Logo
আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মাথায় হাত তানোরের আলু চাষিদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩৩৪জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর, তানোরগত মৌসুমে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে লাভের আশায় আলু রোপন করেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকরা। কিন্তু সেই আশায় পড়েছে হতাশার মেঘ। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। যদিও বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোয়া। তাহলে কৃষকের কঠোর পরিশ্রম অধিক খরচের এবং ঝুকিপূর্ণ আলুর বাজার কেন এত কম এমন হাজারো প্রশ্ন চাষীদের। কারা এই সিন্ডিকেট করে কৃষকদের পথে বসাতে মরিয়া,কে নিয়ন্ত্রণ করছে বাজার, কারা দাম কমাচ্ছে বাড়াচ্ছে এধরনের প্রশ্নের কোন উত্তর খুজে পাচ্ছেনা কৃষকরা।


অথচ আগাম আলু ১৮-১৯ টাকা কেজি দরে জমি থেকই বিক্রি করেছেন কৃষকরা। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, কীটনাশক সারের সিন্ডিকেটের শেষ নেই। বিশেষ করে রোপনের সময় দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে পটাশ সার। এতে করে যে কোন বছরের তুলনায় বিঘায় ১৫-১৮ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে, সেচের খরচও বাড়তি। অথচ আলু ১১ টাকা ৫০ পয়সা, ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। নেই বহিরাগত আলু কেনা ব্যবসায়ীরা। ফলে চরম হতাশায় ভুগছেন আলু চাষিরা, দাম কম থাকায় কপালে জমেছে চিন্তার ভাজ

আলু চাষি লুৎফর জানান, প্রতিবার ৯০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। গত মৌসুমে আগাম বিক্রির জন্য লোকসান কম হয়েছিল    লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে এবারও ৭৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আলু তোলা শুরু হয়েছে। সবকিছুর বাড়তি দাম। প্রতি বিঘায় ৫৫-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং লোকসান হবে বিঘায় ১৪-১৫ হাজার টাকা করে


চান্দুড়িয়া ইউপির গাগরন্দ গ্রামের গোলাম রাব্বানী জানান  গত মৌসুমে  ১২০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে লাখ টাকা লোকসান হয়। এবারো একই পরিমান জমিতে লাভের আসায় আলু চাষ করি, বাজারে যে দাম  তাতে ২০-২৫  লাখ টাকা  লোকসান গুনতে হবে। তিনি পাচন্দর ইউপির বিনোদপুর মাঠে আলু চাষ করেছেন। আলু উত্তোলন চলছে। কীটনাশক সার সেচের অতিরিক্ত খরচ। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম দ্বিগুণ হলেও আলুর বাজারে চরম ধস। 


মাহবুর রহমান মিঠু নামের আরেক চাষি জানান গতবার ১৩৫  বিঘা জমিতে লোকসান হয়েছিল ১০ লাখ টাকা। সেই লোকসান নিয়ে লাভের আসায় পুনরায় একই পরিমান জমিতে চাষ করি। কিন্তু এবার খরচের টাকাও উঠবেনা। তিনি পাচন্দর ইউপির কচুয়া মাঠে আলু চাষ করেছেন এবং উত্তোলন চলছে পাচন্দর ইউপির চিমনা গ্রামের কৃষক  শাপিউল জানান  গতবার বিঘা জমিতে আলু করে  লাখ টাকা লোকসান হয়। লাভের আসায় বিঘা জমিতে আলু চাষ করে খরচের টাকাও উঠছে না


একই গ্রামের ওমর জানান গতবার ২০ বিঘা জমিতে প্রচুর  লোকসান হয়েছিল। এবার কমিয়ে ১০ বিঘা জমিতে চাষ করে পুরোটায় লোকসান হবে মনে হচ্ছে।একাধিক আলু চাষিরা জানান, আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে হিমাগার মালিক সমিতি। তারা ইচ্ছেমত দাম নির্ধারন করে। তাদের সিন্ডিকেটের কারনে পথে বসতে হচ্ছে আমাদের। 


প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে অথচ আলুর দাম নাই। তিনমাস কঠোর পরিশ্রম করার পর আলু উঠে। লাভের জন্য চাষ করা হয়। একমাস আগে আলুর বাজার ছিল ১৮-১৯ টাকা কেজি। সেই বাজার কমে ১১-১২ টাকা কেজিতে নেমেছে। আলু রোপনের সময় দ্বিগুন দামে সার কীটনাশক কিনতে হয়েছে। যেখানে বিঘা জমিতে খরচ হত ৪০-৪৫ হাজার টাকা, আর এবার ৫৫-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।


সার কীটনাশকের বাড়তি দামের কারনে পর্যাপ্ত দিত না পারায় বিঘায় ১২-১৪ বস্তা ফলন কম হচ্ছে। আলুর বাড়তি দাম হলে কৃষি দপ্তরের বিপনণ বিভাগ হৈচৈ ফেলে দেয়। এখন দাম কম চাষিরা পথে বসছে আর তারা নিরবতা পালন করছে। এক কথায় কৃষক মরল কি বাচল সেটা কারো আসে যায় না। অথচ এই কৃষকরাই দেশে খাদ্য ঘাটতি ফেলতে দেয়নি। আর এদের নিয়েই মহা সিন্ডিকেট। কে শুনে কার কথা। আবার গভীর নলকূপ অপারেটরদের তো আছেই সেচ নিয়ে কারসাজি। বিদ্যুতের দাম বাড়তি বলে বিঘায় ১৫০০-২০০০ টাকা সেচ হার নিচ্ছে। যেখানে বিঘায় উর্ধ্বে ৪০০ টাকার বেশি সেচ হার লাগবেনা। এখানেও বেপরোয়া নৈরাজ্য


গাগরন্দ গ্রামের আলু চাষি মুসলেম জানান, গতবার ৩০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে লাখ ৭০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এবারও ৩০ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। কয়েকদিন পর তোলা শুরু করব। বর্তমান বাজার অনুযায়ি ৩০ বিঘাতে লাখ ৫০ হাজার টাকা লোকসান হবে। এভাবে লোকসান হলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না। আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে হিমাগার মালিক সমিতি। তাদের কাছে কৃষি বিপণন বিভাগ জিম্মি হয়ে আছে। তারাই যেটা করবে সেটাই সঠিক। তবে বিবিন্ন ভাবে খোজ নেওয়া হচ্ছে কোন অবস্থাতেই দাম বাড়বেনা, কিন্তু কমার সম্ভবনাই বেশি। 


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, এবারে উপজেলায় ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যা দেশের তৃতীয়। নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য রোগবালা কম ছিল। দাম তো নির্ধারন করা কৃষি অফিসের কাজ না। এজন্য বিপণন বিভাগ রয়েছে। তবে বাজারে যে দাম আছে হিমাগারে রাখলে পরে দাম পাবে বলে মনে করেন তিনি



আরও খবর

পোরশায় কৃষদের মাঝে রবি শস্য বীজ বিতরণ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

গাংনীর ফুলকপি চাষীদের মাথায় হাত

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




ফেরদৌসকে সংবর্ধনা দেবে শিল্পী সমিতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই সহকর্মীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন এই তারকা।

এবার জানা গেলে ঢাকাই সিনেমার এই জনপ্রিয় নায়ককে সংবর্ধনা দেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। বিএফডিসিতে এ কথা জানান নিপুণ আক্তার। আগামী ১৬ ডিসেম্বর তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

নিপুণ বলেন, ফেরদৌস ভাই আমাদের প্রতিনিধি। তিনি আমাদের প্যানেলের হয়ে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করেছিলেন। আজ তিনি এমপি প্রার্থী হয়েছেন। আশা করি তিনি বিজয়ী হবেন। আমরা শিল্পী সমাজ তার সঙ্গে আছি। প্রচারণা শুরু হলে আমরা প্রচারেও অংশ নেব।

দীর্ঘ দিন ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমা দিয়ে আলোড়ন তোলা ফেরদৌস। এর আগেও তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে বিভিন্ন সময় প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।

এদিকে ফেরদৌস ছাড়াও ঢাকাই সিনেমার বেশ কয়েকজন তারকা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা কেউই দলীয় মনোনয়ন পাননি।


আরও খবর

"এক বউয়ের দুই স্বামী "

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




নিজ এলাকায় সৈয়দ ইবরাহিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইবরাহিমকে তার নির্বাচনি এলাকা হাটহাজারীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের জোট ছেড়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকালে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

এর আগে বুধবার কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সিদ্ধান্তকে বিশ্বাসঘাতকতা ও বেইমানি বলে আখ্যায়িত করেছেন তারই রাজনৈতিক সহকর্মী ১২-দলীয় জোটের নেতারা।

হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ ও সদস্য সচিব গিয়াসউদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সরকার এবং তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এহেন কর্মকাণ্ডে হাটহাজারী সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম শেষ বয়সে এসে স্বেচ্ছাচারিতা, লোভলালসায় হয়ে অনৈতিক সুযোগ- সুবিধা গ্রহণ করে এমন ঘৃণিত কাজ করেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে বিএনপি নিজ দলের ১০০ ভাগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমের মতো একজন সিঙ্গেল ম্যানকে, জোটকে সম্মান দেখিয়ে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করে এবং বিএনপির সব ইউনিট তার পক্ষে কাজ করে। কিন্তু তখনও তিনি সেই সময়ের মহাজোট প্রার্থীর কাছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন।

এতে আরও বলা হয়, মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমের নিজ নির্বাচনে কাজ করতে গিয়ে হাটহাজারী বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাকর্মী হামলা মামলা এবং নির্যাতনের শিকার হলেও মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম একবারের জন্যও কারও খোঁজখবর নেননি, সহায়তা তো অনেক দূরের কথা। তাই আমরা হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।

পাশাপাশি তাকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। আর যদি হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি পরিবারের কেউ মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমকে কোনোভাবে সহযোগিতা করেন বা যোগাযোগ রাখেন, তা হলে আমরা তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


আরও খবর



ওজন কমাবে শীতের ৩ খাবার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক : ওজন কমাতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। শারীরিক ব্যায়াম, ডায়েট মেনে চলা, নানা ধরনের ওষুধ খাওয়া ইত্যাদি। তবে এর সঙ্গে খাদ্য তালিকায় সঠিক খাবার রাখতে পারলে আরও ভালো হয়। এখন শীতের মৌসুম শুরু হয়েছে, নানা ধরনের সবজি ও ফল অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি পাওয়া যায়। তাই খাদ্য তালিকার রাখতে পারেন এগুলো।

এ শীতে কী কী খাবার খেলে দেহের ওজন কমবে, আসুন জেনে নিই:

* আপনি স্ন্যাকস হিসেবে সারাদিন স্ট্রবেরি খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন সি থাকে। তাই যখন-তখন খিদে পায় না। এতে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

* শীতে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন পালংশাক। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, সি, ডি, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ডায়াটারি ফাইবার, এবং কোয়ার্সেলিন ও কায়েম্ফোরিনের মতো এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটা দৃষ্টিশক্তির ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী।

* নারকেলের শাঁস খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা দেহের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণ করে।


আরও খবর



স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১৪ ফাইভজি’র সাথে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:সম্প্রতি, নিজেদের ‘মনস্টার’ সিরিজের নতুন সংস্করণ গ্যালাক্সি এম১৪ ফাইভজি উন্মোচন করেছে স্যামসাং বাংলাদেশ। এর ফলে, ব্যবহারকারীরা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা, ৬,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, ৫ ন্যানোমিটার এক্সিনোজ ১৩৩০ প্রসেসর এবং ৬.৬ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে। ডিভাইসটি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা উপভোগ করবেন।        

গ্যালাক্সি এম১৪ ফাইভজি’তে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা সাথে ১.৮ অ্যাপারেচার, যা অল্প আলোতেও ঝকঝকে দুর্দান্ত ছবি তোলার নিশ্চয়তা দিবে। ডিভাইসটিতে আরও রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল সেলফি লেন্স। এর শক্তিশালী ৬,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ফলে ভিডিও প্লেব্যাক করা যাবে ২৫ ঘণ্টা, এরপরও সারাদিন সচল থাকবে গ্যালাক্সি এম১৪ ফাইভজি। এখন ব্যবহারকারীরা স্বাচ্ছন্দ্যদায়কভাবে তাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন ব্যাটারি নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই, এমনকি যখন সারাদিন ধরে ফোন ব্যবহার করবেন তখনও। পাশাপাশি, ২৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং এর মাধ্যমে খুব দ্রুতই ডিভাইসটি চার্জ দেয়া যাবে।

৫ ন্যানো মিটার এক্সিনোজ ১৩৩০ প্রসেসর নিশ্চিত করবে শক্তিশালী পারফরমেন্স, যার ফলে ফোনটিতে সহজেই মাল্টি টাস্কিং করা যাবে। এ চিপসেট অনন্য থ্রিডি গ্রাফিকস দিবে দুর্দান্ত গেমিং অভিজ্ঞতা, যা গেমারদের জন্য এম১৪ ফাইভজি স্মার্টফোনটিকে আদর্শ ফোনে রূপান্তর করেছে। স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৬/১২৮ জিবি র‍্যাম। এর চমৎকার ৬.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে টেকস্যাভি জেন-জি ও মিলেনিয়াল গেমারদের গেমিং অভিজ্ঞতাকরে করে তুলবে আরও রোমাঞ্চকর। ডিসপ্লের সুরক্ষায় গ্যালাক্সি এম১৪ ফাইভজি ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়েছে গরিলা গ্লাস ৫।     

নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সুবিধা নিশ্চিতে স্মার্টফোনটি ১৩ ফাইভজি ব্যান্ড সমর্থন করবে। পাশাপাশি, গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে স্মার্ট ডিভাইসটিতে রয়েচেহ সিকিউর ফোল্ডার। গ্যালাক্সি এম১৪ ফাইভজি ব্যবহার করা হয়েছে ওয়ান ইউআই ৫.১ কোর ভিত্তিক অ্যান্ড্রয়েড ১৩। ডিভাইসটি ডার্ক ও লাইট ব্লু রঙে পাওয়া যাচ্ছে।                                                                     

স্মার্টফোনটির বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১,৯৯৯ টাকা। স্মার্টফোনটি ক্রয়ে ক্রেতারা এখন নির্দিষ্ট ব্যাংকের ইএমআই সুবিধা (শুরু ৫,৩৩৩ টাকা থেকে) গ্রহণ করতে পারবেন।


আরও খবর



জয়পুরহাটে দেশী মুরগি পালন ও ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে পোল্ট্রি ক্ষুদ্র -উদ্যেক্তাদের দেশী মুরগি ইকোলজিক্যাল ফার্মিং চর্চার এবং প্রসার উপ-প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার  (২৭ নভেম্বর ) জেআরডিএম সম্মেলন কক্ষে জেআরডিএমের আয়োজনে সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেআরডিএমের নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা:মহির উদ্দিন, জেআরডিএমের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর শওকত আলী, সহকারি পরিচালক কৃষিবিদ এন. এম ওয়ালিউজ্জামান, এসইপি প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা: স্বপন খালকো।

আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: রাশেদুজ্জামান , জামালগঞ্জ সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার, কৃষিবিদ  জুয়েল রানা, সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: জিয়াউর রহমান, ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড্: সাগরিকা কাজ্জীসহ অন্যরা।

জেআরডিএমের এসইপি প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা: স্বপন খালকো বলেন, পিকেএসএফের অর্থায়নে জেআরডিএমের কারগরি সহযোগিতায় এসইপি প্রজেক্টের আওতায় পোল্ট্রি মার্ভিস সেন্টার

জৈব নিরাপদ পোল্ট্রি খামার তৈরী, ভ্যাক্সিনেশন, সঠিক মাত্রার এন্টিবায়োটিক ব্যবহার, খামারের ডিজাইন, ফিড তৈরির নিয়ম, প্রিবায়োটিক ও প্রোবায়োটিক ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত খামার গঠন, ময়নাতদন্ত ও ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে মুরগির সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা। দেশি মুরগির প্যারেন্ট স্টক খামার পরিবেশসম্মত উপায়ে দেশি মুরগির বিস্তারে, ডিম ও এক দিনের বাচ্চা উৎপাদন বৃদ্ধি করা। দেশি মুরগির প্রদর্শনী খামার দেশি মুরগি পালনে উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হবে। জৈব নিরাপত্তা প্রদর্শনী খামার

পরিবেশ সম্মত ও জৈব নিরাপদ খামার তৈরির জন্য নির্বাচিত খামারিদের মাঝে জৈব নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ করা হবে। জৈব বর্জ্য কম্পোস্টিং চেম্বারে পোল্ট্রি খামারের বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার মাধ্যমে খামারের মানসম্মত পরিবেশ বজায় রাখি ও রোগ জীবাণু ছড়ানো থেকে বিরত থাকি । মানসম্মত মুরগি প্রিমিয়াম মার্কেটে প্রবেশ সহজিকরণ প্রকল্পভুক্ত খামারিদের দ্বারা উৎপাদিত দেশি ও নিরাপদ উপায়ে পালিত সোনালি মুরগির মাংস ও ডিম ব্র্যান্ডিং এর জন্য অনলাইনভিত্তিক প্রচার প্রচারণা বাড়ানো হবে।

জামালগঞ্জ সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার কৃষিবিদ জুয়েল রানা বলেন,দেশি মুরগি পালনের তুলনামূলক সুবিধা হলো ক্রমবর্ধমান বাজার চাহিদা। অন্যান্য জাতের থেকে পালন খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। দেশি মুরগি পালনের জন্য খুব বেশি জায়গা প্রয়োজন নেই ।সাধারণ খাবার যেমন বীজ, ঘাস, মাটি কৃমি, পোকামাকড় এবংরসামান্য পরিপূরক খাদ্য দিয়ে দেশীয় মুরগি পালন করা যায়। অল্প যত্ন, ন্যুনতম আর্থিক উপকরণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই দেশি মুরগি পালন করা সম্ভব।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: জিয়াউর রহমান বলেন, দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য সংকর মুরগির চেয়ে

বহুগুণে বেশি। দেশি মুরগি সাধারণত রাণীক্ষেত, গুটি বসন্ত, কৃমি, কলেরা ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়। তবে নিয়মিত টিকা ও কৃমিনাশকেপ্রয়োগের মাধ্যমে এসকল রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: রাশেদুজ্জামান বলেন, কেন দেশি মুরগি পালন করব? কারণ, মুরগি পালন করে যে কেউ দারুণ লাভবান হতে পারে। বাজারে দেশি মুরগির চাহিদা সব সময় অধিক থাকে, এটাই দেশি মুরগি পালনের সবথেকে বড় কারন। অন্যান্য জাতের থেকে পালন খরচ অনেক কম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায়, রোগবালাই এর প্রকোপ তুলনামুলক কম থাকে।  দেশি মুরগি পালনের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন নেই। সাধারন খাবার যেমন বীজ, ঘাস, মাটি কৃমি, পোকামাকড় এবং সামান্য পরিপূরক খাদ্য দিয়ে দেশি মুরগি পালন করা যায়। অল্পযত্ন, ন্যুনতম আর্থিক উপকরণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই দেশি মুরগি পালন করা সম্ভব। আধানিবিড় পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালন করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। জৈব এবং প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভোক্তাগণ দেশি মুরগিকে প্রিমিয়াম মূল্য দেয়া শুরু করেছে।

জয়পুরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মহির উদ্দীন বলেন, আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালন বানিজ্যিকভাবে দেশি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে আধানিবিড় পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সনাতন পদ্ধতির সাথে আধানিবিড় পদ্ধতির পার্থক্য মুলত বাসস্থান, খাবার ও খরচের মধ্যে। সনাতন পদ্ধতিতে একটি ৩৫ দিন, অন্যদিকে আধানিবিড় পদ্ধতিতে সময়লাগে মাত্র সম্পূর্ণ হতে সময়লাগে ১৩০-১৩৫ দিন, অন্যদিকে আদানিবিড় পদ্ধতিতে সময় লাগে মাত্র ৮০-৯০ দিন। যা ডিম ও মাংসের উৎপাদনকে দ্বিগুন করে। ঠিক এই কারণেই বানিজ্যিক ভাবে দেশি মুরগি পালনে আধানিবিড় পদ্ধতি আদর্শ।  আবার এতে পরিশ্রমও খুব বেশী হয়না। সেই সাথে রোগবালাই কম হয়।

জেআরডিএমের নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা বলেন, দেশী মুরগি স্বাদ ও মানে অনন্য। বর্তমান বাজারে মুরগির কোনো অভাব না থাকলেও দেশি মুরগির চাহিদা চোখে পড়ার মত। আর প্রিমিয়াম দাম থাকার কারণে, সঠিক পদ্ধতিতে দেশি পালন করে যে কেউ দারুণ লাভবান হতে পারে। এজন্য পিকেএসএফ এর অর্থায়নে জেআরডিএমের কারিগরি সহায়তায় এসইপি প্রজক্টে বেকারত্ব দুরীকরণে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দেশী মুরগি পালনে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।


আরও খবর