Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মালিবাগে গৃহকত্রীর নির্যাতনের পর গৃহকর্মী নিখোঁজ, থানায় জিডি

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৩৬৬জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃরাজধানীর পশ্চিম মালিবাগে একটি বাসার গৃহকত্রীর হাতে নির্যাতনের পর নিখোঁজ রয়েছেন রূপা(১৩) নামে এক গৃহকর্মী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিখোঁজ গৃহকর্মী রুপার মা আশা আক্তার রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। গত বৃহস্পতিবার  ১৫ জুন রাত থেকে  গৃহকর্মী রূপা নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। রমনা মডেল থানার সাধারণ ডায়েরি জিডি নং-১০৭৮।

নিখোঁজ রুপার মা আশা আক্তার জানায়,রমনা মডেল থানার পশ্চিম মালিবাগ ৩১ নম্বর হোল্ডিংয়ের একটি বাসার তিন তলায় রূপা কাজের মেয়ে হিসেবে তিন বছর যাবত কাজ করে আসছিল।এ বাসার গৃহকত্রীর নাম লিজা (৩৮) একজন কথিত মডেল ও গায়িকা।গত তিন বছর আগে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ঢালার পার ইউনিয়নের হতদরিদ্র আনোয়ার ও আশা দম্পতির সন্তান রুপা নামের ১৪ বছরের একটি মেয়েকে গৃহকর্মী হিসেবে ঐ বাসায় নিযুক্ত করে। নানা সময়ে ওই গৃহকর্মীর উপর কথিত মডেল ও গায়িকা লিজা নির্যাতন করত। এ কারণে বেশ কয়েকবার তারা মেয়েকে কাজ ছাড়িয়ে গ্রামে নিয়েও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু গৃহকত্রী নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগী রুপাকে ওই বাসাতেই রেখে দেন।

হঠাৎ গত ১৫/ ৬/২৩ তারিখে রাত ১১ ঘটিকার সময় রমনা মডেল থানা পুলিশ জানায় আমার মেয়ে রূপা নিখোঁজ। আমরা ১৬/৬/২৩ তারিখ গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে মডেল লিজার বাসায় যাই । তার কাছে আমার 

মেয়ের কথা জানতে চাইলে সে বলে গত ১৩/৬/২৩ তারিখে তোমার মেয়ে বাসার নিচে পানি আনার কথা বলে নিচে যায় সে আর ফিরে আসে নাই। লিজা আরো বলে, এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছে রূপাকে খুঁজে বের করার জন্য ।আমরা মেয়েকে ফিরে পেতে কান্নাকাটি করলে সে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করে।

গৃহকর্মী  রুপার নিখোঁজের বিষয়ে তার বাবা মা রমনা থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ না করে  থানা থেকে বের করে দেয় বলেও জানান তারা।

অসহায় নিখোঁজ গৃহকর্মীর বাবা মা কান্না জরিত কন্ঠে গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন, স্যার আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেন, লিজা আক্তারের অনেক টাকা, সে থানা পুলিশ ম্যানেজ করে ফেলেছে আমার মেয়েকে হয়তো মেরে ফেলেছে নাহলে বিক্রি করে দিয়েছে আপনারা আমার মেয়েকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিন।

এ বিষয়ে রমনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসান বলেন, গৃহকত্রী লিজা ম্যাডামের জিডিটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নিখোঁজ গৃহকর্মীর বাবা মায়েরঅনুরোধে একটি জিডি নেয়ার জন্য অফিসার কে নির্দেশ দেন।এ বিষয়ে গৃহকত্রী লিজা আক্তারের সাথে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এবং বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

গৃহকত্রী লিজার বিষয়ে এলাকাবাসী বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করেন ।তারা জানান লিজা কথিত মডেল ও সিঙ্গার, তার ছেলে লাবিব কিশোর গ্যাং নেতা  তাদের প্রভাবে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। 


আরও খবর



জয়পুরহাটে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯৪জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃসমন্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষি খাতের আওতায় জয়পুরহাটে গ্রীষ্মকালীন নানা জাতের তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (১২ মে)দুপুরে সদর উপজেলার উপচক এলাকায় স্থানীয় এনজিও জেআরডিএম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।এ সময় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফসিয়া জাহান,জেআরডিএমের সহকারি পরিচালক এন এম ওয়ালিদ জামান সোহাগ ও কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব ।

আরও খবর



খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যখনই সরকারে এসেছি তখনই চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি অনুরাগী করতে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । কারণ খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি দেয়। দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায় এবং একই সঙ্গে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা ও পুরস্কার বিতরণ হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক। খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, আমাদের দেশীয় খেলাধুলাকেও সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। কারণ, দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধা বিকাশের আরও সুযোগ হবে।

তিনি বলেন, আজ আমাদের এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারাবিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি। আমাদের ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়াড়রা যারা আজ এখান থেকে শুরু করলো, একদিন তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে নিয়ে আসবে। ছেলেমেয়েরা সারাবছর যেন খেলাধুলা করতে পারে সে জন্য সরকার সব উপজেলায় একটি করে মিনিস্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যকার ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অপর ম্যাচে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রধানমন্ত্রী দুই টুর্নামেন্টের বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর



বিশ্ব মা দিবস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

তরিকুল ইসলাম:মা পৃথিবীর মধুরতম ডাক। পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা- প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল। আজ পৃথিবীর সেই সকল মমতাময়ীর সম্মানে বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী বিশেষ মর্যাদায় পালিত হয় দিনটি।

আসলে মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি মায়েরই সন্তানের ভালোবাসা প্রাপ্য প্রতিদিনই। তবুও দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, নিজের সব স্বাদ-আহ্লাদ সন্তানের নামে করে দেন যে মা, তার সম্মানে আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।

মায়ের সঙ্গে সন্তানের আত্মিক বন্ধন জন্ম-জন্মান্তরের। অটুট এ বন্ধনের প্রাগাঢ় আবেগে তাড়িত হয়ে যুগে যুগে রচিত হয়েছে বহু গান, কবিতা, গল্প, আর উপন্যাস। সৃষ্টি হয়েছে বহু কালজয়ী শিল্পকর্ম। বাংলা সাহিত্যেও মাকে নিয়ে অসংখ্য কবিতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’, শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’ হুমায়ুন আজাদের ‘আমাদের মা’ আল মাহমুদের ‘নোলক’, কালিদাসের ‘মাতৃভক্তি’ এমনই কিছু কালজয়ী বন্দনা।

পৃথিবীর সকল যুগের সকল ধর্মে মা সম্মান রাখা হয়েছে সবচেয়ে উঁচুতে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভধারণ করে। তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার শোকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৪)।


আরও খবর



প্রশাসন ম্যানেজ খাস পুকুর সংস্কার মাটি বানিজ্য ব্রীজের মুখ বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:জেলা উপজেলা পর্যারের প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ব্যক্তি মালিকানা পুকুর সংস্কারের সাথে সরকারি খাস পুকুরও সংস্কার করে মাটি বানিজ্য ও ব্রীজের মুখ বন্ধ করে দেয়ার কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রাম বাসী বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউপির মল্লিকপুর গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। পুকুর সংস্কারের মাটি বিক্রি করার কারনে পাকা রাস্তা মাটির রাস্তায় পরিনত হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। পুকুরটি সংস্কার করছেন মল্লিক পুর গ্রামের হাজী ওমর আলী। তিনি প্রতারণা করে পুরাতন পুকুর সংস্কারের আবেদন করে সরকারি খাস পুকুরও সংস্কার করছেন। হাজির এমন প্রতারণার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু হাজি প্রভাব শালী হওয়ার কারনে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌরসভার শেষ সীমানা বুরুজ ঘাট থেকে মোহনপুর যাওয়ার পাকা রাস্তার মাঝে বাগবাজারের পূর্ব দিকে রাস্তার দক্ষিণে বিশাল আয়তনের দিঘি রয়েছে। দিঘির মাঝে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। দিঘির মাঝে সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। দিঘির মাটি হেরো ট্র্যাক্টরে করে মাটি বহন করার কারনে পাকা রাস্তায় মাটির স্তুপ পড়ে রয়েছে পুরো রাস্তা জুড়ে।রাস্তার উপরে রয়েছে ব্রীজ। ব্রীজ দিয়ে কয়েক গ্রামের পানি বের হয়। সেই ব্রীজের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। সামান্য পরিমান বৃষ্টি হলে কয়েক গ্রামে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।

সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি ছিলেন তারা জানান, হাজি প্রতারণা করে পুকুর পুন সংস্কার করার আবেদন করেন। কিন্তু পুকুরের ভিতরে সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। সেটা গোপন করেন হাজি ওমর। শুধু তাই না পুকুরের কাদা মাটি হেরো ট্যাক্টরে করে পাকা রাস্তা দিয়ে বহন করার কারনে ব্যাপক ভাবে মাটি পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টি হয়, একারনে রাস্তা দিয়ে কোন ধরনের যান চলাচল করতে পারেনি। এমনকি মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা পর্যন্ত হয়েছে। তারপরও দেদারসে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, নিজের পুরাতন পুকুর সংস্কার করতে অনুমোদন নিতে হয়, মাটি বাহিরে দেয়া যাবেনা মর্মে অনুমতি দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু কিসের বিনিময়ে খাস পুকুর সংস্কার করতে দিয়েছে প্রশাসন বুঝতে হবে। টাকা থাকলে সবই হয়। 

পুকুর পাড়ে ছিলেন হাজি ওমর আলীর ছেলে সুজন তিনি জানান, পুরাতন পুকুর সংস্কার করা হয়েছে। আপনাদের পুকুরে খাস পুকুর রয়েছে সেটা কিভাবে সংস্কার করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, খাস পুকুর সংস্কার করা হয়নি। তবে আমাদের পুকুরের মধ্যে খাস পুকুর রয়েছে সংস্কার তো করতেই হবে। মাটি বিক্রির অনুমতি নেই কিভাবে বিক্রি করলেন জানতে চাইলে তিনি জানান তাহলে কৃষি জমিতে কিভাবে পুকুর হয়, এদেশে টাকা থাকলে সবই হয় বলে দাম্ভিকতা দেখান তিনি।সেখান থেকেই মোহনপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মিথিলা দাসকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, পুরাতন পুকুর সংস্কারের অনুমতি দেয়া আছে। কিন্তু কোনভাবেই মাটি বের করা যাবেনা। মাটিও বের করেছে এবং ব্রীজের মুখ বন্ধ করেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব করার কোন সুযোগ নেই। রবিবার অফিসে গিয়ে অনুমতির কাগজ দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুকুরের ভিতরে খাস পুকুরও রয়েছে সেটা সংস্কার করতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, খাস পুকুর সংস্কার করা যাবে না, এসব বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর



নেটওয়ার্ক শেয়ারে রবি ও বাংলালিংক-এর যৌথ উদ্যোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৩৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের অন্যতম দুই মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও বাংলালিংক তাদের নেটওয়ার্ক অবকাঠামো শেয়ার এর সম্ভ্যবতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। মোবাইল নেটওয়ার্কের মান ও গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশব্যাপী ফোর-জি’র প্রসার বাড়াতে এই যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে অপারেটর দুটি। বিশ্বে টেলিযোগাযোগ শিল্পে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর যৌথ ব্যবহার জনপ্রিয় ও স্বীকৃত।

এর মাধ্যমে সম্পদের সদ্ব্যবহার করে জ্বালানির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানই টেকসই পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতি সমুন্নত রাখতে পারে। এছাড়া, এর ফলে ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও টেলিযোগাযোগ সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করায় সেবার মান ও মূল্য সংযোজন পরিষেবায় (ভিএএস) বেশি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরী করে। টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এ ধরণের যৌথ উদ্যোগে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

১৭ মে ২০২৪-এ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্ধসঢ়;মেদ পলক এ ঘোষণা দেন। বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। অনুষ্ঠানে রবি ও বাংলালিংক সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষর করে।

গ্রাহকদের উন্নত ও মানসম্মত সেবা প্রদানের প্রতিশ্ধসঢ়;রুতি রক্ষায় এই উদ্ভাবনী যৌথ উদ্যোগ নতুন মাইলফলক তৈরি করবে। এই চুক্তির মাধ্যম উভয় অপারেটরের গ্রাহকগণ বৈচিত্রময় ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ পাবে।

এ বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে রবি ও বাংলালিংক-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “এই সময়োপযোগী ও গতিশীল উদ্যোগ দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন

আনবে। আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সেবা ও দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে নেটওয়ার্ক শেয়ার-এর প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সম্ভ্যব্যতা যাচাই করা। প্রয়োজনীয় নীতিগত পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর যৌথ ব্যবহার শুরু হবে। আমাদের লক্ষ্য হল সকল গ্রাহকের জন্য শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ সংযোগ নিশ্চিত করা, যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জিত হয়। এই ধরণের দূরদর্শী উদ্যোগের প্রতি সর্বদা সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্ধসঢ়;মেদ পলক বলেন, “সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পকে অন্যতম চালিকাশক্তিতে রুপান্তর করতে আমরা কাজ করছি। টেলিযোগাযোগ একটি অপরিহার্য সেবা, যা গ্রাহকদের ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু হিসাবে কাজ করে। বাংলালিংক ও রবির মধ্যে এই যৌথ উদ্যোগ নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে।

পাশাপাশি, এটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকান্ডে দেশের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারকেও উৎসাহ প্রদান করবে। রবি ও বাংলালিংকের এই যৌথ উদ্যোগ দেশজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনকে আরও উন্নত করবে বলে আমার বিশ্বাস।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিপিএএ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বিটিআরসি-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট


আরও খবর