Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মেহেরপুরে লেট ব্লাইটের আক্রমণে লোকশানের মুখে আলু চাষিরা

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৮১জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃ-মেহেরপুরে গাংনীতে চলতি মৌসুমে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে আলু খেতে দেখা দিয়েছে পচন রোগ (লেট ব্লাইট)। প্রতিকার হিসেবে ছত্রাকনাশক ও বিষ প্রয়োগ করেও দমন করা যাচ্ছে না এ রোগ। এতে আলুর ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। ফলে আলু চাষের লক্ষ‍্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। কৃষি বিভাগ বলছে, বৈরী আবহাওয়ার কারনে এমনটি ঘটছে, তবে বৈরী আবহওয়া কেটে গেলে এ রোগের সমস্যা থাকবে না। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে মেহেরপুরে ৮৬০হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে।

গেল মৌসুমে ভাল দাম পাওয়ায় চাষিরা এবারও আলু চাষে আগ্রহী হন। সে অনুযায়ি চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। চাষিরা দেশি জাতের আলু আউশা, চল্লিশা, দোহাজারী লাল, পাটনাই, সাদা গুটি শীল বিলাতী ও সূর্যমূখী আবাদ করে থাকেন। উন্নত জাতের আলুরও চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে ডায়ামন্ট, কার্ডিনাল, সিন্দুরী, ক্লিওপেট্রা বারি আলু-১ (হীরা), বারি আলু- ৪ (আইলসা), বারি আলু-৭ (ডায়ামন্ট), বারি আলু-১৮ (বারাকা), বারি আলু-১৯ (বিন্টজে) এবং বারি আলু-২০ (জারলা) জাত উল্লেখ্য। তবে দেশি জাতগুলো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। দেখা গেছে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে দেশি জাতের আলুর ফলন কমে যায়। বীজের মাধ্যমেই এ রোগটি ছড়িয়ে থাকে।

জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষেতে দেখা দিয়েছে গাছ পুড়া রোগ (লেট ব্লাইট) এতে গাছ মরে শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের বালাইনাশক ব্যবহার করছেন। তবে কোন সুফল মিলছে না বলে জানিয়েছেন চাষিরা। আবার অনেকেই কি কারনে রোগ বালাই দেখা দিয়েছে তার কারন খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে আলুর ফলন কমে যাচ্ছে এটা নিশ্চিত। বিশেষ করে বামন্দী মটমুড়া বালিয়াঘাট হাড়াভাঙ্গাসহ সীন্ত অঞ্চলে এ রোগের ভয়াবহতা বেশি।

কৃষকরা বলছেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে ছত্রাকনাশক ও ওষুধ স্প্রে করেও কোনো সুফল মিলছে না।আলুর গাছ নির্ধারিত সময়ের আগেই মরে যাচ্ছে। ফলে মাটির নিচে থাকা আলু আকারে ছোট হয়ে থাকছে। আলু গাছ মরে যাওয়ার কারনে আকারে সেই ছোট আলু তুলে ফেলা হচ্ছে। ফলে উৎপাদন কমে গিয়ে চার ভাগের এক ভাগ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে ক্ষতির মুখে বর্গা চাষিরা।

এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আলু আবাদ করতে ৪০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। সেখানে আলু বিক্রি করে ২০ হাজার টাকাও জমছে না।

রামনগর গ্রামের আলু চাষি মুরাদ জানান, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। এতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার মত খরচ হয়েছে। দুই বিঘা জমিতে আলু ভালো আছে। বাকি তিন বিঘা আলু গাছ পুড়ে গেছে। এসব আলু আর বড় হবে না। তাই বাধ্য হয়ে আলু তুলে ফেলতে হচ্ছে।

একই কথা জানালেন আলু চাষি সাইফুল ইসলাম। তার সাড়ে চার বিঘা জমির সব আলু লেট ব্রাইট রোগে আক্রান্ত। এ মৌসুমে মোটা টাকার লোকসান হবে বলেও জানান তিনি।

আমঝুপির আলু চাষি আঃ আওয়াল জানান, মৌসুমের শুরুতে ৭৫ টাকা কেজি দরে আলুর বীজ কিনে আলু চাষ করেছিলেন তিনি। দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আলু চাষে প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। রোগাক্রান্ত আলু ছোট অবস্থায় তুলে বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন কমে গেছে অর্ধেকে। এবার আলুর বাজারদর খুব ভালো ছিলো তারপর ও উৎপাদন কম হওয়াই লোকশানে পড়তে হবে।

মেহেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শামসুল আলম জানান, চলতি মৌসুমে ৮৬০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। শুরুতে আবহওয়া অনুকূলে থাকাই গাছ খুব ভালো হয়েছিলো। কিন্তু জানুয়ারি মাস থেকে তীব্র ঠা-া ও কুয়াশায় আলু ক্ষেতে লেট ব্লাইটের আক্রমণে গাছ মরে যাচ্ছে। যার ফলে আক্রান্ত আলুর ফলন কমে গিয়েছে। আসলে বৈরী আবহওয়ার কারনে এমনটি হয়েছে।

এ আবহাওয়া কেটে গেলে এ রোগের আক্রমণ কমে যাবে। তাছাড়া চাষিদেরকে বিভিন্ন বালাইনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



তানোরে সরকারি রাস্তা দখল ও গাছ কেটে বাড়ি নির্মানের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে সরকারি রাস্তা দখল ও গাছ কেটে বাড়ি নির্মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালের দিকে  উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপির)  ইলামদহী গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি। এঘটনায় সোমবার সকালের দিকে পাচন্দর ইউপি এলাকার দুবইল গ্রামের আশরাফুল আলী বাদী হয়ে দখল দার ইলামদহী গ্রামের ইয়ামিন ও রোসদুলকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভূমি দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। তবে নির্মাণ কাজ বন্ধ হলেও রাতের আধারে বাড়ি নির্মাণ হবে বলে আশংকা অভিযোগ কারীর। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অভিযোগে উল্লেখ, ইলামদহী মৌজার অন্তর্ভুক্ত এক নম্বর খাস খতিয়ানের নকশা মোতাবেক সরকারি রাস্তা রয়েছে। রাস্তার পিছনে অভিযোগ কারীর ধানী জমি রয়েছে। জমির সামনেই রাস্তা দখল ও একটি গাছ কেটে বাড়ি নির্মানের জন্য জায়গাটি দখলে নেন ইয়ামিন ও রোসদুল।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইলামদহী থেকে নোনা পুকুর যাওয়ার জন্য রয়েছে মাটির রাস্তা। সরকারি নকশায় জায়গাটি রাস্তা হলেও তার দক্ষিণে মাটির রাস্তা ব্যবহার করা হয়। বাড়ি নির্মানের পিলার তোলার জন্য পাঁচটি গর্ত খনন করা হয়েছে। কাজ বন্ধ হলেও মিস্ত্রিরা রোডের কাজ করছিলেন। জায়গাটির পশ্চিমে জলাশয় রয়েছে, সেটিও ভরাট হয়ে পড়েছে। 

সেখানেই ছিলেন, অভিযোগ কারী আশরাফুল জানান, নকশায় রাস্তা এটি।পিছনে আমার ব্যক্তিগত জমি। জায়গাটি দীর্ঘ দিন ধরে ফাকা পড়ে ছিল। হঠাৎ করে সোমবার সকালের দিকে বাড়ি নির্মানের পিলার তোলার জন্য খনন করে। আমি নিষেধ করলে তারা সাব জানিয়ে দেয় সরকারি লোক জন নিষেধ করলে কাজ করব না। তাছাড়া কাজ চলবেই। শুধু জায়গা দখল না একটি ইউকালেকটর গাছ কেটেছেন। তারা এর আগেও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটেছে।তবে দখলদার ইয়ামিন ও রোসদুল বলেন, জায়গাটি রাস্তা হলেও ব্যবহার হয়না। জায়গাটি আমরা দীর্ঘ দিন ধরে পরিচর্যা সহ আমাদের দখলে রয়েছে। যিনি অভিযোগ করেছেন তার জমি রয়েছে পিছনে। এজায়গা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। আমাদের কে হয়রানির করার জন্য অভিযোগ করেছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে,শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায়।

এর আগে আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন তারা। সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূস আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন চান তিনি। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সকালের দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ ৪ জন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। ওইদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চেয়ে আপিল করেন তিনি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় দেয়া বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।


আরও খবর



মধুপুরে ইউপি মেম্বার ফোরামের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃটাঙ্গাইলের মধুপুরে মেম্বার ফোরাম এর আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী  অনুষ্ঠান ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা ইউপি মেম্বার ফোরাম এর আয়োজনে  উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত জলই মহুয়া  কটেজে রবিবার (২১ এপ্রিল) দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মেম্বার ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সোহেল। 

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি এক মিলন মেলায় পরিনত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ( মেম্বার) মৃতুবরণ করায় তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করে অনুষ্ঠান শুরু হয়। 

উক্ত অনুষ্ঠানে  আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু, চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট ইয়াকুব আলী, চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ মীর ফরহাদুল আলম মনি। 

ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন, খন্দকার সামছুল আরেফিন শরিফ, সজীব আহমেদ, আবুল খায়ের মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যষ্ঠিনা নকরেক, নিগার সুলতানা রুবি, মিনারা বেগম,সন্ধা সিমসাং সহ আউশনারা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, অরণখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, বেরীবাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন।

উক্ত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মেম্বার ফোরামের  কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রোস্তম আলী, মিঃ প্রবীর বর্মন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক শরাফত আলী, আবুল হোসেন,  সাংগঠনিক সম্পাদক মিঃ তুষার রেমা সহ অন্যান্য কার্যকরী কমিটির সদস্য সহ ফোরামের সকল সদস্যগন উপস্হিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা  করেন মেম্বার ফোরামের সহ-সভাপতি মিঃ প্রবির বর্মন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে চেয়ারম্যান সমর্থককে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃবরগুনা জেলার আমতলীতে ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক হিরন গাজী (৫০) কে ছুরিকাঘাতে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকার হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মেতাহার মৃধার সমর্থক মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার এমন অভিযোগ করেন।  পুলিশ নিহত হিরন গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নের পুর্ব মহিষডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে অনিল সাজ্জাল বাড়ীর সামনে বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে। 

জানাগেছে, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অভিযোগ রয়েছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও আবুল বাশার নয়ন মৃধা ভোটারদের টাকা বিতরন করছেন । বুধবার রাত ১১ টার দিকে আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৪০-৪৫ জন পুর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের টাকা দিচ্ছিল। এ সময় মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে টাকা দিতে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় নয়ন মৃধার সমর্থকরা। এক পর্যায় আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৬-৭ জন তাকে ছুিরকাঘাত করে। ওই ছুরিকাঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষনিক হিরনের সহযোগী মিলন সরদার, ও দেলোয়ার সরদারসহ ১০/১২ জনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। ওই রাতেই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার রুহল আমিন ও ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে আবুল সরদারের ছেলে কাদের সরদার ও তার লোকজন হিরনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থকরা গ্রামে টাকা বিতরন করতেছিল। এতে মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে বাঁধা দেয়। এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে নয়ন মৃধার সমর্থক শহীদ মালাকার, ইউসুফ মাতুব্বর ও কাদের সরদারসহ ৬/৭ জনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আমাদেরকেও তারা ধাওয়া করেছে। 

নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, মোর কিছুই রইলো না। ওরা মোর স্বামীরে মাইর‌্যা হালাইছে। মুই এ্যাইয়ার বিচার চাই।  

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার নেতৃত্বে তার ভাই পান্নু মৃধা ও  আজাদসহ ৪০-৫০ জন গ্রামে ঢুকে টাকা বিতরন করছিল। ওই সময় আমার লোকজন ঘোড়া ঘোড়া বলে ডাক চিৎকার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সমর্থক হিরন গাজীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি।

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি গতকাল আমার ব্যবসার কাজে বাসায় সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিলাম। মোতাহার মৃধা ও তার লোকজন দিয়েই হিরনকে হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে আমার উপর দায় চাপাচ্ছেন। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি। 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে আনার পুর্বেই ছুরিকাঘাতে আহত হিরন নামের একজন মারা গেছে। 

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ভোটারদের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় হিরন গাজী নামের একজনকে ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।  তিনি আরো বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



পুকুর থেকে দেড় লক্ষ টাকার মাছ চুরি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নানঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বেরুইন গ্রামের মৃত সফিকুল ইসলাম খানের ছেলে তারিকুল ইসলাম,দুর্লব রায়, স্বদেশ মল্লিকে পুকুর থেকে বিষ প্রয়োগ করে জাল দিয়ে ধরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে গেছে পুকুর পাড়ের লোকজনে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সকাল অনুমান সাত ঘটিকার সময় কুন্ডা ইউনিয়নের রানিয়াচং গ্রামে।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে বেরুইন গ্রামের তারিকুল ইসলাম ও তার দুই বন্ধু দুর্লব রায় আর স্বদেশ মল্লিক মিলে রানিয়াচং গ্রামে একটি পুকুর লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে।পুকুরে মাছ বড় হলে ঘটনার দিন সকালে গ্রামের আজিজুল ২৫ পিতা আহাম্মদ আলী আজিলক ৩০ পিতা পারছু মিয়া রফিকুল ইসলাম ৩৬ পিতা জায়দুলসাইদুল ইসলাম ৫০ পিতা হেলাল ৩৮ পিতা আব্দুল মিয়া আল্লাদি বেগম ২৮ স্বামী রাসেল মিয়াজিল্লুরা বেগম ৩০ স্বামী সাইদুলআশিক মিয়া ৪৭ পিতা সোহেল ৩০ পিতা আবু বক্কররিপন ৪৫ পিতা আবিদ মিয়ারাবিয়া বেগম ২৫ স্বামী সোহেল মিয়া মোখলেছ মিয়া ৩৫ পিতা পারছু মিয়া পারছু মিয়া ৬০ পিতা ইয়াজুল ইসলাম ৩৭ পিতা আহাম্মদ আলী সহ আরো অনেকেই মিলে চুরি করে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে জাল দিয়ে ধরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মাছ নিয়ে যায়।

মালিকরা জানায় ওই ঘটনাটি গ্রামের সর্দাররা সালীশে বসে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া এখন মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর