Logo
আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

মেসিকে বার্সাতে ফেরাতে সবকিছু করা হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: লিওনেল মেসি ও বার্সেলোনা এক সময় একটি সমর্থক শব্দই মনে হতো। যেখানে বার্সার অ্যাকাডেমি লা মাসিয়া থেকে মেসির যাত্রা শুরু হয়েছিল। তারপর আর্জেন্টাইন তারকাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অসংখ্যা ইতিহাসের জন্ম হয়েছে তাকে দিয়ে।

তবে দীর্ঘ পথ চলার পরে ২০২১ সালে বার্সা ক্যারিয়ারের ইতি হয় মেসির। সেসময় আর্থিক সমস্যার কারণে মেসিকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল কাতালানরা। পরে পিএসজিতে চুক্তিবদ্ধ হন এই তারকা। সেখানে আসন্ন জুনেই শেষ হচ্ছে তার চুক্তি। আর এমন আবহেই মেসিকে বার্সেলোনাতে ফেরাতে যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবেন তা স্পষ্ট জানিয়েছেন বার্সেলোনার সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা। খবর গোল ডট কমের।

বার্সেলোনা ক্লাবের সময়টা এই মুহূর্তে ভালো যাচ্ছে । গত ম্যাচে তারা এস্পানিওলকে হারিয়ে ২৭তম বার লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মেসি ক্লাব ছাড়ার পর এই প্রথমবার তারা লিগ শিরোপা জিতেছে। এমন সময়ে এখন আর্জেন্টাইন এই তারকাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও চালাচ্ছে কাতালান ক্লাব।

এস্পানিওলের মাঠে রবিবার রাতে রবার্ট লেভানডস্কির জোড়া গোলে ৪-২ গোলে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। জয়ের পর শিরোপা নিশ্চিত করেছে বার্সা। উচ্ছাসে ভেসেছে ন্যু ক্যাম্প। সেখানেই এবার আরও খুশির জোয়ার আনতে 'সবকিছু' করার অঙ্গীকার করেছেন লাপোর্তা।

ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘জিজান্তেস’কে লাপোর্তা জানিয়েছেন, ‘আমি এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, মেসিকে ফের ক্লাবে ফেরাতে সবকিছু করা হবে।

প্রসঙ্গত মেসিকে ক্লাবে ফেরাতে সবচেয়ে বড় বাধা লা লিগার ফিন্যানসিয়াল ফেয়ার প্লে নীতি। সেটা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন বার্সা সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা ফিনান্সিয়াল পেয়ার প্লে নীতি বজায় রাখার জন্য কার্যকর পরিকল্পনা করেছি। দলকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।

উল্লেখ্য পিএসজির সঙ্গে লিওনেল মেসির আগামী মাসেই চুক্তি শেষ হবে। গুঞ্জন রয়েছে আর্জেন্টাইন তারকাকে রেকর্ড পরিমাণ বেতনে সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল নিতে বদ্ধপরিকর। ইন্টার মিয়ামিও রয়েছে লড়াইতে। এর মাঝে বার্সা সভাপতির কথায় বেড়েছে জল্পনা।


আরও খবর

সাকিব কবে মাঠে ফিরবেন, জানা গেল

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




নাসিরনগরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৩০০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নানঃমাদ্রাসাছাত্রীকে ‘জান্নাতে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ’টানা দুই দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।ওই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা মো. শিহাব উদ্দিন (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ শনিবার দুপুরে পাশের হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থেকে ওই শিক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়।ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের একটি মাদ্রাসায়।শুক্রবার রাতে ওই মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মা নাসিরনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক মো. শিহাব উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার সালেহ আহম্মদের ছেলে। তিনি নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর জামিয়া ইসলামিয়া তালিমুন্নেছা মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।এদিকে ধর্ষিতা ছাত্রী ওই মাদরাসারই শিক্ষার্থী। পুলিশের কাছে ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে তিনি কাজটা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

ভুক্তভোগীর মায়ের দাবী মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষক শিহাব ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার মেয়ে এতে রাজি ছিল না। প্রায় এক সপ্তাহে আগে তার মেয়েকে মাদরাসার একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন শিহাব। এর পর গত শুক্রবারও ওই শিক্ষক দ্বীতিয় বারের মত এ ঘটনা ঘটান। এ সময় তার মেয়েকে জান্নাতে যাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়।তিনি জানান।

ধর্ষণের কারণে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং তার মেয়েকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. সোহাগ রানা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মাদরাসা শিক্ষককে তার নিজ এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা তিনি স্বীকার করেছেন। শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে এ কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক মাওলানা শিহাব উদ্দিন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



নিয়োগ পরিক্ষা ও বোর্ড গঠনের ২৪ ঘন্টা পর সভাপতির সাক্ষর

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে আলোচিত মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরিক্ষা ও বোর্ড গঠনের প্রায় ২৪ ঘন্টা পর সভাপতির সাক্ষর নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ রা সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরের পরে মডেল পাইলট স্কুলে নিয়োগ পরিক্ষা ও বোর্ড গঠন করা হয়। পর দিন সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার দপ্তরে এসে প্রধান শিক্ষক সাক্ষর নেন। ফলে এধরণের নিয়োগ পরিক্ষা ও বোর্ড গঠন কিভাবে বৈধ হয় তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন বিরাজ করছে, সেই সাথে নিয়োগ পরিক্ষা ও বোর্ড বাতিল করে পুনরায় পরিক্ষা নিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জোর দাবি তুলেছেন স্থানীয় সচেতন মহল ও অবশরপ্রাপ্ত শিক্ষক বৃন্দু।

সাক্ষরের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম বলেন, নিয়োগের সাক্ষর না, বিল বেতনের সাক্ষর করা হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সাক্ষর গ্রহন করেছেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন এসব নিয়ে কিছু না করলে হয় না বলে দায় সারেন।জানা গেছে, চলতি বছরের গত এপ্রিল মাসের ৬ তারিখে মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনটি শূন্য পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরপর দু বার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ৩ রা সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেল ৩ টার দিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছাড়াই নিয়োগ পরিক্ষা ও বোর্ড গঠন করা হয়। রহস্য জনক দুটি পদ স্থগিত রেখে পছন্দের প্রার্থী সহকারী কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ পরিক্ষা গ্রহন করা হয়। এই পদে মোট ৫ জন আবেদন করেন।বেশকিছু শিক্ষকরা জানান, ৫ জন আবেদন করলেও তানোর পাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে রাজুকে চাকুরী দেওয়ার জন্য বিগত কয়েক বছর আগে চাকুরী দেওয়ার জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা নেয় স্কুল কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।  আব্দুল লতিফ বিগত ২০২১ সাল পর্যন্ত তানোর পৌরসভার সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার পরিবারে অনেকেই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে আছেন। অথচ পরিক্ষিত ত্যাগী আওয়ামী লীগের পরিবারের লোকজনরা এত টাকা দিতে পারেননি বলে চাকুরী হয় না।বিএনপির বেশকিছু নেতারা বলেন, লতিফ তো পাকাপোক্ত বিএনপি। আর আওয়ামী লীগের নেতারা যতবেশি টাকা পাচ্ছেন তাকেই নিয়োগ দিচ্ছেন। শুধু কি লতিফের ছেলে তার মেয়েকেও ভবানিপুর মাদ্রাসায় চাকুরী দেওয়া হয়েছে। এখন টাকা যার চাকুরী তার। টাকার কাছে কোন দল নাই।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছাড়াই নিয়োগ পরিক্ষা, বোর্ড গঠন এবং ২৪ ঘন্টা পর সাক্ষর নেওয়া যায় কিনা জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাকে কেন এধরণের প্রশ্ন করছেন, সভাপতি ছাড়া পরিক্ষা ও  বোর্ড বৈধ হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি দাম্ভিকতা নিয়ে বলেন এসব  নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে আমাকে কোন প্রশ্ন করবেন না।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি গত রবিবারে অসুস্থতার জন্য আসতে পারিনি। গত রবিবারের লতিফ মাতাল অবস্থায় যা করেছে সঠিক হয়নি। আর আমাকে জড়িয়ে ভিডিও ছাড়া হল, আমি বিএনপির নেতার ছেলেকে চাকুরী দিচ্ছি। এই তানোরে জামায়াত শিবিরের নেতাদের চাকুরী দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোন দিন ফেসবুকেও লিখা দেখলাম না। অথচ লতিফ তো আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয় করেছেন।জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন বলেন, নিয়োগ বোর্ড গঠনের সময় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপস্থিত না থাকলে সে বোর্ড বৈধতা পাবে না।

প্রসঙ্গত,, চলতি মাসের ৩ রা সেপ্টেম্বর রবিবার তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী কম্পিউটার ল্যাব পদে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরিক্ষা চলা অবস্থায় লতিফ মাতাল হয়ে প্রধান শিক্ষক ও গণমাধ্যম কর্মী দের সাথে দূর্ব্যবহার করেন। শুধু তাই না শহরে এক সাংবাদিক লতিফ ফোন দিলে নিজেকে এমপি ফারুক চৌধুরী ও তানোরের সেরা ধনাঢ্য। যা সামাজিক ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। 

আরও খবর



এডিসি হারুনের পক্ষেই সাফাই গাইলেন সানজিদা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে রাজধানী শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়েছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন। ওই দিনের ঘটনায় তিনি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এডিসি হারুনের পক্ষ নেন।

এডিসি সানজিদা বলেন, ঘটনার সময় তিনি বারডেমের ইটিটি রুমে ছিলেন। ইটিটি’র শেষ পর্যায়ে তিনি রুমের বাইরে একটা হট্টগোলে শব্দ শুনতে পান। তিনি বলেন, প্রথম যে চিৎকারটি আমার কানে আসল, সেটা স্যারের। তিনি বলছেন, ভাই আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তো, এটা আমি ফার্স্ট শুনলাম। আমার প্রথমে ধারণা হয়েছিল, হতে পারে অন্য কারও সাথে কোনো ঝামেলা বা কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই আমি দেখতে পারি যে, আমার হাজবেন্ড। উনি আসলে ওখানে কেন গিয়েছেন, কী করছেন, আমি আসলে জানি না। ওনাকে টোটালি আউট অব মাউন্ড লাগছিল। এবং উনি খুবই উত্তেজিত অবস্থায় ছিলেন। উনার সাথে বেশ কয়েকজন ছেলেও ছিল, তাদেরকে চিনি না। তাকে মারতে মারতে টেনে-হিঁচড়ে রুমটা ভেতর নিয়ে আসেন।

এবং এ রুমটার ভেতর যখন তারা স্যারকে আনলেন, তখন তাকে মারছিলেনই। একপর্যায়ে স্যার তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ওই ইটিটি রুমটার একটা কোনায় গিয়ে দাঁড়ালেন। এবং ওই সময় আমার হাজবেন্ড আনফরচুনেটলি, ভেরি আনফরচুনেটলি ওই ছেলেদের বললেন, তোরা এই দুই জনের ভিডিও কর। এবং আমি তখন ইটিটি’র পোশাকে ছিলাম। গায়ে বিভিন্ন রকমের তার-টার লাগানো ছিল। সেটা খুব শালীন অবস্থা ছিল না। তো আমি আমার হাজবেন্ডে সাথে শাউট করছিলাম যে, এই রুমে তো কোনো ছেলে ঢোকার কথা না। আপনি ঢুকেছেন কেন এবং এতগুলো লোক নিয়ে কেন ঢুকেছেন। আপনি আবার এদের বলছেন ভিডিও করার জন্য।

তো এটা নিয়ে আমি তার সাথে শাউট করছিলাম। তখন তিনি আমাকেও দুই-তিনটা চড় মারেন। তো পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়ে যায়, আমার ড্রাইভারও ছুটে আসে। ও মাঝখানে দাঁড়ায়। আমার ড্রাইভারের ওপর দিয়ে আসলে আমার গায়ে হাত তোলা হয়। এবং একটা পর্যায়ে, যারা ভিডিও করছিল, একটা ছেলের হাত থেকে আমি ফোন নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। ওই সময় ওর সঙ্গে আমার একটা হাতাহাতির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। আমি কোনোভাবেই চাচ্ছিলাম না, ওরা এই অবস্থায় আমার ভিডিও করুক।

প্রসঙ্গত, রমনা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়।

পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এরপর তাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।


আরও খবর



এক সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তোলা সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর কেটে গেল। আমেরিকার দিকে তাকিয়ে ছিল তারা। এখন একটা সেলফি দেখেই চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে তাদের। রাতের ঘুম শেষ হয়ে গেল। এখন কে নিষেধাজ্ঞা দিবে? ওসব ভয় পায় না আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের শক্তিতে আগামী নির্বাচন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভালোবাসা আওয়ামী লীগের একমাত্র পুঁজি। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল নয়। সত্যের পক্ষে জনগণের পক্ষে যে কোনো সময় সুদৃঢ় অবস্থা এই দলের।

মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টেমস নদীর তীরে বসে মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন বিএনপির নেতা। তলেতলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে না।

তিনি আরও বলেন, ‘ড. ইউনূসের ১৬০ জনের স্টেটমেন্ট কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এতো টাকা কোথায় পেলেন। যে মানুষ শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ আসে না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু, মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় চার নেতার বিষয়ে কথা বলে না। সে আপন কেনো হবে। দেশের কোনো দুর্যোগে তাকে পাওয়া যায় না। তাকে কেন আমরা ভালোবাসব। তার জন্য বিএনপির এতো মায়া কান্না কেনো।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভেবেছে ১/১১’র মতো একটা সুশীল সরকার আসবে। তা আর হবে না। জনগণ কাকে ভোট দেবে ঠিক করে ফেলেছে। জরিপে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে। নেতিবাচক রাজনীতির জন্য জনগণ বিএনপিকে না করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচন বলে দেবে কে ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝতে পারলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। ফাইনাল খেলা হবে নির্বাচনের মাঠে।

যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কার্যক্রম রাজনীতিতে যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বেশ ভালো কাজ। এখানে যারা আসে তারা সারাজীবন যুবলীগ করবে না। খারাপ যুবক আমাদের প্রয়োজন নেই। খারাপ ২০ জনের চেয়ে ভালো দুইজন অনেক ভালো। খারাপরা নিজের অর্জনকে বিসর্জন দেয়। খারাপ আচরণের জন্য আমাদেরকে মানুষের কাছে ছোট করে। আমরা জনগণের দল, জনগণের সঙ্গে আছি, জনগণকে ভালোবাসি। আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক দল নয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।


আরও খবর



এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে এপিবিএনে বদলি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে ডিএমপি থেকে বদলি করা হয়েছে। তাকে বদলি করে এপিবিএনে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়, আগামী মঙ্গলবারের (১২ সেপ্টেম্বর) মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্বভার অর্পণ করবেন। অন্যথায় ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন।

এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ রাজধানীর শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে পেটানোর অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পেটানোর ঘটনায় এডিসি হারুনকে ডিএমপির রমনা জোন থেকে পিওএম উত্তর বিভাগে বদলি করা হয়।


আরও খবর