নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁয় পৃথক পৃথক অভিযানে বিএনপি জামায়াতের আরো ৩৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এদের গ্রেপ্তার করে স্ব স্ব থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মান্দায় ১৩ জন, পোরশায় ১৪ জন, আত্রাইয়ে ৪ জন ও রাণীনগরে ৩ জন। পরে সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তারা।
পুলিশ ও দলীয় সূত্র জানায়, নওগাঁর মান্দায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপি ও জামায়াতের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার(২৯ অক্টোবর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জামায়াতের কর্মী আবদুল জব্বার (৬০), আবুল হোসেন সরদার (৬৩) লালবর রহমান (৩৫), আবদুল মান্নান প্রামাণিক (৪৩), এহসান হক মাসুম (৩৭), গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন অপরদিকে একইদিন অভিযানে সেকেন্দার আলী (৫৮) ময়েজ উদ্দিন (৫০), লতিফুর রহমান (৫০), আবদুল মান্নান (৪৬), ময়নুল ইসলাম (৪০), আইজুল হক (৩৮), জিয়াউর রহমান (৪০) ও সাইফুদৌলা বাবু (৩৮)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্বে আছেন। গ্রেপ্তারকৃত সাইফুদৌলা বাবু পরানপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে জেলার পোরশায় বিষ্ফোরক মামলা সহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গত তিনদিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বিস্ফোরক মামলার আসামি পশ্চিম রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত কাশেমের ছেলে ইমানী (৪৭), খরপা দক্ষিনপাড়ার ময়েজদ্দিনের ছেলে তোফাজ্জল (৩৬,) নিতপুর দিয়াড়াপাড়ার সারফুদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম আকরাম কাজল (২৩), শরিয়ালার জাকির হোসেনের ছেলে বাবুল হোসেন (৩৫), ঘাটনগর কাজিপাড়ার মৃত মাহাত উদ্দিন কাজীর ছেলে মোশারফ হোসেন(৪৯), ঘাটনগর বাঙ্গাবাড়ির মতিউর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩২), চকবিষ্ণপুর কাটাপুকুরের গোলাম মোস্তফার ছেলে আবদুল আলিম (৩৯), ঘাটনগর কাজিপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে শহিদুল (৩৭), কাচারীপাড়ার মৃত খোকার ছেলে নজরুল ইসলাম (৬৬), সরাইগাছি গ্রামের আব্দুলের ছেলে মজিবর রহমান (৫০), বারিন্দা গ্রামের আব্দুছ ছালামের ছেলে ময়নুল (৪০) ও চকনামাজু গ্রামের নজিরদ্দিন সরদারের ছেলে নাজিম সরদার (২৭)। অপরদিকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক দুইজন হলেন গোপিনাথপুর গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০) এবং বিষ্ণপুর বেড়াচৌকি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবদুস ছালাম (৫৫)।পোরশা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষ্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার কারণে এদেরকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।নওগাঁর রাণীনগর এবং আত্রাই থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের আরো ৭জন নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে রাণীনগরে চার জন এবং আত্রাইয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে নাশকতা ও মারপিট মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে দুই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ১৯জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,গত বছরের ১৭ নভেম্বর ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের দায়েরকৃত মারপিটের মামলায় জড়িত সন্দেহে উপজেলার খট্রেশ্বর হাদিপাড়া গ্রামের বাহার আলীর ছেলে ইজাব্বর মোল্লা (৬০),কাশিমপুর উত্তরপাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে গোলাম মোস্তফা বাবু (৫০),দূর্গাপুর শেখ পাড়ার শেখ ময়েনের ছেলে কিরণ শেখ (৩৮) ও চকাদিন গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়।অপর দিকে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার জানান, নাশকতা ও মারপিট মামলায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,জামগ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে রুহুল আমিন সোহাগ (৪৩),জয়সারা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও নওদুলী গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে বাবুল মোল্লা (৫২)।