Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মান্দায় পানির অভাবে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে পাট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩৪৯জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা, নওগাঁ প্রতিনিধি :নওগাঁর মান্দায় সনাতন পদ্ধতি ব্যবহার করে পাট পচানো ও আঁশ ছড়ানোর কাজ করছেন কৃষকেরা। কিন্তু চলতি মওসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পর্যাপ্ত পানি নেই ডোবা, নালা ও খাল-বিলে। তাই পানির অভাবে সময়মত পাট কাটতে না পারায় চরম বেকাদায় পড়েছেন তাঁরা।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কম বৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় পাট পচাতে কৃষকের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি হচ্ছে রিবন রেটিং পদ্ধতি। বাড়ির উঠানে কিংবা পাটখেতের এক কোণে চৌবাচ্চা খনন করতে হবে। গর্তে পলেথিন বিছিয়ে দিতে হবে যাতে পানি জমা থাকে। এরপর কাঁচা পাট থেকে ছড়ানো আঁশ বা-িল বা মোড়া বেঁধে ওই চৌবাচ্চায় ডুবিয়ে দিতে হবে।

চৌবাচ্চার পানিতে সামান্য ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিলে পচনক্রিয়া খুব দ্রত হবে। ডুবানো পাটের আঁশ যাতে শুকিয়ে না যায় সেজন্য খড় কিংবা কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া প্রয়োজন। এ পদ্ধতিতে এক সপ্তাহের মধ্যেই পাট ধুয়ে শুকানো সম্ভব। কিন্তু প্রচার-প্রচারণার অভাব ও সচেতনতা সৃষ্টি না হওয়ায় রিবন রেটিং পদ্ধতি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়নি কৃষকের মাঝে।

তবে কৃষকেরা বলছেন, এ পদ্ধতি সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণাই নেই। অল্প জায়গা ও পানি ব্যবহার করে পাট পচানো যায় এটি ভাবতেই তাদের অবাক লাগছে। কৃষি বিভাগ থেকেও তেমন প্রচার-প্রচারণা করা হয়নি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্নজাতের পাটের আবাদ হয়েছে। গতবছর ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সোনালী আঁশ পাটের আবাদ করেছিলেন কৃষকেরা। কিন্তু পানির সংকটে পরিপক্ক পাট কেটে জাগ দেওয়ার সমস্যায় এবছর ৪৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ কম হয়েছে।   

বর্দ্দপুর গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান  বলেন, পাট কেটে ওইসব জমিতে আমন ধানের আবাদ করেন তাঁরা। সঠিক সময়ে পরিপক্ক পাট কাটতে না পারলে এর গুনগতমান নষ্ট হবে। একই সঙ্গে দেরিতে রোপণ করতে হবে আমন ধানের চারা। এতে আমনের উৎপাদন ব্যাহত হবে।

উপজেলার প্রসাদপুর গ্রামের কৃষক আয়েজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘ নব্বই দশকের শুরুতে গ্রামের নুরুল ইসলাম প্রামানিকের উদ্যোগে ও কৃষি অফিসের সাহায্যে প্রথম এলাকায় রিবন রেটিং পদ্ধতির সাহায্য একটি পাটের আঁশ ছড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এ পদ্ধতির সাহায্যে কীভাবে পাটের আঁশ ছাড়াতে হয় তাও তখন দেখেছিলাম। এটি চালু হলে কৃষকের খরচও কমতে পারে।’ কিন্তু নানা ঝামেলার কারণে তিনি গতানুগতিক পদ্ধতিতে পাটের জাগ দিয়ে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাঁচা পাট কেটে দু’তিন দিন জমিতে ফেলে রেখে পাতা ঝরিয়ে নিয়ে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে আঁশ ছড়াতে হবে। এ পদ্ধতিতে পাট পচালে আঁশের মান ও রঙ ভালো হবে। বাজারে আশানুরূপ দামও মিলবে। এ পদ্ধতিতে ছড়ানো পাটকাঠি দিয়ে জ¦ালানির পাশাপাশি ঘরের বেড়া তৈরির কাজ করা যাবে। বর্তমানে এসব পাটকাঠি থেকে ফটোস্ট্যাস্ট মেশিন ও কম্পিউটার প্রিন্টারের কালি তৈরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছড়ানোর কাজে অভ্যস্ত নন কৃষকেরা।প্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহার করেই এ কাজটি করেন তাঁরা। তাই রিবন রেটিং পদ্ধতি জনপ্রিয়তা লাভ করেনি।



আরও খবর



বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা বিশ্বের মধ্যে স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামীদিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা,বলেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যে পোর্টালটি রয়েছে সেখানে আমরা নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই যাতে সহী-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন সেজন্যই মূলত আজকের এই প্রশিক্ষণ। আমরা প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করেছি। আপনারা যদি প্রশিক্ষণের প্রতি মনযোগী হতে পারেন তাহলে আপনারা হজের নিয়ম-কানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতা- সবকিছু আয়ত্তে আনতে পারবেন, ইনশাল্লাহ। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা।

তিনি বলেন, হজ অনেক পরিশ্রমসাধ্য ইবাদত; এর জন্য শারীরিক সামর্থ্য থাকা বাঞ্চনীয়। অনেকেরই সেই শারীরিক সামর্থ্য থাকে না। যার কারণে তাদের পক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। আমরা অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে জমানো সঞ্চয় দিয়েই হজব্রত পালন করতে যায়। এদেশের অধিকাংশ মানুষেরই দ্বিতীয় বার হজ করার মতো আর্থিক সঙ্গতি থাকে না। সে কারণে আপনার পরিশ্রম ও অর্থ যেন বিফলে না যায় সেজন্য অবশ্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে হজ সম্পাদন করতে হবে। সহী ও শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে হবে। মো. ফরিদুল হক খান আরও বলেন, সৌদি আরবে আপনার পরিচয় শুধু একজন হজযাত্রী নয়, আপনার পরিচয়-আপনি একজন বাংলাদেশি। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ পাবে। তিনি সৌদি আরবের আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনে কোনরূপ বিচ্যুতি না ঘটে সেদিকে যতœবান থাকার আহ্বান জানান। এছাড়া, কারো জন্য দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকার জন্য হজযাত্রীদেরকে অনুরোধ জানান। এ প্রশিক্ষণে সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ঢাকার হজযাত্রীরা অংশগ্রহণ করছেন। ধর্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মোঃ মঞ্জরুল হক ও ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বক্তব্য প্রদান করেন।


আরও খবর



গাজায় নিহত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েল অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে।টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। এই আগ্রাসনে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এবার জাতিসংঘও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

মূলত গাজা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত বলেছে, উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’।

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে। তারপরও এটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ হাজার হাজার মানুষ এখনও সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক নারী এবং শিশু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ নারী ও শিশুরাই সাধারণত বাড়িতে অবস্থান করে থাকেন। সুতরাং ‘ন্যূনতম পরিসংখ্যানগত গণনা’ থেকে বলা যায়, গাজায় নিহতদের ৬০ শতাংশ নারী এবং শিশু হতে পারে।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১৯০ জনেরও বেশি জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়েছেন। ক্যাথরিন রাসেল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘সেবা করার সময় মানবতাবাদীদের অবশ্যই সবসময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।’

মূলত গতকাল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর জাতিসংঘের প্রথম কোনও বিদেশি কর্মীকে হত্যা করেছে। রাফাতে পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত জাতিসংঘের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা।


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




রাজধানীর কদমতলীতে চিকিৎসা অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্য

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

বিশেষ প্রতিনিধি:রাজধানীর কদমতলীতে চিকিৎসা অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বল অভিযোগ করেছে পরিবার।

রবিবার দুপুরে কদমতলী থানাধীন এম এইচ চৌধুরী জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঐ নবজাতকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কদমতলী থানা পুলিশ হাজির হয়েছে।

নবজাতকের পরিবার জানায়,গত শুক্রবার প্রসুতি সুমিকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই ১৫ হাজার টাকার বিনিময় ঐ হাসপাতালে সিজার করে ডাঃ শামীমা আক্তার চৌধুরী। তিনি গাইনী ডাঃ ও হাসপাতালের মালিকপক্ষ। 

নবজাতকের নানী লিপি জানায়, শনিবার রাতে তিনি হাসপাতালে শিশুর কাছে ছিলেন। 

গভীর রাতে শিশুটির খিচুনি উঠলে ও হাসপাতালটিতে ছিলেন না দায়িত্বশীল কোনো চিকিৎসক। তিনি হাসপাতলে খোজাখুজি করে কোন ডাঃ নার্স পাননি। পরে একজন আয়া আসলে তাকে একাধীকবার ডাঃ কে খবর দিতে বললেও কেউ আসেনি। শিশুর অবস্থা অবনতি হলে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে গেলে গেট তালা বদ্ধ থাকায় তাকে নিতে পারেনি। পরে রবিবার দুপুরে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়।

নিহতর বাবা শাহিন বলেন,রবিবার সকালে হঠাৎ ওই শিশু অসুস্থ হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু, ওই সময় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকায় উপযুক্ত চিকিৎসা না পাওয়ার কারণেই শিশুটি মারা গেছে। হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের প্রতি উদাসীন বলেও অভিযোগ করেন।

তিনি আরো বলেন, সন্তানের মুখটাও তৃপ্তি ভরে দেখা হলো না তার। সন্তানও পেল না মায়ের শরীরের উষ্ণতা। জীবন নামের যাত্রাপথে মাত্র ২ দিনের সংক্ষিপ্ত এক ভ্রমণ শেষে নাড়ি ছেড়া ধন পাড়ি দিয়েছে পরপারে। এর থেকে বড় কষ্ট, বড় শোক আর কিইবা হতে পারে।

তবে হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, আমাদের হাসপাতালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। 

খবর পেয়ে সাংবাদিকরা আসলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

হাসপাতালে ঢুকে দেখা যায় ময়লা আর্বজনা আর পোকা মাকড়ের ছড়াছড়ি। অপারেশন থিয়েটারের ভিতর চরম দূর্গন্ধে ভরা।  এছাড়া হাসপাতালে ছিলনা কোন শিশু  বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। 

শিশু বিশেষজ্ঞ দিয়ে শিশুটির চিকিৎসা করার কথা থাকলে ও চিকিৎসা করেছে চর্ম ও যৌন ডাক্তার  শওকত আলী গাজী।

    -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়া ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ইন্দোনেশিয়ার ওয়েস্ট পাপুয়া অঞ্চলে।স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.২। 

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় অনুভূত ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২।

তবে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের আঘাতে জেরে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম পাপুয়ায় ফাকফাক এলাকার ১৫৩ কিলোমিটার (৯৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠের ১২.১ কিলোমিটার গভীরে।

এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে।

এর আগে গত মাসের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া। সমুদ্রের নিচে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে সেসময় অবশ্য বিশাল কোনও ঢেউ সৃষ্টি হয়নি এবং সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি।

খবর আনাদুলু এজেন্সি


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




তানোরে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে বিয়ের পরই শিক্ষিকাকে ডিভোর্স, প্রতারক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে বিয়ের ৫দিন পরই শিক্ষিকাকে ডিভোর্স দেয়া প্রতাকরকে গ্রেপ্তার করেছে তানোর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার প্রতারকের নাম নাজির হোসেন (৩৭)। সে  উপজেলার কলমা ইউপির কলমা গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র। এঘটনায়  থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে,  উপজেলার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জৈনকা সহকারী শিক্ষিকা (স্বামী পরিত্যক্তা)'র সাথে ১ বছর আগে ফেসবুক পরিচয়ের সুত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরে পর্যায়ক্রমে ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক প্রেমিক নাজির হোসেন। 

গত ৩রা মার্চ ২০২৪ইং তারিখ বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে তানোর ভূমি অফিসের সামনের রাস্তায় এক সাথে ৮লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ মোট ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক প্রেমিক নাজির। গত ২০ এপ্রিল (প্রেমিকা) সহকারী শিক্ষিকাকে তানোর পৌর সভার কাজী আব্দুল মতিন কাজীর কাছে নিয়ে রেজিস্ট্রী করে বিয়ে করে প্রেমিকাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় প্রেমিক নাজির হোসেন। 

বিয়ের ৫দিন পর গত ২৫ শে এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে ডিভোর্স দিয়ে ডাকযোগে ডিভোর্স লেটার প্রেমিকার বাবার বাড়ি ও স্কুলের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় প্রেমিক। গত ১১ই মে শনিবার প্রতারক প্রেমিক তার বাড়ি কলমা গ্রামে আসলে উভয় পরিবারের সদস্য তাকে আটক রেখে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। বিষয়টি সমাধানে ব্যর্থ হন উভয় পক্ষ ও স্থানীয়রা। 

পরে গত রোববার দুপুরে  থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ প্রতারক প্রেমিক নাজির হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এঘটনায় (স্বামী পরিত্যক্তা) সহকারী শিক্ষিকা প্রেমিকা বাদি হয়ে  থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, এঘটনায়  থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারক প্রেমিককে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।  সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। তিনি বলেন, প্রতারক প্রেমিক এর আগেও ২ টি বিয়ে করেছে।

আরও খবর