Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

মিথ্যা মামলা করে ফেঁসে গেলেন বাদী নিজেই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর গ্রামের অমল ভৌমিক মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করে ফেঁসে গেলেন নিজেই।মামলার বাদী অমল ভৌমিকের বিরুদ্ধে আদালত স্ব-প্রনোদিত হয়ে এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই,মুখলেছুর রহমান কে বাদী করে অভিযোগ কারীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় পেনাল কোড ১৮৬০ এর ২১১ ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করার আদেশ দিয়েছে আদালত।


অমল ভৌমিক ১০ নং ছাতিয়াইন ইউনিয়নের  শিমুল ঘর গ্রামের নেপাল ভৌমিকের ছেলে। 

জানা গেছে মাছ বিক্রির বিষয় নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ও কথা কাটাকাটির জের ধরে  অমল ভৌমিকের সাথে একই গ্রামের খাইরুল গংদেন বিরোধ সৃষ্টি হয়। ফলে অমল ভৌমিক শিশু তারেক( ৯/১০)সবুজ(১১) সহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জনকে আসামি করে ৬আগস্ট ২০২২  তারিখে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ৫২৮।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোখলেছুর রহমান অধিকতর তদন্ত করে শিশু তারেক ও সবুজ কে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন। কিন্তু তারেক ও সবুজকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় অভিযোগ কারী অমল ভৌমিক আদালতে নারাজি পেশ করেন। এ নিয়ে ডি,বি,সি টেলিভিশন সহ  বিভিন্ন মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করে। পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। 

 গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে অভিযুক্ত শিশু তারেক ও টিপু আদালতে হাজিরা দিতে যায়। আদালতের কাছে নি:সন্দেহে প্রতিয়মান হয় যে মামলার বাদী অমল ভৌমিক একই এলাকার এবং শুধুমাত্র হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে শিশু ও নাবালকদেরকে বয়স বাড়িয়ে লিখে আসামি করেছে। অবশেষে আদালতে ভুল স্বীকার সহ তরিগড়ি করে মামলার বাদী অমল ভৌমিক মামলার আপোষ নামা জমা দিয়েও শেষ রক্ষা পায়নি। 


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোখলেছুর রহমান বলেন, আদালতের আদেশ পেয়েছি দু'এক দিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। 

জানতে চাইলে মিথ্যা মামলার বাদী অমল ভৌমিক বলেন, আমি বুঝতে পারিনি এত বড় ভুল করে ফেলব। আপোষ নামা জমা দিয়েছি। কি আর করা, ভাগ্যে যা আছে তা ই হবে। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



বাংলাদেশে বিনিয়োগে আমরা নম্বর ওয়ান: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে আমরা নম্বর ওয়ান। আগামীতেও বিনিয়োগের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’

আজ বুধবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের (ইউএমপিএল) ৫৮৪ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্রকল্প পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ইউনিটের প্রধান জোসেফ গিবলিন, ইউএমপিএলের চেয়ারম্যান মোহা. নূর আলী, ইউএমপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহির উদ্দিন মোল্লা ও জিই (জেনারেল ইলেকট্রিক) গ্যাস পাওয়ারের দক্ষিণ এশিয়ার সিইও দীপেশ নন্দা উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পিটার হাস হেলিকপ্টারে বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় পৌঁছান। সেখানে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। প্রকল্প অফিস প্রাঙ্গণে পৌঁছানোর পর পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা টিম মি. পিটার হাস ও অন্যান্য অতিথিদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রদান করেন।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জিই গ্যাস পাওয়ারের সাইট ম্যানেজার কালুম ডেভিড কর্নফোর্থ পিটার হাসকে প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন।

এ সময় ইউএমপিএলের চেয়ারম্যান মোহা. নূর আলী বলেন, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সক্ষমতার প্রতীক। এটি একটি সর্বোচ্চ দক্ষ উচ্চ প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র। কেন্দ্রটির কমদামের বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণেই বিপিডিবির কাছে মেরিট অর্ডারে শীর্ষস্থান দখল করবে।

তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ খাতের মাস্টার প্ল্যান ও ভিশন ২০৪১-এর লক্ষ্য অর্জনের এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে তা দেখে খুশি বলেও ইউএমপিএলের চেয়ারম্যান জানান।

ইউএমপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ইউএমপিএল, জিই এবং নেব্রাসসহ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতায় এসইআরভি, এআইআইবি, ডিইজি এবং ওপেক তহবিল থেকে প্রকল্পে বিনিয়োগ এসেছে। এই বিনিয়োগ এখানে বিশ্বমানের অবকাঠামো নির্মাণে সাহায্য করেছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের জনগণকে পরিবেশসম্মত, নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।

তিনি জানান, এটি একটি পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ প্রকল্প। কেন্দ্রটি অন্যান্য বিদ্যমান কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের তুলনায় কম গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত করবে।

জিই গ্যাস পাওয়ারের দক্ষিণ এশিয়ার সিইও দীপেশ নন্দা বলেন, জিই গ্যাস পাওয়ার বাংলাদেশে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জিই বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বড় অবদান রেখে চলেছে। জিই ইউএমপিএল-এর প্রকল্পের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। কেন্দ্রটিতে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস কম ব্যবহার হবে। এতে জ্বালানি কম ব্যবহার হওয়ায় গ্যাস বেঁচেও যাবে। কেন্দ্রটিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রায় সাত লাখ বাড়িতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

প্রকল্প পরিদর্শনের সময় পিটার হাসকে প্রকল্পটির সর্বশেষ অবস্থা একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জানানো হয়। এরপর প্রকল্পটি ঘুরে দেখেন পিটার হাস।

প্রকল্প পরিদর্শনকালে মি. হাসকে জানানো হয়, ইউএমপিএলের মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সব আইন মেনে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছে। প্রকল্পটি সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে আন্তর্জাতিক উচ্চমান বজায় রাখছে। প্রকল্প কোম্পানি পুনর্বাসন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে এবং প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ পুনর্বাসন এবং উন্নতজীবন নিশ্চিত করার জন্য জীবিকা পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। প্রকল্প সংস্থাটি বেশ কয়েকটি সিএসআর (করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সেবিলিটি) কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার মধ্যে রয়েছে সুবিধাবঞ্চিতদের মাসিক ভাতা, নদী ঘাট নির্মাণ এবং ঘাটের এপ্রোচ রাস্তা, দরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, গ্রামবাসীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করা।

ইউএমপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ব্যবসায়িক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রণী ভূমিকার জন্য পিটার হাসের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির গ্যাস টারবাইন প্রদানে জিইসহ মার্কিন কোম্পানিগুলোর অবদানেরও প্রশংসা করেন।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাস-ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের জন্য স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স লিমিটেড, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড এবং জিই-এর কনসোর্টিয়াম ২০১৮ সালের ২৫ জুন এ প্রকল্পের ঠিকাদার বা ইপিসি নিযুক্ত করে জিইকে। পরবর্তী পর্যায়ে নেব্রাস পাওয়ার কিউ.পি.এস.সির প্রতিষ্ঠান ২৪ শতাংশ  ইক্যুইটি অংশীদারিত্ব নিয়ে প্রকল্পে যুক্ত হয়।

প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সরকার ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) বাস্তবায়িত চুক্তি (আইএ), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডি) সঙ্গে পিপিএ (পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট) ও  ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ( তিতাস) গ্যাস  সরবরাহ চুক্তি হয়। উদ্যোক্তা কোম্পানির সঙ্গে  ২০১৯ সালের ৩০ আগস্ট টার্ন-কি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) ইপিই বা ঠিকাদারি চুক্তি হয়। এছাড়া জিই কেন্দ্রের মূল যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।

প্রকল্প উদ্যোক্তাদের ২৫ শতাংশ ইক্যুইটি বিনিয়োগ রয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ের বাকি ৭৫ শতাংশ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (সুইস ইসিএ-এসইআরভি কভার লেন্ডার), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআআইবি), জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (ডিইজি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওেএফআইডি) দিয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৯২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি বাণিজ্যিকভাবে (কর্মাশিয়াল অপারেশন ডেট-সিওডি) বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর



রোজা রেখেও মাপা যাবে রক্তের সুগার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রেখেও রক্তের সুগার পরিমাপ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে বিষয়টি চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে প্রমাণিত এবং মুসলিম ধর্ম অনুসারে সেটা স্বীকৃতিও বলে জানিয়েছেন এন্ডোক্রাইনোলজিস্টরা (হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক)।  

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শহীদ মিলন মিলনায়তনে ‘রমজানে ডায়বেটিস ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সার্বিক সহযোগিতায় ঢামেকেরর এন্ডোক্রাইন বিভাগ ও শিক্ষক সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চিকিৎসকদের নির্দেশনামূলক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, এ বিষয়ে দেশের কেন্দ্রীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব ও মিশরের কায়রোতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইসলামী চিন্তাবিদদের মতামত প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তারা এর স্বপক্ষে ধর্মীয় যুক্তিগুলো উপস্থাপনের মাধ্যমে বলেছেন রক্তে সুগারের পরিমাণ পরিমাপ করা যাবে। এক্ষেত্রে কোনো ধর্মীয় বাধা নেই। কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে এই বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢামেকের এন্ডোক্রাইনোলজিস্টরা

ডিএমসি’র এন্ডোক্রাইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ প্রসাদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো শফিকুল আলম চৌধুরী, ঢামেকের এন্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম সাইফউদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদারসহ প্রায় সাতশত শিক্ষক, নার্স ও চিকিৎসক।

এ সময় বক্তারা বলেন, রোজা রাখতে ডায়বেটিস রোগীদের কোনো বাধা নেই। রোজা রাখার কারণে যে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা হয় কিংবা যে ফাস্টিং হয় তাতে ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় এ ক্ষেত্রে নিয়মিত ডায়াবেটিস পরিমাপ করার বিষয়ে উৎসাহিত করেছেন এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

গর্ভবতীদের জন্য রমজানের নির্দেশনামূলক তথ্য জানিয়ে চিকিৎসকরা বলেন, রোজা রেখে গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় না খেয়ে থাকার কারণে ফিটাসের বা গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে রোজা না রাখার পরামর্শ থাকলেও নিয়মিত চিকিৎসকদের পরামর্শের মাধ্যমে এবং শারীরিক কোন সমস্যা না থাকলে রোজা রাখতে কোন সমস্যা নেই বলে জানান তারা। এক্ষেত্রে আধুনিক ইনসুলিন ব্যবহারের মাধ্যমে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন তারা।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, দেশের ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ডিএমসির এন্ডোক্রাইনোলজিস্টরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তবে দেশের ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত হারে বেড়ে চলছে বলে চিকিৎসাসেবা সম্পূর্ণরূপে প্রদান করতে এ চিকিৎসকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই জানে না যে তাদের ডায়াবেটিস রয়েছে। তথ্যমতে, এদেশে প্রায় দেড় কোটি বা প্রতি ১৫ জনে ১ জন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাই এসময় নিশ্চিত চিকিৎসার সুযোগ পাওয়ার লক্ষ্যেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এন্ডোক্রাইন বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া দেশের কেন্দ্রীয় এই হাসপাতালটির মেডিসিন ও শিশু বিভাগসহ সব বিভাগই বর্তমানে বিশেষ নজর দিয়ে ডায়বেটিস রোগের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কেননা এখন সব বয়সের ডায়বেটিস রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং রোগটি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলছে।


আরও খবর



জয় বাংলা কনসার্টে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

বাসস: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ স্মরণে আয়োজিত জয় বাংলা কনসার্টে আজ বুধবার যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি ৫: সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধির দিকে) পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বিকেলে ঢাকায় ফেরেন।

রাজধানীর ছিদ্দিকবাজারে একটি ভবনে গতকাল মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে কনসার্ট শুরু হয়।

সিআরআই’র যুব প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা কোভিড-১৯ মহামারির জন্য গত দুই বছর ছাড়া ২০১৫ সাল থেকে সপ্তমবারের মতো জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন করেছে। মূলত নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করা জন্যই এই কনসার্ট আয়োজন করা হয়।

সাধারণত প্রতি বছর ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। তবে পবিত্র শবে বরাতের কারণে এ বছর অনুষ্ঠানটি ৮ মার্চ স্থানান্তর করা হয়েছে।

কনসার্টে স্বনামধন্য স্থানীয় ব্যান্ড আর্টসেল, এভয়েড রাফা, লালন, চিরকুট, ক্রিপ্টিক ফেট, কার্নিভাল, মেঘদল, নেমেসিস এবং আরেক্টা রক ব্যান্ড পরিবেশন করে।


আরও খবর



তালায় অবৈধ সেমাই কারখানায় র‌্যাবের অভিযান

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ২১জন দেখেছেন

Image

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানির উদ্যোগে তালা উপজেলা সদরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টায় র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরার কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে.এম. গালিবের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি চৌকস অভিযানিক দল তালা সদরের আটারই গ্রামে শপিং ভ্যালি লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় ও ফ্যাক্টরির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি বাপ্পি দত্ত রনি। অভিযানে বিএসটিআই’র পরিদর্শক রেজানুর রহমান সরকার, ও র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরার কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে.এম. গালিব বলেন, কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি। আজ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শপিং ভ্যালি লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে। জরিমানা দেয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বিএসটিআই লাইসেন্স না থাকার শর্তেও সেমাইয়ের প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআই লগো ও ভূয়া নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করার অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি বাপ্পি দত্ত রনি জানান, কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্যালি লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বিএসটিআইয়ের নিবন্ধনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন না করা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



তালন্দ কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতি মানছেন না আদালতের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার ঐতিহ্যবাহী তালন্দ ললিত মোহন ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ আদালতের নির্দেশনা মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। নীতিমালা বহির্ভূত ভাবে ডাক্তার না হয়েও কমিটিতে ভূয়া ডাক্তারকে রাখায় মহামান্য হাইকোর্টে রীট দায়ের হলে বিজ্ঞ আদালত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। সেই মোতাবেক চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভূয়া ডাক্তারকে বাতিল করে প্রকৃত রেজিস্টার্ড ডাক্তারকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রদীপ কুমার মুজমদার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ ডক্টর জসিম উদ্দিন সে আদেশ অমান্য করে তাকে কমিটিতে রেখেছেন বলে নিশ্চিত করেন রীট আবেদন কারী সাবেক কাউন্সিলর পিয়ারুল হক।  এতে করে আদালতকে চরম অবমাননা করেছেন বলে মনে করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে চরম অদক্ষতারও পরিচয় দিয়েছেন সভাপতি অধ্যাক্ষ বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। ফলে দ্রুত কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে সভাপতি ও অধ্যাক্ষের পদত্যাগও দাবি করেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, পৌর এলাকার তালন্দ ললিত মোহন ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডিতে একজন ডাক্তারকে নিযুক্ত করতে হয়। কিন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডাক্তার না হয়েও সুমন কুমার পাল কে চিকিৎসক দেখিয়ে কমিটির সদস্য করা হয়। এর বিরুদ্ধে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পিয়ারুল হাইকোর্টে রীট করেন। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের  ভাইস চ্যান্সেলরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। যার রীট পিটিশন নম্বর ৮৪৩২/২০২২।

এনির্দেশের প্রেক্ষিতে ভাইস চ্যান্সেলরের আদেশক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২২ তারিখে  ৫৭৭৫২ নম্বর   স্বারকে ভূয়া ডাক্তার সুমন কুমার পালকে বাতিল করে প্রকৃত রেজিস্টার্ড ডাক্তারের নাম কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেন। আদালত ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করেন নি সভাপতি ও অধ্যাক্ষ।

রীট আবেদন কারী পিয়ারুল জানান, যতটুকু জানি  এখনো কমিটির পদে সুমন কুমার পালকে বহাল রেখেছেন। আদালতের নির্দেশ, ভাইস চ্যান্সেলরের আদেশকে যদি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখায় তাহলে কি বলার আছে। জবাব দিহিতা আইনের সঠিক ব্যবহার না হলে এমনই হয়। কারন সবকিছু  ক্ষমতার কালো পর্দায় বন্দি। 

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ ডক্টর জসিম উদ্দিন জানান, সভাপতি অসুস্থ এজন্য মিটিং করা হয়নি। তবে দ্রুত মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপনি মিটিং করতে পারেন নি সেটা কি আদালত বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কে অবহিত করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান মৌখিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। তাহলে কি আদালত বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কে অবমাননা করা হয় কিনা প্রশ্ন করা হলে কোন সদ উত্তর না দিয়ে সভাপতি অসুস্থতার দোহায় দিয়ে এড়িয়ে যান।

কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রদীপ কুমার মজুমদার জানান, এতদিন সিদ্ধান্ত হয়ে যেত, মিটিং দেওয়া যায়নি আমি অসুস্থ এজন্যে। আর সুমন কুমার পালকে মৌখিক ভাবে বাদ দেয়া হয়েছে, শুধু সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সে ডাক্তার না হয়ে কমিটিতে কিভাবে এসেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সভাপতি হওয়ার আগ থেকে আছে বলে তিনিও দায় সারেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানার ০১৭১১৫৬৩৪০০ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখনতো অফিস সময় না, কাগজপত্র না দেখে কিছুই বলা যাবে না। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আপনার স্বাক্ষরিত আদেশে সুমন কুমার পালকে বাদ দিয়ে প্রকৃত চিকিৎসক কে কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার কথা বলা হয়েছে, কলেজ এতদিনও বাস্তবায়ন করেনি, এত সময় ফেলে রাখতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন এবিষয়ে কোন কিছুই বলা ঠিক হবে না। তবে আদেশ পাওয়ার পর দ্রুত বাস্তবায়ন করা কলেজ কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব। মঙ্গলবার অফিসে গিয়ে ফাইলপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর