মজনুর রহমান আকাশ মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় আনন্দবাস গ্রামে নির্বাচনত্তোর সহিংসতায় উভয় পক্ষের ২১ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদেরকে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ফরহাদ হোসেন নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) সমর্থকদের মধ্যে এ সহিংসতার ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন, আনন্দবাস গ্রামের কিয়ামত আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য ফেরদোস আলী (৫০), আল মাজুল মোল্লার ছেলে আকাশ (২৫), মৃত বক্স বিশ^াসের ছেলে টুক বিশ^াস (৪০), সিরাজুল ইসলামের ছেলে হাসিব (১৩), আলতাব হোসেনের ছেলে অন্তর
(১৬), ফজলু মোল্লার ছেলে আব্দুল হামিদ (৩২), ৃমত জিরোত আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪৫), মৃত ওসমানের ছেলে আয়াত আলী (৪৫), নঈমুদ্দীন মোল্লার ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৫৯), আয়ূব হোসেনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৩৫) ওয়াজ কুরুনির ছেলে পিয়াস (২৫), মৃত শওকত আলীর ছেলে আলী ইয়াছিন (৫০) সহ আরো ৬ জন। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আনন্দবাস গ্রামে মেহেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা বিজয় মিছিল শুরু করে। মিছিলটি স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ^াসের বাড়ির সামনে পৌঁছালে মিছিলের মধ্যে থেকে পরাজিত স্বতন্ত্রী প্রার্থীর এক কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারে। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্বতন্ত্রী
প্রার্থীর লোকজনরা। ছাদের উপর থেকে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ঘটনার এক পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে নৌকার পক্ষের ১৮ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন কর্মী-সমর্থক আহত হয়। স্থানরীয়রা তাদের উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে সাবেক ইউপি সদস্য ফেরদৌস আলীসহ তিন কর্মীর অবস্থা গুরুতর হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল পাঠিয়ে দেন।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত্ব জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি দল। উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়ে করা হয়েছে। কেউ মামলা করলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।