Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

মণিপুর ফের উত্তাল, হামলায় সেনা নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৭০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে ফের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের হামলায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর একজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

দেশটির সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা জানিয়েছে, ৫-৬ জুন রাতে নিরাপত্তা বাহিনী ও একদল বিদ্রোহীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে বিএসএফ এর এক সদস্য নিহত হয় এবং আসাম রাইফেলসের দুইজন সদস্য আহত হয়েছেন। রাজ্যের সেরউ অঞ্চলে ঘটেছে এ ঘটনা।

ভারতীয় সেনাবাহিনী স্পিয়ার কর্পস এক বিবৃতিতে বলেছে, বিএসএফের একজন সদস্য গুরুতর জখম হয়েছে, অন্যদিকে আসাম রাইফেলের দুইজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

আসাম রাইফেলস, বিএসএফ এবং পুলিশ মণিপুরের সুগনু/সেরউ অঞ্চলে ব্যাপক এলাকায় অভিযানে ছিল। এরপর ৫-৬ জুন নিরাপত্তা বাহিনী ও একদল বিদ্রোহীর মধ্যে বিরতিহীন গুলি চলে।তল্লাশি অভিযান এখনো অব্যাহত আছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এর আগেও গত মাসের শেষ দিকে সংঘর্ষে এক পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১২ জন।

রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে 

সেইসময় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী রাজ্যের সেরোউ ও সুগুনু এলাকায় অনেক বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এরপরেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে নতুন করে সংঘাত বাধে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, মণিপুরে মেইতেইরা মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশেরও বেশি। সেখানে নাগা ও কুকিরা ৪০ শতাংশ। এতদিন মেইতেইদের আদিবাসী বলে মানা হতো না।

কিন্তু এবার হাইকোর্ট তাদের সেই তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেয়। মেইতেইরা এতদিন ধরে ‘নোটিফায়েড' পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারতো না। কিন্তু এবার তারা পারবে। এ সিদ্ধান্তে অন্য আদিবাসীরা ক্ষুব্ধ হন। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে নাগা ও কুকিরা প্রতিবাদ জানান, যা সহিংসতায় রূপ নেয়।


আরও খবর



সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন সব প্রকার বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি।

২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী সেই সব শহীদদের, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিদের অস্ত্রধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না, নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যাথিত করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির নীতি অনুসরণ করি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার প্রয়াসে সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। সেই থেকে ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর একুশ দফা, ’৬২-এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিলেন এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পুরো জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু, পাক-সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। বৈঠকের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন; ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ সারা পূর্ব-বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তার আদিষ্ট পথেই পরিচালিত হতে থাকে। বাংলাদেশে ইয়াহিয়ার শাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ইয়াহিয়া-ভুট্টো বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অটল থাকেন। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারাদেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্য রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান- ‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। —চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’—যা প্রথমে ইপিআর এর ওয়্যারলেস মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানিরা বন্দি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়; এমনকি তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। ১৩ জুন পাকিস্তানি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সানডে টাইমস’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘জেনোসাইড’ শিরোনামে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম বর্বরতার বাস্তবচিত্র নির্ভর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি ত্বরান্বিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতির পিতা, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের নির্জন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তার প্রাণাধিক প্রিয় স্বাধীন মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। শূন্য হাতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়ে ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করেন, অবকাঠামো পুনঃস্থাপন ও উন্নয়ন করেন এবং উৎপাদন খাত ও অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি প্রদান করে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ’৭১-এর পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট আরেক কালরাতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। খুনি মোস্তাক-জিয়া ও তাদের উত্তরসূরিরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ২৫ মার্চে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কুশীলব, মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার খুনিদের মহান সংসদে বসিয়ে ও তাদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র পতাকা তুলে দিয়ে বাঙালি জাতির গর্বিত ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে। দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর আমরা জাতিসংঘের গণহত্যা বিরোধী কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শান্তির সংস্কৃতির ওপর রেজুল্যুশন গ্রহণের প্রস্তাব করি, যা ১৯৯৯ সালে গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তির সংস্কৃতির বর্ষ’ এবং ২০০১-২০১০ সময়কে ‘শান্তির সংস্কৃতি এবং অহিংস দশক’ ঘোষণা করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৮ সাল থেকে সবকটি নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে গত ১৫ বছরের বেশি সময় একটানা তাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম: নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগটেন জেনোসাইড’ -শীর্ষক গ্রন্থে তৎকালীন ঢাকাস্থ আমেরিকার কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড-এর স্টেট ডিপার্টমেন্টে লেখা নিয়মিত প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিচালিত বর্বরতম গণহত্যার ভয়াল চিত্র উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা এড়াতে ভীত-সন্ত্রস্ত ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি। বিশ্বের যেকোন স্থানে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমরা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি; ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পরিকল্পনাকে সময়োপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে পারবে।


আরও খবর



বিরামপুরে ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সদস্য শাহিনুর গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর  জেলার বিরামপুরে ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সদস্য শাহিনুর আলম (৩৫) নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার।

আটককৃত ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সদস্য শাহিনুর আলম (৩৫) বিরামপুর উপজেলার ৭নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের উত্তর ভগবতীপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি চুরি হওয়া সেচ পাম্পের নাইট র্গাড ছিলেন।

জানা যায়, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) ভোরে বিরামপুর উপজেলার ৭নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ভগবতিপুর গ্রামের ভাটার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক কৃষকের  ৫ কেভি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। পরে তিনি বিরামপুর থানায় অজ্ঞাতনামা একটি এজাহার দায়ের করেন। পরর্বতীতে বিরামপুর থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয়। গত সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বিরামপুর পৌরশহরের শাহীন পুকুর এলাকায় ভাঙ্গীর দোকানের সামনে থেকে একটি ৫ কেভি  ট্রান্সফর্মারের তামা পেচানোর যন্ত্রাংশ কোরপাতি উদ্ধারসহ সেচ পাম্পের নাইট র্গাডকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এবিষয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, গ্রেফতারকৃত শাহিনুর আলম’কে সোমবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



সাংবাদিকতা পেশায় জীবন ও অর্থের নিরাপত্তা নেই’

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ-‘সাংবাদিকরা মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে। অথচ তারাই অবহেলিত। তারা যে বেতন পায় সেটা একদিনের বাজার খরচের সমান। এ পেশায় ঝুঁকিও অনেক বেশি। সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যে পেশায় জীবন ও অর্থের নিরাপত্তা নেই।’


বুধবার (৬ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।

১০ম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা, নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ, টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য অভিন্ন বেতন কাঠামো ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুক। প্রধান বক্তা ছিলেন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ।


এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণু সম্পাদক মো. জহির রায়হান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন।


সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, সঠিক বেতনভাতা দেওয়া, আবাসন নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলতে থাকবে। আমরা মাঠ পর্যায়ে সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয়ভাবে সমাবেশ করা হবে।

বক্তারা বলেন, ইতিহাস বলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না। তৃণমূল পর্যায় থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে আমরাও দাবির বিষয়ে সফলতা পাবো।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



রাণীশংকৈল হাসপাতাল যাচাই-বাছাই করে ভিতর ও বাহির পরিবর্তন করা দরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জাতীয় সংসদ সদস্য ঠাকুরগাঁও -৩ ও সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ।

উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আব্দুস সামাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান, উপজেলা আ'লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক,পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম,আরএমও ডাঃ ফিরোজ আলম,পৌর আ'লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার,  জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক আবু তাহের,ওসি'র প্রতিনিধি এস আই আশরাফুল ইসলাম,ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম,ডাঃ মুনিম,বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, কাউন্সিলর রুহুল আমীন, প্রেসক্লাব(পুরাতনের) সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, সাধারণ সম্পাদক মো.বিপ্লব,ও আবুল কালাম, ছাত্রলীগ নেতা তামিম প্রমুখ।এছাড়াও হাসপাতাল কমিটির বিভিন্ন সদস্য, ডাক্টার, নার্স, মিডওয়াইফ নার্স, পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী, স্বাস্থ্য সহকারী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, হাসপাতালে আসে মানুষ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার জন্য কিন্ত এখানে এসে মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। হাসপাতালে নেই কোন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা,খাবারের মান, ওষুধ সংকট, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একই ঠিকাদার দিয়ে চলছে ২০ বছর ধরে হাসপাতাল।যাচাই-বাছাই করে হাসপাতালের ভিতর ও বাহির পরিবর্তন করা দরকার।হাসপাতালের মাধ্যমে একটি ক্যান্টিন ও একটি ওষুধের দোকান ২৪ ঘন্টার জন্য প্রয়োজন। আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব বাস্তবায়ন করে মিটিংয়ে তুলে ধরা হোক।এ ছাড়াও সভায় হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ব্যাপারে বিভিন্ন বক্তা আলোচনা তুলে ধরেন।  ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাসপাতালের চলমান সমস্যাগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। 


আরও খবর



চিনির সংকট হবে না,মজুত আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যে পরিমাণ চিনি মজুত আছে, আশা করছি বাজারে চিনির কোনো সংকট হবে না,জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।তিনি বলেন, কিছুদিন আগে একটি চিনির গুদামে আগুন লেগেছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। বিভিন্ন মিলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর কলোনি বাজার পলিটেকনিক মাঠে টিসিবি আয়োজিত টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হাসানস।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি লোককে প্রতি মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হচ্ছে। টিসিবির সেবাগ্রহণকারী গ্রাহকদের তথ্য আবার যাচাই বাছাই করে ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, টিসিবির পণ্য কিনতে গ্রাহকদের অনেক সময় পরিশ্রম হয়। এই ভোগান্তি কমাতে টিসিবির ডিলারশিপের দোকানগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে এই ১ কোটি গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে কিন্তু বাজারের চাপটা অনেক কমে যাবে। ফলে সাধারণ ভোক্তারাও সহজে কেনাকাটা করতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তারপরও আমরা সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য বিতরণ করে যাচ্ছি। ১৬৩ টাকার তেল দিচ্ছি ১০০ টাকায়, ১৪০ টাকার চিনি দিচ্ছি ৭০ টাকায়।


আরও খবর