Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় তার পক্ষে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রতিনিধি শহিদুল্লাহ খন্দকার, শেখ কবীর, আকরাম কাজী, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া এবং কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জমা দেন।

এর আগে, গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শেখ হাসিনার পক্ষে মনোনয়ন ফরম কেনেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।


আরও খবর



জাইকা’র সহায়তায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা উন্মোচন করল এনসিডিসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১১জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :সম্প্রতি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের (এনএইচএন) কারিগরি সহায়তায় উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) নিয়ে জাতীয় নির্দেশিকার দ্বিতীয় সংস্করণ উন্মোচন করল নন- কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি)। নির্দেশিকাটি বাংলাদেশি চিকিৎসকদের উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে এবং প্রয়োজনীয় ও উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ নন-কমিউনিকেবল ডিজিস (এনসিডি) রিস্ক ফ্যাক্টর জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৬৯ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বিদ্যমান সাধারণত ২৩.৫ শতাংশ, পুরুষদের মধ্যে ২৪.১ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ২৩.০ শতাংশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং সবার জন্য মানসম্পন্ন জীবনযাত্রার উন্নয়নে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উচ্চ রক্তচাপ একটি গুরুতর ব্যাধি যা হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক ব্যাধি ঝুঁকি তৈরির পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপের কার্যকর চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এ রোগ শনাক্ত ও প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে বাংলাদেশে একাধিক বিদেশি নির্দেশিকা দেশে থাকলেও কোন নির্দেশিকাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তৈরি করা হয়নি।

এ প্রেক্ষিতে, এনসিডিসি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় নির্দেশিকা (প্রথম সংস্করণ) তৈরি করে। প্রথম সংস্করণ তৈরিতে এনসিডিসি প্রখ্যাত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নির্দেশিকা পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ নির্দেশিকাটি তৈরি করে। মেডিসিনের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক অর্জন এবং হালনাগাদ তথ্য, প্রমাণ ও অনুশীলনের ভিত্তিতে দ্বিতীয় সংস্করণের উন্মোচন করা হয়।

এনসিডিসি প্রোগ্রামের কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এনসিডিসি’র ব্যবস্থাপনা মডেলের প্রচারণায় এনসিডিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে জাইকার কারিগরি সহায়তামূলক প্রকল্প ‘স্ট্রেন্দেনিং হেলথ কেয়ার সিস্টেমস ফর অর্গানাইজিং কমিউনিটিজ,’ যা এসএইচএএসটিও নামে পরিচিত এবং এ প্রকল্প শেষ হয় ২০২২ সালে। অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে গৃহীত প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে জাইকা প্রকল্পের ফলস্বরূপ জাতীয় এ নির্দেশিকা উন্মোচন নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে। এছাড়াও, জাইকা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অব্যাহত সহযোগিতার ভিত্তিতে এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে 'অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’ নামে একটি নতুন সফল প্রকল্প উন্মোচন করা হয়ে।

নির্দেশিকা উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন। তিনি অনুষ্ঠানে সকল অতিথি ও অংশগ্রহণকারীকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া, জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ কোমোরি তাকাশি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আওয়াল (রিজভি) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।


আরও খবর

ঢাকাসহ দেশের ১৭ অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




"ভূমিকম্পে কুমিল্লায় পদদলিত ১৫ শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক"

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তীব্র ভূমিকম্পে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুপুয়া আমির শার্টস গার্মেন্টসে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হুড়াহুড়ি করে বের হতে গিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ আহত শ্রমিকদেরকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতেছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিভার দিদারুল আলম।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় ভূমিকম্পে কেপে উঠলে আমির শার্টস গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়াহুড়ি করে নামতে চেষ্টা করে। এ সময় গার্মেন্টসটির প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে বের হওয়ার সময় পদদলিত হয়ে নারী-পুরুষ শ্রমিক আহত হন।

ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ খবর পেয়ে আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে। চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিভার দিদারুল আলম বলেন, ভূমিকম্পে গার্মেন্টস শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে নামতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অনেকে আহত হয়েছে। আমরা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পরবর্তীতে আহতদের সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, আহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৫ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা বলেন, ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে আমির শার্টস গার্মেন্টসে পদদলিত হয়ে অনেক শ্রমিক আহত হয়েছে। আমরা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। উদ্ধার শেষে আতদের সংখ্যা বলা যাবে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ বিষয়ক অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মধ্যে পঞ্চম প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ‘টু প্লাস টু বৈঠকে’ বাংলাদেশ বিষয়ক অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের নেতারা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশের নির্বাচন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অতি উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হতে পারে, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশের পাশাপাশি যথেষ্ট চাপও সৃষ্টি করে চলেছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য তাদের নতুন ভিসা নীতিও ঘোষণা করেছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা যথেষ্ট সক্রিয়ও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় ১৫ বার বাংলাদেশ সফর করেছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও বারবার নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আসছেন। বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েনও সৃষ্টি হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের অবস্থানের কথা পরিষ্কারভাবে আমরা জানিয়েছি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যত্র আঞ্চলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের মনোভাবের কথা ওদের (যুক্তরাষ্ট্র) স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমন হবে, নির্বাচন কেমন হবে, তা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণই তা ঠিক করবেন। তারাই তাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।

বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভারত। সে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশকে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধিশালী করে তুলতে সে দেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভারত বরাবর সমর্থন করে আসছে। সেই সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব কেমন ছিল, সে ব্যাপারে কোনো আভাস অবশ্য পররাষ্ট্রসচিব দেননি। তিনি শুধু বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য ভারত সমীচীন মনে করে না।

এর আগেও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল ভারত
ভারতের মনোভাবের কথা গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়েও জানিয়েছিলেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। কিন্তু একই কথা ২+২ বৈঠকের পর জানানোর অর্থ, বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে ভারত এখনো সহমত নয়।

পাশাপাশি ভারত আরেকবার বুঝিয়ে দিল, নির্বাচনমুখী বাংলাদেশের পাশে তাদের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটেনি।

বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয়তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে বলে ভারতের আশঙ্কা। কারণ, ভারত মনে করে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে মৌলবাদী শক্তি মাথাচাড়া দেবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাবও মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে যাবে, যা ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ব্যাখ্যা ভারত আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে নানাভাবে জানিয়েছে। গতকাল দুই দেশের বৈঠকেও তা নতুন করে জানানো হলো।

এই বিষয়ে বিশ্লেষকদের মতামত
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের বক্তব্য কূটনৈতিক ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রগতিশীল পরিস্থিতি বজায় রাখতে মার্কিনিদের নির্বাচনে মাথা না ঘামানোর বার্তা স্পষ্ট করেছে ভারত।

উপমহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রের কাছ থেকে এমন বার্তা নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের তোড়জোড় কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছেন তারা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থানে কখনো পরিবর্তন আসেনি। এটা যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর যে চাপ সৃষ্টি করছে, তা ভারত পছন্দ করছে না।

ভারতের মনোভাব, ভারত কী চায়, তা এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে। শুক্রবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হলো। বুঝিয়ে দেওয়া হলো, একটা গণতান্ত্রিক দেশের ওপর এভাবে চাপ সৃষ্টি করা ভারত অনুমোদন করে না।

তিনি আরও বলেন, বারবার সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের কথা বলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ধরে নিচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন ঠিকমতো হবে না। তাই নানা রকম নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে ও চাপানোর হুমকি দিচ্ছে। ভারত এই বাইরের হস্তক্ষেপ বা এক্সটার্নাল ইন্টারফিয়ারেন্সও অনুমোদন করে না।

বিশেষত সেই হুমকি যখন বাংলাদেশের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিশ্বস্ত প্রতিবেশীকে দেওয়া হচ্ছে। ভারতের কাছে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা জরুরি। সে কথাও যুক্তরাষ্ট্রকে জানানোর মধ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে, এত বাড়াবাড়ির প্রয়োজন নেই।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ড. ওয়ালিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাপার যে নির্বাচন হবে সেখানে ভারত চায় না যে কেউ কথা বলুক। তার মানে আমেরিকাকে তারা বলেছে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে, আপনারাও এখানে নাক গলাতে আসবেন না। গণতান্ত্রিক নির্বাচন হোক, নির্বাচনের পর যদি বলার থাকে, আপনারা বলতে পারেন। … নির্বাচনে যে গতি, সে গতিতে যেন কোনো বাধা না আসে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেছেন, কৌশলগত লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতার কারণে বাংলাদেশ ইস্যুতে দ্বিমত যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের। যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত লক্ষ্য হচ্ছে এ অঞ্চলে বাড়তে থাকা চীনের আধিপত্য ঠেকানো। ভারতের লক্ষ্য হচ্ছে, এ অঞ্চলে নিজ প্রভাব ও বলয় বিস্তার। দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব চিন্তা করছে। আর ভারত বিবেচনা করছে তাদের জাতীয় স্বার্থ।

বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতের নীতিতে পরিবর্তন আসবে না
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন আসবে, তা ভাবার কারণ নেই। কারণ চীন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সবকিছু চিন্তা করেই বাংলাদেশকেন্দ্রিক গণতন্ত্র বা নির্বাচনের বিষয়ে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিজ অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থকে কেন্দ্র করে ভারত বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছে। বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান অতীতে যা ছিল, বর্তমানে তা রয়েছে আর ভবিষ্যতেও তাই থাকবে বলে ধারণা করেন তিনি।

স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। মানবাধিকার প্রশ্নে নিজেদের দেশের নীতি যেখানে দ্বিমুখী, সেখানে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পেছনে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নিজের স্বার্থ্ জড়িত। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়া ভারতের জবাব বাংলাদেশের ভিত্তিকে আরো মজবুত করল।


আরও খবর



আইপিএলের নিলামে সাকিব-লিটন নেই, মাহমুদউল্লাহ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মানেই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা। বিশ্বসেরা এই অল-রাউন্ডার কোন দলে খেলবেন এ নিয়ে বেশ আলোচনাও হয়। লম্বা সময় ধরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম একজন সাকিব আল হাসান। তবে সেই জৌলুস শেষ হতে চলল।

ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে সাকিব। এবার নেই আইপিএলের ড্রাফটের তালিকায়। গত আসরের নিলামে ভিত্তি মূল্যে বাংলাদেশের দুই বাংলাদেশি তারকা সাকিব আল হাসান আর লিটন দাসকে নিয়েছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স।

দল পেলেও সাকিব সেবার খেলেননি, অন্যদিকে লিটন খেলতে গেলেও ম্যাচ পান কেবল একটি। এবার নিলামের আগে দুজনকেই ছেড়ে দেয় কলকাতা। সুযোগ ছিল নিলামে থাকার, তবে সুযোগ নেননি তারা। সাকিব-লিটন নাম না দিলেও নাম দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ বাংলাদেশের ছয় ক্রিকেটার।

চলতি মাসে দুবাইতে হতে যাচ্ছে আইপিএলের মিনি নিলাম। এই নিলামের জন্য ১ হাজার ১৬৬ জন ক্রিকেটার নিজেদের নাম পাঠিয়েছেন। তাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ কোটি ভিত্তিমূল্য নিয়ে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাকেও এবার ছেড়ে দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।

৮৩০ জন ভারতীয় ক্রিকেটার ছাড়া ৩৩৬ জন বিদেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে নাম দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। নিলামে আকর্ষণীয় নাম বিশ্বকাপ মাতানো তারকা মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, ট্রেভিস হেড, ড্যারেল মিচেল ও রাচিন রবীন্দ্র।

চলতি মাসের ১৯ তারিখ দুবাইতে হবে আইপিএলের নিলাম। এবারই ফ্র্যাঞ্চাইজি মেগা আসরটির নিলাম ভারতের বাইরে হচ্ছে।


আরও খবর



সেমিফাইনাল: টস জিতল ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:বিতর্ক ছাপিয়ে মাঠে নেমেছে ভারত-নিউজিল্যান্ড। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোহিত শর্মা। নক-আউট পর্বের ম্যাচ, এখানে হারলেই ধরতে হবে বাড়ির পথ।

২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও এই দুই দলের দেখা হয়েছি। যেখানে ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে এবার টানা তৃতীয়বার ফাইনালে ওঠার সুযোগ। অন্যদিকে ভারতের সামনে সুযোগ ২০১১ সালের পর ফাইনালে ওঠার। চলতি বিশ্বকাপের লিগ পর্বে একটি ম্যাচও হারেনি ভারত।

সেমিফাইনাল নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে সেটি মূলত ওয়াংখেড়ের পিচ। ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ দাবি করেছে, ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়ায় আজ সম্ভবত মন্থর উইকেট দেখা যেতে পারে। বিসিসিআইয়ের কিউরেটররা এরই মধ্যে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচের ঘাস ছেঁটে ফেলেছেন।

এদিকে এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। টস হেরে কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন বলেন, 'আমরাও আগে ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। একটি ব্যবহৃত পিচের মতোই দেখাচ্ছে। এই পিচে আমরা বোলিং ভালো করতে চাই। সন্ধ্যার দিকে শিশির থাকে। আমরা একই একাদশ নিয়ে নামছি।'

এদিকে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া নিয়ে রোহিত শর্মা বলেন, 'পিচ বেশ ভালো দেখাচ্ছে, তাই মাওরা আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা যেটাই করি না কেন, আমাদের ভালো করতে হবে। আমি মনে করি আবারও ২০১৯ সালের সেই সেমিফাইনাল ফিরে এসেছে। নিউজিল্যান্ড সবচেয়ে ধারাবাহিক দলগুলোর একটি। আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমরাও একই দল নিয়ে নামছি।'

নিউজিল্যান্ড: ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ড্যারেল মিচেল, টম ল্যাথাম (উইকেট রক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, মিচেল স্যান্টনার, মার্ক চ্যাপম্যান, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট।

ভারত: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেট রক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ।


আরও খবর