Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

মধুপুরে হিরোইন সহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মধুপুর থানাধীন বোকারবাইদ (নতুনবাজার) এলাকার মৃত জহুর আলীর ছেলে আঃ রহিম বাদশা মিয়া(৪০) এর নিকট হতে ১লাখ ১০ হাজার টাকার হিরোইন উদ্ধার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ী রহিমের বসতবাড়ীর পূর্ব পাশে পাকা রাস্তায় মাদক অভিযান পরিচালনা করিয়া তাহার নিকট হইতে মাদকদ্রব্য দুই পোটলা হেরোইন যাহার মূল্য আনুমানিক ১লক্ষ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এই সংক্রান্তে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু সহ আসামীকে অদ্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



ড. ইউনূসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৪০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি দিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন ৪০ জন বিশ্বনেতা। পড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে চিঠিটি প্রকাশিত হয়েছে।

ইংরেজিতে লেখা চিঠিতে ৪০ বিশ্বনেতা বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমরা বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আপনাকে লিখছি, যারা আপনার দেশের জনগণের সাহস ও উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রশংসা করে। আমাদের মধ্যে সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতা ও সমাজসেবক আছেন। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মতো আমরাও বাংলাদেশে উদ্ভাবিত ও সারা বিশ্বে গৃহীত উদ্ভাবনগুলো দ্বারা অনুপ্রাণিত।

আপনার দেশের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা থেকেই আমরা আপনাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের একজন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মহান অবদানকে সমর্থন ও স্বীকৃতি দিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে আপনাকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখছি। ড. ইউনূসের ভালো থাকা, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মানবিক উন্নয়নে তিনি যে অবদান রেখে চলছেন, তা অব্যাহত রাখতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে।

আমরা নিশ্চিত, আপনি জানেন যে বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের অবদান, বিশেষ করে অতিদরিদ্র ও সবচেয়ে বিপদাপন্ন মানুষের জন্য তার অবদান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সম্মানিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অধ্যাপক ইউনূস ইতিহাসের সাত ব্যক্তির মধ্যে একজন, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম ও কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। এই সাতজনের মধ্যে নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, মাদার তেরেসা ও এলি উইজেলের মতো ব্যক্তিরা আছেন।

তিনি ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। একে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। যার ঋণগ্রহীতা ৯০ লাখ, তাদের ৯৭ শতাংশ নারী। প্রতিষ্ঠানটি লাখো মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছে। সারা বিশ্বের অন্যান্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির জন্য একটি মডেল তৈরি করেছে। গত শতকের আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে গ্রামীণ ব্যাংক ২০০-৫০০ মার্কিন ডলারের গৃহনির্মাণ ঋণ দেওয়া শুরু করে। এর মাধ্যমে সাড়ে সাত লাখের বেশি পরিবার গ্রামীণ বাড়ি তৈরি করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ শক্তি প্রতিষ্ঠা করেন, নেতৃত্ব দেন। এই গ্রামীণ শক্তি ১৮ লাখের বেশি বাড়িতে সোলার হোম সিস্টেম চালু করেছে। হাজারো গ্রামীণ নারীকে এই সোলার সিস্টেম ইনস্টল ও মেরামতের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের গ্রামীণফোনে করা বিনিয়োগটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিনিয়োগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। যা সারা দেশে সামাজিক উদ্ভাবন বিস্তারের সুযোগ করে দিয়েছে। যেমন গ্রামীণ ক্যালেডোনিয়ান কলেজ অব নার্সিং দেশের অন্যতম বেসরকারি নার্সিং কলেজ, দেশের দরিদ্রদের জন্য চারটি চক্ষু হাসপাতাল, ১৫০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকসহ আরও অনেক কিছু আছে।

২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নিম্ন আয়ের জনগণকে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের জন্য অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ আমেরিকা প্রতিষ্ঠা করেন। এর বেশির ভাগ ঋণই ২ হাজার ৫০০ ডলারের নিচে। এটি ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণের মাইলফলক অতিক্রম করতে চলেছে। এসব ঋণের পরিশোধের হার ৯৯।

মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ টেলিকম বা গ্রামীণফোন থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হননি। বরং তিনি যেসব সংগঠন গড়ে তুলেছেন, সেগুলোর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি ঢাকায় সাদামাটাভাবে বসবাস করছেন। মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন অনবদ্য পরিশুদ্ধ মানুষ ও তার কার্যক্রমগুলো আপনার সরকারের অন্যায় আক্রমণের শিকার হচ্ছে। বারবার হয়রানি ও তদন্তের মধ্যে পড়ছে। এমনটা দেখতে পাওয়া বেদনাদায়ক। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো, এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে চিরায়ত ও সামাজিক উদ্যোক্তারা প্রস্ফুটিত হতে পারেন।

আমরা আশা করি, টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিতে কীভাবে একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে লালন করা যেতে পারে, সে বিষয়ে অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি মডেল হিসেবে বাংলাদেশ তার ভূমিকায় ফিরে আসবে। এ ক্ষেত্রে প্রথম একটি ভালো উদ্যোগ হওয়া উচিত, অধ্যাপক ইউনূসের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া। তাকে নিজ নিরাপত্তায় ব্যস্ত রাখার পরিবর্তে দেশ ও বিশ্বের জন্য আরও ভালো কিছু করতে তার শক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেওয়া।

আমরা ও বিশ্বের কোটি মানুষ আশা করি, আপনি আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবেন।

চিঠিতে সই করেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, রেজাল্টস অ্যান্ড সিভিক কারেজের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ডালি হ্যারিস, সংগীতশিল্পী ও অধিকারকর্মী বোনো, ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট লর্ড মার্ক ম্যালোক ব্রাউন, ড্যালেয়ার ইনস্টিটিউট ফর চিলড্রেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠাতা লে. জে. (অব.) রোমিও ডালাইরা, এমেরিটা চিলড্রেন’স ডিফেন্স ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মারিয়ান রিট এডেলমান, মেক্সিকোর সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিসেন্তে ফক্স, সংগীতশিল্পী পিটার গ্যাব্রিয়েল, নাসার সাবেক মহাকাশচারী রন গারেন, ইউনিসেফের সাবেক উপনির্বাহী পরিচালক ও জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব কুল গৌতম, উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস, হলিউড অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন গ্লাসগো ক্যালেডিনিয়ান ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও এমিরেটাস অধ্যাপক পামেলা গিলিসসহ ৪০ বিশ্বনেতা।


আরও খবর



ঈদ উপলক্ষে ৭ এপ্রিল থেকে মিলবে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে রেলের আগাম টিকিট বিক্রি বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রেল ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে ১০টি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ঈদের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৭ এপ্রিল থেকে।

তিনি জানান, এবার কাউন্টারে কোনো বিক্রি হবে না; শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।


আরও খবর



বিএনপি অস্তিত্বহীন দলে পরিণত হয়েছে: বাহাউদ্দিন নাছিম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপির নেতা মুচলেকা দিয়ে দেশের বাইরে চলে গেছেন। তিনি আর রাজনীতি করবেন না, বাংলাদেশে কখনো আসবেন না। বিদেশে পালিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেউলিয়া হয়ে যাওয়া রাজনৈতিক দলের মুখে অনেক কথা মানায়। তাদের নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে নেওয়া দরকার। তারা নিজেরাও জানে না, তারা অস্তিত্বহীন রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।

আজ শুক্রবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৩-২৫ মেয়াদে  নবনির্বাচিত নির্বাহী কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন। 

নাছিম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত আওয়ামী লীগ ভীত হয় না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়ান না, বীরের মতো সংগ্রাম করেন। তারা অতীতে কারো কাছে মাথা নত করেননি।

তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিবে। নির্বাচনে সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে কোনো ব্যত্যয় ঘটার সুযোগ নেই।

নাছিম বলেন, যে যার রাজনীতি করার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। সময়ই বলে দেয়, জনগণ আন্দোলনকারী নাকি সরকারের সঙ্গে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার পক্ষে। বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ষড়যন্ত্র অথবা বিরাজনীতিকরণ। 

আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করলে প্রতিহত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নৈরাজ্য-অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে তারা বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে নিয়ে গিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে তারা নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনে না এসে গায়ের জোরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সঠিক জবাব দেওয়া হবে।

শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সভাপতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য ফয়েজ আহমেদ, মহাসচিব ও অফিসার্স ক্লাব ঢাকার সাধারণ সম্পাদক এবং অবসরপ্রাপ্ত যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সাবেক সচিব কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সাবেক সচিব কৃষিবিদ এম এম মিজানুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ কৃষিবিদ এম আমিনুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কৃষিবিদ এসএম আলম, কৃষিবিদ সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলকসহ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির নবনির্বাচিত নেতারা।


আরও খবর



ব্যাংকে এক পরিবার থেকে তিনজনের বেশি পরিচালক নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক পরিবার থেকে তিনজনের বেশি পরিচালক হতে পারবেন না- এমন বিধান রেখে ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন-২০২৩-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।

মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, বর্তমানে এক পরিবার থেকে চারজন পরিচালক থাকতে পারেন। এটা পরিবর্তন করে এখন সর্বোচ্চ তিনজন করা হয়েছে।


আরও খবর



দুঃখপ্রকাশ মাহির, পুলিশের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর প্রতিনিধি: চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেছেন, ‘আমি লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে বলে ভুল করেছি। একজন পুলিশ কমিশনার আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট করে। তাই আমার লাইভে বলাতে পুরো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছে হয়তো। আমি সেটার জন্য দুঃখিত, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি যে দেড় কোটি টাকার কথা বলেছি, সেটা অবশ্যই তদন্ত হবে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য সবার কাছে যাব। আমি অন্যায় করে থাকলে শাস্তি মাথা পেতে নিব।

আজ শনিবার রাতে জামিনে কারামুক্ত হয়ে গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়া এলাকায় তাদের ‘ফারিশতা রেস্টুরেন্ট’র সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন মাহিয়া মাহি। এসময় তার এক মামা ও আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।

মাহি বলেন, ‘আমাকে যখন প্লেন থেকে নিয়ে আসল ইমিগ্রেশন পুলিশ আমার সাথে কাউকে কথা বলতে দিল না, আমার মামাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমি যখন রাস্তা দিয়ে আসছি, গাজীপুরের পুলিশ তারা ওয়্যারলেসে কথা পর্যন্ত বলছিল না। কারণ ওয়্যারলেসে কথা বললে যদি অন্যরা আমার লোকেশন পেয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘আমি কী এতো বড় আসামি হয়ে গেছি? আমি তো এত বড় আসামি না। আমি লাইভে একজনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, সে ডিজিটাল আইনে মামলা করেছে, আমি সেটার আসামি। কিন্তু আমি তো কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী না। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি মাত্র।আমি সবকিছু নিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। আমি মাহিয়া মাহি একটা পরিচিত মুখ হওয়ার পরও আমার সাথে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমি বার বার বলছিলাম প্রচণ্ড গরম লাগছে, আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, আমি ঠাণ্ডা পানি চাচ্ছিলাম, পুলিশ আমাকে এক ঘণ্টা পরে পানি দিয়েছে। এতো কিসের গোপনীয়তা? আমি তো এরকম কোনো আসামি না।

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমি মাহি হয়েও আজকে আমার সাথে যা হয়েছে, আমি ৯ মাসের প্রেগনেন্ট হওয়ার পর আমি যে মানবিকতা পাইনি, আমার স্বামীর বিরুদ্ধেও এ মামলা আছে। আমি আমার স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আমাকে যখন কোর্টে নেওয়া হয়েছে। কোর্টে নেওয়ার পরে জাজ তো আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবে, তার কিছুই করেননি।

তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, আপনি যখন সর্বোচ্চ অসহায় থাকবেন, আপনার জায়গা জমি নিয়ে একজন চলে যাচ্ছে। আপনি এটা নিয়ে বহুদিন ধরে লড়াই করতেছেন, যখন আপনি এটার কোনো ন্যায় বিচার পাবেন না। তখন আপনি কী করবেন? আপনি কাকে বিচার দিবেন, আমি বিচার পাই নাই। আমি একমাস ধরে ঘুরতেছি। একমাস ধরে সব জায়গায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি অভিযোগ করার পর সে (পুলিশ) আরও বেপরোয়া হয়ে গেছে। সে বেপরোয়া হয়ে ৯ মাসের প্রেগনেন্ট একটা মহিলাকে সেই এয়ারপোর্ট থেকে মনে হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী ধরে নিয়ে আসছে। একটা ঠাণ্ডা পানি দেওয়ার জন্য এক ঘণ্টা লাগছে এবং আমি শ্বাসকষ্টের রোগী বলছি। আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তারা এটার কোনো তোয়াক্কা করে নাই। আমাকে সেইভাবে ট্রিট করা হয়েছে। তাহলে বুঝেন এই লোকটা (পুলিশ কমিশনার) কতটুকু বেপরোয়া হয়ে গেছেন। এর বিরুদ্ধে আমি কী করবো? যখন দেখতেছি আমার জায়গা নিয়ে চলে যাচ্ছে একজন লোক, তখন আমি দেশে নাই, দেশে থাকলে আমি সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারতাম, সামনে গিয়ে আমি ফাইট করতে পারতাম। তখন হয়তো ফাইট-মাইট করে মামলা হতো। সেটা তো করার সুযোগ নাই। তখন আমি কী করবো, লাইভে না যেয়ে আমি কী করবো। আমি লাইভে যাওয়ার আগে বারবার কমিশনারকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু তিনি আমার কোন কথা আমলে নেননি।

পুলিশ জমি দখলের কথা বলে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকার ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা আপনি আসলে আপনি নিজে উপলদ্ধি করবেন আপনি নিজে জানবেন। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেক সময় আলামত থাকে না। আমি সামান্য জিডি করতে পারি নাই। জিডি করতে যখন গেছি তখন আমাকে থানা থেকে বলা হয়েছে ডিসি’র কাছে পারমিশন নিতে হবে। আমি যদি জিডি করতে না পারি, আপনি গিয়ে কিভাবে তা পারবেন একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে।

মাহি বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেবের সঙ্গে কথা বলবো, তার কাছে আমার আইজীবীরা যাবেন, কথা বলবেন। তারাই ওই টাকার সত্যতা বের করবেন। আমি লাইভে টাকা নেওয়ার কথা বলে ভুল করেছি। যেহেতু পুলিশ কমিশনার আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট করে। আমার লাইভে তার টাকা নেওয়ার কথা বলাটা পুরো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছে হয়তো। আমি সেটার জন্য দুঃখিত, আমি অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু আমি যে কথাটা বলেছি, দেড় কোটি টাকার কথাটা বলেছি, সেটা নিয়েও তদন্ত হোক, নিশ্চয়ই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি হচ্ছেন ন্যায় বিচারের পক্ষে, সে যেই হোকনা কেন, কমিশনার হোক, আর যেই হোক না কেন। আমি যদি অন্যায় করে থাকি আমাকে শাস্তি দিবে, আমি সেই শাস্তি মাথা পেতে নেব। আমি যেটা বলেছি, লাইভে গিয়ে ওইসব কথা বলে ভুল করেছি। আমি সেটার জন্য দেশবাসীর কাছে সরি।


আরও খবর