Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

'মানবিক মানুষ তৈরীর কারখানা গড়ে তুলতে চাই'-ড.মাহবুবুর রহমান মোল্লা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৬৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃমানবিক মানুষ গড়ার কারখানা হিসেবে সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ কে গড়ে তোলা এবং শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে অভিভাবকদের নিয়ে সভা করেছে রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ।৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল দশটায় দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল,ড.মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রধান মন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সদস্য ও HWPL এ পিস এ্যাম্বাসেডর, শিক্ষাবিদ ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব সামসুদ্দিন ভুঁইয়া সেন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গভর্নিং বডির সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,সেফ এইড হসপিটালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও গভর্নিং বডির সদস্য সরওয়ার আরিফ উদ্দিন খান,ডা.আব্দুল হালিম,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী, মোঃ মোজহারুল ইসলাম সোহেল, সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ প্রভাতী শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মতিন, ইংলিশ ভার্সন -ইনচার্জ আলমগীর হোসেন,দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসেন, গভর্নিং বডির সদস্য মোঃ জাকির হোসেন।

সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষাবিদ ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে মানবিক গুন সম্পন্ন মানুষ গড়ার কারখানা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, অভিভাবকদের সহযোগীতা চাই।

এ জন্য অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি গভীর মনোযোগ দিতে অনুরোধ করেন তিনি।তিনি বিভিন্ন সময়ে ভুইফোঁড় সাংবাদিকদের অপপ্রচার বিষয়টি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।


আরও খবর



ডিএমপির নতুন পরিকল্পনা ঈদে ঢাকায় অপরাধ দমনে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় ঈদের ছুটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বাসাবাড়িসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতি রোধে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় সোনার দোকান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটে। তবে, এবার অপরাধীরা সেই সুযোগ পাবে না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এসব অপরাধের সঙ্গে কোনো নিরাপত্তাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকার সম্ভবনা আছে কিনা সেটাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ডিএমপি সদরদপ্তরের উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে চুরি ও ছিনতাইসহ ঈদ কেন্দ্রিক সব ধরণের অপরাধ দমনে ৩৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির প্রতিটি বিভাগকে এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।

ঈদ ও ঈদ পরবর্তী মহানগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় করণীয় নির্দেশা হলো–

১. নিরাপত্তা পরিকল্পনায় মোতায়েন সব অফিসার ও ফোর্স সন্দেহজনক ব্যক্তির দেহ ও অন্যান্য বস্তু সৌজন্যতার সঙ্গে তল্লাশি করবেন।

২. ঈদগাহ প্রাঙ্গণ ও আশপাশ এলাকায় যেন কোনো ভিক্ষুক ও হকার প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করবেন।

৩. সন্দেহজনক বা জরুরি কোনো বিষয় অবগত হলে তা অতি দ্রুত সময়ে হাইকোর্ট অভ্যন্তরে সাব-কন্ট্রোলরুম বা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে জানাতে হবে।

৪. ঈদের ছুটির সময় দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিনই এলাকা ও স্থান পরিবর্তন করে কার্যকর চেকপোস্ট পরিচালনা করতে হবে। এসব চেকপোষ্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৫. মোটরসাইকেল বিরোধী অভিযান এ সময় জোরদার করতে হবে। ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবেন। তিনজন আরোহী কোনক্রমেই চলাচল করতে পারবে না।

৬. ঈদের ছুটিতে রাজধানী খালি হয়ে যায়। যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। এ সুযোগে কিছু যুবক উচ্চ গতিতে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এ প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক চেকপোষ্ট, তল্লাশি ও গাড়ি চেকিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৭. ছুটিকালীন সময়ে ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ছাদ ছিদ্র করে, সিধ কেটে চুরি, ডাকাতির আশংকা থাকে বিধায় ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ওপরে ও আশপাশের এলাকায় যারা বসবাস করে তাদের প্রতি বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. ছুটিকালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের বুথে সংঘবদ্ধ চক্র দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে বিধায় অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা প্রতিরোধে সিকিউরিটি গার্ডদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

৯. বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, মার্কেট, ব্যাংক, স্বর্ণের দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব প্রাইভেট সিকিউরিটি দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে হবে।

১০. প্রতিটি থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্টসহ দৃশ্যমান পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাতে থানার মোবাইল প্যাট্রোলসমূহ হুটার বাজিয়ে টহল দিবে। ছুটিকালীন সময়ে বাসা পরিবর্তনের নামে বাসাবাড়ির মালামাল যাতে চুরি না হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. চেকপোস্ট চলাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ছুটিকালীন সময়ে বেপরোয়া যানবাহন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১২. প্রতিটি থানা থেকে প্রতিদিন তিনটি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম টহল ডিউটি করবে। প্রতিটি টিমে এক সঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেল থাকবে। প্রতিটি মটরসাইকেলে একজন এসআই, একজন এএসআই অস্ত্রসহ ও একজন কনস্টেবল শর্টগানসহ মোতায়েন করতে হবে।

১৩. ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ ও বাহির পথসমূহে ২৪ ঘণ্টা চেকপোস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঈদ পরবর্তী সময়ে সকল থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেকপোস্ট কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।

১৪. নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত যেকোন ফোর্স মোতায়েন হওয়ার পূর্বে ইনচার্জ অফিসার তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে যথাযথ ব্রিফিং প্রদান করবেন।

১৫. ঈদের দিন থেকে সব বাণিজ্যিক বিপনীবিতান ও স্বর্ণের মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার। মার্কেট মালিক সমিতির মাধ্যমে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও মালিক সমিতি কর্তৃক তদারকি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

১৬. সব ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। এ সংক্রান্তে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সভা করে তাদেরকে নিরাপত্তা টিপস প্রদান করতে হবে।

১৭. আবাসিক এলাকায় পুলিশের মোবাইল প্যাট্রল গমনা-গমন নিশ্চিত করাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফুট প্যাট্রলের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অতিরিক্ত গাড়ি প্রয়োজন হলে উপকমিশনার (পরিবহন) সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।


আরও খবর



ফ্লোরিডায় নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বর্তমানে সেহেলী সাবরীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার মিশনে যোগদানের তারিখ থেকে বদলির আদেশ কার্যকর হবে।

২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪তম বিসিএসের (পররাষ্ট্র) সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন সেহেলী সাবরীন।

২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব এবং ২০১৪-২০১৭ সালে জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সেহেলী সাবরীন।


আরও খবর



চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি সময়ের দাবি: ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image
লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর:ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিনির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং বাজার স্থীতিশীল রাখার জন্য চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। 

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় চিনি শিল্প ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষী ফেডারেশনের পক্ষ হতে তাঁকে দেয়া সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই চিনির চাহিদা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিকাংশ দেশেই যতটুকু চিনি। খেতে বলা হয় তার চেয়ে বেশি চিনি খাওয়া হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশন(আইএসও) এর তথ্য মতে, ২০০১ সালে বিশ্বব্যাপী চিনি খাওয়ার পরিমাণ ছিলো ১২৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে দাঁড়ায় ১৭২ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন। গত ৫ দশকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে চিনি গ্রহণের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, বছরে আমাদের চিনির চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ৮০ হাজার মেট্রিক টন। চিনি উৎপাদনের এই চিত্রটি আমাদের জন্য নিতান্তই হতাশাব্যঞ্জক। এদেশের চিনি শিল্প ও আখচাষীদেরকে বাঁচাতে হলে আমাদেরকে এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করবেন বলে চিনিকল আখচাষী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।

বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষী ফেডারেশনের সভাপতি ও পঞ্চগড়-১ সাবেক সংসদ সদস্য  মজাহারুল হক প্রধানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম, পরিচালক এটিএম কামরুল ইসলাম তাং, খোন্দকার আজিম আহমেদ, মোঃ আতাউর রহমান খান, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী বাদশা প্রমূখ।

আরও খবর



মাটিরাঙ্গার গোমতি ও বড়নাল ইউনিয়নে সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে অবহিতকরণ সভা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-সচিব নাজমুন আরা সুলতানা বলেছেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। সরকারী চাকুরীজীবিদের পাশাপাশি  সকল শ্রেণির মানুষের সুরক্ষায় সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। ১৮ বছর থেকে ৫০বছর বয়সী ব্যাক্তিরা এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তিনি বলেন, প্রবাসী, বেসরকারী চাকুরীজীবি, অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মী ও স্বল্প আয়ের ব্যাক্তিরা এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মাটিরাঙ্গার গোমতি ও বড়নাল ইউনিয়নে সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অংশীজন অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী, মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মিজানুর রহমান, বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ ও গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এ বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মজীবনে উপার্জিত টাকার কিছু অংশ পেনশন স্কীমে বিনিয়োগ করে একজন নাগরিক নিশ্চিত করতে পারেন তার আর্থিক নিরাপত্তা। স্বামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আসার আহবান জানান তিনি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে মাটিরাঙ্গার সকল ইউনিয়নে অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হবে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

অবহিতকরণ সভা শেষে গোমতি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র ও আলেক চেয়ারম্যান পাড়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-নচিব নাজমুন আরা সুলতানা।

অনুষ্ঠানে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ ও গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন সহ ২০জন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় স্পট রেজিস্ট্রেশন করেন। এসময় তাদের হাতে পেনশন স্কীমের রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্ট তুলে দেন খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) নাজমুন আরা সুলতানা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।

আরও খবর

পাঁকা আমের কাঁচা আটি

শনিবার ০৪ মে ২০২৪




ট্রেনের ভাড়া কোন রুটে কত বাড়ল

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রেয়াতি সুবিধা উঠে গেছে ট্রেনযাত্রায় আজ থেকে । ফলে দূরের যাত্রীদের ওপর চাপছে বাড়তি ভাড়ার বোঝা।

শনিবার (৪ মে) থেকে কার্যকর নতুন ভাড়া রুট ভেদে বেড়েছে ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এছাড়া বাড়ছে কনটেইনার পরিবহন ভাড়াও।

১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়াই। গত ২৪ এপ্রিল থেকে শনিবারের আসন বিক্রি শুরু হয়েছে। কারণ ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়া। ওই দিনের আসন বিক্রি শুরু হবে বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে। কারণ, ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

গত ২২ এপ্রিল (সোমবার) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আজ থেকে কার্যকর করা হলো।

দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধায় ৩২ বছর ধরে মূল ভাড়ায় ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ ও ৪০১ কিলোমিটার বা এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে।

আর্থিক চাপ ও লোকসান কমাতে এখন এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সরকারের যাত্রীসেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি। এর পাশাপাশি ট্রেনে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা আসনের ভাড়াও বাড়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে রিজারভেশন চার্জের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা নন-এসি কোচের আসনে ব্যয় বাড়ছে মূল ভাড়ার ২০ শতাংশ এবং এসি কোচের আসনের বাড়ছে ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি এরইমধ্যে সারাদেশে স্টেশন-টু-স্টেশন রেয়াত সুবিধা বাদ দিয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৪টি স্টেশন-টু-স্টেশনে নির্ধারিত নতুন ভাড়ায় এরই মধ্যে রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের মাধ্যমে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

ট্রেনের ভাড়া ১৫টি প্রধান রুটে যত বাড়ছে - সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।

ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।

ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।

ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।

ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বাড়বে।


আরও খবর