Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মেয়েদের ওয়েস্টার্ন পোশাক পরা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জয়া বচ্চন

প্রকাশিত:রবিবার ২০ নভেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৭৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: ভারতের মেয়েরা ওয়েস্টার্ন পোশাক বেশি পড়ছে? কারণ কি? এবার এই নিয়েও প্রশ্ন করে বসলেন অভিনেত্রী ও বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী জয়া বচ্চন । নিজের মেয়ে এবং নাতনির কাছেই জবাব চাইলেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অমিতাভ-জয়ার মেয়ের ঘরের নাতনি নব্যা একটি পডকাস্ট শো করেন যেটির নাম ‘হোয়াট দ্য হেল নব্যা’। সেই শোতে জয়া এর আগেও যুক্ত হয়েছিলেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে। ‘ওয়ান ক্রাউন, মেনি শুজ’ শিরোনামে এবারের পর্বের আলোচনার বিষয় ছিল পোশাক। সেই শো-তে মেয়ে শ্বেতা বচ্চন আর নাতনি নব্যাকে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন জয়া।

নব্যা প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে চুপ হয়ে থাকলেও মেয়ে শ্বেতা খুব সুন্দর করে মাকে বুঝিয়ে বলেন, ‘আসলে সুবিধে হয় চলাফেরা করতে। এখন তো মেয়েরা আর ঘরে বসে থাকেন না, তাদের বেরুতে হয়। চাকরি করতে হয়। শাড়ি জড়ানোর চাইতে চট করে প্যান্ট-শার্ট গলিয়ে নেওয়া কি সহজ নয়?’

জয়া বচ্চন অবশ্য ব্যাপারটিকে অন্যভাবে দেখছেন। তিনি মনে করছেন, পুরুষের সমান প্রমাণ করতেই পুরুষের পোশাককে বেছে নিচ্ছেন নারীরা। তার কথায়, আমার মনে হয় ওয়েস্টার্ন পোশাক একজন নারীকে ম্যানপাওয়ার দেয়। কিন্তু আমি চাই একজন নারী নারীশক্তিতেই সমৃদ্ধ হোক। আমি বলছি না যে সবসময় শাড়িই পরা উচিত। তবে জেনে রাখা ভালো, বিদেশেও কিন্তু একসময় নারীরা প্যান্ট-শার্ট না পরে ড্রেস পরত।

শ্বেতা যোগ করেন, শিল্প বিল্পবের সময় যখন সব পুরুষ যুদ্ধে গিয়েছিল, তখন নারীরা কল কারখানায় কাজ শুরু করেন। সেই কারণে তারা প্যান্ট পরতে বাধ্য হন। কারণ অন্য কোনো পোশাক পরে তো আর ওই মেশিনগুলো সরানো যাবে না।

একের পর এক নানান গল্প নিয়ে নাতনির পডকাস্ট অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন জয়া। কখনও জীবনের পাতা উল্টে নানান তথ্য দিচ্ছেন আবার কখনও বিতর্ক মন্তব্যও শোনা যাচ্ছে। 

এদিকে, দীর্ঘদিন পরে সিনেমায় দেখা যেতে চলেছে তাকে। ‘রকি আউর রনি কী প্রেম কাহানিতে’ তাকে দেখা যাবে। কিছুদিন আগেই অমিতাভের জন্মদিন উপলক্ষে এসেছিলেন কেবিসির মঞ্চে। এখন বিরাট ব্যস্ত বলিউড শাহেনশাহর ঘরণী অভিনেত্রী জয়া বচ্চন।


আরও খবর

পরীমণি-বুবলী একসঙ্গে খেলবেন!

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




তানোরে স্কুল নৈশ প্রহরীর বছর ধরে বেতন ভাতা বন্ধ!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার আমশো মথুরাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মাহবুর মোল্লা প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিগত এক বছর ধরে ডিউটি ও বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আংগুয়ারা বেগম তার আত্মীয় কে চাকুরী দেওয়ার জন্য মাহবুরকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে বিগত প্রায় এক বছর ধরে কোন কিছুই করতে দেননি। বেতন ভাতা ও ডিউটি করার জন্য চলতি বছরের ৩০ আগষ্ট স্কুল কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় কাউন্সিলর এবং অর্ধশতাধিক অভিভাবকের সাক্ষর সংবলিত লিখিত আবেদন করেন জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর। আবেদনের অনুলিপি স্থানীয় সংসদ, সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিচালক রাজশাহী শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা নির্বাহীর বরাবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেতন ভাতা তো দূরে থাক উল্টো প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে তার নিয়োগ বাতিলের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এতে করে নৈশ প্রহরীর পরিবারে চরম হতাশা বিরাজ করছে।সেই সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও বেতন ভাতা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবক মহল। ফলে একজন এতিম অসহায় নৈশ প্রহরীর চাকুরী পুনর্বহালসহ বেতন ভাতা না হলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নেই,কারন চাকুরীটাই তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনের উপায়।জানা গেছে বিগত প্রায় এক বছরের আগ থেকে তানোর পৌর এলাকার মথুরা পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মাহবুর মোল্লা প্রধান শিক্ষক আংগুয়ারা বেগমের প্রতি হিংসার শিকার। কারন মাহবুরকে চাকুরীচ্যুত করতে পারলে অন্য কাউকে নিয়োগ দিয়ে মোটা টাকার বানিজ্য করা যাবে। 

স্থানীয়রা জানান, মাহবুর নৈশ প্রহরীর চাকুরী করেন। সে যদি কোন অন্যায় করে থাকে তাহলে স্কুল কমিটি রয়েছে, উপজেলা প্রশাসন রয়েছে, তারাই তো সমাধান করতে পারত।আবেদনে উল্লেখ, মাহাবুর মোল্লা তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে আসছেন। প্রধান শিক্ষক নিজের আত্মীয় কে ওই পদে চাকুরী ও বিভিন্ন অজুহাতে মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করে চাকুরীচ্যুত করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট মিথ্যা প্রতারনা মুলুক অভিযোগ দায়ের করে বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়াও তার হাজিরা খাতা পর্যন্ত গোপন রাখে। প্রতিবাদ করলেই অভিযোগ। অথচ জেলা শিক্ষা অফিসার বেতন ভাতা দিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে নির্দেশ দেন ও স্থানীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুপারিশ করার পরও রহস্য জনক কারনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বেতন ভাতা চালু করেন নি।এদিকে চলতি মাসের ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক সাক্ষরিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল প্রসঙ্গে পত্র দেওয়া হয় তা হুবহু তুলে ধরা হল। মসপ্রবি/ তান/ রাজ- ৫৯ নম্বর স্মারক এবং ৯৮৫ নম্বর স্মারক তাং ২৩/৫/২০২৩ইং ও উশিঅ/ তান/রাজ ৩৭৭ স্মারক তাং ৯/৭/২০২৩ ইং। বিষয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সম্পাদিত চুক্তিপত্র বাতিল/ কর্মে অবসান প্রসঙ্গে। 

উপযুক্ত বিষয় মোতাবেক আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি দপ্তর কাম প্রহরী পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চুক্তিপত্র সম্পাদন / সাক্ষর করে বিগত ৯/৬/২০১৩ ইং তারিখে ওই পদে চুক্তিভুক্ত যোগদান করেন।পরবর্তীতে উক্ত চুক্তির মেয়াদ ১/৬/২০২২ সাল হতে তিন বছরের জন্য নবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু আপনি কর্মে যোগদানের পর হতে বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দায়িত্বে অবহেলা,অসদাচরন,মাদক সেবন,প্রতিপক্ষকে অমান্য, উশৃংখলা ইত্যাদি অভিযোগে জড়িত থাকায় গত ১৪/৮/২০২৩ ইং তারিখে ন্যায় বিচারের স্বার্থে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ০৭(সাত) দিনের মধ্যে কারন দর্শানো হয়। কারন দর্শানোর প্রেক্ষিতে আপনি যে জবাব প্রদান করেছেন তা আদৌ বিবেচনাযোগ্য নহে।এমতাবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী আপনার চুক্তিনামা বাতিল /কর্মে অবসান ঘটানো হলো।ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে,

বিভাগীয় উপপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, রাজশাহী বিভাগ, রাজশাহী। 
চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, তানোর 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, তানোর, 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, রাজশাহী। 
উপজেলা শিক্ষা অফিসার, তানোর।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ( সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার)  তানোর। 
সভাপতি ( এস,এম,সি)
ভুক্তভোগী নৈশ প্রহরী মাহবুর মোল্লা বলেন, আমি প্রধান শিক্ষকের প্রতিহিংসার শিকার। যে সব অপবাদ দেওয়া হয়েছে সবকিছুই মিথ্যা। যদি মিথ্যা না হত তাহলে স্কুল কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং এমপি আমার আবেদনে সুপারিশ করত না। আমি শোকজের জবাব দেওয়ার পরো আমার সাথে এমন অমানবিক আচরণ করছেন।আমি একজন এতিম, আমার পিতা মাতা কেউ নেউ, আমি অসহায় বলেই সবার সুপারিশে চাকুরী পায়। আমার পরিবারে চারজন সদস্য আছে। তারা আমার উপর নির্ভরশীল। বিগত এক বছরের অধিক সময় ধরে বেতন ভাতা না পেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছি। আমি প্রধান শিক্ষক সহ অন্য শিক্ষক দের হুকুমের গোলাম, তাদের সাথে আমি কেন বিবাদ করব। আমি তো শিক্ষকতা করবনা যে, তাদের সাথে দ্বন্দ্ব করব। আমি অনুরোধ করে বলব ভূলের উর্ধ্বে কেউ না আমার ভূল হয়ে থাকলে শাস্তি আছে, তাই বলে রিজিক কেন বন্ধ করে দিবে। আমি যদি খারাপ হতাম তাহলে অর্ধশতাধিকের বেশি অভিভাবক আমার আবেদনে সাক্ষর করত না। আমি খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছি।প্রধান শিক্ষক আংগুয়ারা বেগম বলেন, তার কৃতকর্মের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ যেভাবে বলেছেন আমি সেভাবে কাজ করছি বলে তিনি দায় সারেন ।স্কুল কমিটির সভাপতি বকুল হোসেন বলেন, একজন নৈশ প্রহরীর সাথে এসব করা সঠিক কাজ না। নিজেদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হলে সমাধান তো আছেই। সেটা না করে চাকুরীচ্যুত করাটা একেবারেই অমানবিক ছাড়া কিছুই না।উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা বেগম বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার যেভাবে বলেছেন সেভাবেই কাজ হয়েছে বলে তিনিও  দায় সারেন।


আরও খবর

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




স্টেশনের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার জুয়ার আসর: শাস্তি মূলক বদলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫৪জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর প্রতিনিধি :গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি সারাবো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের ভেতরে স্টেশনের ফায়ার লিডার শাহজাহান এর নেতৃত্বে নিয়ামতি বসতো জুয়ার আসর। ফায়ার স্টেশনে স্থানীয় জুয়ারিদের যাতায়াত ছিল দিন রাত। নিয়মিত ওই জুয়ার আসরে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হতে হলে জানা গেছে।

ওই স্টেশনের ফায়ার লিডার শাহজাহান এর বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে এমন গুরুতর অভিযোগ। ফায়ারসার্ভিসের ভেতরে প্রকাশ্যে জুয়া খেলার একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সংবাদকর্মীদের মধ্যে। ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় কোনাবাড়ি সারাবো মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের লিডার শাহজান এই জুয়া খেলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, জুয়ার আসর বসানোর ওই ঘটনায় স্টেশনের অন্য কোন কর্মকর্তা অথবা ফায়ার কর্মী জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ভবিষ্যতে কোথাও এমন কোন তথ্য পেলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে ওই স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ফায়ারসার্ভিস অফিসের ভেতরে জুয়া খেলার কোন সুযোগ নেই, তবে এধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই ঘটনার পরপরই স্টেশনের মধ্যে জুয়ার আসর বসানো নেতৃত্ব দেওয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা শাজাহানকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে কোনাবাড়ি সারাবো মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ তাশারফ হুসেন জানান, ফায়ারসার্ভিস অফিসের মধ্যে এধরণের কাজ করার কোন সুযোগ নেই। তবে যদি কেউ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ওপর উঠে গেলো বাস, নিহত ১১

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:তেল ফুরিয়ে গিয়েছিল বাসের।তাই বাস থেকে নেমে জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন যাত্রীরা। এসময় হঠাৎ একটি ট্রাক এসে পড়ে তাদের ওপর। চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন বাসযাত্রীর। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২জন। ভারতের রাজস্থানের ভরতপুরে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টা দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, রাজস্থানের পুষ্কর থেকে যাত্রীবোঝাই বাসটি যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে। জয়পুর-আগরা জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার পথে লক্ষণপুরের অন্তরা উড়ালপুলের ওপর বাসটির তেল ফুরিয়ে যায়। সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়ে বাসটি।

তেল ফুরিয়ে যাওয়ার পর বাসের চালক, সহকারী এবং বেশ কয়েক জন যাত্রী বাস থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের সামনে দাঁড়িয়েছিল বাসটি। এমন সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক সজোরে ধেয়ে এসে তাদের ধাক্কা মারে। তারপর ট্রাকটি সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে থেমে থাকা বাসে।

দুর্ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন পুরষ ও বাকি ছয়জন নারী। তারা সবাই গুজরাটের ভাবনগরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

সূত্র:এনডিটিভি


আরও খবর

ভূমধ্যসাগরে নিহত ও নিখোঁজ ২৫০০: জাতিসংঘ

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ওমর সানি-মৌসুমীর ছেলে স্বাধীন দুই কোটি টাকা খোয়ালেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:লাভের আশায় বিনিয়োগ করে দুই কোটি টাকা খুইয়ের তারকা দম্পতি ওমর সানী-মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন। সামাজিক মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। 

স্বাধীন জানান, লাভের আশায় চলতি বছর সর্বমোট দুই কোটি পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিশাত বিন জিয়া রুম্মানের হাতে তুলে দেন তিনি। তবে এক মাস লাভ দেওয়ার পরই ভোল পাল্টে ফেলেন সেই ব্যক্তি। নানাভাবে ঘুরাতে থাকেন তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে স্বাধীন লেখেন, ‘৪০-৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচার করেছেন নিশাত বিন জিয়া। আপনারা হয়ত এমটিএফই এবং এ রকম আরও অনেক অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কথা শুনেছেন। তবে কোনো অ্যাপ নয়, আজকে একজন ভণ্ড প্রতারক এবং অর্থ পাচারকারীর বাস্তব ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

জানা যায়, ফারদিনের সঙ্গে নিশাত বিন জিয়া রুম্মানের পরিচয় ২০২২ সালে। তারপরই ব্যবসায়িক লেনদেনে জড়িয়েছেন তারা। তিনি লিখেছেন, ‘নিশাত বিন জিয়া রুম্মান নামের এ ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি দিকে। তিনি নিজেই আমাকে দাওয়াত দেন। তারপর থেকেই চেনা-জানা। বিভিন্ন সময় নিশাত নিজে নিজেই তার একটি আইটি ব্যবসার ব্যাপারে আমাকে ও আমার কিছু বন্ধুদের বলতে থাকেন। পরিচয় হওয়ার চার মাস পর আমাকে এবং আমার কিছু পরিচিত মানুষদের সঙ্গে তার একটু বন্ধুত্ব গভীর হওয়ার পরে কিছু নগদ অর্থ ব্যবসায়িক পুঁজি হিসেবে নেওয়া শুরু করেন। যদিও পরে জানা যায়, তার কোম্পানির নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দূরের কথা, কোনো বৈধ ট্রেড লাইসেন্সই নেই।

ফারদিন আরও লিখেছেন , ‘আমার টাকাটা এক প্রকার ব্যবসায়িক লোনই বলতে পারেন। তারা এইসব লেনদেন যেন বাংলাদেশ সরকারের চোখে না পড়ে তাই সেগুলো বিটকয়েন অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে করে থাকত। যা আমি পড়ে জেনেছি। ধাপে ধাপে তাকে ব্যবসায়িক ইনভেস্টমেন্ট ধার আকারে দুই কোটি পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেছি। এবং তার বিপরীতে তাকে আমি বলেছি যে, আমাকে সিকিউরিটি হিসেবে আমার ইনভেস্টমেন্ট মূল্যের ব্যাংকের চেক প্রদান করতে হবে। সেই চেক প্রদান করে সে আমার থেকে জানুয়ারি ২০২৩ সাল ২ কোটি পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা বুঝে নেন। বিভিন্ন সময় তার কাছে আমার হকের টাকা চাইতে গিয়ে আমাকে এবং আমার অফিসের কর্মচারীদের হয়রানির শিকার হতে হয়।

অর্থপাচারেরও অভিযোগ আনেন ফারদিন। তার ভাষ্য, ‘নিশাত বিন জিয়া প্রতারণা করে অর্থ দুবাই পাচার করে তিন লাখ দিরহাম অর্থাৎ প্রায় এক কোটি টাকা এক সপ্তাহে ব্যবধানে খরচ করেন। পরে আরও জানা যায়, তিনি প্রতারণার টাকা দিয়ে তার উচ্চবিলাসী জীবন দেখিয়ে গত ৮ মাসে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচার করেছেন।

ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আইনি নোটিশ ও অভিযোগ জানিয়েছেন ফারদিন। তিনি লেখেন, ‘আমি ঢাকা ডিবি অফিসে গত এক মাস আগে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছি। আমার পাশাপাশি সকল ভুক্তভোগীদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। অনেকেই এখন মামলা করবে বলে এগিয়ে যাচ্ছেন। চেক দিয়েছে অর্থ আমাকে প্রদান করতে পারেনি তাই আমি চেকের মামলা দিচ্ছি, কিন্তু এত প্রতারণা অর্থপাচার এগুলোর জন্য কি কোনো বিচার হবে না?’

ফারদিন ওমর সানী ও মৌসুমীর প্রথম সন্তান। তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর পড়াশোনা করেছেন। এ ছাড়া রেস্তোরাঁ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন। এর আগে কয়েকটি ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন তিনি। 


আরও খবর

পরীমণি-বুবলী একসঙ্গে খেলবেন!

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফের তাড়া খেয়ে আবারো বৃদ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে আবারো এক বৃদ্ধ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম- কাছম আলী (৬০)। তিনি জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মাহারাম-গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্ভর) সাড়ে ৭টায় সীমান্তের যাদুকাটা নদী থেকে ওই বৃদ্ধ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- চোরাচালান ও চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তের সোর্স পরিচয়ধারীরা প্রতি বারকি নৌকা থেকে ৩শ টাকা করে চাঁদা নিয়ে, প্রতিদিনের মতো আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্ভব) ভোরে প্রায় ৫শতাধিক শ্রমিককে বারকি নৌকা দিয়ে যাদুকাটা নদীপথে ভারতের অভ্যন্তরে পাঠায় কয়লা, পাথর ও বালি আনার জন্য। ওই সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শ্রমিকদের তাড়া করে। তখন শ্রমিকরা তাদের নৌকা ও মালামাল নিয়ে পালানোর সময় যাদুকাটা নদীতে ডুবে বৃদ্ধ কাছম আলী নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর ওই শ্রমিকের মৃতদেহ পর্যটন স্পর্ট বারেকটিলা সংলগ্ন যাদুকাটা নদীর তীরে ভেসে আসলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। গত দুইদিন আগে একই ভাবে কয়লা, পাথর ও বালি পাচাঁর করার সময় বিএসএফ সদস্যরা নৌকা আটক করে নিয়ে যায়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ভোরে যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারত থেকে পাথর পাচাঁরের সময় নৌকা ডুবে আব্দুল হাসিম (৩৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আর আগে গত শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমাছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে আক্তার হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। এছাড়া তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর, চারাগাঁও, বালিয়াঘাট, টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে নদীতে ডুবে ও চোরাই কয়লার গর্তে মাটি চাপা পড়ে গত এপর্যন্ত শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে বেশি মৃত্যু হয়েছে সীমান্তের লাকমা, লালঘাট, বরুঙ্গাছড়া ও যাদুকাটা নদীতে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য সীমান্ত চোরাচালান নিয়ন্ত্রণকারী সোর্স ও তাদের গডফাদারের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে দিনদিন সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে।

এরফলে একদিকে লাখলাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার, অন্যদিকে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর ঘটনা। তাই সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করার জন্য সোর্স পরিচয়ধারী ও তাদের গডফাদারকে গ্রেফতার করতে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও র‌্যাব প্রশাসনের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ৩ শুল্কস্টেশনের সচেতন বৈধ ব্যবসায়ীরা। এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান- সীমান্ত এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে তার খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর