Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

মেহেরপুরে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে চাষীদের সর্বনাশ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৮২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুরঃমেহেরপুরে সরকারি প্রণোদনার পেঁয়াজ আবাদ করে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা।পেঁয়াজ চাষের যাবতীয় খরচ করে পেঁয়াজের গুটির বদলে মিলছে শুধুই শেকড়। পেঁয়াজের ঘাটতির বছরে যা দেশের জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ। অমৌসূমের বীজ জেনেও অদৃশ্য কারণে চাষীদেরকে দিয়ে আবাদ করানো হলো সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি। যার খেশারত দিতে দিচ্ছে ৫২০ জন চাষীকে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি প্রণোদনার আওতায় পেঁয়াজ আবাদ বৃদ্ধির জন্য চলতি মৌসূমে মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় প্রান্তিক চাষীকে বীজ ও সার সহায়তা দেয় কৃষি অফিস। প্রত্যেক চাষী এক বিঘা করে জমি পেঁয়াজ আবাদ করেন। সরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএডিসি ভারত থেকে আমদানি করে নাসিক রেড এন ৫৩ জাতের পেঁয়াজ বীজ। যা প্রণোদন হিসেবে বিনামূল্যে এইসব প্রান্তিক চাষীর মাঝে বিতরণ করে কৃষি অফিস।

চাষীরা জানান, সরকারি এ বীজে ভরসা করে চাষীরা কেউ বীজ বপণ করেন আবার কেউ চারা তৈরী করে পেঁয়াজ চারা রোপণ করেছিলেন। নভেম্বর মাসে ক্ষেতে পেঁয়াজ চারা রোপণ করলেও আজ পর্যন্ত মিলছে না পেঁয়াজের গুটি। ক্ষেতগুলোতে পুষ্ট পেঁয়াজ গাছ থাকলেও তার গোড়ায় কোন পেঁয়াজ পাচ্ছেন না চাষীরা। গুটি বাঁধবে এ আশায় চাষীরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় সার কীটনাশকে ব্যয় করে যাচ্ছেন। কিন্তু গাছ তুললে গোড়াতে শুধু শেকড় ছাড়া কোন গুটির দেখা মিলছে না। কৃষি অফিসের কাছ থেকে কোন সদুত্তোর না পেয়ে পেঁয়াজের আশা ছেড়ে দিয়েছেন অনেক কৃষক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভারতীয় নাসিক রেড এন ৫৩ পেঁয়াজ বীজ দিয়ে মূলত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করা হয়।

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বেশ ভাল ফলন ও দাম পেয়েছেন চাষীরা। গ্রীষ্মকালীন এ জাতটি শীতকালে আবাদ করলে পেঁয়াজের গুটি হবে না এটা জানতেন কৃষি কর্মকর্তারা। কিন্তু উপর মহলের চাপে তারা শীতকালে এ বীজ বিতরণ করেছেন। কোন অদৃশ্য কারণে বড় কর্তারা এ জাতের বীজ আবাদে কৃষকদের বাধ্য করেছেন সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি কারও কাছ থেকে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষী সাহারবাটি গ্রামের তোহিদুল ইসলাম জানান, এক বিঘা পেঁয়াজ আবাদের তার এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩০/৩৫ হাজার টাকার উপরে। পেঁয়াজ তোলার সময় পেরিয়ে গেলেও পেঁয়াজের গুটি বাঁধেনি। এখন ক্ষেত পরিস্কার করতে আরও ‍কিছু টাকা খরচ হবে। কৃষি অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও কোন নির্দেশনা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী চাষীরা। চাষি জুরাইস ইসলামসহ কয়েকজন পেঁয়াজ চাষী, সরকারি বীজ তাই ভাল ফলনের আশায় পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন তারা। কিন্তু তাদের জানা ছিল না গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ শীতকালে আবাদ করলে তাতে গুটি হবে না। ফলে পুরো আবাদের লোকসানে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছন এসব চাষীরা।

পেঁয়াজ আবাদের সর্বনিম্ন আর্থিক ক্ষতি হিসেবে করলে দেখা যায়, প্রতি বিঘায় যদি ৩০/৩৫ হাজার টাকা খরচ হলে ৫২০ জন চাষীর খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা। চলতি মৌসূমে পেঁয়াজের বড় সংকটের বছরে একদিকে যেমনি পেঁয়াজ উৎপাদন কমে গেছে অন্যদিকে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন চাষীরা। যে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে কৃষি অফিসে ভুক্তভোগী চাষীরা বার বার ধর্ণা দিলেও মিলছে কোন কোন আশ্বাস কিংবা প্রতিকার।

কেন অমৌসূমের বীজ জেনেও চাষীদের মাঝে তা বিতরণ করা হল? এমন প্রশ্ন রাখা হয় মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের কাছে। তবে তিনি সদুত্তোর না দিয়ে জানান, এ জাতের পেঁয়াজ বীজ দিয়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ভাল ফলন হয়েছে।


আরও খবর

মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




জলঢাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সংবাদকর্মী লাঞ্ছিতের শিকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার  ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে স্বপ্ন প্রকল্পের মাটিকাটা কাজের লটারিকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যকে মারপিটের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সংবাদকর্মী লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছে।এ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত দ্বি-মূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, ঘটনারদিন দুপুরে ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে সুবিধাভোগী মহিলাদের কর্ম নিয়োগে যাচাই-বাছাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। তা না করে এই প্রক্রিয়াটি বাজার সংলগ্ন হাইস্কুলের গেট বন্ধ করে (তালা লাগিয়ে) লটারী করতে গেলে নির্ধারণ ইউনিয়ন পরিষদে লটারি না করায় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুলকে বাধা দেন একই পরিষদের ৬নং ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। 

এতে ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান। চৌকিদারদের পিটুনীতে আহত হন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর। 
এখবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। 
খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ছুটে গেলে সেখানে ২ঘণ্টা বন্ধ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সংবাদ কর্মীদের।দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বন্ধ গেট খুলতে বলায় দৈনিক মুক্ত বাংলার জলঢাকা প্রতিনিধি আল আমিন নামে এক সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিত করেন চেয়ারম্যান সমর্থকরা। এ ঘটনায় ওই সংবাদ কর্মী আহত হলে প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় প্রদীপ বানিয়াকে ১নং বিবাদী করে অজ্ঞাত ১৫ জনের নামে জলঢাকা থানায় অভিযোগ করা হয়।এ ঘটনায় লাঞ্ছিত ও আহত সংবাদকর্মী ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানায়, 
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চেয়ারম্যান সমর্থকরা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। 
এ বিষয়ে ওসি মুক্তারুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ঐতিহাসিক বাড়াইবাড়ী যুদ্ধু দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:‘ওয়াহিদ, কাদের, মাহফুজ শহীদদের-আমরা তোমায় ভুলি নাই’ এই শ্লোগানের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধের ২৪ বছর পদার্পন উপলক্ষে সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সহযোগীতায় বড়াইবাড়ি দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালের দিকে বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধে নিহতের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তপক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়। পরে বড়াইবাড়ী মসজিদ মাঠে সাবেক এমপি রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সাবেক এমপি রুহুল আমিন, বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্প, কলাবাড়ি বিবিসি উচ্চ বিদ্যালয়, বড়াইবাড়ি গ্রামবাসির পক্ষে, বারবান্দা সুর্য্য সংঘ, শহীদ পরিবারের পক্ষে, চুলিয়ারচর ও বারবান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাবাড়ি বিবিসি উচ্চ বিদ্যালয়, জাতীয় পার্টি (জেপি), বড়াইবাড়ী গ্রামের কোমলমতি বাচ্চারাসহ এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। ২০০১ সালের এই দিনে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বড়াইবাড়ী গ্রামে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে নারকীয় তান্ডব চালায়। অকুতোভয় তৎকালিন বিডিআর ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় প্রতিরোধ করা হয়। নিহত হয় বাংলাদেশের তিন বীর বিডিআর জোয়ান ৩৩ রাইফেল্ধসঢ়;স ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফেলস্ধসঢ়; ব্যাটালিয়নের সিপাহী আঃ কাদের। ভারতীয় পক্ষে নিহত হয় ১৬ বিএসএফ সদস্য। সেই থেকে ঐতিহাসিক এই দিনটি পালিত হয় ‘বড়াইবাড়ী দিবস’ হিসেবে। এলাকাবাসীর দাবী বিজিবি ক্যাম্পের সামনে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, চলমান নির্মিত ব্রীজ ও রাস্তা তিন শহীদদের নামে নাম করন ও ঐতিহাসিক দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ইমান আলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবু হোরায়রা সাধারন সম্পাদক উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন উপজেলা পরিষদের, ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার সৃতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মন্ডল, ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ উপজেলা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসনে ভিক্ষুকদের মাঝে ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান বিতারণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃউন্নয়ন সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় দেশ গড়বো সমাজসেবায় এই শ্লোগান বাস্তবায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ধীন,সমাজসেবা অধিদপ্তরের গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কতৃক বাস্তবায়িত, ভিক্ষুকপূর্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্হান কর্মসুচীর আওতায় ভিক্ষাবৃত্তি নিরসনে ১২জন ভিক্ষুকের মাঝে ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান বিতারন করা হয়েছে।

কর্মসুচী বাস্তবায়নে বিতারণ অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন উপজে লাচেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার,,উপস্হিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম,উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রফিকুজ্জামান খাঁন,  ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, প্রমুখ।

আরও খবর



মোরেলগঞ্জে ১০২ তম বারুনী স্নানোৎসবে লাখ ভক্তের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

শেফালী আক্তার রাখি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট):বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শ্রীধাম লক্ষীখালী গোপাল সাধু ঠাকুরের সেবাশ্রামে ১০২ তম বারুনী স্নানোৎসব ও গোপাল চাঁদ মেলায় নারী-পুরুষ পুজারী লাখ ভক্তের ঢল। ঢাক, ঢোল, নিশান বাদ্যযন্ত্র সহকারে “হরিবল, হরিবল” নামে মূখরিত ভক্তদের বসেছে যেন এক মিলন মেলা।

৩ দিনব্যাপী মেলা শনিবার সকাল থেকেই মেলায় স্ননোৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, বেতাগী, বামনা, মির্জগঞ্জ, ঝালকাঠী, কাঠালিয়াসহ বিভিন্ন প্রান্তের মতুয়া ভক্তরা সমবেত হয়েছেন। প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেও এবারে এ উৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজন প্রসাদ বিতরণ, ভক্তদের উৎসবে যেন কোন কমতি নেই। দলে দলে হাজার হাজার মতুয়া ভক্তরা পায়ে হেটে, নৌ ও সড়ক পথে পাড়ি জমিয়েছে লক্ষীখালী বারুনী স্ননোৎসবে।

এ দিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও শ্রী শ্রী হরিগুরু চাঁদ ঠাকুরের ২০১৩ তম শুভ জয়ন্তী জন্ম স্বরনে বাংলা ১৩২৮ সালে থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী গ্রামে তারই ভক্ত গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের শ্রীধামে ৩দিন ব্যপি বারুনী ¯স্নানোৎসবে মতুয়া ভক্তদের মিলন মেলা বসেছে। দিনরাত অবিরাম প্রসাদ বিতরণ চলছে।

ত্রায়দশী তিথি অনুয়ায়ী সোমবার পর্যন্ত চলবে। এ অনুষ্ঠানে ভক্তদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগীতায় প্রশাসন কাজ করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও সহযোগীতা করছে।

এ মেলায় রবিবার সকাল ১০ টায় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, দুপুর ১২ টায় সহকারি হাই কমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর, বাংলাদেশ মতুয়া সংঘের কার্যকরী সভাপতি শ্রী সুব্রত ঠাকুর।

বারুণী স্নানউৎসবে মতুয়া মেলায় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন বলে শ্রীধাম লক্ষীখালীর গদীনশিন সেবাইত সাগর সাধু ঠাকুর জানিয়েছেন।


আরও খবর



দেশের বৃহৎ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর- এ শহীদ মাঠে ৬ লাখ মুসল্লির একসাথে নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি:যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের অংশগ্রহনে উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে দেশের বড় ঈদের জামাতে লাখো লাখো মুসল্লিরা একসাথে নামাজ আদায় করেছেন। রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাতে ৬ লাখ মুসল্লি একসাথে ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে আয়োজকদের দাবী।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলাসহ দুরদুরান্ত থেকে আসার ঢল নামে মুসল্লিদের। দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিসে ছাড়াও মুসল্লিরা বিভিন্ন যানবাহনে ও পায়ে হেঁটে ঈদগাহ মাঠে আসেন। এসময় শহরের সব রাস্তাগুলো যেন একমুখী হয়ে যায়। ঈদের দিন সকাল ৯টায় এই ঈদের জামাতের ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল ইসলাম কাশেমী। নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতে দেশ এবং মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়।

বৃহৎ এই জামাতে অংশ নেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি(ভারপ্রাপ্ত) এম ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ, দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনতা।

নামাজ শেষে বৃহৎ এই ঈদগাহ মাঠ ও মিনার নির্মাণের উদ্যোক্তা এবং পরিকল্পনাকারী হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, এই জামাতে একসঙ্গে ৬ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেছেন। নিরাপত্তার ব্যাপারে ছিল জিরো টলারেন্স। সফলভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। দিন দিন এই জামাতে মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে।

এইবার ভারত থেকে নামাজে অংশ নিয়েছেন মুসল্লী। দিনাজপুর ছাড়াও ঢাকা, নীলফামারী, জয়পুরহাট, বগুড়া, ঠাকুরগাঁ, রংপুর জেলাসহ আশেপাশের অনেক মুসল্লি বাস, কার, মাইক্রো, জীপ এবং মোটরবাইকে করে এই ঈদ জামাতে অংশ নেন।

ভারতের গঙ্গারামপুর থানা থেকে আসা ওসমান আলী জানান, টিভি অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এতবড় মাঠ ও এত মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করে। এতে আমারও ইচ্ছা হয়। তাই এবার এখানে নামাজ পড়ার জন্য এসেছি।এত মানুষের একসাথে এটাই আমার প্রথম নামাজ। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে খুব খুশি।

নামাজ আদায় করে একইরকম অনুভূতি প্রকাশ করে ঢাকার রামপুরার বনশ্রী নিবাসী হাজী মোঃ আব্দুল আলী বলেন, এশিয়ার বড় জামাতের কথা শুনে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছি। এটি আসলেই বৃহৎ জামাত। এতবড় জামাতে নামাজ আদায় করেছি সওয়াবের আশায়।ঢাকা থেকে মোঃ ইমরান কবির ও মোঃ রাতুল বলেন, ঈদের কারণে যানবাহন পেতে সমস্যা হয় দেখে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে নামাজ আদায় করতে আসেন না। যদি প্রতিটি জেলা থেকে বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে মুসল্লি আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে এখানে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়বে।রংপুর থেকে আসা অলিউল ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যসহ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, ডিবি, ডিএসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেন। মাঠে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। ছিল ঈদগাহের মাঝে র‌্যাবের ওয়াচ টাওয়ার, প্রবেশের পূর্বে মুসল্লিদের আনা যানবাহন রাখার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশী ব্যবস্থা। মাঠে মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশির পর প্রবেশ করানো হয় মুসল্লিদের।

উল্লেখ্য, উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২ গম্বুজের এ ঈদগাহ মিনার। এই ৫০ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ফুট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ফুট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়। মিনার সিরামিক্স ইট দিয়ে আচ্ছাদিত। রাতে আলোকিত করতে প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। ২০১৭সাল থেকে প্রতিবছর এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই গোর-এ শহীদ মযদানে একসঙ্গে ১০লাখ মানুষ ঈদের জামাত আদায় করতে পারার ব্যবস্থা রয়েছে। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এছাড়াও পর্যটকদের কাছেও এটি এখন দর্শনীয়।


আরও খবর