেল কিক পোস্টে লাগলে এগিয়ে থাকার স্বস্তিতে বিরতিতে যায় ফরাসিরা।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে এক চেটিয়া আক্রমণ চালায় মরক্কো। তবে কিছুটা নিজেদের দোষে, কিছুটা ভাগ্য ও কিছুটা ফরাসি রক্ষণে গোল পাওয়া হয়নি তাদের।

উল্টো ম্যাচের ৭৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে বসে ফ্রান্স। উসমান দেম্বেলের বদলি নেমে ৪৪ সেকেন্ডের মাথায় জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক গোল করেন মুনাই। ঠিক প্রথম গোলের মতোরই জটলা থেকে এমবাপ্পে গোলের জন্য শট নেন, তবে বল ফাঁকায় থাকা মুনাই পেলে আলতো টোকায় গোল উদযাপন করেন।

এরপর মরক্কো আরও কিছু শট নেয় গোল করার জন্য, তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। ফ্রান্সও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়ে বঞ্চিত হয়। শেষ অবধি ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দিদিয়ের দেশমের দল। 


আরও খবর



কালিয়াকৈরে দাঁড়ানো ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, নিহত-২

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে চলন্ত একটি পিকআপ ভ্যানের স্বজোরে ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলঅর পল্লীবিদ্যৎ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় শুক্রবার ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় টাঙ্গাইলগামী একটি পিকআপ ভ্যান ওই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এতে আবুল কাসেম ও শামীম হোসেন নামে দুজন গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, এ দুর্ঘটনার পর ওই দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



মিরপুরে গ্যাং রেপের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:মিরপুরে গ্যাং রেপের  ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। মিরপুর  মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সি সাব্বির আহমেদ এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, আমরা ভোরবেলা ৯৯৯ মাধ্যমে জানতে পারি একটি ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে গেছে। পরবর্তীতে আমরা রক্তাক্ত অবস্থায়  তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তার মুখ থেকে আমরা জানতে পারি তিনজন মিলে তাকে গ্যাং রেপ করেছে। তাদের মধ্যে সাজ্জাদ সায়েম ও আলহাজ্ব এই তিনজনের নাম উঠে আসে। পরবর্তীতে আমরা থানার সবাইকে এই মেসেজটি পাঠিয়ে দেয়। তারই পরিপেক্ষিতে আমরা সাজ্জাদ এবং আলহাজ্ব এই দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আর একজন যে আসামি রয়েছে তাকে গ্রেফতারের জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি তাকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।

আরও খবর



দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আমার একটাই শক্তি সেটা হচ্ছে-জনগণ। তাদের শক্তি নিয়েই আমি চলি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। জনগণের মধ্যে একটি আস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে, আমি তাদের জন্য কাজ করি। কাজেই এই আস্থা ও বিশ্বাসটাই হচ্ছে আমার একমাত্র সম্বল। আর এই সম্বল নিয়েই আমি চলি। এ জন্যই আমি কাউকে পরোয়া করি না। এসময় তিনি দৃঢ় কণ্ঠ আরও বলেন, যতক্ষণ দেশবাসী আমার পাশে আছে ততক্ষণ আমি কাউকে পরোয়া করি না।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপত্বি করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। যে কাজগুলো আমরা করেছি তার সুফলটা দেশবাসী পাচ্ছে, সেটাকে স্বীকার করেন। কিন্তু প্রত্যেকটা কাজকে যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে (চেষ্টা) করা হয়, হ্যাঁ তাতে কি করতে পারেন, জনগণের কাছ থেকে তো আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ আমি জানি, আমার বাবার সঙ্গেও একই জিনিস হয়েছে। যতগুলো কাজ তিনি করে গেছেন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে- সংবিধান দেওয়া থেকে শুরু করে এমন কোন সেক্টর নাই যার ভিত্তিটা তিনি তৈরি করে দেন নাই। তারপরও তাঁর সমালোচনা, তার বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা, অনেক কিছু করে তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। যখন পারেনি তখন তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাকেও হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি সেটাও আমার জনগণ এবং দলের নেতাকর্মীরা সব সময় আমাকে ঘিরে রেখেছে। নিজেরা জীবন দিয়ে আমার জীবন বাঁচিয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্যই কাজ করে যেতে চাচ্ছি এবং কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিগত ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করেছে অন্যরা ২৯ বছরেও সে কাজ করতে পারে নাই। পারবেনও না কারণ প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রকল্প শেষ করেই ছাড়ি, টাকা খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, এটা হলো বাস্তবতা।

এ সময় পদ্মা সেতু নির্মাণের শুরুতে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন যে, এখানে কোন দুর্নীতি হয়নি এবং বিশ্বব্যাংকও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।

তিনি এ সময় দেশে বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অধিক অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের এটা ব-দ্বীপ। এখানকার ভূমি নরম থাকায় যে কোনো অবকাঠামোগত প্রকল্প গ্রহণে অধিক অর্থ ব্যয় হয়।

জিয়াউর রহমানের সময়ে দেশে এলিট শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে কথায় আসে ঋণখেলাপি, এই সংস্কৃতি কখন শুরু হয়েছিল? ওই জিয়াউর রহমান যখন অবৈধ ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সেই সময় থেকে। যার ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে। সেখান থেকে এখনও পূর্ণমুক্তি পাওয়া যায়নি। এটাই হলো বাস্তবতা। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে।

তিনি বলেন, আজ অনেকেই গণতন্ত্রের কথা বলে। গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে গেছে অনেকেই। আমার প্রশ্ন, যারা এখন গণতন্ত্র, গণতন্ত্র করে চিল্লায় তাদের জন্ম কি গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়েছে? না ওই রক্তাক্ত হাতে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই সেনা কর্মকর্তাদের পকেট থেকে? যারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল সেই রাজনৈতিক দল! জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সাংস্কৃতি জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু।

আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা ওঠে। তখন (বিএনপির ১৯৯১ সালের সরকারের আমল) বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ১৬শ মেগাওয়াট, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে মানুষের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রথম গণতন্ত্রের স্বাদ পান এবং তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন যে হয় এটা প্রথম উপলব্ধি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে।

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাবে রাজি হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতো বলে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাব? আমি তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। আমার পক্ষে তো দেশ বিক্রি সম্ভব না। আমি রাজি হইনি বলেই ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার চিত্র তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেন, অন্য এলাকায় থাকতে না পেরে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আমার কোটালিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। এই ছিল দেশের অবস্থা, এই হলো গণতন্ত্র! এই গণতন্ত্র তারা দিয়েছিল। ২০০১-০৬ পর্যন্ত এ তাণ্ডব তাদের চলে।

বাংলাদেশ বিএনপির আমলে দুর্নীতিতে এক নম্বর দেশ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের দেশে পরিণত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছিল, একই সঙ্গে ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভরাডুবির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তা হয়েছিল অবাধ, সুষ্ঠু। তাহলে বিএনপি কেন মাত্র ৩০টি আসন পেল? তাহলে তারা এখন কীভাবে বলে নির্বাচনে আসবে না, নির্বাচন হয় না বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। জনগণ ভোট দেবে জেনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

২০২৩ সালের আন্দোলনের সময় (২৮ অক্টোরব) বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাড়ির দরজায় হামলা করেছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা বিএনপির অভ্যাস আছে। সেটাও তারা করেছিল। সাংবাদিকদের খালি পেটানো না, প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, সেই রেকর্ডও আছে। অপকর্মের কোনও কিছুর বাদ নেই। তার জন্য আমার প্রশ্ন উঠে, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত!

রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ আইনের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা প্রশ্ন উঠান, বিশেষ আইন কেন করলাম। বিশেষ আইন এ জন্য করেছি, আমি তো ব্যক্তিখাতে সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যক্তিখাতে উন্মুক্ত করে দিতে হলে আইন করেই করতে হবে। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা শুধু সরকার দিয়ে হবে না, ব্যক্তিখাত দিয়েই করতে হবে। ব্যক্তিখাত না দিলে কর্মসংস্থানও বাড়ে না।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ আছে যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়? একটা দেশ দেখান। এখন ক্যাপাসিটি চার্জ বলে চিৎকার। বিশেষ আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং বেসরকারি খাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছিল সামিট, খুলনায় তারা এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে দেরি করেছিল, যে কয়দিন দেরি করেছিল প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হয়েছিল। সেই জরিমানা আমি আদায় করেছিলাম।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ছাড় আমি দেই না সেটা মাথায় রাখতে হবে। তাই এখানে দায়মুক্তির কিছুই নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে বন্ধ না হয় এ জন্য বিশেষ আইনটি করা হয়েছে। উন্নয়ন করতে হলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ দেওয়া। বিদ্যুৎ দিতে পারলে কর্মসংস্থান এমনিই তৈরি হয়।

সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র বহুমুখী করেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সোলার প্যানেল শুরু করেছি। বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুরু করেছি। কয়লাভিত্তিক করছি। তেলভিত্তিক-গ্যাসভিত্তিক সবই করছি। মানুষকে বিদ্যুত দিতে চাই। হ্যাঁ লোড। যে প্রচণ্ড গরম। সেখানে লোডশেডিং হয়েছে। আমরা সেটা স্বীকার করি। কিন্তু কৃষক যেন সেচটা পায়, সেখানে কিন্তু ভর্তুকি দেওয়া হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী অভিজাত এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়ার কথা বলেন। এ বিষয়টি তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।

সরকারের উন্নয়ন কাজের সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মায় রেললাইন নেই। এটার নাকি প্রয়োজনই নেই। এ রেললাইন ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছাবে সেইভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা প্রয়োজন নেই যারা বলেন তাদের কী বলবো অর্বাচীন ছাড়া? এত টাকা খরচ করে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন করলাম? এটার কী প্রয়োজন ছিলো! নিউক্লিয়ার পাওয়ার হচ্ছে সব থেকে ক্লাইমেট ফ্রেন্ডলি। কোনো দূষণ নেই।

তিনি আরও বলেন, সেই ১৯৬২ সাল থেকে এটা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা আমাদের ধোকা দিয়েছিল। দুটি পাওয়ার প্লান্ট করবে বলে দুটোই নিয়ে গেলো পাকিস্তানে (পশ্চিম পাকিস্তানে)। আজ আমরা পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করেছি। এখান থেকে সব থেকে ভালো বিদ্যুৎ আমরা পাবো। আমরা সেখানে আরও একটা করবো। ইতোমধ্যে আমি কথা বলেছি। ওখানেই আরেকটা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ মেট্রোরেল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন? এর কী প্রয়োজন ছিলো! তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে তো যানজটমুক্ত হতো। আজ প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার মানুষ মেট্রোরেল দিয়ে চলতে পারে। এটায় যারা চড়ছে তারা সুফল পাচ্ছে। যারা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তারা লজ্জা পাচ্ছে কি না জানি না।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ কেউ বলে বাংলাদেশে রাস্তা বানাতে এত খরচ কেন? এদের দেশের মাটি সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই। মাটির সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্কই নেই। আমাদের মাটি এটা একটা ব-দ্বীপ। এ মাটি দো-ফসলা। যাকে বলে জোবা মাটি। এ মাটি নরম। এখানে কোনও কিছু করতে গেলে... ওই যেনতেন করতে করতে গেলে দু-চারদিনের বেশি থাকে না। সেখানে আমরা মাটি তুলে আধুনিক প্রযুক্তিতে রাস্তা তৈরি করছি। রাস্তা যখন চড়েন দেখেন না? তো খরচ তো লাগবে। সেখানে শক্তমাটি সেখানে অত খরচ হয় না। নরম মাটি বলেই খরচ বেশি। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই।

বর্তমান সরকারের সঙ্গে অন্যান্য সরকারের উন্নয়ন চিত্রের তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করতে পেরেছি ওই ২১ বছর আর ৮ বছর, এই ২৯ বছরে কেউ করতে পেরেছে? পারেনি। পারবেও না। প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রজেক্ট শেষ করে ছাড়ি। টাকা খাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাংক চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। আমরা তা মোকাবিলা করেছি। প্রমাণ করতে পেরেছে? হ্যাঁ কিছু জিনিস আপনারা তৈরি করে গেছেন। ওই জিয়াউর রহমানের আমল থেকে কালচার একটা তৈরি করে গেছে। এদের কিছু আছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় সেই চেষ্টাও আমাদের আছে। আমাদের চেষ্টাই হচ্ছে দেশের উন্নতি করা। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

সমালোচকদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলো আমরা করছি যার সুফল জনগণ পাচ্ছে সেটাকে স্বীকার করেন। প্রত্যেকটি কাজ যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে হয় তাহলে কী করা যাবে। তবে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না। আমার একটা শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাদের শক্তি নিয়ে আমি চলি।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃতীব্র দাপদাহে পুড়ে যাচ্ছে ফসলি জমির বিভিন্ন জাতের আষাঢ়ী ফসল বিপাকে পড়েছে চাষিরা। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বেশি কষ্টে রয়েছেন জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে যেতে পারছেনা না নি¤œ আয়ের মানুষ গুলো। চলমান তীব্র দাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে, বৃষ্টির জন্য কুড়িগ্রামের বিভিন্ন স্থানে মহান আল্লাাহ তায়ালার দরবারে ইসতিসকার বিশেষ নামাজ আদায় ও মোনাজাত করা হয়।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে রাজিবপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ধর্মালম্বী মুসলমানগন এনামাজের আয়োজন করেন। অপরদিকে রৌমারী উপজেলার বড়াইকান্দী,দাতভাঙ্গা এলাকায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন। এতে প্রায় ৫ শতাধিক বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা তীব্র তাপমাত্রা মাথায় নিয়ে ইসতিসকার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। নামাজে দোয়া ও মোনাজাত পাট করেন রাজিবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের মাওলানা প্রভাষক শফিকুল্লাহ,রাজিবপুর উপজেলা জামাতের আমির মাওলানা আব্দল লফিত , ইসলামী ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুৃস ছালাম, রাজিবপুর থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসআই আনসার আলী,এসআই জসিম উদ্দীন,এ,এসআই বুল বুলসহ আরও অনেকেই,


আরও খবর



বিদেশে বসে যশোরের মেসকাত হত্যার নিল নকশা, নারীসহ দু’জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:পরকীয়া প্রেমিকা প্রবাসী নাজমা যশোরের মেসকাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন । এজন্য নাজমা বিদেশে বসেই মেসকাতকে হত্যা করতে রিক্তা বেগমের সাথে দুই লাখ টাকা চুক্তি করে। আর রিক্তা ঠিক করে ভাড়াটিয়া কিলার যশোর শহরের শংকরপুরের শাহীন ড্রাইভারকে। এরপর শাহীন ড্রাইভার কৌশলে মেসকাতকে মণিরামপুরে এনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে যায়। ডিবি পুলিশের অভিযানে আটকের পর এ হত্যায় জড়িত অন্যতম আসামি সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের রিক্তা এসব তথ্য জানান।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজমার বাবা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নিজাম সরদারকেও আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মেসকাতের মোবাইল ফোন। নিহত মেসকাত পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের নিজাম প্রামানিকের ছেলে।

শনিবার ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, মেসকাত ও প্রবাসী নাজমা দু’জনেই যশোরের পদ্মবিলায় ইলা অটো রাইস মিলের শ্রমিক ছিলেন। এক পর্যায়ে তারা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরই মাঝে বিদেশে পাড়ি দেয় নাজমা।এদিকে, মেসকাত নিজ এলাকায় চলে যান। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় মেসকাতের স্ত্রী জুলেখা। পরে সে নাজমাকে মোবাইল করে গালিগালাজ দেয়। এসব বিষয়ে ক্ষোভ তৈরী হয় নাজমা'র। এরপর সে হত্যার পরিকল্পনা করে। এসময় নাজমা মেসকাতকে বলে ঝাউডাঙ্গা বাজারে তার সোনা রয়েছে সেই সোনা সাতক্ষীরার বাড়িতে পৌছে দিতে হবে। এ কাজে ঠিক করে শাহীন ড্রাইভারকে। শাহীন ড্রাইভার কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মৃতদেহ মণিরামপুরে এনে ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত মেসকাতের ভাই এরশাদ আলী মণিরামপুর হত্যা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ।

শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলায় অভিযান চালিয়ে ডিবির এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মেসকাতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই দুই আসামিকে আটক করে।


আরও খবর