Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

মাথায় হাত তানোরের আলু চাষিদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৭৬জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর, তানোরগত মৌসুমে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে লাভের আশায় আলু রোপন করেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকরা। কিন্তু সেই আশায় পড়েছে হতাশার মেঘ। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। যদিও বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোয়া। তাহলে কৃষকের কঠোর পরিশ্রম অধিক খরচের এবং ঝুকিপূর্ণ আলুর বাজার কেন এত কম এমন হাজারো প্রশ্ন চাষীদের। কারা এই সিন্ডিকেট করে কৃষকদের পথে বসাতে মরিয়া,কে নিয়ন্ত্রণ করছে বাজার, কারা দাম কমাচ্ছে বাড়াচ্ছে এধরনের প্রশ্নের কোন উত্তর খুজে পাচ্ছেনা কৃষকরা।


অথচ আগাম আলু ১৮-১৯ টাকা কেজি দরে জমি থেকই বিক্রি করেছেন কৃষকরা। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, কীটনাশক সারের সিন্ডিকেটের শেষ নেই। বিশেষ করে রোপনের সময় দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে পটাশ সার। এতে করে যে কোন বছরের তুলনায় বিঘায় ১৫-১৮ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে, সেচের খরচও বাড়তি। অথচ আলু ১১ টাকা ৫০ পয়সা, ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। নেই বহিরাগত আলু কেনা ব্যবসায়ীরা। ফলে চরম হতাশায় ভুগছেন আলু চাষিরা, দাম কম থাকায় কপালে জমেছে চিন্তার ভাজ

আলু চাষি লুৎফর জানান, প্রতিবার ৯০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। গত মৌসুমে আগাম বিক্রির জন্য লোকসান কম হয়েছিল    লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে এবারও ৭৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আলু তোলা শুরু হয়েছে। সবকিছুর বাড়তি দাম। প্রতি বিঘায় ৫৫-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং লোকসান হবে বিঘায় ১৪-১৫ হাজার টাকা করে


চান্দুড়িয়া ইউপির গাগরন্দ গ্রামের গোলাম রাব্বানী জানান  গত মৌসুমে  ১২০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে লাখ টাকা লোকসান হয়। এবারো একই পরিমান জমিতে লাভের আসায় আলু চাষ করি, বাজারে যে দাম  তাতে ২০-২৫  লাখ টাকা  লোকসান গুনতে হবে। তিনি পাচন্দর ইউপির বিনোদপুর মাঠে আলু চাষ করেছেন। আলু উত্তোলন চলছে। কীটনাশক সার সেচের অতিরিক্ত খরচ। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম দ্বিগুণ হলেও আলুর বাজারে চরম ধস। 


মাহবুর রহমান মিঠু নামের আরেক চাষি জানান গতবার ১৩৫  বিঘা জমিতে লোকসান হয়েছিল ১০ লাখ টাকা। সেই লোকসান নিয়ে লাভের আসায় পুনরায় একই পরিমান জমিতে চাষ করি। কিন্তু এবার খরচের টাকাও উঠবেনা। তিনি পাচন্দর ইউপির কচুয়া মাঠে আলু চাষ করেছেন এবং উত্তোলন চলছে পাচন্দর ইউপির চিমনা গ্রামের কৃষক  শাপিউল জানান  গতবার বিঘা জমিতে আলু করে  লাখ টাকা লোকসান হয়। লাভের আসায় বিঘা জমিতে আলু চাষ করে খরচের টাকাও উঠছে না


একই গ্রামের ওমর জানান গতবার ২০ বিঘা জমিতে প্রচুর  লোকসান হয়েছিল। এবার কমিয়ে ১০ বিঘা জমিতে চাষ করে পুরোটায় লোকসান হবে মনে হচ্ছে।একাধিক আলু চাষিরা জানান, আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে হিমাগার মালিক সমিতি। তারা ইচ্ছেমত দাম নির্ধারন করে। তাদের সিন্ডিকেটের কারনে পথে বসতে হচ্ছে আমাদের। 


প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে অথচ আলুর দাম নাই। তিনমাস কঠোর পরিশ্রম করার পর আলু উঠে। লাভের জন্য চাষ করা হয়। একমাস আগে আলুর বাজার ছিল ১৮-১৯ টাকা কেজি। সেই বাজার কমে ১১-১২ টাকা কেজিতে নেমেছে। আলু রোপনের সময় দ্বিগুন দামে সার কীটনাশক কিনতে হয়েছে। যেখানে বিঘা জমিতে খরচ হত ৪০-৪৫ হাজার টাকা, আর এবার ৫৫-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।


সার কীটনাশকের বাড়তি দামের কারনে পর্যাপ্ত দিত না পারায় বিঘায় ১২-১৪ বস্তা ফলন কম হচ্ছে। আলুর বাড়তি দাম হলে কৃষি দপ্তরের বিপনণ বিভাগ হৈচৈ ফেলে দেয়। এখন দাম কম চাষিরা পথে বসছে আর তারা নিরবতা পালন করছে। এক কথায় কৃষক মরল কি বাচল সেটা কারো আসে যায় না। অথচ এই কৃষকরাই দেশে খাদ্য ঘাটতি ফেলতে দেয়নি। আর এদের নিয়েই মহা সিন্ডিকেট। কে শুনে কার কথা। আবার গভীর নলকূপ অপারেটরদের তো আছেই সেচ নিয়ে কারসাজি। বিদ্যুতের দাম বাড়তি বলে বিঘায় ১৫০০-২০০০ টাকা সেচ হার নিচ্ছে। যেখানে বিঘায় উর্ধ্বে ৪০০ টাকার বেশি সেচ হার লাগবেনা। এখানেও বেপরোয়া নৈরাজ্য


গাগরন্দ গ্রামের আলু চাষি মুসলেম জানান, গতবার ৩০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে লাখ ৭০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এবারও ৩০ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। কয়েকদিন পর তোলা শুরু করব। বর্তমান বাজার অনুযায়ি ৩০ বিঘাতে লাখ ৫০ হাজার টাকা লোকসান হবে। এভাবে লোকসান হলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না। আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে হিমাগার মালিক সমিতি। তাদের কাছে কৃষি বিপণন বিভাগ জিম্মি হয়ে আছে। তারাই যেটা করবে সেটাই সঠিক। তবে বিবিন্ন ভাবে খোজ নেওয়া হচ্ছে কোন অবস্থাতেই দাম বাড়বেনা, কিন্তু কমার সম্ভবনাই বেশি। 


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, এবারে উপজেলায় ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যা দেশের তৃতীয়। নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য রোগবালা কম ছিল। দাম তো নির্ধারন করা কৃষি অফিসের কাজ না। এজন্য বিপণন বিভাগ রয়েছে। তবে বাজারে যে দাম আছে হিমাগারে রাখলে পরে দাম পাবে বলে মনে করেন তিনি



আরও খবর



বিশ্ব পানি দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

আজ ২২ মার্চ ‘বিশ্ব পানি দিবস’। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানিসম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং তার পর থেকে এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এই দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা প্রদানসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও পানিদূষণ কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানি এবং টেকসই উন্নয়ন একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পানি ছাড়া যেমন আমাদের জীবন অচল, তেমনি জলবায়ু ও প্রকৃতি- যা আমাদের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তার স্বাভাবিক প্রবাহের জন্যও পানি অপরিহার্য। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিণত করার লক্ষ্যে আমাদের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৩ কাবাডিতে আর্জেন্টিনাকে হারাল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

আজাদ হোসেনঃবঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বিকেলের ম্যাচে মেসি-ডি মারিয়াদের দেশের দলটিকে ৭২-২৩ পয়েন্টে হারায় লাল-সবুজের দলটি।

শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে তুলেছেন বাংলাদেশের মিজানুর রহমান। খেলায় ৫, ১০, ১৫, ২১, ২৮ এবং ৩৯ মিনিটে লোনা অর্জন করে বাংলাদেশ।

প্রথমার্ধের শুরু থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে যায় দ্রুতই। প্রথম আট মিনিটে বাংলাদেশ ১৪ পয়েন্টে এগিয়ে গেলে বিপরীতে মাত্র এক পয়েন্ট তুলতে পারে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে দুই লোনা পায় বাংলাদেশ।

দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন প্রথম ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় অধিনায়ক তুহিন তরফদার। ৪৪-০৮ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে লাভ হয়নি আর্জেন্টাইনদের। আরও প্রাধান্য বিস্তার শুরু করে তুহিনের দল। ম্যাচে ফিরতে না পারায় টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় হারের মুখ দেখল লাতিন আমেরিকার দেশটি।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরাকের কাছে হেরেছে আর্জেন্টিনা। আগেরদিন প্রথম ম্যাচে পোল্যান্ডকে হারিয়ে শুরু করে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

এরআগে, দিনের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ৩৬-২৩ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে থাইল্যান্ড ৩৬-৩২ পয়েন্টে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।


আরও খবর



গোবিন্দগঞ্জে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রার্থীতা বাতিলের পাঁয়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান বিশেষ প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বর্ধনকুঠি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীর যোগসাজসে আয়া পদে নিয়োগদানের আশ্বাসে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম নিলেও নিয়োগ পরীক্ষার আগে প্রার্থীতা বাতিলের পাঁয়তারা করছে মর্মে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলেছেন ভূক্তভোগী খাদিজা বেগম।সোমবার ৬ মার্চ গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ইউনিয়ন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত চাকরী প্রার্থী খাদিজা বেগম।

তিনি উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের মো. রেজাউল করিমের স্ত্রী।লিখিত বক্তব্যে খাদিজা বেগম জানান, গত ৬ জুলাই ২০২২ দৈনিক সমকাল পত্রিকায় বর্ধনকুঠি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পাশ যোগ্যতা সম্পন্ন আয়া পদে মহিলা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান মো. রেজাউল হক ও অফিস সহকারী আশরাফুল ইসলাম আমার স্বামীর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের সাথে চাকরী পাওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক অফিস সহকারীর মাধ্যমে গত ২০ আগস্ট ৪ লাখ এবং ১০ সেপ্টেম্বর ১ লাখ টাকা গ্রহণ করে। এসময় কথা হয় নিয়োগপত্র দেওয়ার সময় আরও তিন লাখ টাকা দিতে হবে। আমার স্বামী বিভিন্ন স্থানে ধার-দেনা, মূল্যবান স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে বিগত সময়ে ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে অবশিষ্ট ৩ লাখ টাকা সংগ্রহের চেষ্টা চলমান রাখে।

বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অন্য প্রার্থীদের নিকট আরও বেশি টাকা চুক্তিতে চাকুরির আশা দিয়ে আমার প্রার্থীতা বাতিলের চেষ্টা করে। গোপনে বিষয়টি অবগত হয়ে আমরা অফিস সহকারী ও প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাদের নিয়োগ দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করছে। আমরা গরীব অসহায় হওয়ায় উক্ত পদে চাকরি পেতে সর্বস্ব নষ্ট করেছি। চাকরিটি না পেলে আমারা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হব। তাই প্রতিকার পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি উপজেলা পরিষদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপ-পরিচালক রংপুর বিভাগ, শিক্ষা সচিব, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



আরও ৪০ হাজার গৃহহীন পরিবারের মুখে হাসি ফোটালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আরও ৪০ হাজার গৃহহীন পরিবারের মুখে হাসি ফোটালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দুই শতাংশ জমিসহ নতুন ঘর তুলে দেওয়া হয় এসব পরিবারের হাতে।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারাদেশের উপকারভোগী পরিবারগুলোর কাছে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও তিনটি গৃহনির্মাণস্থল- গাজীপুরের শ্রীপুর, সিলেটের গোয়াইনঘাট ও বরিশালের বানারীপাড়াকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়। এই কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের হাতে ঘরের চাবি ও দলিল তুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। পরে তিনি এসব এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সুবিধাভোগীদের অনুভূতি শোনেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করে, যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬০ হাজার ১৯১টি ঘর, ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩০০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত মোট ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ২৯টি।

১৯৯৭ সাল থেকে এই প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/সংস্থাসহ গৃহনির্মাণ করে ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পুনর্বাসন করা হয়েছে ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে। প্রতি পরিবারের পাঁচজন সদস্য হিসেবে মোট উপকারভোগী ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন।

তৃতীয় পর্যায়ে নির্মাণ করা একক ঘরের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬৭৪টি। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৯০৪টি হস্তান্তর হয়েছে গত বছরের ২৬ এপ্রিল এবং ২য় ধাপে ২১ জুলাই জমির মালিকানাসহ ২৬ হাজার ২২৯টি হস্তান্তর করা হয়। ২২ মার্চ চতুর্থ পর্যায়ে হস্তান্তর হচ্ছে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর।

১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়সহ মোট হস্তান্তরিত একক গৃহের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি। ৪র্থ পর্যায়ে অবশিষ্ট নির্মাণাধীন গৃহের সংখ্যা ২২ হাজার ৬টি। ৪র্থ পর্যায়ে চরাঞ্চলে বরাদ্দকৃত বিশেষ ডিজাইনের গৃহের সংখ্যা ১ হাজার ৩৭৩টি এবং পার্বত্যাঞ্চলের বিশেষ ডিজাইনের মাচাং ঘর ৬৩৪টি।

এখন পর্যন্ত ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সব উপজেলাসহ সারাদেশের মোট ১৫৯টি উপজেলা।


আরও খবর



নায়কদের অর্ধেক পারিশ্রমিকও পান না বলিউডের অভিনেত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: নায়কদের অর্ধেক পারিশ্রমিকও পান না বলিউডের অভিনেত্রীরা। এ নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবার সেই অভিযোগে সুর মেলালেন ‘দেশি গার্ল’ খ্যাত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

বলিউডে ক্যারিয়ারের ২২ বছর পার করেছেন প্রিয়াঙ্কা। অভিনয় করেছেন ৬০টিরও বেশি সিনেমায়। দীর্ঘ এ ক্যারিয়ারে বলিউডে কোনোদিন পুরুষ সহকর্মীর সমান পারিশ্রমিক পাননি তিনি। তবে বলিউডে না হলেও হলিউডে তিনি নায়কের সমান পারিশ্রমিক পেয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটিই জানিয়েছেন।

এই মুহূর্তে হলিউড ছবি ‘সিটাডেল’-এর প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। সেই প্রচারের ফাঁকেই এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘হয়তো আমার কথা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে পারে। তবুও বলতে চাই- গত ২২ বছর ধরে বিনোদনজগতে নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু সব সময়ই নায়কদের তুলনায় কম পারিশ্রমিক জুটেছে। তবে এই প্রথম সিটাডেলের নায়ক রিচার্ড ম্যাডেনের সমান পারিশ্রমিক পেয়েছি। যা কিনা সত্যিই ভালো লাগার মতো ঘটনা।’

এক সময় মুম্বাইয়ের ‘দেশি গার্ল’ ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তবে গায়ক নিক জোনাসকে বিয়ে করার পর এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন প্রিয়াঙ্কা। হলিউডে প্রিয়াঙ্কার প্রথম সিরিজ ছিল ‘কোয়ান্টিকো’। তারপর একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস’ সিনেমাতেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা।


আরও খবর