Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মেহেরপুরের বিস্তির্ণ মাঠ যেন হলুদের সাম্রাজ্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৯২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর প্রতিনিধি:হলুদে ছেয়ে গেছে পুরো মাঠ। চারিদিকে হলদে আভার দেখা মেলে। মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সরিষার চাষ শুরু হয়েছে ব্যাপকহারে। ফসলটি চাষে প্রতি মৌসুমেই কৃষকদের উৎসাহ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকুল হওয়া আর বাজারে চাহিদা ও ন্যয্যমূল্য পাওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে চাষিরা। কৃষি অফিস বলছে, স্থানীয়ভাবে তেলের ঘাটতি পুরুনের জন্য কৃষি বিভাগ প্রণোদনা ছাড়াও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছে।

জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সরিষার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ধুলা আর কুয়াশায় ধূসর প্রান্তরের মাঝেও দূর থেকে চোখে ভেসে উঠে সরিষার হলুদ। বিস্তীর্ণ মাঠের চারদিকে হলুদের সমাহার। মাঘের ভর শীতেও প্রকৃতিতে মনে হচ্ছে বসন্তের ছোঁয়া।

নানা রঙের প্রজাপতিতে ভরে আছে সরিষার ক্ষেত। নীল, সবুজ, লাল-নীলের ডোরাকাটা বিভিন্ন রঙের প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে। কোথাও ঝলক দিয়ে উঠছে কালো ডানায় হলুদ-লালের মিশ্রণ। রঙ-বেরঙের প্রজাপতির এমন ডানা ঝাপটানো হৃদয়ে জাগাবে নবতর আনন্দ। প্রজাপতিরা এখানে আসে বিশ্রাম নিতে। অনেক দূর উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ানোর পর সরিষার মাদকতা তাদের আকৃষ্ট করে। প্রজাপতির সঙ্গে ভ্রমরও মধু খুঁজে ফিরছে এই ফুলে। এই সুযোগে মৌয়ালরা মৌমাছি চাষ করে এই মধু সংগ্রহ করছেন সরিষার মাঠে।

বিভিন্ন মাঠে দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন বয়সি লোকজন সরিষার হলুদ ক্ষেতে বেড়াতে আসছেন। অনেকেই আসছেন বন্ধু বান্ধব নিয়ে ছবি তুলতে। কেউ বা বানাচ্ছেন টিকটক ভিডিও। দেখা গেছে মালসাদহ মাঠের মধ্যে স্কুল শিক্ষক ইছারদ্দীনের রচিত ‘মোড়ল ধরা পড়েছে’ গ্রামীণ নাটকের শুটিং। স্থানীয়রাও মনভরে উপভোগ করছেন এসব। সরিষার ঝাঁজালো ঘ্রাণে মুখরিত চারদিক। বেশিরভাগই ফুলে এই সময়ে গন্ধ থাকে না কেবল সরিষা ফুল ছাড়া। এ ঘ্রাণে ফুসফুসের উপকার হয়।

জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, জেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে সরিষার আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৯ হাজার মেট্রিক টন। স্থানীয় সরিষা জাতের পাশাপাশি বারি সরিষা ১৪, ১৫, ১৭,বিনা ৯,৪, ১১ ও টোরি ১৭ সরিষা চাষ করেছেন। কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও বাজারে সরিষার চাহিদা থাকায় চাষিরা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন । অনেকেই দো-ফসলি জমিতে সরিষা আবাদ করছেন। আবার অনেকেই সাথী ফসল হিসেবে ও সরিষা আবাদ করছেন।

জোড়পুকুর গ্রামের আব্দুর রশিদ জানন, তিনি এক বিঘা জমিতে সরিষা বপন করেছেন এবং আরো দুই বিঘা সাথী ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করছেন। তিনি আরো জানান, জমিতে ধান থাকতে থাকতে সরিষার বীজ বপন করে দেওয়া হয়। এত খরচ কম হয় লাভ বেশি। তিনি আড়াই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে মাত্র এক হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

বামন্দীর সৈকত আলী জানান, প্রতি বছর আমন ধান কাটার পর জমিতে সরিষা চাষ করি। সরিষা বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় ওই টাকা দিয়ে আবার ইরি ধানের আবাদ করি। সরিষা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি হয়। এক বিঘা জমিতে ৭-৮ মণ সরিষা হচ্ছে। গেল বছরে সরিষার দাম বেড়েছে। তিনি এবার তিন বিঘা সরিষা চাষ করেছেন। ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অধিক মুনাফার জন্য কয়েক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করা হয়। হাড়াভাঙ্গা গ্রামের চাষি আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি এবার এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় নিজেদের প্রয়োজনে সরিষা চাষ করেন।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, গেল বছরে চলতি বছরে সরিষার আবাদ লক্ষমাত্রার চেয়ে বেড়েছে। চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে সরিষা চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য। স্থানীয়ভাবে যে পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে দূর্যোগ না হলে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) সংবাদ সম্মেলন করবেন। এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস রানা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী প্রেস কনফারেন্স করবেন।

ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে ২৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে দেশটির ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস রানা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী প্রেস কনফারেন্স করবেন।

ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে ২৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে দেশটির ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর



ঘাটাইলে চোরাই গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image
সবুজ সরকার সৌরভ,ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পাচটি গরুসহ গাড়ি রেখে পালিয়েছে চোরচক্রের সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা গরু নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। জ্বলছে গরু চুরিতে ব্যবহৃত ট্রাকটি।২৪শে এপ্রিল (বুধবার) সকালে উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের গালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচটি গরু বোঝাই একটি মাঝারি ট্রাক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে গাড়িটিকে ধাওয়া করে গাড়ির ড্রাইভারের রাস্তা পরিচিত না হওয়ায় গাড়িটি জামুরিয়া ইউনিয়নের আঞ্চলিক সড়কের গালা গ্রামে প্রবেশ করে। এ সময় স্থানীয় লোকের বেশি জমায়েত দেখে গাড়ি রেখে ড্রাইভার এবং চোরের দল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় উৎসুক জনতা গাড়ি থেকে গরু নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এখনো গরুর মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে গরুগুলো এলাকাবাসীর হেফাজতে রয়েছে।

ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজল খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো চোরাই গরু। চোর চক্র হয়তো কোথাও থেকে চুরি করে নেওয়ার সময় ধরা পড়ার ভয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর



ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি বিদ্যুত বন্ধ গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএমনিতেই গেল ১০ দিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহ আর গরম অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের অজুহাতে বিদ্যুত বন্ধ। এতে রোগিদের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছে। জ্বর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগিদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগি সেবা নিতে আসা রোগিদের অবস্থা আরো নাজুক। বিদ্যুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে একটি জেনারেটর থাকলেও সেটি দীর্ঘ দিন অচল। ফলে কোন ক্রমেই সংকট কাটছে না। রোগিদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সগণ। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোন স্বদুত্তর দিতে পারেনি।

মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মেহেরপুরের ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহষ্পতিবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রী,শুক্রবার ৪২.৭ ডিগ্রী ও আজ শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.৩ ডিগ্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছে আবহাওয়া অফিস। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত।

বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। শিশুদের কান্নায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিদিন আড়াই শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর যে রোগির অবস্থা একটু সংকটাপন্ন তাকে ভর্তি রাখা হচ্ছে।

আজ রোব্বার সকালে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৫ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ২৮ জন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দ্বিগুন রোগি ভর্তি থাকলেও প্রচন্ড রোগ ও ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এমনিতেই গরম আর দাবদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের নামে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুত বন্ধ। ফলে রোগিদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন। অসুস্থ রোগিরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রায়হানের মা রাশিদা জানান, তার ছেলে ডাইরিয়া রোগ নিয়ে আজ ৪ দিন ভর্তি।

প্রচন্ড গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুত বন্ধ হলে সিঁিড়তে আশ্রয় নিতে হয়। হাসপাতালের কোন জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। একই কথা জানালেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু শাহানাজের মা জামিলা খাতুন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ৫দির ভর্তি রয়েছেন। গরমে তাদের ভরসা একমাত্র তালের পাখা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কয়েকজন জানান, এখানে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর রয়েছে। প্রতি মাসে তেলেরও পর্যাপ্ত বরাদ্দ অথচ সেটি চলেনা। বছর খানেক হলো জেনারেটরটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামত  করার কোন উদ্যোগ নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীই নয় রোগী সাধারনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবুও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

গাংনী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জানান, প্রচন্ত তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম হলেও বাধ্য হয়ে বিদ্যুত বন্ধ রাখা  হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের কারনে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুতের জন্য সাময়িকভাবে এটি করতে হচ্ছে। এতে রোগি ও সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে কিন্ত কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, জেনারেটরটি অকেজো হবার দুবার মেকানিক্স এনে ঠিক করার চেষ্টা করা হয় কিন্ত সেটি আর ভাল করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে ছাড়া কোন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এখানে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই নেই।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নে যে বারাদ্দ পাওয়া যায় সেখানে সেটি ব্যায় করতে হয়। তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে কোন প্রস্তাব উত্থাপন করেননি স্বাস্থ কর্মকর্তা। সরেজমিনে গিয়ে দেখে কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর জানান,তিনি বিষয়টি জানেন এবং জেনারেটরসহ অন্যান্য বিষয়গুলো যাতে সমাধান হয় তা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।



আরও খবর



শিগগির আসছে আরিফিন শুভর ‘নীলচক্র’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ। গতবছর ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা মুক্তির পর দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেয়েছেন প্রশংসা। আর এবারে নতুন সিনেমার খবর দিলেন শুভ।

আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন সিনেমার ফাস্টলুক পোস্টার প্রকাশ করেছেন তিনি। সিনেমার নাম ‘নীলচক্র’।

পোস্টারে প্যাজেলের মাঝে দেখা গিয়েছে শুভর মুখ। কালো শার্টে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তালিয়ে আছেন তিনি। তার এক পাশে অসংখ্য খবরের কাগজ, তবে সেগুলো ঝাপসা। 

কী রহস্য আছে সিনেমাটি ঘিরে- তা অবশ্য এখনই বলছেন না অভিনেতা। নতুন সিনেমার খবর দিয়ে শুভ একটু রহস্য রেখে দিলেন। কারণ পোস্টারের সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘নীলচক্র কি নীল হবে না রক্তের রঙ লাল হবে সেটা দেখার অপেক্ষায়। শিগগির আসছে নীলচক্র।’ 

গতবছরই সিনেমাটির খবর জানিয়েছিলেন অভিনেতা। সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন তিনি। ‘নীলচক্র’ পরিচালনা করেছেন মিঠু খান। চিত্রনাট্য ও কাহিনি বিন্যাস করেছেন নাজিম উদ দৌলা ও মিঠু খান। 

বরাবরই শুভ চুপচাপ কাজ করতে পছন্দ করেন। তাই গতবছর শুটিং শুরুর আগে নতুন সিনেমার খবর দিলেও এর বেশি কিছু বলেননি।

অভিনেতা বলেন, ‘দর্শক সমসাময়িক একটি গল্প দেখতে পাবেন। গল্পের প্যাটার্ন ডার্ক, সঙ্গে আরো কিছু আছে।’

ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন প্রযোজিত ও ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন নিবেদিত এই সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান, ডলার প্রমুখ।


আরও খবর