Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মধুপুরে হেরোইন সহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২২৬জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইল:টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন চাড়ালজানী খান পেট্রোল পাম্পের পূর্ব পাশ থেকে ৮০হাজার টাকার হেরোইন সহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২৫অক্টোবর)রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মধুপুর থানাধীন পৌরসভাস্থ চাড়ালজানী খান পেট্রোল পাম্পের পূর্ব পাশে জনৈক ইছহাক এর কাঠের দোকানের সামনে থেকে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমানের দিকনির্দেশনায় চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই হুমায়ুন ফরিদীর নেতৃত্বে একটি মাদক অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে গোদাগাড়ী উপজেলার ইউসুফ আলীর ছেলে শাহীন মিয়া(২২), মধুপুর উপজেলাধীন বৃত্তিবাড়ী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে মিনারুল ইসলাম(৩২),জলছত্র এলাকার মৃত আঃ মজিদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০) এবং কাকরাইদ এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া (৩০)কে গ্রেফতার করিয়া তাদের নিকট হইতে ৮০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। যাহার মূল্য ৮ লক্ষ টাকা। অনেক দিন পর মধুপুর থানা পুলিশ মাদকের একটি বড় চালান ধরতে সক্ষম হয়েছেন। এই সংক্রান্তে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু সহ আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



নাসিরনগরে সর্বত্রই এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিঃ মিঃ দুরে সর্ব উত্তরে হাওড় বেষ্টিত অঞ্চল নাসিরনগর।এক সময় নাসিরনগরকে বলা হতো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পশ্চাদপদ একজনপদ।আর এখন নাসিরনগরের সর্বত্রই বিরাজ করছে মাদক।এক কথায় নাসিরনগর এখন মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে।এই মাদকের ছড়াছড়ির জন্য অনেকে আবার যোগাযোগ ব্যবস্থাকেই দায়ী করছে।অনেকেই বলছে এ সমস্ত মাদক  বিজয় নগর উপজেলার চান্দুরা,হরশপুর,মেরাশানী থেকে  সড়ক পথে মাধবপুর হয়ে সহজে নাসিরনগরের বিভিন্ন ইউনিয়নে ও পরে গ্রামে ডুকে পরে।আর এ সমস্ত মরণনেশা মাদকের কারনে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

আর মাদকে আকৃষ্ট হয়ে অনেক যুবকই আজ বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।তাই যুব সমাজকে রক্ষা করতে মাদক বন্ধ করা একান্ত আবশ্যক বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের মাঝে সব চেয়ে মাদকের বেশী ছড়াছড়ি রয়েছে ধরমন্ডলে।তাছাড়াও যে সমস্ত ইউনিয়নে মাদকের বেশী ছড়াছড়ি রয়েছে সেগুলো হল  ফান্দাউক চাতলপাড়,গোয়ালনগর,ভলাকুট,গোর্কণ,হরিপুর,গুনিয়াউক,কুন্ডা ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে।উল্লেখযোগ্য মাদকের মাঝে রয়েছে মরণনেশা ইয়াবা বা বাবা,ফেনসিডিল,গাঁজা,ছোলাইমদ ও সল্পসংখ্যক হিরোইন।

সম্প্রতি নাসিরনগর থানা পুলিশ  কিছু দিন পূর্বে গোপন সুত্রের ভিত্তিতে ধরমন্ডল থেকে কামরুল নামের এক যুবককে ছশত ফিস ইয়াবা ও ৫০ গ্রাম হিরোইন সহ গ্রেপ্তার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।সম্প্রতি নাসিরনগর সদরে প্রায় সাত মন বাংলা ছোলাই মদ জব্দ করে থানা পুলিশে  সোর্পদ করে এক ছাত্রলীগ কর্মী।১৭ নভেম্ভর ফান্দাউকের দুই মাদকসেবী ডেঙ্গু মিয়ার ছেলে ইসমাইল ও মতিন মিয়ার ছেলে রুমান মিয়াকে মোবাইল চোর সন্দেহে আটক করে ইউপি সদস্য জাকারিয়া জাকির সহ স্থানীয়রা গণধোলাই দেয়।

ভলাকুট ইউনিযনের ভলাকুট বাজারে সাত্তার মিয়ার ঘরে ও গোলাপ খার পুরি সিঙ্গারার দোকান আর হোটেলের ভেতরে দিনরাত প্রকাশ্যে চরছে বাদক বিক্রি আর সেবন।মাদক বিক্রেতারা সুন্দর সুন্দর প্যান্ট শার্ট আর জামা কাপড় পড়ে ভদ্রবেশে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে পকেটে করে বিক্রি করছে এ সমস্ত  মরণনেশা বাবা আর ইয়াবা।অনেকেই আবার বিভিন্ন রাস্তাঘাটে,হাটেবাজারে  সদরে,  বিভিন্ন সিএনজি স্টেশন,ইটভাটা আর জনসমাগম আছে যেখানে সেখানেই এ সমস্ত মাদক বিক্রি করছে।বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত কয়েকজন জনপ্রতিনিধির  বিরোদ্ধেও  রয়েছে মাদক বিক্রির অভিযোগ।

নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেনের ভাতিজা রাজিব ও বড়সড় ভাবে  ইয়াবা ব্যবসা শুরু করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।চাচা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে রাজিব  মাদক ব্যবসার পাশা পাশি শুরু করে বেপরোয়া জীবণযাপন।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন,গ্রাম ও প্রান্ত থেকে মাদক ব্যবসা নির্মুলে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে পুলিশ প্রসাশন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের  সৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী সহ এলাকার সচেতন মহল।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বিজয়ের মাসের প্রথম দিন বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় কক্সবাজারের আইকনিক রেল স্টেশন থেকে এক হাজার ৩০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে এই রুটের প্রথম ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’।

যা রাত ৯টা ১০ মিনিটে কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর কথা রযেছে। পরে রাত সাড়ে ১০টায় আবারও কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি।

কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী জানান, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতিসীমা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ২ হাজার ৩৮০ টাকা।

অপর দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।

প্রসঙ্গত কয়েক দফা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সফল কার্যক্রম শেষে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রেল সংযোগ উদ্বোধনের সময় ডিসেম্বর থেকে দুটি ট্রেন চালুর নির্দেশনা দেন।


আরও খবর



বিএনপি নিজেরাই অফিসে তালা মেরে রেখেছে: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি নিজেরাই তাদের অফিসে তালা মেরে রেখেছে। তবে তারা অফিস খুলে কার্যক্রম চালালে ডিএমপির কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধদের দেখতে এসে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

চোরাগুপ্তা হামলার কারণে নাশকতা থামানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এরইমধ্যে হাতেনাতে ১৩ জনকে অগ্নিসংযোগের সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জনগণের সহযোগীতা বাড়লে নাশকতা নির্মূল আরও সহজ হয়ে যাবে।

অবরোধের সময় অগ্নি দুর্ঘটনায় আহতদের পুলিশের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত এবং অনেকে আহত হন। এরপর থেকে বিএনপির অফিসে তালা ঝুলছে।


আরও খবর



জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও শ্রেষ্ঠ খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামগণের মাঝে চেক ও সনদ বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৬জন দেখেছেন

Image
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জ জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ  ইমাম ও শ্রেষ্ঠ খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামগণের ২৫ জন এর  মাঝে ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ২ শত, ৫০ টাকার চেক ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে এ কে  শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে চেক ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক আহামেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও শ্রেষ্ঠ খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামগণের ২৫ জনের মাঝে চেক ও সনদ হাতে তুলেদেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে পালন করবে, বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আজকে আপনারা জেলা পর্যায়ে সন্মাননা টাকার চেক গ্রহণ করছেন আগামীতে আমি আশা করবো ইনশাআল্লাহ জাতীয় পর্যায়ে সন্মাননা পাবেন, এই আশা করছি। এবং  অন্যের ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেন সৃষ্টি না হতে পারে। কারণ, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম।

শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ইসলাম শান্তির ধর্ম, সহনশীলতার ধর্ম, যা আমাদের নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়েছেন। তাঁর যে বিদায় হজের বাণী, সেই বাণীই আমরা অনুসরণ করি-কাজেই সেদিকে লক্ষ রেখে আমাদের দেশের কোনো ছেলেমেয়ে যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে, সে জন্য আপনারা যথাযথ শিক্ষা দেবেন এবং সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। মুষ্টিমেয় লোকের জন্য আমাদের প্রকৃত যে ধর্ম, শান্তির ধর্ম, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। 

জেলা পর্যায়ে প্রথম হওয়ায় আব্দুল লতিফ তিনি তার অনুভূতিতে প্রকাশ করে বলেন,তাঁর এ কৃতিত্বের জন্য মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করে জানান, আগামীতে আমি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা মডেল কেয়ার টেকার নির্বাচিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে সবার নিকট দোয়া চাই।

উল্লেখ্য ঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে মসজিদের ইমামগণকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেখান থেকে বাচাই করা হয় অর্থাৎ নির্বাচন করা হয় জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ,


আরও খবর



আত্রাইয়ে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। এ বার্তার সাথে সাথে উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রতিটি মাঠ জুড়ে এখন শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন সবুজের হাতছানি। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষক পরিবারগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। ক্ষেতগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

পুবালি বাতাস, শিশির ভেজা কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে কৃষকেরা জমিতে হাল চাষ, চারা রোপণ, ক্ষেতে পানি ও ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করাসহ নানা কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুধু নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব সবজি। শীতের শুরুতে নওগাঁ সদরসহ পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোতে বিভিন্ন জাতের সবজি পাঠাবে এ উপজেলার কৃষকরা। সবুজে সবুজে ভরে উঠছে উপজেলার প্রতিটি ফসলের মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি সীম গাছের ডগা, শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, করলা, পটল, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতকালীন সবজির চারা। তাই মাঠে মাঠে এসব ফসল পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত কৃষকরা। কাক ডাকা ভোরে কোদাল, নিড়ানী, বালতি, স্প্রে মশিন ইত্যাদি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে এখন কৃষকরা। ক্ষেতে নেমে পড়েন সবজি পরিচর্যায়। বিকেল অবধি মাঠেই চারার গোড়ায় পানি ঢেলেই ফিরছেন সবাই বাড়ি। তাদের কেউ দাঁড়িয়ে কোদাল চালাচ্ছেন, অনেকেই গাছের গোঁড়ালির পাশ দিয়ে ঘোরাচ্ছেন নিড়ানী, কেউবা খালি হাতেই গাছগুলো ঠিক করছেন।

কেউ বা নুয়ে পড়া চারার স্থলে সতেজ চারা প্রতিস্থাপন করছেন, এভাবে শীতকালীন সবজি নিয়ে চলছে কৃষকের কর্মযজ্ঞ। বেড়েই চলছে কৃষকদের কাজের চাপ। ধান চাষে তেমন একটা সুবিধা করতে পারছেন না অনেক কৃষক। কোনোভাবেই লোকসান ঠেকাতে পারছেন না তারা। তাই রকমারি সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন উপজেলার অনেক কৃষক। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন ও তারাটিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম ও মির্জাপুর গ্রামের কৃষক শ্রী নেপাল বলেন, সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলকভাবে মূলধনও কম লাগে। পরিশ্রমও তুলনামূলক কম। তবে সেবা ক্রটি করা যাবে না।

কিন্তু রোগবালাই দমনে সবজি ক্ষেতে কীটনাশক বেশি প্রয়োগ করতে হয়। স্বল্প সময়েই সবজি বিক্রি উপযোগী হয়ে ওঠে। প্রায় প্রতিদিনই বাজারে সবজি বিক্রি করা যায়। পরিবারের চাহিদাও মেটানো সম্ভব হয়। ক্ষেতে সবজি থাকা পর্যন্ত প্রত্যেক কৃষকের হাতে কমবেশি টাকা থাকে। যা অন্য ফসলের বেলায় সম্ভব না। এছাড়া চলতি মৌসুমে সবজির দামও বেশ ভালো। সবমিলিয়ে সবজি চাষকেই এসব কৃষকরা লাভজনক মনে করছেন। এ বিষয়ে উপজেলার তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান বলেন, সবজির কদর সারাদেশেই রয়েছে। তবে তা আগাম চাষ করতে পারলে আরও বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করলে কীটনাশকমুক্ত সবজি চাষ করা সম্ভব।

উপজেলার ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মার্জিয়া পারভিন বলেন, শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন সবজি চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সবজি ক্ষেতে পোকামাকড় আক্রমণ করবেই। সেজন্য কীটনাশক ব্যবহার না করেই আধুনিক বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকামাকড় দমন করা সম্ভব।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তাপশ কুমার রায় বলেন, কৃষকদের সবজি চাষে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। বর্তমানে সীম, বেগুন, লালশাক, মুলা শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো এর আবাদ চলছে বলে তিনি জানান। সবজি চাষে যুক্ত উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ উৎফুল্ল। কারণ তারা প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশের জন্য এবার উৎপাদিত ফসলের ফলন ও দাম বেশ ভালো পাবেন বলে তিনি মনে করছেন। কৃষি বিভাগের লোকজনের নিয়মিত মনিটরিংয়ে আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার বেড়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বাড়ায় কৃষকদের মুনাফাও বেড়েছে কয়েকগুণ। চাষিরা এখন বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষাবাদ করে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে বলেও জানান।


আরও খবর