মোঃ আব্দুল হান্নান:-
বলছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ সংসদীয়- ২৪৩ নাসিরনগর আসনের নব নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এস এ কে একরামুজ্জামানের কথা।তিনি বাংলাদেশের একজন প্রথম শ্রেণীর শিল্পপতি ও শ্রেষ্ট করদাতা।২০০১ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের মাধ্যমে নাসিরনগরের রাজনীতিতে আসেন।দীর্ঘ চেষ্টা করে সেখানে ভাল অবস্থান গড়তে না পেরে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে কুলা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে এডঃ সায়েদুল হকের সাথে পরাজয় বরণ করেন।
পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগদেন।ধাপে ধাপে হয়ে উঠেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা।তারপর থেকে তিনি হয়ে উঠেন নাসিরনগর বাসীর কান্ডারী।বণ্যা,খড়া,প্রাকৃতিক দুযোর্গে মানুষের পাশে দাড়াতে ও মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে শুরু করেন তিনি।বণ্যার সময়ে বণ্যার্থদের জন্য জরুরী খাদ্য সামগ্রী,ঔষধপত্র,টিন,কাট, কাপড় চোপড় প্রদান করেন তিনি।তাছাড়াও মহামারি করোনাকালিন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে অনেক অসহায় পরিবারকে ও আর্থিক সহায়তা করেছেন তিনি।
নাসিরপুর গ্রামের জীবন নামক এক মারাত্বক অসুস্থ যুবককে বহু টাকা ব্যায়ে চিকিৎসা করিয়ে নব জীবণ ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।তাছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ নাসিরনগর বাসীকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তিনি।কিন্তু দুঃখের বিষয় বিগত ২০২৩ সালে নভেম্ভরের শেষ দিকে নাসিরনগরে দুটি বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়।ওই মামলায় আসামী করা হয় একরামুজ্জামানকে।মামলার পর তিনি দেশ থেকে চলে যাবার চিন্তা করেন তিনি।পরবর্তীতে এ চিন্তা বাদ দিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে নাসিরনগর আসন থেকে নির্বাচনের ঘোষনা দেন একরামুজ্জামান।
তার স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করার খবর পেয়ে তাকে দল থেকে বহিস্কার করেন কেন্দ্রীয় বিএনপি।সাথে সাথে উপজেলা বিএনপি তাদের দলীয় প্যাডে লিখিত দিয়ে নাসিরনগর থেকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে একরামুজ্জামানকে।সেই সময় এমপি সংগ্রাম বিদ্ধেষী আওয়ামীলীগের একটি বড় অংশ একরামুজ্জামানকে সমর্থন দেন।পরর্বতীতে জাতীয় পার্টিও হাত মেলান একরামুজ্জামানের সাথে।আর তার সাথে থাকা বিনপির একরাম ভক্ত অনুসারী নিয়ে শুরু হয় একরামুজ্জামানের নির্বাচনী পথচলা।
শুরু হয় মিছিল মিটিং,জনসভা, পথসভা, উঠান বৈঠক প্রত্যেক ইউনিয়নে ইউনিয়নে চলে নির্বাচনী জনসভা।জানুয়ারী নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে অনুষ্টিত হয় স্বতন্ত্রপ্রার্থী একরামুজ্জামানের সর্বশেষ নির্বাচনী জনসভা।নামে সর্বস্তরের নারী পুরুষের ঢল।লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় খেলার মাঠ।৭ জানুয়ারী ২০২৪ রোজ রবিবার সকাল ৮ ঘটিকা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।রাতে গননা শেষে ক্ষমতাসীন দলের এমপি বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের চেয়ে প্রায় ৪৫ হাজার ভোট বেশী পেয়ে এ নির্বাচন বিজয়ী হন তিনি।
এখন কেহ কেহ তাকে বিএনপির আবার কেহ কেহ আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য বলে মনে করে দলীয় ক্ষমতা কাটানোর অপচেষ্টা করা টিক হবে না বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক আর সচেতন মহলের জনগণ।কারন প্রকৃত পক্ষে একজন এমপি কখনো একটি দলের হয়না।হয় তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের।আসুন আমরা সবাই মিলে তার সু স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পুরনে ও নাসিরনগর বাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে সহযোগিতা করি
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব