Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন

মধুপুরে শ্রী শ্রী মদন গোপাল দেব বিগ্রহ মন্দিরের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২২৪জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ 

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শ্রী শ্রী মদন গোপাল দেব বিগ্রহ মন্দিরের কার্যকরী পরিষদের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ১০টায় শ্রী শ্রী মদন গোপাল মন্দিরের নিজস্ব ভবনে  ভোট গ্রহন শুরু হয়ে  চলে  বিকেল চারটা পর্যন্ত। মোট ভোটারের সংখ্যা ২১৪ জন এবং  প্রার্থীর সংখ্যা  ৩৫ জন। সভাপতি পদে ২ জন, সহ সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন, সহ- সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন,প্রচার সম্পাদক পদে ২ জন, সমাজ কল্যাণ পদে ২জন,পাঠাগার পদে ২জন, কার্যকরী সদস্য পদে মোট ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।



নির্বাচনের দায়িত্বপালন করেন উপদেষ্টা মন্ডলী / নির্বাচন কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা শ্রী মধুসূদন সাহা, উপদেষ্টা শ্রী দুলাল চন্দ্রসাহা, ডাঃ জহর লাল চৌধুরী, শ্রী বিধুভূষণ মজুমদার, শ্রী ভানুরাম সাহা, শ্রী সাধন মজুমদার, অধ্যাপক মানিক চন্দ্র বসু। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে বলে জানান  উপদেষ্টা মন্ডলী/ নির্বাচন কমিশন এর প্রধান উপদেষ্টা শ্রী মধুসুদন সাহা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন মধুপুর থানার এস, আই, মামুনুর রশিদ, এস, আই, মেহেদী হাসান,এস আই আনিছুর রহমান সহ সঙ্গীয় ফোর্স।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মারা গেছেন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি (৮৫) মারা গেছেন।

সোমবার (৬ মে) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) কিংবদন্তি এই কোচের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্সে’এক পোস্টে এএফএ লিখেছে, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!

মেনোত্তির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের অধিনায়ক নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে লেখেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।

আর্জেন্টিনার জার্সিতে এখন তিনটি তারকা। তারকাখচিত এই জার্সি একসময় ফাঁকা ছিল। মেনোত্তির হাত ধরেই আর্জেন্টিনার জার্সিতে স্থাপিত হয় প্রথম তারকা। সময়টা ১৯৭৮। মেনোত্তি সেই আসরে প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ উপভোগ করান।

আলবিসেলেস্তাদের বিশ্বকাপ জেতানোর পরই নিজের দায়িত্ব শেষ করে দেননি মেনোত্তি। পরের বছর অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে বিশ্বজয় করেছিল ল্যাটিন আমেরিকার দেশটি। আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম যুব বিশ্বকাপ।


আরও খবর



তানোরে রাস্তার কার্পেটিং কাজে ব্যাপক অনিয়ম

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮১জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে রাস্তার কার্পেটিং কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন (ইউপির) আড়াদিঘি গ্রামের রাস্তায় ঘটেছে অনিয়মর ঘটনাটি। গত বৃহস্পতিবারে রাস্তাটিতে কার্পেটিং করা হয়েছে।  নিম্মমানের কাজে গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে কার্পেটিং দেয়া হয়েছে। এতে করে রাস্তার টিকসই নিয়ে সন্ধিহান গ্রাম বাসী।

আড়াদিঘি গ্রামের তোফাসহ  কয়েকজন ব্যক্তি জানান, রাস্তাটি ট্যাক্টর দিয়ে উল্টিয়ে পুরাতন খোয়া ও রাস্তার ধূলা মাটি দিয়ে বেড তৈরি করা হয়। তিল পরিমান নতুন খোয়া বালি ব্যবহার করা হয়নি। দীর্ঘ প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রাইম কোর্ড করে রাখা হয়। একারনে রাস্তার বেশির ভাগে প্রাইম কোর্ড উঠে যায়। উঠে যায় জায়গায় নতুন ভাবে পিচ বা বিটুমিন না দিয়ে গত বৃহস্পতিবার কার্পেটই করা হয়েছে। কার্পেটিং করার আগ মুহূর্তে কোন ধরনের যান চলাচল করতে দেয়া হয়নি। অথচ ড্রাম ট্রাকে করে পিচ পাথর আনা হয়েছে। একারনে বেশির ভাগ জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হলেও তার উপরেই পিচ দেয়া হয়েছে। আমরা বাধা দিলে ঠিকাদারের লোক জন সরকারি কাজে বাধা দেয়ার মামলার ভয় দেখায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অফিসের লোকজন ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে অফিসের লোক না থাকার কারনে ইচ্ছে মত দায় সারা কাজ করেছে ঠিকাদারের লোকজন।
জানা গেছে, VRRP প্রকল্পের আওতায় তানোর আমনুরা রাস্তার আড়াদিঘি সড়কের মেরামত কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ ফারুক চৌধুরী। উদ্ধোধন করলেও তারিখ দেয়া নাই। ১৩০০ মিটার রাস্তার কাজের বিপরীতে বরাদ্দ  ৭২ লাখ ৩৭ হাজার ৭২৯ টাকা,  চুক্তি মূল্য  ৬৯ লাখ ১০ হাজার ৪২ টাকা। দরপত্রে কাজটি পায় এক ঠিকাদার তার নিকট হতে এলজিইডি অফিসকে ম্যানেজ করে অগ্রিম কয়েক পারসেন লাভ দিয়ে কিনে নেয় রাজশাহীর ঠিকাদার রেবেল বলে নিশ্চিত করেন তার ম্যানেজার মনির ও এলজিইডি অফিসের কার্যসহকারী রাকিবুল হাসান এবং শরিফুল ইসলাম।

ঠিকাদারের ম্যানেজার মনির জানান, এঠিকাদার কোন অনিয়ম করে কাজ করেনা। একাজে ঠিকাদারের প্রচুর লোকসান। তাহলে কিনে কেন করতে হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, যারা কাজ করে বসে থাকতে পারেনা। লাভ ও লোকসানের কথা সব সময় ভাবা যায়না।
কার্যসহকারী রাকিবুল হাসান ও শরিফুল জানান, ড্রাম ট্রাকে করে অনেক দূর থেকে মালামাল এনে কার্পেটিং করা হচ্ছে। সব কিছুই সিডিউল অনুযায়ী হচ্ছে। ড্রাম ট্রাকে মালামাল আনার কারনে রাস্তার দুপাশের প্রাইম কোর্ড উঠে গেছে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন ওই সব জায়গায় সিল কোর্ট করা হবে। তবে সিল কোর্ট করা হয়নি, তার উপরেই কার্পেটিং করা হয়েছে। 

উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে, যদি কোন অনিয়ম হয় বিল দেয়া হবে না।

আরও খবর



রূপগঞ্জে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃগ্রীষ্মের শুরু থেকেই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় বৃষ্টি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। গতকাল ২৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১টায় রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার রূপসী গন্ধর্বপুর সাইনবোর্ড ঈদগাহ মাঠে সাইনবোর্ড ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করা হয়। ইসতিসকার নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য অশ্রæ সিক্ত চোখে প্রার্থনা করেছে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

অনাবৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ হাহাকার করছে। এ কারনে নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে তীব্র গরম থেকে পানাহ চেয়ে রহমতের জন্য দোয়া পরিচালনা করা হয়। এ ইসতিসকার নামাজের ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন গন্ধর্বপুর বড় মসজিদের ইমাম মুফতি শাকির মাহমুদ। 

দুই রাকাত নামাজের পূর্বে নসিহতপূর্ণ আলোচনা করা হয়। নামাজে আদায় শেষে আল্লাহতালার দরবারে দুই হাত তুলে কান্না জড়িত কন্ঠে মোনাজাত করেন মুসুল্লিরা। অসহনীয় তীব্র রোধ ও চলমান প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারণে অতিষ্ঠ মানুষ সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের জন্য দুহাত তুলে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন।

শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ইসতিসকার নামাজে অংশ নিয়েছে অসংখ্য মানুষ।মোনাজাতে জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণীসহ সকলকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

এছাড়াও মুড়াপাড়ার দড়িকান্দী, দাউদপুরের বেলদী, রূপগঞ্জের শিমুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অনুরুপ ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। 

   -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে : ৪২. ৬ ডিগ্রি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে ৪২. ৬ ডিগ্রি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, কয়েকদিন দিন ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এক ডিগ্রি করে বাড়ছে প্রতিদিনই তাপমাত্রা। গত তিন দিন আগেও বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ দিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার যশোরে তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রচণ্ড এ তাপদাহে নাকাল হয়ে পড়েছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন।শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। গরমে গলে গেছে বেশ কয়েকটি পিচঢালা সড়ক। এরই মধ্যে প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই যাত্রী বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন রিকশা চালকরা। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, খোলা আকাশের নিচে হাঁটলেও গরম বাতাস লাগছে চোখে-মুখে। যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাচাঁর চেষ্টা করছেন অনেকেই। স্বস্তি পেতে শ্রমজীবী মানুষ রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ হাতে মুখে পানি দিয়ে ঠান্ডা হওয়ার চেষ্টা করছেন। আর শিশু কিশোররা গরম থেকে রেহাই পেতে মাতছে জলকেলিতে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অস্বস্তি বাড়বে।


আরও খবর



মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৮০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃচলতি মৌসুমে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুরের জনপদ। এমন অবস্থায় খরার কবলে পড়েছে বোরো ধানের আবাদ। সেচ দিতে দিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের জমি।

একদিকে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে আবার মাটি শুকনা থাকায় দ্রুত শুষে নিচ্ছে পানি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্পুরক সেচ দিয়ে বোরো ধান টিকিয়ে রাখার পরামর্শ কৃষি বিভাগের। তবে এতে চাষ খরচ বেড়ে যাচ্ছে দিগুন থেকে তিনগুণ। অনেকেই ধান ক্ষেত পরিপক্ক হবার আগেই কেটে ফেলছেন।

কৃষি বিভাগের হিসেবে মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে। তবে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর। বর্তমানে ধানে থোড় থেকে শীষে রুপ নিয়েছে। আবার অনেক এলাকায় ধানক্ষেত অর্ধ পরিপক্ক। এমন এক সময় খরার কবলে পড়েছে বোরো আবাদ। তীব্র তাপদাহে ধানের জমির মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।

কৃষকরা জানান, জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দেওয়া লাগছে। এদিকে অতি তাপদাহের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো ম্যাশিনে পানি উঠছে কম। ফলে সময় বেশি লাগায় এক লিটার ডিজেলের পরিবর্তে কোন কোন জমিতে প্রতিদিন দুই লিটার করে ডিজেল খরচ হচ্ছে। এতে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। ফলে এবার বোরো চাষে লোকসানের আশঙ্কা করছে চাষীরা। তাই ক্ষেতের ধান পরিপক্ক হবার আগেই অনেকেই কেটে ধানক্ষেত কেটে ফেরছেন।

সহড়াবাড়িয়া গ্রামের ধানচাষি গোলাম কিবরিয়া জানান, প্রচ- খরায় একদিকে যেমন ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে দেখা দিয়েছে পোঁকার আক্রমন। বালাইনাশক ব্যবহারেও কোন কাজ হচ্ছে না। মাস খানেক আগে যে জমিতে সপ্তাহে দুদিন সেচ দিতে হতো, সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ছে অনেক গুন। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

বালিয়াঘাট গ্রামের চাষি নাহারুল জানান, রোদে ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়ে টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। কাচা ধান কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন।

গাংনীর জুগির গোফা গ্রামের কৃষক আবুল হাসেম জানান, ধান আবাদ করে এবার লোকসান গুনতে হবে। সেচের পানিতে এবার উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরোপুরি ধান পাকতে আরো ১৫/২০ দিন সময় লাগবে। প্রতিদিন পানি দেয়া সম্ভব না তাই অপরিপক্ক ধান কেটে নিচ্ছেন তিনি। একই কথা জানালেন বাথানপাড়ার আব্দুল মান্নান। তার আড়াই বিঘা জমির ধান বাধ্য হয়ে কেটে ফেলেছেন।

সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের চাষী আলামিন জানান, খরাতে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ পাশাপাশি বেড়েছে পোকার আক্রমন। বিষ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছেনা। যে জমিতে সপ্তাহে তিনদিন সেচ দিয়েই চলতো সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে এবার। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এবার দীর্ঘদিন খরার চলছে। ফলে জমির মাঝে মাঝে কিছু শীষ মরে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জমিতে সেচ দিয়ে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি জমিয়ে রাখার এবং পোকামাকড় দমনে কীটানাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর